বেনাপোল প্রতিনিধি
সোনার বার আত্মসাতের অভিযোগে ওমর ফারুক সুমন (৩১) নামের এক রংমিস্ত্রিকে গত মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল থেকে অপহরণ করা হয়। এর পাঁচ দিন পর তাঁর লাশ মাগুরার সদর উপজেলার রামনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপহরণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার বেনাপোল পোর্ট থানায় সুমনের মা ফিরোজা বেগম মামলা করেন। এতে পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে তাঁরা পলাতক আছেন।
লাশ উদ্ধার ও মামলা হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন বেনাপোল পোর্ট থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) লেখন কুমার সরকার। এদিকে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছে সুমনের পরিবার।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন বেনাপোল পৌরসভার বড় আচড়ার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, ছোট আচড়া গ্রামের এজাজ রহমান, শালকোনা গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও পলাশ হোসেন।
নিহত ওমর ফারুক সুমন যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের ট্যাংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। ছোটবেলায় তাঁর মাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান বাবা। অভাবী নানা-নানির সংসারে মাকে নিয়ে থাকতেন সুমন। তিনি রংমিস্ত্রির কাজ করে চারজনের সংসার চালাতেন। তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ঝুপড়ি-ঘরটিও অন্যের জায়গায়।
সুমনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হন সুমন। এরপর মোবাইল ফোন চালু থাকলেও কল ধরছিলেন না তিনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পোর্ট থানায় অভিযোগ দেয় পরিবার। তাঁকে দ্রুত উদ্ধারের কার্যক্রমে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব নেয়।
গত মঙ্গলবার সকালে সুমনের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে কল দেন এক ব্যক্তি। তিনি জানান, সুমন তাঁদের তিন কোটি টাকার সোনার বার আত্মসাৎ করেছেন। এই কারণে তাঁকে আটকে রেখেছেন। ওই ব্যক্তি পরামর্শ দেন গোপনে সোনার বার অথবা টাকা নিয়ে বেনাপোল বন্দরের সামনের একটি ভবনে দেখা করার। তাঁর কথামতো মা ফিরোজা বেগম সেখানে গিয়ে দেখেন সুমনকে নির্যাতন করে ফেলে রাখা হয়েছে। তাঁর মা সোনার বার অথবা টাকা দিতে না পারায় সুমনকে বেনাপোল থেকে অপহরণকারীরা নিয়ে যান মাগুরায়।
অপহরণের সময় পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেনসহ কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে দেখেছেন বলে দাবি করেন সুমনের মা। এরপর তিনি সেখান থেকে ফিরে ওই কাউন্সিলরসহ চারজনের নামে ও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আজ সকালে ফেসবুকের মাধ্যমে সুমনের পরিবার মাগুরায় অ্যাসিডে পোড়ানো একটি লাশ উদ্ধারের খবর জানতে পারে। সেখানে গিয়ে শনাক্ত করে লাশ সুমনের বলে নিশ্চিত হন পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের খালা মুর্শিদা বেগম বলেন, ‘সুমন কীভাবে হয়তো সঙ্গদোষে পড়ে খারাপ মানুষের সঙ্গে মিশেছে। আমরা এসব কিছুই জানি না। তবে কাউন্সিলর ও তাঁর লোকজন সোনা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে সুমনকে অপহরণ করে অ্যাসিডে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সঠিক তদন্ত করে এই হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।’
বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই লেখন কুমার বলেন, ‘সোনার বার আত্মসাৎ নিয়ে অপহরণের শিকার হন সুমন। পরে তাঁকে হত্যা করে মরদেহ অ্যাসিডে পোড়ানো হয়। হত্যার ঘটনায় চারজনের নামে ও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে জোর অভিযান চলছে।’
সোনার বার আত্মসাতের অভিযোগে ওমর ফারুক সুমন (৩১) নামের এক রংমিস্ত্রিকে গত মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল থেকে অপহরণ করা হয়। এর পাঁচ দিন পর তাঁর লাশ মাগুরার সদর উপজেলার রামনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপহরণের ঘটনায় গত মঙ্গলবার বেনাপোল পোর্ট থানায় সুমনের মা ফিরোজা বেগম মামলা করেন। এতে পৌরসভার এক কাউন্সিলরসহ চারজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে তাঁরা পলাতক আছেন।
লাশ উদ্ধার ও মামলা হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন বেনাপোল পোর্ট থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) লেখন কুমার সরকার। এদিকে, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছে সুমনের পরিবার।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন বেনাপোল পৌরসভার বড় আচড়ার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, ছোট আচড়া গ্রামের এজাজ রহমান, শালকোনা গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও পলাশ হোসেন।
নিহত ওমর ফারুক সুমন যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের ট্যাংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। ছোটবেলায় তাঁর মাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান বাবা। অভাবী নানা-নানির সংসারে মাকে নিয়ে থাকতেন সুমন। তিনি রংমিস্ত্রির কাজ করে চারজনের সংসার চালাতেন। তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ঝুপড়ি-ঘরটিও অন্যের জায়গায়।
সুমনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হন সুমন। এরপর মোবাইল ফোন চালু থাকলেও কল ধরছিলেন না তিনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পোর্ট থানায় অভিযোগ দেয় পরিবার। তাঁকে দ্রুত উদ্ধারের কার্যক্রমে যশোর গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব নেয়।
গত মঙ্গলবার সকালে সুমনের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে কল দেন এক ব্যক্তি। তিনি জানান, সুমন তাঁদের তিন কোটি টাকার সোনার বার আত্মসাৎ করেছেন। এই কারণে তাঁকে আটকে রেখেছেন। ওই ব্যক্তি পরামর্শ দেন গোপনে সোনার বার অথবা টাকা নিয়ে বেনাপোল বন্দরের সামনের একটি ভবনে দেখা করার। তাঁর কথামতো মা ফিরোজা বেগম সেখানে গিয়ে দেখেন সুমনকে নির্যাতন করে ফেলে রাখা হয়েছে। তাঁর মা সোনার বার অথবা টাকা দিতে না পারায় সুমনকে বেনাপোল থেকে অপহরণকারীরা নিয়ে যান মাগুরায়।
অপহরণের সময় পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেনসহ কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে দেখেছেন বলে দাবি করেন সুমনের মা। এরপর তিনি সেখান থেকে ফিরে ওই কাউন্সিলরসহ চারজনের নামে ও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আজ সকালে ফেসবুকের মাধ্যমে সুমনের পরিবার মাগুরায় অ্যাসিডে পোড়ানো একটি লাশ উদ্ধারের খবর জানতে পারে। সেখানে গিয়ে শনাক্ত করে লাশ সুমনের বলে নিশ্চিত হন পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের খালা মুর্শিদা বেগম বলেন, ‘সুমন কীভাবে হয়তো সঙ্গদোষে পড়ে খারাপ মানুষের সঙ্গে মিশেছে। আমরা এসব কিছুই জানি না। তবে কাউন্সিলর ও তাঁর লোকজন সোনা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে সুমনকে অপহরণ করে অ্যাসিডে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সঠিক তদন্ত করে এই হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।’
বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই লেখন কুমার বলেন, ‘সোনার বার আত্মসাৎ নিয়ে অপহরণের শিকার হন সুমন। পরে তাঁকে হত্যা করে মরদেহ অ্যাসিডে পোড়ানো হয়। হত্যার ঘটনায় চারজনের নামে ও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে জোর অভিযান চলছে।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৬ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৬ ঘণ্টা আগে