যশোর প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করে ঘরে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন যশোরের বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম তিব্বত। একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুবের উপস্থিতিতে তিব্বত সব ইউপি চেয়ারম্যানকে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানান।
বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এই চেয়ারম্যানের একটি ভিডিও ক্লিপ গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আরিফুল ইসলাম তিব্বত জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঘারপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক।
ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সব চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে কাজ করবেন। বাঘারপাড়ার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে নির্বাচিত (এমপি) করেই আমরা ঘরে উঠব।’
গতকাল রাত থেকে ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে। বিএনপি নেতাকে এমপি বানাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের একাট্টা হওয়ার ঘোষণায় নিজ দলের নেতা-কর্মীরা যেমন বিব্রত, তেমনি বিব্রত বিএনপি নেতা-কর্মীরাও।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের দুর্দিনে দলের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিব্বত।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনে ব্যস্ত খোদ বিএনপি নেতারা। বিএনপির নেতাদের ছত্রচ্ছায়াতে আওয়ামী লীগের নেতারা মাঠে নামছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের জয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৪ ও ৫ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। প্রথম দিন রাতের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত।
আওয়ামী লীগ নেতা তিব্বত তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বাঘারপাড়ার শেষ ঠিকানা হচ্ছে টি এস আইয়ুব। ভবিষ্যতে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে চলবেন।’
জানা গেছে, গত নির্বাচনে বাঘারপাড়ার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সাতটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হন। তাঁদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম তিব্বত একজন। ওই নির্বাচনে রায়পুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বন্দবিলা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী।
বন্দবিলা ইউপির চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফুল ইসলাম তিব্বত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁর নিজস্ব মতামত। বাঘারপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানদের কোনো বৈঠকে টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা হয়নি।’
দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘তিব্বত যখন বক্তব্য দিয়েছেন, তখন তিনি সুস্থ ছিলেন কি না আমার সন্দেহ হয়। টি এস আইয়ুব একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কাজকর্মে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা বা একসঙ্গে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার বিষয়টি ঘটতেই পারে। তাঁর মানে এই নয় যে, ঘোষণা দেবেন বাঘারপাড়ার সব চেয়ারম্যান টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’
বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা তিব্বতের ওই বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করবেন।
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত বলেন, ‘অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলযোগ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি।’
বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম টিপু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা জনরোষে পড়ার ভয়ে সামনে আসছেন না। অথচ বাঘারপাড়ার সব ইউপি চেয়ারম্যান অফিস করছেন। ওইসব চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টি এস আইয়ুব মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন এবং বিএনপিতে পুনর্বাসন করছেন বলেই তাঁরা প্রকাশ্যে তাঁর হয়ে কাজ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা আইয়ুবের পক্ষে কাজ করায় আমরা বিব্রত ও লজ্জাবোধ করছি।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি তা ধরেননি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘তিব্বতের বক্তব্য তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আইয়ুবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তিনি পরিষদ চালাচ্ছেন। এতে আমরা বিব্রত। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জায়গা দেওয়াতে বিএনপি অনেক নেতা রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হতে চাইছেন।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করে ঘরে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন যশোরের বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম তিব্বত। একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুবের উপস্থিতিতে তিব্বত সব ইউপি চেয়ারম্যানকে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানান।
বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এই চেয়ারম্যানের একটি ভিডিও ক্লিপ গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আরিফুল ইসলাম তিব্বত জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঘারপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক।
ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সব চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে কাজ করবেন। বাঘারপাড়ার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে নির্বাচিত (এমপি) করেই আমরা ঘরে উঠব।’
গতকাল রাত থেকে ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে। বিএনপি নেতাকে এমপি বানাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের একাট্টা হওয়ার ঘোষণায় নিজ দলের নেতা-কর্মীরা যেমন বিব্রত, তেমনি বিব্রত বিএনপি নেতা-কর্মীরাও।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের দুর্দিনে দলের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিব্বত।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনে ব্যস্ত খোদ বিএনপি নেতারা। বিএনপির নেতাদের ছত্রচ্ছায়াতে আওয়ামী লীগের নেতারা মাঠে নামছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের জয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৪ ও ৫ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। প্রথম দিন রাতের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত।
আওয়ামী লীগ নেতা তিব্বত তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বাঘারপাড়ার শেষ ঠিকানা হচ্ছে টি এস আইয়ুব। ভবিষ্যতে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে চলবেন।’
জানা গেছে, গত নির্বাচনে বাঘারপাড়ার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সাতটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হন। তাঁদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম তিব্বত একজন। ওই নির্বাচনে রায়পুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বন্দবিলা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী।
বন্দবিলা ইউপির চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফুল ইসলাম তিব্বত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁর নিজস্ব মতামত। বাঘারপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানদের কোনো বৈঠকে টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা হয়নি।’
দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘তিব্বত যখন বক্তব্য দিয়েছেন, তখন তিনি সুস্থ ছিলেন কি না আমার সন্দেহ হয়। টি এস আইয়ুব একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কাজকর্মে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা বা একসঙ্গে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার বিষয়টি ঘটতেই পারে। তাঁর মানে এই নয় যে, ঘোষণা দেবেন বাঘারপাড়ার সব চেয়ারম্যান টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’
বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা তিব্বতের ওই বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করবেন।
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত বলেন, ‘অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলযোগ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি।’
বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম টিপু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা জনরোষে পড়ার ভয়ে সামনে আসছেন না। অথচ বাঘারপাড়ার সব ইউপি চেয়ারম্যান অফিস করছেন। ওইসব চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টি এস আইয়ুব মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন এবং বিএনপিতে পুনর্বাসন করছেন বলেই তাঁরা প্রকাশ্যে তাঁর হয়ে কাজ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা আইয়ুবের পক্ষে কাজ করায় আমরা বিব্রত ও লজ্জাবোধ করছি।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি তা ধরেননি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘তিব্বতের বক্তব্য তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আইয়ুবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তিনি পরিষদ চালাচ্ছেন। এতে আমরা বিব্রত। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জায়গা দেওয়াতে বিএনপি অনেক নেতা রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হতে চাইছেন।’
যশোর প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করে ঘরে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন যশোরের বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম তিব্বত। একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুবের উপস্থিতিতে তিব্বত সব ইউপি চেয়ারম্যানকে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানান।
বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এই চেয়ারম্যানের একটি ভিডিও ক্লিপ গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আরিফুল ইসলাম তিব্বত জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঘারপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক।
ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সব চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে কাজ করবেন। বাঘারপাড়ার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে নির্বাচিত (এমপি) করেই আমরা ঘরে উঠব।’
গতকাল রাত থেকে ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে। বিএনপি নেতাকে এমপি বানাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের একাট্টা হওয়ার ঘোষণায় নিজ দলের নেতা-কর্মীরা যেমন বিব্রত, তেমনি বিব্রত বিএনপি নেতা-কর্মীরাও।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের দুর্দিনে দলের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিব্বত।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনে ব্যস্ত খোদ বিএনপি নেতারা। বিএনপির নেতাদের ছত্রচ্ছায়াতে আওয়ামী লীগের নেতারা মাঠে নামছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের জয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৪ ও ৫ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। প্রথম দিন রাতের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত।
আওয়ামী লীগ নেতা তিব্বত তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বাঘারপাড়ার শেষ ঠিকানা হচ্ছে টি এস আইয়ুব। ভবিষ্যতে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে চলবেন।’
জানা গেছে, গত নির্বাচনে বাঘারপাড়ার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সাতটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হন। তাঁদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম তিব্বত একজন। ওই নির্বাচনে রায়পুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বন্দবিলা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী।
বন্দবিলা ইউপির চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফুল ইসলাম তিব্বত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁর নিজস্ব মতামত। বাঘারপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানদের কোনো বৈঠকে টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা হয়নি।’
দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘তিব্বত যখন বক্তব্য দিয়েছেন, তখন তিনি সুস্থ ছিলেন কি না আমার সন্দেহ হয়। টি এস আইয়ুব একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কাজকর্মে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা বা একসঙ্গে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার বিষয়টি ঘটতেই পারে। তাঁর মানে এই নয় যে, ঘোষণা দেবেন বাঘারপাড়ার সব চেয়ারম্যান টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’
বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা তিব্বতের ওই বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করবেন।
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত বলেন, ‘অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলযোগ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি।’
বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম টিপু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা জনরোষে পড়ার ভয়ে সামনে আসছেন না। অথচ বাঘারপাড়ার সব ইউপি চেয়ারম্যান অফিস করছেন। ওইসব চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টি এস আইয়ুব মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন এবং বিএনপিতে পুনর্বাসন করছেন বলেই তাঁরা প্রকাশ্যে তাঁর হয়ে কাজ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা আইয়ুবের পক্ষে কাজ করায় আমরা বিব্রত ও লজ্জাবোধ করছি।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি তা ধরেননি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘তিব্বতের বক্তব্য তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আইয়ুবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তিনি পরিষদ চালাচ্ছেন। এতে আমরা বিব্রত। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জায়গা দেওয়াতে বিএনপি অনেক নেতা রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হতে চাইছেন।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করে ঘরে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন যশোরের বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম তিব্বত। একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুবের উপস্থিতিতে তিব্বত সব ইউপি চেয়ারম্যানকে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানান।
বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এই চেয়ারম্যানের একটি ভিডিও ক্লিপ গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আরিফুল ইসলাম তিব্বত জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঘারপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক।
ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সব চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে কাজ করবেন। বাঘারপাড়ার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে নির্বাচিত (এমপি) করেই আমরা ঘরে উঠব।’
গতকাল রাত থেকে ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে। বিএনপি নেতাকে এমপি বানাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের একাট্টা হওয়ার ঘোষণায় নিজ দলের নেতা-কর্মীরা যেমন বিব্রত, তেমনি বিব্রত বিএনপি নেতা-কর্মীরাও।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের দুর্দিনে দলের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিব্বত।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনে ব্যস্ত খোদ বিএনপি নেতারা। বিএনপির নেতাদের ছত্রচ্ছায়াতে আওয়ামী লীগের নেতারা মাঠে নামছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের জয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৪ ও ৫ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব। প্রথম দিন রাতের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত।
আওয়ামী লীগ নেতা তিব্বত তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বাঘারপাড়ার শেষ ঠিকানা হচ্ছে টি এস আইয়ুব। ভবিষ্যতে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর নেতৃত্বে চলবেন।’
জানা গেছে, গত নির্বাচনে বাঘারপাড়ার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সাতটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হন। তাঁদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম তিব্বত একজন। ওই নির্বাচনে রায়পুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বন্দবিলা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী।
বন্দবিলা ইউপির চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরিফুল ইসলাম তিব্বত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁর নিজস্ব মতামত। বাঘারপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানদের কোনো বৈঠকে টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা হয়নি।’
দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘তিব্বত যখন বক্তব্য দিয়েছেন, তখন তিনি সুস্থ ছিলেন কি না আমার সন্দেহ হয়। টি এস আইয়ুব একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কাজকর্মে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা বা একসঙ্গে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার বিষয়টি ঘটতেই পারে। তাঁর মানে এই নয় যে, ঘোষণা দেবেন বাঘারপাড়ার সব চেয়ারম্যান টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’
বন্দবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খান বলেন, আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা তিব্বতের ওই বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করবেন।
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম তিব্বত বলেন, ‘অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলযোগ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি ওই বক্তব্য দিয়েছি।’
বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম টিপু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা জনরোষে পড়ার ভয়ে সামনে আসছেন না। অথচ বাঘারপাড়ার সব ইউপি চেয়ারম্যান অফিস করছেন। ওইসব চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টি এস আইয়ুব মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন এবং বিএনপিতে পুনর্বাসন করছেন বলেই তাঁরা প্রকাশ্যে তাঁর হয়ে কাজ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা আইয়ুবের পক্ষে কাজ করায় আমরা বিব্রত ও লজ্জাবোধ করছি।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি তা ধরেননি।
বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা বলেন, ‘তিব্বতের বক্তব্য তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। আইয়ুবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তিনি পরিষদ চালাচ্ছেন। এতে আমরা বিব্রত। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জায়গা দেওয়াতে বিএনপি অনেক নেতা রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হতে চাইছেন।’

১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৩ মিনিট আগে
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য দপ্তরে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।’
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান আরও বলেন, ‘গতকাল টিভিতে দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান (সদ্য জামায়াতে যোগ দেওয়া সাবেক এমপি মেজর অব. আখতারুজ্জামান) বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হলো যে আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছে। এখন আপনি এর বিপরীত রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?
মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক (আলংকারিক) বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়। রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছে, সেই তথ্য আমরা জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপ-উপাচার্যের (একাডেমিক) মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য দপ্তরে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।’
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান আরও বলেন, ‘গতকাল টিভিতে দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান (সদ্য জামায়াতে যোগ দেওয়া সাবেক এমপি মেজর অব. আখতারুজ্জামান) বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হলো যে আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছে। এখন আপনি এর বিপরীত রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?
মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক (আলংকারিক) বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়। রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছে, সেই তথ্য আমরা জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপ-উপাচার্যের (একাডেমিক) মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) তিনি ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।
আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’
সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টক শোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) তিনি ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।
আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’
সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টক শোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৩ মিনিট আগে
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘারপাড়া উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা টি এস আইয়ুবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ করছেন। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হচ্ছে—৫ আগস্টের পর থেকে বাঘারপাড়ার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখনো নিজ নিজ পরিষদে বসে নির্বিঘ্নে কাজ করছেন; যা টি এস আইয়ুবের...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৩ মিনিট আগে
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৩ মিনিট আগে