Ajker Patrika

বাড়ছে তিস্তা-ধরলা-দুধকুমারের পানি, প্লাবনের শঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
তিস্তা নদী। ফাইল ছবি
তিস্তা নদী। ফাইল ছবি

দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামসহ রংপুর বিভাগের চার জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেওয়া এক বার্তায় এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদসমূহের পানির সমতল আগামী তিন দিন বাড়তে পারে। এ সময়ে তিস্তা ও দুধকুমার নদসমূহ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ভারতের উত্তর তেলেঙ্গানা ও সংলগ্ন অঞ্চলে স্থল লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে এবং উজানে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা (১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার ও ত্রিপুরা প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে। এ সময় এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

এ দিকে আজ পাউবো কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রতিটি গেজ স্টেশনে বাড়ছে। তবে অঅজ বেলা ৩টায় সবকটি নদীর পানির সমতল বিপৎসীমার অনেকটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার পূর্বাভাস রয়েছে। কুড়িগ্রামে দুধকুমারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমায় পৌঁছার সম্ভাবনা কম। দুই-তিন দিন পর পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত