ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
দেড় যুগেও পূর্ণতা পায়নি বিএনপি সরকারের আমলে নির্মিত ময়মনসিংহের চরাঞ্চল ২০ শয্যার হাসপাতাল। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে চরাঞ্চলের দুই লক্ষাধিক মানুষ। হাসপাতালের কমপ্লেক্স ও স্টাফদের আবাসন ভবন থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল। অধিকাংশ সময়ই চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট, নার্স ও স্টাফরা। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ।
ব্রহ্মপুত্রের তীরঘেঁষা চরের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাতের শাসনামলে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার পরানগঞ্জে ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করে দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। হাসপাতালটি উদ্বোধনের পরপরই ক্ষমতা হারায় বিএনপি। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও ২০ শয্যার এ হাসপাতালে নিয়োগ হয়নি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি সরকারের আমলে হাসপাতালে বরাদ্দকৃত শয্যা, এক্স-রে মেশিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম নিজ এলাকা গৌরীপুরে নিয়ে যান আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান। স্থানীয়রা বলছেন, বিএনপি সরকার হাসপাতাল ভবনসহ চিকিৎসক ও স্টাফদের বেশ কয়েকটি আবাসন ভবন নির্মাণ করে গেলেও বিগত ১৮ বছরে হাসপাতালটি চালু করেনি আওয়ামী লীগ সরকার।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেবা নিতে লাইনে ১৫০-২০০ জন দাঁড়িয়ে আছে। তিনজন চিকিৎসক থাকলেও এদিন কেউ কর্মস্থলে যাননি। একজন ফার্মাসিস্ট ও নার্স রোগীদের কাছ থেকে রোগের বর্ণনা শুনে প্যারাসিটামল আর মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট দিচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট ও নার্স। এতে রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।
সেবা নিতে আসা বোররচর ভাটিপাড়া গ্রামের আবু হানিফা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণায় ভুগছি। এখানে আসার পর তারা আমাকে এক পাতা ট্যাবলেট দিয়েছে। তা খেলে নাকি ভালো হয়ে যাব।’
বীর বওলা গ্রামের মো. হানিফ বলেন, ‘আমার গলাব্যথা; তাই এসেছিলাম হাসপাতালে। কিন্তু এসে কোনো ডাক্তার পাইনি।
যাঁরা আছেন, তাঁরাই আমাকে দেখে গলাব্যথার জন্য নাপা ট্যাবলেট দিয়েছেন।’
গোলাম আব্বাস বাবুল নামের স্থানীয় সাবেক এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘বিএনপির আমলে হাসপাতালটি নির্মাণ হওয়ার কারণে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি। এ কারণে এই অঞ্চলের দুই লক্ষাধিক মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সেবাবঞ্চিত হয়েছে। তারা হাসপাতালটির বেডসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদিও অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। আমরা এখন চাই, এই অঞ্চলের মানুষের সেবা নিশ্চিতের স্বার্থে পূর্ণাঙ্গভাবে হাসপাতালটি চালু হোক।’
আলী আজগর নামের স্থানীয় আরেকজন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিহিংসার জন্য হাসপাতালটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। তিনজন চিকিৎসক থাকলেও প্রায় সময়ই তাঁরা আসেন না। রোগীদের সেবা দেন স্টাফরা। এতে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে এই এলাকা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু হলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। আমরা চাই, জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালু হোক।’
তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন ডেপুটেশনে, আরেকজন ছুটিতে এবং অন্যজন প্রশিক্ষণে থাকায় রোগীদের কাছ থেকে রোগের কথা শুনে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ফার্মাসিস্ট মিন্টু দে। তিনি বলেন, ‘টিকিটের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০-২৫০ জন সেবা নেন। চিকিৎসকেরা না আসায় রোগের কথা শুনে প্যারাসিটামল, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। এতে করে রোগীরা কোনো সমস্যায় পড়বে না।’
সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা খাতুন বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে আমরা প্রায়ই নিজেরা ওষুধ দিয়ে থাকি। রোগীরা আমাদের কাছে তাদের সমস্যার কথা বললে আমাদের বুঝে ওষুধ দিতে কোনো সমস্যা হয় না।’
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহজাহান কবির জানান, হাসপাতালটিতে ২৩ জনের জনবল চাহিদা থাকলেও ১৩ জনের পদ শূন্য রয়েছে। জনবলসংকটের কারণে হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালটি চালু করতে ৪৬ জনের জনবলকাঠামো গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিয়োগকাজ সম্পন্ন হলে চরাঞ্চলের মানুষের শতভাগ সেবা নিশ্চিত হবে।
দেড় যুগেও পূর্ণতা পায়নি বিএনপি সরকারের আমলে নির্মিত ময়মনসিংহের চরাঞ্চল ২০ শয্যার হাসপাতাল। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে চরাঞ্চলের দুই লক্ষাধিক মানুষ। হাসপাতালের কমপ্লেক্স ও স্টাফদের আবাসন ভবন থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল। অধিকাংশ সময়ই চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট, নার্স ও স্টাফরা। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ।
ব্রহ্মপুত্রের তীরঘেঁষা চরের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাতের শাসনামলে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার পরানগঞ্জে ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করে দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। হাসপাতালটি উদ্বোধনের পরপরই ক্ষমতা হারায় বিএনপি। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও ২০ শয্যার এ হাসপাতালে নিয়োগ হয়নি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি সরকারের আমলে হাসপাতালে বরাদ্দকৃত শয্যা, এক্স-রে মেশিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম নিজ এলাকা গৌরীপুরে নিয়ে যান আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান। স্থানীয়রা বলছেন, বিএনপি সরকার হাসপাতাল ভবনসহ চিকিৎসক ও স্টাফদের বেশ কয়েকটি আবাসন ভবন নির্মাণ করে গেলেও বিগত ১৮ বছরে হাসপাতালটি চালু করেনি আওয়ামী লীগ সরকার।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেবা নিতে লাইনে ১৫০-২০০ জন দাঁড়িয়ে আছে। তিনজন চিকিৎসক থাকলেও এদিন কেউ কর্মস্থলে যাননি। একজন ফার্মাসিস্ট ও নার্স রোগীদের কাছ থেকে রোগের বর্ণনা শুনে প্যারাসিটামল আর মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট দিচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট ও নার্স। এতে রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।
সেবা নিতে আসা বোররচর ভাটিপাড়া গ্রামের আবু হানিফা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণায় ভুগছি। এখানে আসার পর তারা আমাকে এক পাতা ট্যাবলেট দিয়েছে। তা খেলে নাকি ভালো হয়ে যাব।’
বীর বওলা গ্রামের মো. হানিফ বলেন, ‘আমার গলাব্যথা; তাই এসেছিলাম হাসপাতালে। কিন্তু এসে কোনো ডাক্তার পাইনি।
যাঁরা আছেন, তাঁরাই আমাকে দেখে গলাব্যথার জন্য নাপা ট্যাবলেট দিয়েছেন।’
গোলাম আব্বাস বাবুল নামের স্থানীয় সাবেক এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘বিএনপির আমলে হাসপাতালটি নির্মাণ হওয়ার কারণে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি। এ কারণে এই অঞ্চলের দুই লক্ষাধিক মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সেবাবঞ্চিত হয়েছে। তারা হাসপাতালটির বেডসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদিও অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। আমরা এখন চাই, এই অঞ্চলের মানুষের সেবা নিশ্চিতের স্বার্থে পূর্ণাঙ্গভাবে হাসপাতালটি চালু হোক।’
আলী আজগর নামের স্থানীয় আরেকজন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিহিংসার জন্য হাসপাতালটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। তিনজন চিকিৎসক থাকলেও প্রায় সময়ই তাঁরা আসেন না। রোগীদের সেবা দেন স্টাফরা। এতে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে এই এলাকা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু হলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। আমরা চাই, জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালু হোক।’
তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে একজন ডেপুটেশনে, আরেকজন ছুটিতে এবং অন্যজন প্রশিক্ষণে থাকায় রোগীদের কাছ থেকে রোগের কথা শুনে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ফার্মাসিস্ট মিন্টু দে। তিনি বলেন, ‘টিকিটের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০-২৫০ জন সেবা নেন। চিকিৎসকেরা না আসায় রোগের কথা শুনে প্যারাসিটামল, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। এতে করে রোগীরা কোনো সমস্যায় পড়বে না।’
সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা খাতুন বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে আমরা প্রায়ই নিজেরা ওষুধ দিয়ে থাকি। রোগীরা আমাদের কাছে তাদের সমস্যার কথা বললে আমাদের বুঝে ওষুধ দিতে কোনো সমস্যা হয় না।’
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহজাহান কবির জানান, হাসপাতালটিতে ২৩ জনের জনবল চাহিদা থাকলেও ১৩ জনের পদ শূন্য রয়েছে। জনবলসংকটের কারণে হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালটি চালু করতে ৪৬ জনের জনবলকাঠামো গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিয়োগকাজ সম্পন্ন হলে চরাঞ্চলের মানুষের শতভাগ সেবা নিশ্চিত হবে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে