ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রায় ৩০ বছর আগে গাজীপুরের একটি গরুর খামারে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা বেতনে কাজে ঢোকেন মো. খোকন মিয়া (৫০)। বিয়ের পর অল্প টাকায় সংসার না চলায় স্ত্রীও একটি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন। দুজনের আয়-রোজগার থেকে অল্প অল্প জমিয়ে বাড়ির পাশে ১০ শতক জমি কেনেন খোকন। সেই জমি দুই বছর ভোগদখলে করার পর খোকনকে মারধর করে সেখান থেকে উচ্ছেদ করেন দুই ভাই ইসহাক আলী ও সেকান্দার আলী। এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘তোকে যেই দাগে জমি লিখে দিছি ওইখানে যা, এখানে আরেকবার আসলে মাটির নিচে জ্যান্ত পুঁতে ফেলব।’
এ অবস্থায় দলিল তুলে খোকন জানতে পারেন, প্রতারণা করে আরেকজনের জমি তাঁকে দলিল করে দিয়েছে দাতা। যে কারণে দেড় যুগ ঘুরেও কেনা জমি বুঝে পাননি খোকন। প্রতারণার শিকার এই ভুক্তভোগীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত হোছেন আলীর ছেলে। অভিযুক্ত দুই সহোদরের বাড়িও একই এলাকায়। তাঁরা ওই এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খোকন মিয়া। তাঁর অভিযোগ, ২০১০ সালে ইসহাক ও সেকান্দার নামের দুই সহোদরের কাছ থেকে দত্তগ্রাম মৌজায় ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ১০ শতক জমি কেনেন খোকন। ওই বছরের জুনে ঈশ্বরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২৯৬৪ নম্বর সাফ কবলা মূলে দলিল করে দেন দুই সহোদর। দলিলের পর খোকনকে দখলও বুঝিয়ে দেন তাঁরা। ওই অবস্থায় দু-একবার ফসল ফলান খোকন। ফের জমিতে গেলে খোকনকে মারধর করা হয়, মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি দলিলে উল্লেখিত দাগে তাঁকে যেতে বলা হয়। এ অবস্থায় দলিল তুলে জানতে পারেন তাঁকে যে ৪২৮০ বিআরএস দাগে জমি লিখে দেওয়া হয়েছে, সেটার মালিক আগে থেকেই অন্য কেউ। এরপর বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হলেও বিষয়টির সুরাহা করতে পারেননি।
ভুক্তভোগী খোকন নিরুপায় হয়ে ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইসহাক আলী ও সেকান্দার আলীর নামে প্রতারণার মামলা করেন। মামলা চালাতে গিয়ে নিজের সারা জীবনের সঞ্চয় বলতে যা ছিল তা তো শেষ হয়েছেই, পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হন খোকন। শুধু তা-ই নয়, মামলা চলাকালীন দুর্ঘটনায় একটি পা ভেঙে যায় তাঁর। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে খোকন বলেন, ‘এই জমির শোকে আমার বাপ মরছে। আমিও শেষ অইয়া গেছি। অহন ঘরবাড়িডা ছাড়া কিচ্ছু নাই আমার। ছেলেডাবেন মাইনষের কামকাজ কইরা চলতে পারব। কিন্তু ঘরে দুইডা মাইয়া বড় অইতাছে। আমি মইরা গেলে এরার কী অইব? এরারে কেলা দেখব? আমার জমিডা ফিরত লইয়া দেইন বাবা। জমিডা বেইচ্চা আমি চিকিৎসা করবাম, আর মাইনষের ঋণ দিয়াম।’
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘খোকনের মতো একটা সহজ-সরল, অসহায়, গরিব মানুষকে ইসহাক ও সেকান্দার মিলে চরম ধোঁকা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা জেনে-শুনেও কিছুই করতে পারি না। কারণ, তারা প্রভাবশালী। লাঠির জোর বেশি। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, খোকনের জমিটি যেন উদ্ধার করে দেওয়া হয়। ধোঁকাবাজদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খোকনের কাছে জমি বিক্রির কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত ইসহাক আলী। তবে তাঁর ভাষ্য, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। মামলার রায় তাঁদের পক্ষে এসেছে। তাই এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে যদি আমাদের কিছু করণীয় থাকে, তাহলে অবশ্যই করব।’
প্রায় ৩০ বছর আগে গাজীপুরের একটি গরুর খামারে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা বেতনে কাজে ঢোকেন মো. খোকন মিয়া (৫০)। বিয়ের পর অল্প টাকায় সংসার না চলায় স্ত্রীও একটি পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন। দুজনের আয়-রোজগার থেকে অল্প অল্প জমিয়ে বাড়ির পাশে ১০ শতক জমি কেনেন খোকন। সেই জমি দুই বছর ভোগদখলে করার পর খোকনকে মারধর করে সেখান থেকে উচ্ছেদ করেন দুই ভাই ইসহাক আলী ও সেকান্দার আলী। এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘তোকে যেই দাগে জমি লিখে দিছি ওইখানে যা, এখানে আরেকবার আসলে মাটির নিচে জ্যান্ত পুঁতে ফেলব।’
এ অবস্থায় দলিল তুলে খোকন জানতে পারেন, প্রতারণা করে আরেকজনের জমি তাঁকে দলিল করে দিয়েছে দাতা। যে কারণে দেড় যুগ ঘুরেও কেনা জমি বুঝে পাননি খোকন। প্রতারণার শিকার এই ভুক্তভোগীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত হোছেন আলীর ছেলে। অভিযুক্ত দুই সহোদরের বাড়িও একই এলাকায়। তাঁরা ওই এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খোকন মিয়া। তাঁর অভিযোগ, ২০১০ সালে ইসহাক ও সেকান্দার নামের দুই সহোদরের কাছ থেকে দত্তগ্রাম মৌজায় ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ১০ শতক জমি কেনেন খোকন। ওই বছরের জুনে ঈশ্বরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২৯৬৪ নম্বর সাফ কবলা মূলে দলিল করে দেন দুই সহোদর। দলিলের পর খোকনকে দখলও বুঝিয়ে দেন তাঁরা। ওই অবস্থায় দু-একবার ফসল ফলান খোকন। ফের জমিতে গেলে খোকনকে মারধর করা হয়, মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি দলিলে উল্লেখিত দাগে তাঁকে যেতে বলা হয়। এ অবস্থায় দলিল তুলে জানতে পারেন তাঁকে যে ৪২৮০ বিআরএস দাগে জমি লিখে দেওয়া হয়েছে, সেটার মালিক আগে থেকেই অন্য কেউ। এরপর বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হলেও বিষয়টির সুরাহা করতে পারেননি।
ভুক্তভোগী খোকন নিরুপায় হয়ে ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইসহাক আলী ও সেকান্দার আলীর নামে প্রতারণার মামলা করেন। মামলা চালাতে গিয়ে নিজের সারা জীবনের সঞ্চয় বলতে যা ছিল তা তো শেষ হয়েছেই, পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হন খোকন। শুধু তা-ই নয়, মামলা চলাকালীন দুর্ঘটনায় একটি পা ভেঙে যায় তাঁর। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে খোকন বলেন, ‘এই জমির শোকে আমার বাপ মরছে। আমিও শেষ অইয়া গেছি। অহন ঘরবাড়িডা ছাড়া কিচ্ছু নাই আমার। ছেলেডাবেন মাইনষের কামকাজ কইরা চলতে পারব। কিন্তু ঘরে দুইডা মাইয়া বড় অইতাছে। আমি মইরা গেলে এরার কী অইব? এরারে কেলা দেখব? আমার জমিডা ফিরত লইয়া দেইন বাবা। জমিডা বেইচ্চা আমি চিকিৎসা করবাম, আর মাইনষের ঋণ দিয়াম।’
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘খোকনের মতো একটা সহজ-সরল, অসহায়, গরিব মানুষকে ইসহাক ও সেকান্দার মিলে চরম ধোঁকা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা জেনে-শুনেও কিছুই করতে পারি না। কারণ, তারা প্রভাবশালী। লাঠির জোর বেশি। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, খোকনের জমিটি যেন উদ্ধার করে দেওয়া হয়। ধোঁকাবাজদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খোকনের কাছে জমি বিক্রির কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত ইসহাক আলী। তবে তাঁর ভাষ্য, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। মামলার রায় তাঁদের পক্ষে এসেছে। তাই এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে যদি আমাদের কিছু করণীয় থাকে, তাহলে অবশ্যই করব।’
বন্ধুর সার্টিফিকেটের (সনদ) কপি দিয়ে ১০ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন রাজিব আলম (৩৩)। চাকরির বায়োডাটায় নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, সার্টিফিকেট সবই ব্যবহার করেছেন বন্ধুর। এটি দিয়েই তিনি শিল্প গ্রুপ পলমলের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান) পদে কর্মরত ছিলেন।
১ সেকেন্ড আগেবরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় কোস্ট গার্ডের নাম ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে আজ রোববার (২২ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।
৬ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এক প্রবাসীকে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়া ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১২ মিনিট আগেআগামীকাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহে নাগরিক সেবা খাত চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মরতদের নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী গাফিলতি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে...
১৯ মিনিট আগে