Ajker Patrika

মানিকগঞ্জে মামলা দিয়ে যুবদল নেতা ও তাঁর ভাইয়ের ওপেন চাঁদাবাজি

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ২৭
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম ও তাঁর ভাই শহীদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম ও তাঁর ভাই শহীদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বড় ভাই মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংবাদিকসহ ১২৯ জনের নামে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই মামলায় আরও নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার। আর ছোট ভাই কন্ট্রাক্ট নিচ্ছেন নাম কাটানোর। বিনিময়ে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। চাঁদাবাজির এমনই এক নয়া মডেল দাঁড় করিয়েছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলমের ছোট ভাই শহীদুল আলাম। মামলা দিয়ে দুই ভাইয়ের চলছে অনেকটা ওপেন চাঁদাবাজি।

সূত্র বলছে, বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন আলম। আর এই মামলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দোকান খুলে বসেছেন মামলার বাদী ওই যুবদল নেতার ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম।

তিনি মামলার এজাহার থেকে নাম কাটাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছেন। এই মামলার ৬২ নম্বর আসামি জাকিরের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যা রীতিমতো নেট জগতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

অডিও রেকর্ডের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো—শহীদুল: আমরা ডিসি অফিসে আসছিলাম, বাবলুর সঙ্গে বসছি। এজাহার কমপ্লিট। আমরা এখন মানিকগঞ্জ কোর্টে আছি। এখান থেকে সব কমপ্লিট করে দৌলতপুর থানায় ঢুকে সবকিছু এন্ট্রি কইরা থুইয়া আসুম। ভালোমন্দ আর তো ফোন দিলা না। ফাঁকে চাকরি করতেছ, ফাঁকেই চাকরি করো। মামলার মতো মামলা থাকবেনে, বাড়ি আসার দরকার নাই। চাকরি-বাকরি কইরা খাইও। এইড্যা জানাইয়া দিলাম তোমারে।

জাকির: এখন কী করা লাগবে সেইটা কও।

শহীদুল: আমি এখান থেকে যামু থানায়। এই কয় মিনিট, সময় লাগতে পারে এক-দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে তুমি কিছু করলে করতে পারো, না করলে নাই, তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে তেলও মারতেছি না, আর কিছুই না।

জাকির: না, না। এখন কি টাকা লাগব? কতডি লাগব?

শহীদুল: ওই দিন কইলাম না তোমারে।

জাকির: ট্যাকার আলাপ করো নাই তো। ফোন দিয়ে কইল্যা আমি অমুক জায়গায় আছি। পরে কথা কমুনি। আর তো তুমিও ফোন দেও নাই, আমিও দেই নাই।

শহীদুল: তুমি আমারে কইল্যা ভাঙ্গা মাসে চাকরিতে ঢুকছি। বেতন-টেতন পাই নাই।

জাকির: তাইল্যা কত ক্যামনে লাগব কও শুনি।

শহীদুল: ১৫ হাজার ট্যাকা দিও।

জাকির: ১৫ হাজার দেওয়া লাগব ন্যা?

শহীদুল: হ। এই দৌলতপুর থানায় রাজনীতি করতেছে আমার বড় ভাই। তুমি মনে হয় জানো। যদি শাহীন ভাইরে আল্লায় একটা পদে দেয়, তারপরে তার আপন ভাই হিসেবে কিন্তু আমি...।

জাকির: হু, ওইডাই।

শহীদুল: আর আমার সার্কেল হইলো খলিলরা, উজ্জ্বলরা, সাইফুলরা। আর ঠাণ্ডু, রাসেল-মাসেল এগুলা বালের বন্ধু। এখন আমি তোমাকে ফোন দিছি, খোলামেলা সত্যি কথা। সার্জেন্ট রাজ্জাক সকালে আমাকে ফোন দিয়ে কইতেছে, তোরে আমি এক লাখ টাকা দিমানি, তোরা আমারে ঝামেলায় ফালাইস না। আমি কইছি কাম হইবো না। আমারে কইছে, তোরা রাজনীতি করোস। যা ছোটখাটো একটি গাড়ি হোন্ডা কিন্যা দিমুনি। আমি কইছি, না কাকা হইবো না। কিছু কিছু জিনিস হইতেছে আমার জায়গা থেকে ক্ষমতার বাইরে। এই জায়গায় ট্যাকা খাইয়্যা আমি দুর্নাম করতে পারুম না। আর যেইটা ক্ষমতায় আছে, সেইটা আমি কইরা দিতে পারি। এই আমি তোমারে বলছি। তোমার নাম মনে করো এজাহারেই থাকব না। খোলামেলা কথা। খিচ খাইয়্যা থাকবা। কোনো সমস্যা হইলে তুমি আমারে জানাইবা।... এখন আমি তোরে একটা কথা কই। বিশ্বাস কইরা তুমি এই কথাডা রাইখো ভেতরে। ময়নাল-টয়নালরা আমার সঙ্গে ফাইজলামি করছে তো। ওগো কপালে শাস্তি আছে। আরও যারা কয়েকজন আছে, ওগো ওপরে আমার রাগ হইয়া গেছে। আমরা তো সিদ্ধান্ত নিছি, এই ব্যাপারে আর কারও সঙ্গে কথা বলব না। অ্যাকশন হবে থানায়, অ্যাকশন হবে প্রশাসনে। এখন তোমারে আমি দুই দিন আগে ফোন দিছিলাম। আর তোমার আত্মীয় আছে কবির, ওর সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক। সানোয়ার আছে। সানোয়ার আমারে কইছে, মামলায় ফালাইসনা, ট্যাকা-পয়সা মাইনষে কামায়। ২০ হাজার টাকার কথা কইছিল, ২০ হাজার টাকা না, তুমি হাজার পাঁচেক টাকা কম নিও। এইডা সানোয়ার আমারে কবিরের সামনে বইল্যা দিছে। আমি আর কোনো দাবি করি নাই।...এখন জাকির ভাই, এক কথা হইলো টাকা। কী করবা? যা করার এখন আমারে তুমি কও। এরপরে আমার হাতে আর সময় থাকব না।

