আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’
আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন সময় চায়। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলো খনি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাশেদ কামাল জানান, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি খনিসংলগ্ন প্রভাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি গ্রামের জনগণকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ২০১৭ সালে জরিপের ফলে সাময়িক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, সে কারণে বর্তমানে এই ১২ গ্রামের জনগণ আবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্দোলন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলনের কারণে ওই ১২ গ্রামের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রতিনিধি ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণের জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাশেদ কামাল।
কয়লাখনির পাশের বৈগ্রাম, মোবারকপুর, রসুলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। কারও-বা ইটের ঘর আশঙ্কাজনকভাবে ফেটে গেছে। বাড়িঘরের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ির টিউবওয়েলেও মিলছে না পানি। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তাঁরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না। খনিতে মাইন বিস্ফোরণে মাটিতে কম্পন শুরু হলে রাতবিরাতে ঘর থেকে পরিবার-পরিজনসহ দৌড়ে বের হতে হয়। ৬-৭ বছর আগে একবার খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিলেও তার পর থেকে আর দেওয়া হয়নি। তাই দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির’ উদ্যোগে ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ভূমিহীনদের মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করা, এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে উত্তোলিত কয়লার শতকরা ৫ শতাংশ হারে উৎপাদন বোনাস।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞ দলকে গত ১৭ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারিখ নির্ধারিত না হলেও শিগগিরই তাঁদের আসার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দিলে, সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খনি সূত্র।
খনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বড়পুকুরিয়ার অধিগ্রহণ করা জিগাগাড়ি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও বর্তমানে জায়গা কিনে মোবারকপুর গ্রামে বসবাসরত গোলজার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা বেগম বলেন, ‘সামান্য যে জায়গাজমি ছিল, তা খনি অধিগ্রহণ করছে। স্বামীরা পাঁচ ভাই। ভাগে যে সামান্য টাকা পাইছি, তা দিয়া জায়গা কিনি বাড়ি করইতেই শেষ। ১২ বছর হয় এখানে বাড়ি করছি; কিন্তু সমস্যা মেটে নাই। বোম ফাটলে (খনিতে বিস্ফোরণ হলে) চমকি উঠি ঘর থাকি বাইর হইবার নাগে। শান্তিতে ঘুমাইতে পারি না। বাড়িও ফের ফাটি গেইছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। বহু সমস্যা নিয়া দিন পার করছি।’
হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাটির নিচে যখন বোম ফুটে তখন আমাদের এখানে মাটিগুলা কাঁপে। মনে হয় যে, ভূমিকম্প মনে হয় আইসলো। অনেক বাড়িঘর ফাটি গেছে। আমার বাড়ির দরজাটা পড়ে গেছে। মসজিদের দেয়াল ফাটি গেছে।’
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। খনি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আমরা তা মেনে নেব।’

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল টপকে দুই আসামি পালিয়েছে। তবে এর মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
৩৮ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগে গণভোট করার কোনো বাস্তবতা নেই, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার আহ্বান জানান তিনি।
৩৯ মিনিট আগে
কখনো গভীর রাতে, আবার কখনো দিনের আলোয় সংঘবদ্ধ চক্র নিঃশব্দে দরজা বা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে মূল্যবান মালামাল লুট করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত কিশোর-যুবক এসব অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে তারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
৪৪ মিনিট আগেভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার কলিজাকান্দা গ্রামের মজিবুর রহমান (৬০) ও তাঁর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫০)। তাঁরা গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় মোটরসাইকেলযোগে স্বামী-স্ত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন। ভালুকা উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে পৌঁছালে সরকার পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তাঁরা দুজনেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘাতক বাস ও মোটরসাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার কলিজাকান্দা গ্রামের মজিবুর রহমান (৬০) ও তাঁর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫০)। তাঁরা গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় মোটরসাইকেলযোগে স্বামী-স্ত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন। ভালুকা উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে পৌঁছালে সরকার পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে তাঁরা দুজনেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘাতক বাস ও মোটরসাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল টপকে দুই আসামি পালিয়েছে। তবে এর মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
৩৮ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগে গণভোট করার কোনো বাস্তবতা নেই, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার আহ্বান জানান তিনি।
৩৯ মিনিট আগে
কখনো গভীর রাতে, আবার কখনো দিনের আলোয় সংঘবদ্ধ চক্র নিঃশব্দে দরজা বা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে মূল্যবান মালামাল লুট করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত কিশোর-যুবক এসব অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে তারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
৪৪ মিনিট আগেখাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল টপকে দুই আসামি পালিয়েছে। তবে এর মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
পালিয়ে যাওয়া দুই আসামিরা হলেন খাগড়াছড়ি সদরের ইসলামপুর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪) এবং রামগড় উপজেলার সিলেটিপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন (২০)।
পুলিশ জানায়, খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দক্ষিণ পাশের দেয়াল ডিঙিয়ে হাজতি আসামি শফিকুল ইসলাম (২৪) ও হাজতি আসামি রাজিব হোসেন এরশাদ (২০) পালিয়ে যায়। আসামি রাজিব হোসেনকে জনতা খাগড়াছড়ি শহরের টিঅ্যান্ডটি গেট এলাকার সামনে থেকে আটক করতে পারলেও শফিকুল ইসলামকে এখনো আটক করা যায়নি।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে ব্যাপক তল্লাশি চলছে।

খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল টপকে দুই আসামি পালিয়েছে। তবে এর মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
পালিয়ে যাওয়া দুই আসামিরা হলেন খাগড়াছড়ি সদরের ইসলামপুর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪) এবং রামগড় উপজেলার সিলেটিপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন (২০)।
পুলিশ জানায়, খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দক্ষিণ পাশের দেয়াল ডিঙিয়ে হাজতি আসামি শফিকুল ইসলাম (২৪) ও হাজতি আসামি রাজিব হোসেন এরশাদ (২০) পালিয়ে যায়। আসামি রাজিব হোসেনকে জনতা খাগড়াছড়ি শহরের টিঅ্যান্ডটি গেট এলাকার সামনে থেকে আটক করতে পারলেও শফিকুল ইসলামকে এখনো আটক করা যায়নি।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে ব্যাপক তল্লাশি চলছে।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগে গণভোট করার কোনো বাস্তবতা নেই, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার আহ্বান জানান তিনি।
৩৯ মিনিট আগে
কখনো গভীর রাতে, আবার কখনো দিনের আলোয় সংঘবদ্ধ চক্র নিঃশব্দে দরজা বা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে মূল্যবান মালামাল লুট করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত কিশোর-যুবক এসব অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে তারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
৪৪ মিনিট আগেগাইবান্ধা প্রতিনিধি

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগে গণভোট করার কোনো বাস্তবতা নেই, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার আহ্বান জানান তিনি।
আজ রোববার গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গণঅধিকার পরিষদের এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে পরিপূর্ণ ইমেজের নেতাদের খুঁজে বের করে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা মনোনীত করছি। এরই অংশ হিসেবে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ব্যবসায়ী সুরুজ্জামান সরকারকে ট্রাক প্রতীকে মনোনীত করেছি। আপনারা তাঁকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।’
দলের রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গাইবান্ধা-৩ আসনের প্রার্থী সুরুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা হানিফ সজিব, ফারুক হাসান, আব্দুর রহমান, শামিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম সায়েম, সাদ্দাম হোসেন, আমিনুর রহমান, মোমিনুর রহমান, জুয়েল রানা, শরিফুল ইসলাম, নজরুল মাস্টার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এস এস মামুন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগে গণভোট করার কোনো বাস্তবতা নেই, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার আহ্বান জানান তিনি।
আজ রোববার গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গণঅধিকার পরিষদের এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে পরিপূর্ণ ইমেজের নেতাদের খুঁজে বের করে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা মনোনীত করছি। এরই অংশ হিসেবে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ব্যবসায়ী সুরুজ্জামান সরকারকে ট্রাক প্রতীকে মনোনীত করেছি। আপনারা তাঁকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।’
দলের রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গাইবান্ধা-৩ আসনের প্রার্থী সুরুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা হানিফ সজিব, ফারুক হাসান, আব্দুর রহমান, শামিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম সায়েম, সাদ্দাম হোসেন, আমিনুর রহমান, মোমিনুর রহমান, জুয়েল রানা, শরিফুল ইসলাম, নজরুল মাস্টার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এস এস মামুন।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল টপকে দুই আসামি পালিয়েছে। তবে এর মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
৩৮ মিনিট আগে
কখনো গভীর রাতে, আবার কখনো দিনের আলোয় সংঘবদ্ধ চক্র নিঃশব্দে দরজা বা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে মূল্যবান মালামাল লুট করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত কিশোর-যুবক এসব অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে তারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
৪৪ মিনিট আগেতারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা (বরগুনা)

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় হঠাৎ বেড়ে গেছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় সংঘটিত হচ্ছে এমন অপরাধ। কখনো গভীর রাতে, আবার কখনো দিনের আলোয় সংঘবদ্ধ চক্র নিঃশব্দে দরজা বা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে মূল্যবান মালামাল লুট করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত কিশোর-যুবক এসব অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে তারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হোগলাপাশা গ্রামে এক বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা করে।
ওই গ্রামের হাফেজ মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী শিউলী বেগম (৩৫) বলেন, ‘আমার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি। আমি দুই ও চার বছরের শিশুদের নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি দুজন লোক আমার বাচ্চাদের জিম্মি করেছে। তারা আলমারির চাবি চাইলে দেরি হওয়ায় আমার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয় এবং হাতে থাকা রড দিয়ে চোখে আঘাত করে। পরে চার ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
গত বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক প্রবাসীর ঘরে তালা ভেঙে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। এরও আগে ৪ নভেম্বর রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তিন ব্যবসায়ীকে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়। ২১ অক্টোবর চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল এলাকায় একই রাতে অন্তত আটটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। গত ১ আগস্ট রাতে সদর ইউনিয়ন পরিষদের দরজা ভেঙে কম্পিউটার ও প্রিন্টার চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। এ ছাড়া ৬ জুলাই পূর্ব হাতেমপুরে ইসমাইল হোসেনের গোয়ালঘর থেকে ছয়টি গরু চুরি যায়।
স্থানীয়রা জানান, বড় ধরনের চুরির ঘটনা ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো চুরি বা ছিনতাই হচ্ছে পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি হাটবাজারেও ‘শয়তানের নিশ্বাস’ (অচেতনকারী দ্রব্য) ব্যবহার করে নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অপরাধীরা। কিছু ঘটনার ভিডিও সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও এসব চক্রের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আয়শা বেগম বলেন, ‘রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম, সকালে দেখি দরজা খোলা, আলমারি ফাঁকা—সব নিয়ে গেছে।’
ঘন ঘন চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি স্বীকার করে পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। অভিযান চলছে, খুব দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় হঠাৎ বেড়ে গেছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় সংঘটিত হচ্ছে এমন অপরাধ। কখনো গভীর রাতে, আবার কখনো দিনের আলোয় সংঘবদ্ধ চক্র নিঃশব্দে দরজা বা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে মূল্যবান মালামাল লুট করছে। স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত কিশোর-যুবক এসব অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির অভাবে তারা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হোগলাপাশা গ্রামে এক বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা করে।
ওই গ্রামের হাফেজ মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে ঢুকে দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী শিউলী বেগম (৩৫) বলেন, ‘আমার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি। আমি দুই ও চার বছরের শিশুদের নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি দুজন লোক আমার বাচ্চাদের জিম্মি করেছে। তারা আলমারির চাবি চাইলে দেরি হওয়ায় আমার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয় এবং হাতে থাকা রড দিয়ে চোখে আঘাত করে। পরে চার ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
গত বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক প্রবাসীর ঘরে তালা ভেঙে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। এরও আগে ৪ নভেম্বর রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তিন ব্যবসায়ীকে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়। ২১ অক্টোবর চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল এলাকায় একই রাতে অন্তত আটটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। গত ১ আগস্ট রাতে সদর ইউনিয়ন পরিষদের দরজা ভেঙে কম্পিউটার ও প্রিন্টার চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। এ ছাড়া ৬ জুলাই পূর্ব হাতেমপুরে ইসমাইল হোসেনের গোয়ালঘর থেকে ছয়টি গরু চুরি যায়।
স্থানীয়রা জানান, বড় ধরনের চুরির ঘটনা ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো চুরি বা ছিনতাই হচ্ছে পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি হাটবাজারেও ‘শয়তানের নিশ্বাস’ (অচেতনকারী দ্রব্য) ব্যবহার করে নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অপরাধীরা। কিছু ঘটনার ভিডিও সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও এসব চক্রের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা আয়শা বেগম বলেন, ‘রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম, সকালে দেখি দরজা খোলা, আলমারি ফাঁকা—সব নিয়ে গেছে।’
ঘন ঘন চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি স্বীকার করে পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। অভিযান চলছে, খুব দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আশপাশের ১২ গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে গত ৬ নভেম্বর আবারও আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। তাঁদের এ ঘোষণার পর ৫ নভেম্বর খনি কর্তৃপক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানে ৪৫ দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি দ্রুতগতির বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার হাজির বাজার স্বপ্ন বিলাসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল টপকে দুই আসামি পালিয়েছে। তবে এর মধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
৩৮ মিনিট আগে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের আগে গণভোট করার কোনো বাস্তবতা নেই, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার আহ্বান জানান তিনি।
৩৯ মিনিট আগে