Ajker Patrika

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশি ভোট পাওয়া নিয়ে আ. লীগের ২ নেতার বাগ্‌বিতণ্ডা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশি ভোট পাওয়া নিয়ে আ. লীগের ২ নেতার বাগ্‌বিতণ্ডা

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার আলোচনা সভার আয়োজন করে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এতে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মহিউদ্দীন প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক গুন কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কর্মীদের নাম প্রকাশ না করে সমালোচনা করেন। 

জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৮৮৯ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনারস প্রতীক ৪৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের প্রার্থী কেএম বজলুল হক খান রিপন ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

আলোচনা সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য বিজয়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দীন। সভাপতি বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনাদের প্রচেষ্টায়, আপনাদের সহযোগিতায়, আপনাদের আন্তরিকতায় একটি নাম না জানা অপরিচিত-অখ্যাত লোকের (জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল রহমান খান রিপন) সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাকে নির্বাচিত হতে হয়েছে। আমার বিজয়ের সব সুনাম আপনাদের।’ 

গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আচ্ছা! ওনার (বজলুল হক খান রিপন) তো কোনো নির্বাচনী অফিস ছিল না, উনি তো কোনো নির্বাচনী ক্যাম্পে ছিল না, ওনার জন্য তো কেউ মিছিল করেনি, ওনার জন্য কেউ মিটিং করেনি, ওনার জন্য বিএনপি, জাসদ ও জাতীয় পার্টি মাঠেও নামেনি। তাহলে কোন শক্তির বলে উনি আমাকে খেয়ে ফেলতে চেয়েছিল?’ 

গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘আমাকে খাওয়া মানে এই সভায় যারা উপস্থিত আছেন তাদের সবাইকে খাওয়া। শুধু তাই নয়, যিনি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে খাওয়ার অপপ্রয়াস চলছে।’ 

গোলাম মহিউদ্দীন নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপন যদি খালেদা জিয়ার মনোনীত হতো, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি মনোনীত হইলেও হতো? তাহলে কিসের বলে, কোন শক্তির বলে তিনি এত ভোট পেল? এতটুকু বিশ্লেষণ না করতে পারলে তো রাজনীতি করতে পারব না।’ 

গোলাম মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘সত্য হলেও আমাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ক্ষীণ হলেও আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। ক্ষীণ, অনৈক্য নিয়ে আমরা কীভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাহিদ মালেক স্বপনকে জেতাবো, কীভাবে নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে জেতাবো, কী করে মমতাজ বেগমকে জেতাবো। এটা ভাবতেছেন না?’ 

গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান মাইকে বলা ঠিক না? সিঙ্গাইরে আমার বিরোধী শক্তি ১১৭ ভোট, আর আমার ভোট ৩৮, সদরে আমার বিরোধী শক্তি ৭১ ভোট, আর আমার ভোট ৭৩ তেমনি সাটুরিয়া আমার বিরোধী শক্তির ৬০ ভোট, আর আমার ভোট ৫৮, হরিরামপুরে আমার বিরোধী শক্তির ৭৩ ভোট আর আমার ৯৫ ভোট।’ 

এই বক্তব্যের পর পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম কিছু একটা বলে গোলাম মহিউদ্দীনকে থামাতে গেলে দুজন সভায় তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোলাম মহিউদ্দীন পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে বলেন, ‘আমাকে জ্ঞান দিয়েন না।’ 

তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সালাম বলেন, ‘এটা জ্ঞানের কথা না।’ এ সময় মহিউদ্দীন বলেন, ‘আপনি রাখেন, স্টপ থাকেন।’ 

এ সময় সালাম বলেন, ‘আপনি ধমক দেন ক্যান।’ এ সময় মহিউদ্দীন টেবিল চাপড়ে সালামকে বলেন, ‘আমি ধমক দিবো না মানে? আপনি কয়দিন পার্টি অফিস করছেন।’ এরপর সালাম টেবিল থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেন, ‘আস্তে?’ এ সময় একজন আরেকজনকে আঙুল তুলে ধমকের সুরে কথা বলতে থাকেন। 

পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল এবং সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো উত্তেজিত দুজনকে থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা চুপ থাকেন। 

ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করতে গেলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধিকে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। 

এদিকে বক্তব্য শেষে গোলাম মহিউদ্দীন তাঁর বিজয়ের জন্য নিজের ছবি না দিয়ে দলীয় প্রধান এবং মন্ত্রী-এমপিদের ছবি দিয়ে জেলা শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা করতে অনুরোধ করেন। 

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সেক্রেটারি আব্দুস সালামসহ কিছু নেতার কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম মহিউদ্দীন আশানুরূপ কম ভোট পেয়েছেন। আজ তিনি সভাপতির সাথে যে আচরণ করেছেন তা গ্রহণযোগ্য না।’ 

আর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ফটো আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে আবার ঠিক হয়ে গেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’ 

আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি গোলাম মহিউদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনে এত কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পেছনে দলীয় নেতা-কর্মীদের হাত থাকতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত যাই হোক তা মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং এমপি মমতাজ বেগমের অজান্তে হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা আছে বলে আমি কম ভোট পেলেও বিজয়ী হয়েছি।’ 

প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৭ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুল হক রিপন গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০টি ভোট পেয়েছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোটের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাঁর কোনো দলীয় পদ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক

চাঁদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মোহনপুর থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। আটক ব্যক্তিরা হলেন এবাদুল্লাহ গাজী (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন (৫৫), জসিম উদ্দিন (৫০), এস এম আলমগীর (৪৫) ও মো. জোবায়ের খান (২৭)।

সিয়াম-উল-হক বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাট-সংলগ্ন নদীতে দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত ডাকাত কিবরিয়া মিয়াজির সন্ত্রাসী গ্রুপ অস্ত্র দেখিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে চলাচলরত নৌযানসমূহ থেকে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অপহরণসহ নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকাল ১০টায় কোস্ট গার্ড মোহনপুর আউটপোস্ট ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে বাল্কহেডে ডাকাতির সময় ১টি বিদেশি শটগান, ১০টি তাজা গুলি, ২টি গুলির খোসা, ২টি ওয়াকিটকি, ৬টি মোবাইল ফোন, ১টি স্পিড বোট, ৮৩ হাজার টাকাসহ ডাকাত কিবরিয়া মিয়াজির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দ করা আলামত ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সিয়াম-উল-হক আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চোরা পথে প্রবেশের চিন্তায় আওয়ামী লীগ চক্রান্ত করছে: রিজভী

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে নাশকতা সৃষ্টি করে ভিন্ন রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কোনো চোরা পথে আবার প্রবেশের চিন্তায় বিভোর হয়ে চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে টিএসসিসি ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে আলোচনা সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘১৪ শ শিশু, কিশোর ও তরুণকে হত্যা করে শেখ হাসিনা এখন নাশকতা করার জন্য ভারত থেকে অডিও বার্তা পাঠাচ্ছে। আওয়ামী লীগের তো টাকার অভাব নেই—মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। তারা সব টাকা নিয়ে পালাতে পারেনি, কিছু টাকা দেশে রয়ে গেছে। সেই টাকাগুলো খরচ করে দেশে নাশকতার পরিকল্পনা করছে তারা।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ যেখানে জন্ম নেয়, সেখানে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তচিন্তার কোনো জায়গা থাকে না। শেখ হাসিনা সেই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন, যেখানে ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল না। গত ১৫ বছর ছাত্রদলকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।’

৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘৭ নভেম্বরের একটি প্রেক্ষাপট আছে। জনগণ সিপাহিদের সঙ্গে মিশে একটি জনস্রোত তৈরি করেছিল। বাহাত্তরের পর থেকেই আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি করছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে “বাঙালি” পরিচয়ে একীভূত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের পাহাড়ি, সমতল, নদী, উপত্যকা এই বৈচিত্র্যময় পরিচয় কোথায় হারিয়ে যেত। জিয়াউর রহমান সেই সংকট নিরসন করে “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তা মুছে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবীরা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ জিয়াউর রহমানের সময়ে এসে মানুষ তার মতপ্রকাশ ও রাজনীতি করার স্বাধীনতা ফিরে পায়। এটাই ৭ নভেম্বরের প্রকৃত তাৎপর্য ও কৃতিত্ব।’

রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে জিয়াউর রহমান শিক্ষা, কৃষি, পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন খাতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তাঁর সময়ের আগে দেশে মাত্র ২০ শতাংশ মানুষের অক্ষরজ্ঞান ছিল, যা তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ৪০ শতাংশে উন্নীত করেন। তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশকে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপ দেন।’

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অতীতের সব অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না এলেও এ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আরও শক্তভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

আলোচনা সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, জিয়া পরিষদের সভাপতি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ওকালতি যারা করে, তারা টাউট-বাটপার’—বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বরিশালে মানহানির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আইনজীবীদের ‘টাউট-বাটপার’ বলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদ ইমন। বিচারক মুহম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী অভিযুক্ত ফরহাদকে সমন জারির নির্দেশ দেন।

ইমন জানিয়েছেন, ‘একজন সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে ফরহাদের এমন মন্তব্য শুধু আইনজীবী সমাজ নয়, পুরো দেশের পেশাজীবী সম্প্রদায়কে অপমানিত করেছে। তাঁর বক্তব্যে আমরা ক্ষুব্ধ ও মানহানিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’

একই কারণে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাদিকুর রহমান লিংকন গত রোববার ফরহাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছেন। সেটি আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মনোনয়নপ্রত্যাশী। ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে সেলিমা রহমানের সভায় ফরহাদ বক্তব্যের একপর্যায়ে আইনজীবীরা টাউট-বাটপার বলে মন্তব্য করেন। একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের প্রতারণার কথা উল্লেখ করে ফরহাদ উল্লিখিত মন্তব্যটি করেন। পরে ফরহাদ এ বক্তব্যের জন্য সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎহীন মেহেন্দীগঞ্জ, দুর্ভোগে বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বিদ্যুৎ না থাকায় কিছু দোকানে চার্জার লাইট জ্বালিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ না থাকায় কিছু দোকানে চার্জার লাইট জ্বালিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের দুটি কাঠের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার চার লাখ মানুষ।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার রহমানহাটে খুঁটি দুটি ভেঙে পড়ে। এর পর থেকে উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ নেই। আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসার খবর মেলেনি।

তাজেম নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে হয়। এর পর থেকে বিদ্যুৎ আসেনি।’ হুমায়ুন কবির রিশাদ নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘দিনভর বিদ্যুৎ না থাকায় অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ। আমি কম্পিউটার দোকানের ক্ষুদ্র ব্যবসা করি। কারেন্ট না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। আমাদের এখানে মাঝেমধ্যে এই সমস্যা হচ্ছে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত।’

মেহেন্দীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিচের মাটি দুর্বল হওয়ায় দুটি খুঁটি কাত হয়ে পড়ে ভেঙে গেছে। খুঁটি দুটি পরিবর্তনের কাজ চলছে। আশা করি, রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট গজারিয়া নদীর তলদেশে সাবমেরিন কেব্‌ল ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রায় মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় ৭ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত