খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার ২০ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার। তিনি রায়ের বিষয়টি জানতেন না বলে আবেদনে উল্লেখ করেন। পরে আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, ডিসকো সাত্তার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে।
খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. মাজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দুপুরের পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ডিসকো সাত্তার। ওকালতনামায় (আবেদন) তিনি উল্লেখ করেন, জীবন ও জীবীকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি এবং রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না। বিষয়টি অবগত হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি ৯ বছর ফেরারি জীবন যাপন করেছেন।
মানিক চন্দ্র সাহা খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদ ও একুশে টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান, বিবিসি বাংলা বিভাগের কন্ট্রিবিউটর ছিলেন। ২০০৯ সালে সরকার তাঁকে সাংবাদিকতায় মরণোত্তর একুশে পদক দেয়।
খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন সাংবাদিক মানিক সাহা। ওই দিন বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে মানিক চন্দ্র সাহার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই দিন পর ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত এ মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুজন আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামি হলেন আকরাম হোসেন হাওলাদার ওরফে আকরাম হাওলাদার ওরফে বোমারু হাওলাদার, আলী আকবর শিকদার ওরফে শাওন, নুরুজ্জামান, মিঠুন, সুমন, সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল ওরফে বুলবুল, সাকা ওরফে সাকাওয়াত হোসেন ও সরোয়ার হোসেন ওরফে সরো।
খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার ২০ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার। তিনি রায়ের বিষয়টি জানতেন না বলে আবেদনে উল্লেখ করেন। পরে আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, ডিসকো সাত্তার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে।
খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. মাজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দুপুরের পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ডিসকো সাত্তার। ওকালতনামায় (আবেদন) তিনি উল্লেখ করেন, জীবন ও জীবীকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি এবং রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না। বিষয়টি অবগত হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি ৯ বছর ফেরারি জীবন যাপন করেছেন।
মানিক চন্দ্র সাহা খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদ ও একুশে টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান, বিবিসি বাংলা বিভাগের কন্ট্রিবিউটর ছিলেন। ২০০৯ সালে সরকার তাঁকে সাংবাদিকতায় মরণোত্তর একুশে পদক দেয়।
খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন সাংবাদিক মানিক সাহা। ওই দিন বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে মানিক চন্দ্র সাহার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই দিন পর ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।
দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত এ মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুজন আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ আসামি হলেন আকরাম হোসেন হাওলাদার ওরফে আকরাম হাওলাদার ওরফে বোমারু হাওলাদার, আলী আকবর শিকদার ওরফে শাওন, নুরুজ্জামান, মিঠুন, সুমন, সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল ওরফে বুলবুল, সাকা ওরফে সাকাওয়াত হোসেন ও সরোয়ার হোসেন ওরফে সরো।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের সংস্কারকাজ গত ১০ বছরেও শেষ হয়নি। বিগত সরকারের শাসনামলে সড়কের সংস্কারকাজ একাধিকবার শুরু হলেও শেষ আর হয়নি। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর মাসে সড়কের দুই কিলোমিটার অংশে সংস্কারকাজ শুরু হয়, কিন্তু আংশিক কাজ করে চলে যায় ঠিকাদার।
২০ মিনিট আগেঢাকা থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাওয়ার পথে গাবতলী পার হলেই চোখে পড়ে প্লাস্টিক, পচা খাবার আর নানা রকম বর্জ্যের স্তূপ। সাভারের আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশনের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের একপাশের কয়েক শ ফুটজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ওই আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ এলাকার পরিবেশ দূষিত করছে।
২০ মিনিট আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে মো. মারুফ হাসান মিরাজ (১৯) নামের এক কলেজশিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। মো. মারুফ হাসান মিরাজ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের মো. ফুল মিয়ার ছেলে।
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় কনসার্ট চলাকালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত তিনজন। তবে পুলিশ বলছে, স্লোগান দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কনসার্টে যাওয়া উচ্ছৃঙ্খল কয়েকজন যুবক ভাঙচুর করায় পুলিশ অ্যাকশনে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে