Ajker Patrika

শীত আসেনি, তবু কুমড়ো বড়ি বানাচ্ছেন মেহেরপুরের নারীরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
শীত আসেনি, তবু কুমড়ো বড়ি বানাচ্ছেন মেহেরপুরের নারীরা

ক্যালেন্ডারের পাতায় এখনো শীত শুরু না হলেও প্রকৃতিতে এসেছে এর আমেজ। ইতিমধ্যে গ্রামাঞ্চলে শীতল প্রকৃতি বিরাজ করছে। আর তাইতো শীতের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যস্ত নারীরা। তৈরি করছেন কুমড়ো বড়ি। মাস কলাইয়ের ডালের সঙ্গে চাল কুমড়া, পেঁপে, পেঁয়াজ অথবা মুলো মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই বড়ি। সুস্বাদু হওয়ায় সকলের কাছেই বেশ প্রিয় এই বড়ি। 

প্রথমেই মাস কলাইয়ের ডাল ভিজিয়ে রেখে নরম করে নিতে হয়। এটি বেটে চাল কুমড়ো, মুলো কিংবা পেঁপে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হয়। তারপর তৈরি করা হয় শীত কালের জনপ্রিয় মুখরোচক খাবার কুমড়ো বড়ি। শীতের আমেজ শুরু হলেই শুরু হয় গ্রাম্য নারীদের ব্যস্ততা। আর এরই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুরের গাংনীতে অনেক নারী কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। 

গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী শিখা খাতুন বলে, ‘শীতের সময় আসলেই কুমড়ার বড়ি তৈরি করি। এই বড়ি খেতে সবাই খুব পছন্দ করে। আজ স্কুল ছুটি রয়েছে তাই মায়ের সঙ্গে বড়ি দিচ্ছি। বড়ি ভাঙাতে কেজিপ্রতি ৭ টাকা করে নিচ্ছে।’ 

একই গ্রামের সেলিনা খাতুন বলেন, ‘শীত মৌসুমে কুমড়ার বড়ি ছাড়া যেন চলেই না আমাদের পরিবারের। সকলের পছন্দের খাবার হওয়ায় প্রতি বছর শীতের সময় নতুন মাষকলাই উঠলে কুমড়ার বড়ি তৈরি করি। মুখরোচক হওয়ায় শোল, টাকি, ট্যাংরা মাছ, ডিমসহ বিভিন্ন মাছ কুমড়া বড়ি দিয়ে রান্না করে খেতে স্বাদ লাগে।’ 

জায়েদা খাতুন বলেন, ‘পরিবারের সকলেই কুমড়ো বড়ি খেতে খুব পছন্দ করে। বিভিন্ন রকম সবজি এবং মাছের সঙ্গে কুমড়ার বড়ি দিয়ে তরকারি রান্না করি। আর এটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আমি ১৫ থেকে ২০ দিন আগে চাল কুমড়ো বড়ি দিয়েছি।’ 

মিল মালিক মো. মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘হালকা শীত পড়তে শুরু করেছে। আর শুরু হতে যাচ্ছে বড়ি দেওয়ার মৌসুম। এখন প্রতিদিন দুই-একজন করে আসছে। কিছুদিন পরে অনেক ভিড় হবে। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও বড়ি ভাঙাতে আসে। চাল কুমড়ার সঙ্গে কলায়ের ডাল, পেঁপে, মুলা এসব মিশিয়ে আনে। কেজি প্রতি ৭ টাকা করে তাদের কাছ থেকে নিয়ে থাকি।’ 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, কুমড়ো বড়ি মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার যা সব ধরনের তরকারির সঙ্গে মিশে যায়। শীত মৌসুম আসলেই গ্রামের নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে। অনেকে আবার এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে। কুমড়ো বড়ি মুখরোচক ও সুস্বাদু হওয়ায় এটা জনপ্রিয়। কারণ এই বড়ি সকল তরকারির সঙ্গে খাওয়া যায়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘমল্লারের জবাবের পর ডাকসু ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যা লিখলেন শশী থারুর

অনিয়মের অভিযোগ এনে জাকসু নির্বাচন কমিশন সদস্যের পদত্যাগ

সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে: ইরান

একটি রাজনৈতিক দলের মুখে আল্লাহর নাম, নির্বাচনে জিততে করে মিথ্যাচার: জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

চার্লি কার্কের সন্দেহভাজন হত্যাকারী আটক, বয়স ২২

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত