Ajker Patrika

মেহেরপুরে পেঁয়াজের খেতে ছত্রাকের আক্রমণ, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

মেহেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ১৬
মেহেরপুরে পেঁয়াজের খেতে ছত্রাকের আক্রমণ, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

ছত্রাকের আক্রমণে দিশেহারা মেহেরপুরের পেঁয়াজচাষিরা। ছড়িয়ে পড়ছে এক জমি থেকে আরেক জমিতে। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক ব্যবহার করেও মিলছে না প্রতিকার। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। 

এটিকে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন পারপাস ব্লাসজনিত রোগ। অন্তত পাঁচ দিন পর পর পেঁয়াজের জমিতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ তাঁদের। 

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক মিয়ারুল শেখ। এবার চার বিঘা জমিতে ভারতীয় সুখসাগর পেঁয়াজের আবাদ করেছিলেন। এর আগে পেঁয়াজের জমিতে এমন রোগ কখনোই দেখেননি তিনি। একটি ডগা প্রথমে শুকিয়ে যাচ্ছে, পরে আক্রান্ত হচ্ছে পুরো গাছ। ফলে গুটি বাঁধছে না গাছ থেকে। কাঙ্ক্ষিত ফলন পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

শুধু মিয়ারুল নয় মুজিবনগরের শিবপুর, ভবানিপুর, বিশ্বনাথপুর, আনন্দবাস, টেংরামারীসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে মাঠের পর মাঠের পেঁয়াজখেতগুলো আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার পর থেকেই পেঁয়াজের খেতে এই ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দেয়। 

এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, বাজারের নামীদামি কোম্পানির ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে সদর উপজেলার উজলপুর, তেরঘোরিয়া, বন্দর, ইছাখালী, হরিরামপুরের বিভিন্ন মাঠে। কৃষকেরা বলছেন, আগে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে সহজেই সমাধান মিলত। এবারের অবস্থা ভিন্ন। 

ছত্রাক দমনে পেঁয়াজখেতে স্প্রে করছেন কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকাজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় সুখসাগর ও তাহেরপুরি জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, যা থেকে ৯৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছেন, ছত্রাকের আক্রমণ ঠেকানো না গেলে বড় ধরনের ফলন বিপর্যয় দেখা দেবে। এতে কৃষি বিভাগের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হবে না। 

মুজিবনগরের ভবানিপুর গ্রামের পেঁয়াজচাষি হাবিবুর রহমান বলেনর, ‘আমার সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমির পেঁয়ােজ ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। প্রথমে অল্প থাকলেও দিনে দিনে পুরো জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে।’ 

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘চার থেকে পাঁচ দিন পর পর বাজারের নামীদামি কোম্পানির ছত্রাকনাশক এবং সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করেও সমাধান মেলেনি। এখন বাজারের চার থেকে পাঁচটি কোম্পানির ছত্রাক একসঙ্গে মিশিয়ে ককটেল বানিয়ে জমিতে স্প্রে করছি। তার পরও কাজ হচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পরব আমরা।’ 

একই উপজেলার শিবপুর গ্রামের পেঁয়াজচাষি আমজাদ গাইন বলেন, ‘১২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। অর্ধেকেরও বেশি জমিতে ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ওষুধ ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। সার, কীটনাশক, সেচ, শ্রমিক খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। এবার ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ বেশি করতে হচ্ছে। বাড়ছে খরচ।’ 

 ‘আমরা সুখসাগর জাতের পেঁয়াজের আবাদ করে থাকি। এক বিঘা জমিতে ১৫০ থেকে ১৮০ মণ ফলন হয় এই জাতের পেঁয়াজ থেকে। এবার যা অবস্থা, বিঘাপ্রতি জমিতে ১০০ মণ ফলনও পাওয়া যাবে না। বিঘাপ্রতি জমিতে পেঁয়াজ আবাদে খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এবার সেই টাকা তুলতে পারব কি না, শঙ্কা রয়েছে।’ বলেন আমজাদ গাইন। 

একই গ্রামের চাষি রেজাউল হক বলেন, চলতি মৌসুমে ১১ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। পুরো জমিই আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। আর এক মাস পর পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখানকার উৎপাদিত পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। 

চাষি রেজাউল হক বলেন, ‘ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানির কারণে এমনিতেই মাঝে মাঝে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এবার আবার রোগের কারণে ফলনও কম হবে। দাম পড়ে গেলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পরব আমরা।’ 

ছত্রাকের বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছে গবেষণার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, কৃষকদের পাঁচ দিন পর পর পেঁয়াজের জমিতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর ফসলের ওপরে থাকা কুয়াশা পানি শুকিয়ে যাওয়ার পরে স্প্রে করার জন্য বলা হচ্ছে। 

এই কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পাঁচ কেজি করে পটাশ সার প্রয়োগ করার জন্যও কৃষকদের বলা হচ্ছে। কৃষকেরা যাতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সে জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
ইমরান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

গ্রেপ্তার হওয়া ইমরান আহমদ (৩০) জকিগঞ্জ উপজেলার নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে।

র‍্যাব-৯ জানায়, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার বারহাল এহিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী গত ২৬ জুলাই সকালে জকিগঞ্জ থানাধীন ফারুক মিয়ার পরিত্যক্ত আদিম ব্রিকস ফিল্ডে ঘুরতে যাওয়ার পর আসামিরা গোপনে ভিকটিম এবং তার বন্ধুর ছবি তোলে। আসামিরা ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে বলে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায় এবং অনৈতিক প্রস্তাব করে। ভিকটিম তাতে রাজি না হলে আসামিরা তাকে ও তার বন্ধুকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ব্রিকস ফিল্ডের ভেতরে নিয়ে যায়। ভিকটিমের বন্ধু তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামিরা তাকে প্রাণে হত্যার ভয় দেখায় এবং তাকে আটকে রাখে।

পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দলবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং ভিকটিমকে ওই বিষয়টি কাউকে বা পুলিশকে না জানানোর জন্য হত্যার হুমকি দেয়।

বিষয়টি ভিকটিম ভয়ে কাউকে জানায়নি। কিন্তু পরে অসুস্থ হয়ে গেলে পরিবারের লোকজনকে জানানোর পর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে।

পরবর্তী সময়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি শাকের আহমদকে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ আরও জানান, পরবর্তী আইনিব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‍্যাব-৯-এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্ত থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা পণ্য। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সেক্টরের সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ করেছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, সোমবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত পৃথক অভিযানে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর ও ব্রাহ্মণপাড়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় সীমান্তঘেঁষা এলাকা থেকে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে এবং ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় খাদ্যসামগ্রী।

লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান আরও জানান, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পণ্য পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জব্দ করা পণ্যগুলো আইনিপ্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা, তদন্তে ডিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৯
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে কাজী মুকিতুজ্জামান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহাদী হাসান জুয়েল জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নকে নিয়ে মন্তব্য করায় এই মামলা করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আসামি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী দল বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্ব প্রদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ন ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।

গত ১ নভেম্বর যুবদল নেতা নয়নকে নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,“জুলাই সনদ নিয়ে একটি বড় দল গুন্ডামি করছে, ঢাকা মহানগরের একজন নেতা আছে নয়ন একা যে পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছে এবং দুর্নীতি করেছে— এই টাকা দিয়েও বাংলাদেশে একটা গণভোট সম্ভব। আমরা ওনাদেরকে এত দিন জমজমের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে চেষ্টা করেছি, ওনাদের মাথা ক্লিন হয় নাই, বডিও ক্লিন হয় নাই। এখন আমার মনে হয় ওনাদেরকে বুড়িগঙ্গার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।”

মামলার আরজিতে বাদী বলেন, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য বাদীর দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, দলের নেতার নামে কুৎসা রটিয়ে তাঁর মানহানি করেছে। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে, যা মানহানিকর অপরাধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৪
মো. নাঈম
মো. নাঈম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মো. নাঈম (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের বাড়ি উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যেরধারী এলাকায়।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, রোববার বিকেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন নাঈম। এ সময় তাঁর হাতে থাকা লোহার রড অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনা-পরবর্তী তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত