Ajker Patrika

চোরা পথে প্রবেশের চিন্তায় আওয়ামী লীগ চক্রান্ত করছে: রিজভী

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে নাশকতা সৃষ্টি করে ভিন্ন রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কোনো চোরা পথে আবার প্রবেশের চিন্তায় বিভোর হয়ে চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে টিএসসিসি ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে আলোচনা সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘১৪ শ শিশু, কিশোর ও তরুণকে হত্যা করে শেখ হাসিনা এখন নাশকতা করার জন্য ভারত থেকে অডিও বার্তা পাঠাচ্ছে। আওয়ামী লীগের তো টাকার অভাব নেই—মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। তারা সব টাকা নিয়ে পালাতে পারেনি, কিছু টাকা দেশে রয়ে গেছে। সেই টাকাগুলো খরচ করে দেশে নাশকতার পরিকল্পনা করছে তারা।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ যেখানে জন্ম নেয়, সেখানে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তচিন্তার কোনো জায়গা থাকে না। শেখ হাসিনা সেই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন, যেখানে ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল না। গত ১৫ বছর ছাত্রদলকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।’

৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘৭ নভেম্বরের একটি প্রেক্ষাপট আছে। জনগণ সিপাহিদের সঙ্গে মিশে একটি জনস্রোত তৈরি করেছিল। বাহাত্তরের পর থেকেই আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি করছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে “বাঙালি” পরিচয়ে একীভূত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের পাহাড়ি, সমতল, নদী, উপত্যকা এই বৈচিত্র্যময় পরিচয় কোথায় হারিয়ে যেত। জিয়াউর রহমান সেই সংকট নিরসন করে “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তা মুছে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবীরা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ জিয়াউর রহমানের সময়ে এসে মানুষ তার মতপ্রকাশ ও রাজনীতি করার স্বাধীনতা ফিরে পায়। এটাই ৭ নভেম্বরের প্রকৃত তাৎপর্য ও কৃতিত্ব।’

রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে জিয়াউর রহমান শিক্ষা, কৃষি, পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন খাতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তাঁর সময়ের আগে দেশে মাত্র ২০ শতাংশ মানুষের অক্ষরজ্ঞান ছিল, যা তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ৪০ শতাংশে উন্নীত করেন। তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশকে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপ দেন।’

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অতীতের সব অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না এলেও এ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আরও শক্তভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

আলোচনা সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, জিয়া পরিষদের সভাপতি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...