Ajker Patrika

যশোর-৩: জাসদের রবিউল আলমে পাল্টে যাবে কি ভোটের সমীকরণ 

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ৫৯
যশোর-৩: জাসদের রবিউল আলমে পাল্টে  যাবে কি ভোটের সমীকরণ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ (সদর) আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলমকে। এই প্রার্থীকে ঘিরে হঠাৎ করে পাল্টে যেতে পারে সদর আসনের ভোটের হিসাবনিকাশ। নানা সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী থেকে শুরু করে নেতা–কর্মীরা। 

তাঁরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে জাসদ। তখন এই আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন বর্ষীয়ান এ জাসদ নেতা। সমঝোতার অংশ হিসেবেই এ আসনে শক্তিশালী প্রার্থী দেওয়া থেকেও বিরত থাকবে আওয়ামী লীগ এমনটি গুঞ্জন উঠেছে জোরেশোরে। 

এদিকে জাসদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একটি পক্ষ বলছে, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ী তাঁরা কাজ করবেন। আর বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারীরা বলছেন, আসনটি বরাবরই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। কারও সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নয়, এককভাবে নির্বাচন করতে চান নেতা–কর্মীরা। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর-৩ (সদর) বরাবরই’ হেভিওয়েট প্রার্থীদের’ আসন। পুরোনো হেভিওয়েট প্রার্থীরা বিদায় নিলেও এখন আসনটি নতুন হেভিওয়েটদের দখলে। বিএনপির সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের খালেদুর রহমান টিটো এবং আলী রেজা রাজু চিরবিদায় নেওয়ায় এখন নতুন হেভিওয়েট প্রার্থীরা রয়েছেন এই আসনের নির্বাচনী আলোচনায়। এর মধ্যে রয়েছেন-নৌকার টিকিটপ্রত্যাশী বর্তমান এমপি কাজী নাবিল আহমেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। আর বিএনপি নির্বাচনে এলে তাদের হেভিওয়েট প্রার্থী স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুলপুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এর বাইরেও আওয়ামী লীগ, বিএনপি থেকে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী যেমন রয়েছেন; তেমনি জেলা সদরের হেডকোয়ার্টার-খ্যাত এই আসনে অন্য দলের প্রার্থীরাও থাকবেন নির্বাচনী মাঠে। 

যশোর সদরের ১৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে যশোর-৩ আসন গঠিত। ৯০-পরবর্তী সাতটি সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দুইবার ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের রওশন আলী, ১৯৭৯ সালে বিএনপির তরিকুল ইসলাম এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে খালেদুর রহমান টিটো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জাসদের আবদুল হাই, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের রওশন আলী, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির তরিকুল ইসলাম, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগের আলী রেজা রাজু, ২০০১ সালে বিএনপির তরিকুল ইসলাম, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের খালেদুর রহমান টিটো এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের কাজী নাবিল আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

সর্বশেষ ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাজী নাবিল আহমেদ। টানা দুইবারের এমপি নাবিলও এবার শক্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার এবং সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামও প্রত্যাশী। এর মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলমকে। এই প্রার্থীকে ঘিরে হঠাৎ করে পাল্টে যেতে পারে সদর আসনের ভোটের হিসাবনিকাশ এমনটাই মনে করছেন। 

রবিউল ইসলামের অনুসারীদের ভাষ্য, রবিউল আলম মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন। এ ছাড়া যশোর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জনপ্রতিনিধি হিসাবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলায় অন্তত ৫০ হাজার নিজস্ব ভোট রয়েছে তাঁর। বিগত তিনটি সংসদ আসনে জোটের থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। এবার কেন্দ্রীয় সবুজ সংকেতে প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছিলেন। সেই সবুজ সংকেতে জাসদের প্রার্থী হলেও গুঞ্জন উঠেছে নৌকা প্রতীক পেতে যাচ্ছেন রবিউল। এ ছাড়া সামাজিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ হওয়াতে দলবল নির্বিশেষে সিংহভাগ ভোট পাবেন বলে নেতা–কর্মীরা। 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম বলেন, ‘আমরা জোটগতভাবেই নির্বাচন করব। সেই কারণে জোটের মধ্যে সিট এবং নির্বাচনী এক ধরনের সমঝোতা হবে। সেটা দুই দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। যদি জোটের থেকে নমিনেশন হয়; তাহলে নির্বাচন করব।’ 

এদিকে জাসদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, মুক্তি যুদ্ধপরবর্তীকাল থেকে এটি আওয়ামী লীগের আসন। তা ছাড়া সদরের মতো আসনে নেত্রী শরিক দলদের সঙ্গে আশা করি সমঝোতা করবেন না। কারও সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নয়, এককভাবে নির্বাচন করতে চাই নেতা–কর্মীরা। আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানেই দেশের সর্বনাশ: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আজ সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বিএনপি মহাসচিব জানান, তার দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মান করে ও শ্রদ্ধা করে এবং আশা করে যে, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অতি দ্রুত আর কোনো কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবেন। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।

তিনি বলেন, ’একটা কথা মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলো আমাদের।’

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, সেই চক্রই এখন ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশটাকে ’গ্রাস করার চেষ্টা’ করছে। এসময় তিনি সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একটা চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। বলা হচ্ছে—’৭১-এ হয় নাই, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য আমরা কোনো অবদানই রাখিনি। এখন যারা ’২৪-এ করেছে তারাই সব করেছে—এইরকম একটা ধারণা দিচ্ছে।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস যারা যুদ্ধ করেছি, পরিবার পরিজনের কোনো খবর নিতে পারিনি... সেই দিনটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটাকে কি ভুলিয়ে দেওয়া যায়?’ মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ বললে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমার জন্মটাকে কি আমি ভুলতে পারি?’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, একটি মহল দেশের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি বলেন, ’আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদেরকে তুলে দিয়েছিল পাক বাহিনীর হাতে। তাদের সঙ্গে কি এদেশের মানুষ আপোষ করতে পারে?’

তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ সূচক মন্তব্য করেন। এসময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্লোগান দেন, ’একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। রাজাকার আল বদর হুঁশিয়ার সাবধান।’

মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি এসব কথা বলতে চাই না, কিন্তু যারা দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, গ্রাস করার চেষ্টা করতেছে’, তাদের রুখতে আজ বিভেদের চেতনাকে সামনে আনতে হবে।

তিনি জানান, তাদের দল ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধার ভাতা শুরু করেছিলেন। তিনি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কা, প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বনশ্রীতে ট্রাক ধাক্কায় আরাফ আফতাহী (৮) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আরাফের বাবা ইঞ্জিনিয়ার আজহারুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা বনশ্রী জি ব্লকে। বাসার বিপরীতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে পড়ত আরাফ। সকালে তাদের বাসার আয়া সোনিয়া আরাফকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক আরাফকে ধাক্কা দেয়। এতে আরাফ রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই: নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

অতীতের ভুল ও বিতর্ক কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই।’

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আয়োজিত ‘ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একক প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়—প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন নিরপেক্ষতা ও সততা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো চাপ, ভীতি বা প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করা নয়।’

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের বাসায় দুর্বৃত্তের আগুন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ কাজ করেছে বলে দাবি করেন প্রীতম সোহাগ।

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কে বা কারা বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেয়। এতে আমার স্ত্রীর স্যান্ডেল, পাপোশ পুড়ে যায়। এ ছাড়া ওপরে থাকা বিদ্যুতের কার্ড মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আগুন নিভে যায়। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানান।’

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘ধারণা করছি, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। যারা রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে উঠছে না। তবে এসবে আমি ভীত নই। যারা এই হীন কাজ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।’

আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশের ভিডিও করে প্রীতম সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজস্ব আইডিতে আজ সকাল ৭টার দিকে পোস্ট করেন। এতে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এনসিপি নেতার বাড়ির গেটে আগুন দিয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত