Ajker Patrika

মিথ্যা অভিযোগে বরখাস্ত, খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৪১
মিথ্যা অভিযোগে বরখাস্ত, খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে স্কুল কমিটির সভাপতি ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনার মিথ্যা অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মোর্শেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এ খবর শুনে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই শিক্ষক। 

এলাকাবাসী জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব চররুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন আনোয়ার হোসেন মোর্শেদ। গত ২৬ ডিসেম্বর ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহফুজুর রহমান পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর গত ২১ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে যান তিনি। তখন সরকারি বিধিনিষেধ মেনে বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ ও করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা হচ্ছিল। 

সমাবেশকে সংবর্ধনা সভা বানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনছুর আলী চৌধুরী সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ২৫ জানুয়ারি একটি অভিযোগ নিতে বলে। পরে তা তদন্ত করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। 

সে অনুযায়ী প্রধান শিক্ষককে কোনো শোকজ নোটিশ না দিয়ে ২৭ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে যান উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ। ওই দিনেই বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মোর্শেদ। পরদিন পরিবারের সদস্যরা প্রধান শিক্ষককে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যান। এরই মধ্যে দুই কার্যদিবসের মধ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এ খবর শুনে রাত ৮টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। সাময়িক বরখাস্ত করার সময় সরকারি কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। নিজের মনগড়াই প্রধান শিক্ষককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

নিহত ব্যক্তির বড় ছেলে জামিল মাহমুদ বলেন, ‘আত্মপক্ষ সমর্থন ও কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য বানিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে আমার বাবাকে শাস্তি দেওয়া হয়। এ খবর শুনে হাসপাতালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং মারা যান তিনি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ 

মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাইস অভিযোগ করেন বলেন, ‘আমার বাবাকে মানসিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যেন এভাবে আর কোনো বাবাকে হারাতে না হয়।’ 

জান্নাতুল ফেরদাইস আরও বলেন, ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন অফিসে আমার বড় বোনকে ডেকে নিয়ে জোর করে বাবার বরখাস্তের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে বিষয়টিও জানাতে বাধ্য করেন। দুই দিনের মধ্যে তড়িঘড়ি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই পরিকল্পিতভাবে এ শাস্তি দেওয়া হয়। বরখাস্তের বিষয়টি শুনে জ্ঞান হারিয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে যান আমার বাবা।’ 

এ বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শাকচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আনোয়ার মোর্শেদ ছিলেন ভালো মানের একজন প্রধান শিক্ষক। তাঁর এভাবে মৃত্যু হবে সেটা কল্পনা করা যায় না। মিথ্যা কল্পকাহিনি তৈরি করে তাঁকে শাস্তি দেওয়া আইন মেনে হয়নি। এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছি।’ 

প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের জানাজা আজ সকালে সম্পন্ন করা হয়েছেসাবেক প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, এর আগেও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মানসিক নির্যাতনে আরও দুই শিক্ষক হৃৎক্রিয়া বন্ধ হয়ে একইভাবে মারা যান। ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি করছি। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। 

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে কোনো সংবর্ধনা দেওয়া হয়নি। উল্টো প্রধান শিক্ষকের এ শাস্তির বিষয়টি লজ্জাজনক। এটি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করছি।’

সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জজকোর্টের আইনজীবী রহমত উল্যাহ বিপ্লব বলেন, ‘যেভাবে প্রধান শিক্ষককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সেটি আইনগতভাবে হয়নি। কাউকে শাস্তি দেওয়ার আগে তাঁকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। কিন্তু এখানে সেটি মানা হয়নি। এটি অন্যায় হয়েছে।’ 

সব অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ার হোসেন মোর্শেদের বিরুদ্ধে তাঁর সহকর্মীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছেন। সে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। প্রমাণের আলোকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনছুর আলী চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি দুঃখজনক বলা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। এ ছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। করোনাকালীন চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।’ 

উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে আনোয়ার হোসেন মোর্শেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা ওরফে ঝুমা তালুকদার।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ (৫২), ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী মোল্লা (৫৪), আওয়ামী লীগ কর্মী জুবায়ের হোসেন ওরফে মামুন (৪৮), কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফ সিদ্দিকী (৫১), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. রমজান (৪৭) এবং রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ ভূঁইয়া (৪৯)।

ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল দুপুরে গুলিস্তান থেকে আশরাফ সিদ্দিকী ও মো. রমজান, বিকেলে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নাসির আহমেদ, রাতে বারিধারা থেকে হাসান আলী মোল্লা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মোশারফ ভূঁইয়া, শ্যামলী আবাসিক এলাকা থেকে জুবায়ের হোসেন ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে আজ বুধবার সকালে ধানমন্ডি এলাকা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা ওরফে ঝুমা তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রদল নেতার বাবার নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতার বাবার নেতৃত্বে চালানো হামলায় তিনজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন স্থানীয় সাংবাদিক আকাশ, মামুন আব্দুল্লাহ ও আয়াজ রেজা।

পুলিশ হামলাকারী শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে। তিনি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।

সাংবাদিক মো. আকাশ জানান, গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এক নারীর অভিযোগ ছিল তাঁদের জমি দখল করে রেখেছিলেন ছাত্রদল নেতা আতা-ই-রাব্বীর বাবা শাহাদাত। ওই ঘটনায় নারী ফতুল্লা থানায় একাধিকবার জিডি করেছেন। এই বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গেলে শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করেন।

একপর্যায়ে আমাদের একটি রুমে আটকে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করলে আমরা খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়ন চেয়ে বিএনপি নেতার সমর্থকদের মানববন্ধন

দেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
শহিদুল আলমকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহিদুল আলমকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সমর্থকেরা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে শহিদুলকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে কালিগঞ্জ ব্রিজ থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন করেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।

মানববন্ধনে বিক্ষোভকারীরা ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’ বলে স্লোগান তোলেন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কিসমাতুল বারী। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, জেলা তরুণ দলের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, বিএনপি নেতা এস এম হাফিজুর রহমান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শহিদুল আলম জনমানুষের নেতা। মানুষটি কখনো নিজের জন্য ভাবেননি। তিনি গরিবের চিকিৎসক। তাঁকে মনোনয়ন না দিলে সাতক্ষীরা-৩ আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হবে। তাঁরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত পুনর্বিবেচনা করে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল ও শহিদুলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে নেতারা সাত দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজন হলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করবেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেরোবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে অব্যাহতি

বেরোবি প্রতিনিধি 
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যৌন হয়রানির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিভাগীয় জরুরি সভার সিদ্ধান্তে এই অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় এক জরুরি সভায় ড. শাকিবুল ইসলামের নিকট বণ্টনকৃত চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের কোর্সসমূহ পুনর্বণ্টনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে DSM4207 (Research Project) কোর্সে সুপারভাইজার ও দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সদস্যপদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য শিক্ষককে নতুন সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ড. শাকিবুল ইসলামকে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এমএসসি ২০২৪-২৫ প্রোগ্রাম থেকেও সম্পূর্ণভাবে বিরত রাখা হবে।

অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমাদের এক নারী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ড. শাকিবুল ইসলামকে ওই ব্যাচের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভুক্তভোগী প্রশাসন বরাবরও অভিযোগ দায়ের করেছে, বিষয়টি যৌন নিপীড়ন সেলে গিয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা এখনো অবগত নই।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং যৌন নিপীড়ন সেলের সদস্যসচিব ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত