দিনাজপুর প্রতিনিধি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বাঁধাই করা সাদাকালো একটি ছবি ঝুলে আছে টয়লেটের দরজার নিচের অংশে। কাঠের দরজাটিও বহু পুরোনো, খসে পড়ার অবস্থা। এটি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টয়লেট বলে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন এক যুবক।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ওই যুবকের বিরুদ্ধেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গ্রেপ্তার মশিয়র রহমান (২২) দিনাজপুর আদর্শ কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দোগাছি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। দিনাজপুর শহরে লেবুরন মোড়ে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মশিয়র রহমান ওই ছবি ফেসবুক পোস্ট করেন। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফারুক উল আলম বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মশিয়র রহমান উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিত্যক্ত টয়লেটের দরজায় জাতির জনকের ছবিটি রেখেছেন। বর্তমান সরকার ও জাতির পিতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর জন্যই তিনি এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিনাজপুর জেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ‘রোববার বিকেলে মশিয়র রহমান তাঁর এক বন্ধুর আত্মীয়কে রক্তদানের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। রক্তদান শেষে ফেরার পথে টয়লেটের দরজায় জাতির জনকের ছবিটি দেখতে পেয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন। ক্যাপশনে লেখেন, “এটি দুঃখজনক”। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।’
মশিয়রের বাবা একজন সাধারণ কৃষক। ছেলে গ্রেপ্তারের ঘটনায় মশিয়রের মা-বাবা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। মা নাসরিন বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগীকে রক্ত জোগার করে দেওয়ার কাজ করে। কোনো দিন কারও সঙ্গে তার ঝগড়া বিবাদ পর্যন্ত হয় নাই। রোগীর জন্য রক্ত দরকার জানিয়ে রাতে পুলিশ ফোন করে মশিয়রকে। পরে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি, মশিয়রকে পুলিশ আটক করছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী শামীম হোসাইন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করলে তো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে। সে কোথা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে এসে অসৎ উদ্দেশ্যে সেখানে ছবিটি রেখেছে এবং ফেসবুকে দিয়েছে আমরা জানি না। যে জায়গায় ছবিটি রাখা হয়েছে ওই করিডর দিয়ে সব সময় মানুষ যাতায়াত করে। জাতির জনকের ছবিটি ওই জায়গায় থাকলে কারও চোখে পড়ত। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হয়েছে। ওই যুবক কেন সেখানে ছবিটি রেখেছে তদন্তকারী সংস্থা তা বের করবে।’
কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, ‘মামলার এজাহারের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বাঁধাই করা সাদাকালো একটি ছবি ঝুলে আছে টয়লেটের দরজার নিচের অংশে। কাঠের দরজাটিও বহু পুরোনো, খসে পড়ার অবস্থা। এটি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টয়লেট বলে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন এক যুবক।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ওই যুবকের বিরুদ্ধেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গ্রেপ্তার মশিয়র রহমান (২২) দিনাজপুর আদর্শ কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দোগাছি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। দিনাজপুর শহরে লেবুরন মোড়ে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মশিয়র রহমান ওই ছবি ফেসবুক পোস্ট করেন। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফারুক উল আলম বাদী হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মশিয়র রহমান উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিত্যক্ত টয়লেটের দরজায় জাতির জনকের ছবিটি রেখেছেন। বর্তমান সরকার ও জাতির পিতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর জন্যই তিনি এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিনাজপুর জেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ‘রোববার বিকেলে মশিয়র রহমান তাঁর এক বন্ধুর আত্মীয়কে রক্তদানের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। রক্তদান শেষে ফেরার পথে টয়লেটের দরজায় জাতির জনকের ছবিটি দেখতে পেয়ে ফেসবুকে আপলোড করেন। ক্যাপশনে লেখেন, “এটি দুঃখজনক”। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।’
মশিয়রের বাবা একজন সাধারণ কৃষক। ছেলে গ্রেপ্তারের ঘটনায় মশিয়রের মা-বাবা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। মা নাসরিন বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগীকে রক্ত জোগার করে দেওয়ার কাজ করে। কোনো দিন কারও সঙ্গে তার ঝগড়া বিবাদ পর্যন্ত হয় নাই। রোগীর জন্য রক্ত দরকার জানিয়ে রাতে পুলিশ ফোন করে মশিয়রকে। পরে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি, মশিয়রকে পুলিশ আটক করছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী শামীম হোসাইন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করলে তো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে। সে কোথা থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে এসে অসৎ উদ্দেশ্যে সেখানে ছবিটি রেখেছে এবং ফেসবুকে দিয়েছে আমরা জানি না। যে জায়গায় ছবিটি রাখা হয়েছে ওই করিডর দিয়ে সব সময় মানুষ যাতায়াত করে। জাতির জনকের ছবিটি ওই জায়গায় থাকলে কারও চোখে পড়ত। বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হয়েছে। ওই যুবক কেন সেখানে ছবিটি রেখেছে তদন্তকারী সংস্থা তা বের করবে।’
কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, ‘মামলার এজাহারের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম থেকে ‘৭টি’ অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ৭টি না আরও বেশি—তা নিয়েও চলছে তদন্ত। বিমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ—তিনটি সংস্থা আলাদাভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাত
১০ মিনিট আগে
লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিককে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাঁকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩১ মিনিট আগে
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে নগরীর লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার ইব্রাহিমা মাদ্রাসা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক বান্দাবাজার ছরোরবাড়ির বাসিন্দা হামিদের ছেলে।
৩৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
৪৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম থেকে ‘৭টি’ অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ৭টি না আরও বেশি—তা নিয়েও চলছে তদন্ত। বিমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ—তিনটি সংস্থা আলাদাভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলছেন না।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে অস্ত্র হারানোর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও সংখ্যার তথ্য পেলে মামলা করবে বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে খোয়া যাওয়া অস্ত্র নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। ঠিক কতগুলো অস্ত্র ছিল এবং কতগুলো চুরি হয়েছে, তা নিয়ে কেউ পরিষ্কার করে কিছু বলতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। পুলিশের কাছে বিমানের পক্ষ থেকে শুধু ভল্ট ভাঙার বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে। কিন্তু অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
একই বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ২৭ ঘণ্টা সময় লাগে। ওই ঘটনার পর থেকেই কেপিআইভুক্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরই মধ্যে ভল্ট ভাঙা পাওয়ার বিষয়ে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। গত রোববার দুপুরে দ্বিতীয়বারের মতো ভল্ট পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখেন, সেখানে একটি ভল্টে থাকা ২১টি অস্ত্রের মধ্যে ৭টি নেই। ৩টি অস্ত্রের পেছনের অংশ আগুনে পোড়া ছিল আর অন্যগুলো বক্সবন্দী অবস্থায় ছিল। তালিকা মিলিয়ে দেখা যায়, ওই ৭টি অস্ত্র ভল্ট থেকে খোয়া গেছে। এসব অস্ত্রের একটি অংশ বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এবং অন্যগুলো বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আমদানি করা পণ্য ছিল। চুরি হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন রাইফেল ও ব্রাজিলের টরাস কোম্পানির তৈরি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। এর আগে, ২৮ অক্টোবর বিমান কর্তৃপক্ষ ভল্ট ভাঙা এবং অস্ত্র চুরির আশঙ্কা থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
এদিকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে ভল্টে থাকা সব অস্ত্র সোমবার বিমানবন্দর থানায় নিয়ে আসা হয়। বিমানবন্দর থানা সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে থানায় রাখা রয়েছে ৬৭টি পিস্তল, ১২টি শটগান, ১টি রাইফেল ও ৯০০টি ব্ল্যাংক কার্টিজ।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ব্ল্যাংক কার্টিজ হলো গুলিবিহীন এক ধরনের গোলাবারুদ, যাতে গানপাউডার থাকলেও বুলেট থাকে না। এটি কেবল শব্দ ও ধোঁয়া তৈরি করে, যা বাস্তব গুলির মতো শোনায়।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক আজাহার ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরাপত্তার কারণে অস্ত্রগুলো ভল্ট থেকে থানায় আনা হয়েছে। কাস্টমসের মাধ্যমে আমদানিকারকদের তাঁদের অস্ত্র খালাসের আহ্বান জানানো হয়েছে। তাঁরা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বুশরা ইসলাম বলেন, ‘এখনো বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অফিশিয়ালি কিছু বলতে পারছি না।’

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম থেকে ‘৭টি’ অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ৭টি না আরও বেশি—তা নিয়েও চলছে তদন্ত। বিমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ—তিনটি সংস্থা আলাদাভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলছেন না।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে অস্ত্র হারানোর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও সংখ্যার তথ্য পেলে মামলা করবে বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে খোয়া যাওয়া অস্ত্র নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। ঠিক কতগুলো অস্ত্র ছিল এবং কতগুলো চুরি হয়েছে, তা নিয়ে কেউ পরিষ্কার করে কিছু বলতে চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। পুলিশের কাছে বিমানের পক্ষ থেকে শুধু ভল্ট ভাঙার বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে। কিন্তু অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
একই বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ২৭ ঘণ্টা সময় লাগে। ওই ঘটনার পর থেকেই কেপিআইভুক্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরই মধ্যে ভল্ট ভাঙা পাওয়ার বিষয়ে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র। গত রোববার দুপুরে দ্বিতীয়বারের মতো ভল্ট পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখেন, সেখানে একটি ভল্টে থাকা ২১টি অস্ত্রের মধ্যে ৭টি নেই। ৩টি অস্ত্রের পেছনের অংশ আগুনে পোড়া ছিল আর অন্যগুলো বক্সবন্দী অবস্থায় ছিল। তালিকা মিলিয়ে দেখা যায়, ওই ৭টি অস্ত্র ভল্ট থেকে খোয়া গেছে। এসব অস্ত্রের একটি অংশ বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এবং অন্যগুলো বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আমদানি করা পণ্য ছিল। চুরি হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন রাইফেল ও ব্রাজিলের টরাস কোম্পানির তৈরি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। এর আগে, ২৮ অক্টোবর বিমান কর্তৃপক্ষ ভল্ট ভাঙা এবং অস্ত্র চুরির আশঙ্কা থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
এদিকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ার ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে ভল্টে থাকা সব অস্ত্র সোমবার বিমানবন্দর থানায় নিয়ে আসা হয়। বিমানবন্দর থানা সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে থানায় রাখা রয়েছে ৬৭টি পিস্তল, ১২টি শটগান, ১টি রাইফেল ও ৯০০টি ব্ল্যাংক কার্টিজ।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ব্ল্যাংক কার্টিজ হলো গুলিবিহীন এক ধরনের গোলাবারুদ, যাতে গানপাউডার থাকলেও বুলেট থাকে না। এটি কেবল শব্দ ও ধোঁয়া তৈরি করে, যা বাস্তব গুলির মতো শোনায়।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক আজাহার ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরাপত্তার কারণে অস্ত্রগুলো ভল্ট থেকে থানায় আনা হয়েছে। কাস্টমসের মাধ্যমে আমদানিকারকদের তাঁদের অস্ত্র খালাসের আহ্বান জানানো হয়েছে। তাঁরা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বুশরা ইসলাম বলেন, ‘এখনো বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অফিশিয়ালি কিছু বলতে পারছি না।’

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ওই যুবকের বিরুদ্ধেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
১৮ অক্টোবর ২০২২
লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিককে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাঁকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩১ মিনিট আগে
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে নগরীর লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার ইব্রাহিমা মাদ্রাসা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক বান্দাবাজার ছরোরবাড়ির বাসিন্দা হামিদের ছেলে।
৩৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
৪৩ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিককে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাঁকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার রিফাত লিবিয়ায় থাকতেন। তিনি টাঙ্গাইলের বাসাইলের খন্দকার রমজানের ছেলে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে রাজধানীর সূত্রাপুর থানার বেগমগঞ্জ লেন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। লিটন হোসেন ওরফে সুজন নামের এক লিবিয়াপ্রবাসী যুবককে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ মার্চ লক্ষ্মীপুরের আদালতে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা গেছে, লিটন হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য তিনি ৭২ হাজার দিনার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন। লিবিয়াতেই রিফাতের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। একপর্যায়ে লিটনের কাছে দিনার থাকার বিষয়টি জানতে পারেন রিফাত। পরে লিবিয়া ও পাকিস্তানি মাফিয়া চক্রের সাহায্যে লিটনকে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি অপহরণ করেন রিফাত। তাঁরা তাঁকে আটকে রেখে নির্যাতন করে ৭২ হাজার দিনার কেড়ে নেন। একই সঙ্গে লিটনকে নির্যাতনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও তাঁর পরিবারের কাছে পাঠিয়ে আরও ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। লিবিয়ায় মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ ও বাংলাদেশে নিজ লোকের মাধ্যমে আরও ৫ লাখসহ মোট ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন রিফাতসহ অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের আদালতে লিটনের মামা আনোয়ার হোসেন মামলা করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে অপহরণের ২ মাস ২০ দিন পর অপহরণকারীরা লিটনকে ছেড়ে দেন। মামলায় রিফাতের শাশুড়ি ঢাকার সূত্রাপুরের বাসিন্দা আনু আক্তার ও তাঁদের স্বজন দিদার হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। দেশে নিজ লোকের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার সূত্র ধরে মূলত মূল হোতা রিফাতকে খুঁজে বের করা হয়।
নোয়াখালী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার মূল হোতা খন্দকার রিফাত গত ১৩ মে বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক থাকেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিককে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাঁকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার রিফাত লিবিয়ায় থাকতেন। তিনি টাঙ্গাইলের বাসাইলের খন্দকার রমজানের ছেলে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে রাজধানীর সূত্রাপুর থানার বেগমগঞ্জ লেন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। লিটন হোসেন ওরফে সুজন নামের এক লিবিয়াপ্রবাসী যুবককে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৭ মার্চ লক্ষ্মীপুরের আদালতে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা গেছে, লিটন হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য তিনি ৭২ হাজার দিনার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন। লিবিয়াতেই রিফাতের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। একপর্যায়ে লিটনের কাছে দিনার থাকার বিষয়টি জানতে পারেন রিফাত। পরে লিবিয়া ও পাকিস্তানি মাফিয়া চক্রের সাহায্যে লিটনকে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি অপহরণ করেন রিফাত। তাঁরা তাঁকে আটকে রেখে নির্যাতন করে ৭২ হাজার দিনার কেড়ে নেন। একই সঙ্গে লিটনকে নির্যাতনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও তাঁর পরিবারের কাছে পাঠিয়ে আরও ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। লিবিয়ায় মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ ও বাংলাদেশে নিজ লোকের মাধ্যমে আরও ৫ লাখসহ মোট ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন রিফাতসহ অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের আদালতে লিটনের মামা আনোয়ার হোসেন মামলা করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে অপহরণের ২ মাস ২০ দিন পর অপহরণকারীরা লিটনকে ছেড়ে দেন। মামলায় রিফাতের শাশুড়ি ঢাকার সূত্রাপুরের বাসিন্দা আনু আক্তার ও তাঁদের স্বজন দিদার হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন। দেশে নিজ লোকের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার সূত্র ধরে মূলত মূল হোতা রিফাতকে খুঁজে বের করা হয়।
নোয়াখালী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার মূল হোতা খন্দকার রিফাত গত ১৩ মে বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক থাকেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ওই যুবকের বিরুদ্ধেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
১৮ অক্টোবর ২০২২
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম থেকে ‘৭টি’ অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ৭টি না আরও বেশি—তা নিয়েও চলছে তদন্ত। বিমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ—তিনটি সংস্থা আলাদাভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাত
১০ মিনিট আগে
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে নগরীর লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার ইব্রাহিমা মাদ্রাসা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক বান্দাবাজার ছরোরবাড়ির বাসিন্দা হামিদের ছেলে।
৩৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
৪৩ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে নগরীর লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার ইব্রাহিমা মাদ্রাসা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক বান্দাবাজার ছরোরবাড়ির বাসিন্দা হামিদের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ পেয়ে রাসেল জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। এলাকার মানুষ বিষয়টি টের পেয়ে রাসেলকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পরে পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীর পরিবার রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯(১) ধারায় মামলা করে। আসামি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে নগরীর লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার ইব্রাহিমা মাদ্রাসা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক বান্দাবাজার ছরোরবাড়ির বাসিন্দা হামিদের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ পেয়ে রাসেল জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। এলাকার মানুষ বিষয়টি টের পেয়ে রাসেলকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পরে পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীর পরিবার রাসেলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯(১) ধারায় মামলা করে। আসামি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ওই যুবকের বিরুদ্ধেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
১৮ অক্টোবর ২০২২
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম থেকে ‘৭টি’ অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ৭টি না আরও বেশি—তা নিয়েও চলছে তদন্ত। বিমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ—তিনটি সংস্থা আলাদাভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাত
১০ মিনিট আগে
লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিককে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাঁকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩১ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে
৪৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
শুনানিতে আজ বর্ষার আইনজীবী মাহমুদুল হাসান শহীদ তাঁর জামিন আবেদনের সময় আদালতকে বলেন, বর্ষা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি ঘটনার শিকার। হত্যাকাণ্ডে বর্ষা অংশগ্রহণ করেননি। তিনি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনা করার স্বার্থে তাঁকে জামিন দেওয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুনানি শেষে বর্ষার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার মাহুতটুলিতে পানির পাম্প গলির নুর বক্স লেনে একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।
মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী বর্ষা, মাহির রহমান ও ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি নুর বক্স লেনে রওশন ভিলায় বর্ষাকে পড়াতে যান। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকতকে ফোনে জানান, জোবায়েদ খুন হয়েছেন। জানার পরে বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ভবনের সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
শুনানিতে আজ বর্ষার আইনজীবী মাহমুদুল হাসান শহীদ তাঁর জামিন আবেদনের সময় আদালতকে বলেন, বর্ষা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি ঘটনার শিকার। হত্যাকাণ্ডে বর্ষা অংশগ্রহণ করেননি। তিনি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনা করার স্বার্থে তাঁকে জামিন দেওয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুদ্দোহা চৌধুরী সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, বর্ষার কারণেই খুন হয়েছেন জোবায়েদ। বর্ষা ও ‘তাঁর প্রেমিক’ মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নাল খুনের দায় স্বীকার করে গত ২১ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুনানি শেষে বর্ষার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার মাহুতটুলিতে পানির পাম্প গলির নুর বক্স লেনে একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।
মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী বর্ষা, মাহির রহমান ও ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি নুর বক্স লেনে রওশন ভিলায় বর্ষাকে পড়াতে যান। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকতকে ফোনে জানান, জোবায়েদ খুন হয়েছেন। জানার পরে বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ভবনের সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান।

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ওই যুবকের বিরুদ্ধেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
১৮ অক্টোবর ২০২২
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম থেকে ‘৭টি’ অস্ত্র চুরির ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ৭টি না আরও বেশি—তা নিয়েও চলছে তদন্ত। বিমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ—তিনটি সংস্থা আলাদাভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাত
১০ মিনিট আগে
লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিককে অপহরণ করে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাঁকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩১ মিনিট আগে
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাসেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁকে নগরীর লবণচরা থানাধীন বান্দাবাজার ইব্রাহিমা মাদ্রাসা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক বান্দাবাজার ছরোরবাড়ির বাসিন্দা হামিদের ছেলে।
৩৩ মিনিট আগে