জাকির: টাকার কথা ভাই মুখ দিয়ে সারা যায় না। তোমার সঙ্গে কথা কমানি আমি।

শহীদুল: জাকির, আমি একটা কথা কই ভাই।

জাকির: হু কও।

শহীদুল: আমরা এখন এজাহার লেখতেছি। পরে কইয়্যা লাভ নাই। তোমারে তো বিশ্বাস করছি। মুখ দিয়ে একটা কথা কও। তোমার নাম থাকব না। তখন তুমি তোমার কথাটা ঠিকমতো রাখবা। ব্যস।

জাকির: টাকা তো ব্যবস্থা করা লাগব নাকি? এখন আমার কাছে নাই। আমি যা পারি ব্যবস্থা কইরা একটা কিছু সিস্টেম করা যাইবনে। যেহেতু তুমি কইছাও ছোট ভাই। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু আমি একসাথে লেখাপড়া করছি। শাহীনের সঙ্গে। শাহীনের সঙ্গে আসার কথা হইছে।

শহীদুল: না, না, না। ট্যাকার কথা আমরা জানি। এখানে মাথাপিছু আমাদের ইনচার্জকে ট্যাকা দিতে হয়। একেবারে খোলামেলা কথা। জাকির, তুমি বুঝছ না? তোমারে একটা খোলামেলা কথা কই। ১০ হাজার টাকা আমার ইনচার্জকে দেওয়া লাগব। এইডা তুমি কেইরে কইয়ো না। আর পাঁচ হাজার টাকা আমরা অফিস করতেছি, এখানে খরচ লাগতেছে। খরচ লাগতেছে এ জন্য তোমার কাছে আমরা দাবি করতেছি, একেবারে খোলামেলা কথা।

জাকির: না, ঠিক আছে। খোলামেলা বলাই ভালো।

শহীদুল: তুমি যদি আমারে বিশ্বাস না করো বা কিছু করবার যাও শফিকের সঙ্গে... রাজনৈতিক প্যানেলডা তো বুঝোই। শিক্ষিত মানুষরে এত বুঝান লাগে না। বুইজচ্ছ্যাও।

দুই নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আইজুল হক ও ৫৫ নম্বর মহিদুর রহমানের কাছে অনুরূপ টাকা দাবি করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী ওই মামলার একাধিক আসামি জানান, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত খলিল কোভিদসহ ওই চক্রটি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে।

এ বিষয়ে নিয়ে শহীদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার ভয়েস না। আপনি জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে আমার এ রকম কথা হয়েছে কি না, এটা আমার ভয়েস কি না যাচাই করে দেখেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ ছড়াইছে।’

তবে অডিও রেকর্ডের ভয়েসটি ছোট ভাইয়ের শহীদুল ইসলামের কণ্ঠস্বর স্বীকার করে যুবদল নেতা শাহীন আলম বলেন, ‘শহীদুলের কোনো পদবি নেই। ও রাজনীতির বাইরে। চাকরি করে ও। আপনি যে রেকর্ডিং পেয়েছেন, সেটা ৭ আগস্টের। দুই মাস আগের রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছিল। ৬ আগস্টে জামিন পেয়েছে। জামিনের পর ৭ তারিখে ওকে ডেকে নিয়ে ওরা কথা বলেছে। এটা সে সময়ের রেকর্ড। রেকর্ডিংটা আমার কাছে আসেনি। ওটা শুনলে বুঝতে পারব শহীদুল কীভাবে টাকাটা চেয়েছে।’

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর থানায় ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করেন যুবদল নেতা মো. শাহীন আলম। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক এ বি খান বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে ধানখেত থেকে অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‎রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‎নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।

‎স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ‎

‎এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।

তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।

এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজদিখানে প্রবাসীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অস্ত্রের মুখে ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুট

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দল। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া
মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দল। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

তছনছ করে রাখা আসবাবপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
তছনছ করে রাখা আসবাবপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত