নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাতটি গ্রামের দুই পক্ষের শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা সভায় বসেন ইউএনও। এতে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। পরে তাঁরা একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। অনেক দিনের এই সংঘাত নিষ্পত্তি হওয়ায় এসব গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
আলোচনা সভায় মদন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. কদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম, সহসভাপতি ইফতেখারুল আলম চৌধুরী আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি আনোয়ার হোসেন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ দুই পক্ষের শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক দিন আগে নায়েকপুর ইউনিয়নে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। এক গ্রুপে ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, পাছআলমশ্রী, বাউশা ও তালুককানাই এই চারটি গ্রাম এবং অপর গ্রুপে আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনার এই তিনটি গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিরোধে জড়ায়। কিছুদিন পরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বছরব্যাপী টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুই পক্ষের বিভেদ নিষ্পত্তির জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও দুই পক্ষের হাজার হাজার লোক মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশত লোক আহত হন। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও হয়। এর পরেও তাঁরা প্রতি মাসেই টেঁটাযুদ্ধ অব্যাহত রাখেন। এতে করে ওই সাত গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাস তিনেক আগে প্রশাসন সাতটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মদন থানার পুলিশ বাদী হয়ে দুই পক্ষের ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পরেও একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া ওই সাত গ্রামের বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। গতকাল উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিরোধ নিষ্পত্তির সেই কাঙ্ক্ষিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই সাত গ্রামের গণ্যমান্য শতাধিক ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনওর মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে আর সংঘাতে না জড়ানোর বিষয়ে কথা দেয়। পরে উভয় পক্ষ কোলাকুলি করে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে বলে প্রশাসনের লোকজন জানান।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের টেঁটাযুদ্ধ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতারা ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।’
ইউএনও মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় বিঘ্ন ঘটছিল। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টেঁটাযুদ্ধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো টেঁটাযুদ্ধ হবে না বলে আমরা আশাবাদী।’
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাতটি গ্রামের দুই পক্ষের শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা সভায় বসেন ইউএনও। এতে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। পরে তাঁরা একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। অনেক দিনের এই সংঘাত নিষ্পত্তি হওয়ায় এসব গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
আলোচনা সভায় মদন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. কদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম, সহসভাপতি ইফতেখারুল আলম চৌধুরী আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি আনোয়ার হোসেন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ দুই পক্ষের শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক দিন আগে নায়েকপুর ইউনিয়নে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। এক গ্রুপে ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, পাছআলমশ্রী, বাউশা ও তালুককানাই এই চারটি গ্রাম এবং অপর গ্রুপে আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনার এই তিনটি গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিরোধে জড়ায়। কিছুদিন পরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বছরব্যাপী টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুই পক্ষের বিভেদ নিষ্পত্তির জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও দুই পক্ষের হাজার হাজার লোক মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশত লোক আহত হন। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও হয়। এর পরেও তাঁরা প্রতি মাসেই টেঁটাযুদ্ধ অব্যাহত রাখেন। এতে করে ওই সাত গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাস তিনেক আগে প্রশাসন সাতটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মদন থানার পুলিশ বাদী হয়ে দুই পক্ষের ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পরেও একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া ওই সাত গ্রামের বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। গতকাল উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিরোধ নিষ্পত্তির সেই কাঙ্ক্ষিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই সাত গ্রামের গণ্যমান্য শতাধিক ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনওর মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে আর সংঘাতে না জড়ানোর বিষয়ে কথা দেয়। পরে উভয় পক্ষ কোলাকুলি করে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে বলে প্রশাসনের লোকজন জানান।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের টেঁটাযুদ্ধ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতারা ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।’
ইউএনও মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় বিঘ্ন ঘটছিল। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টেঁটাযুদ্ধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো টেঁটাযুদ্ধ হবে না বলে আমরা আশাবাদী।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে