নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। সেই ষড়যন্ত্র রুখতে নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আয়োজন করেছেন সম্প্রীতির অভিযাত্রার।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংগঠনটি ‘আমার দেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ কর্মসূচির সূচনা পর্বের উদ্বোধন করেছে। এ সময় তাঁরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চান এবং নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
উদ্বোধনের সময় সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেছেন, ‘আজকে যখন আমি কথা বলছি, এই সময় আরও নয়টি জেলায় ১০টি জায়গায় একই সঙ্গে এই আয়োজন চলছে। এই উদ্দেশ্য নিয়ে সংস্কৃতি কর্মীরা মাঠে নেমেছে মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য। আগামী নভেম্বরের মধ্যে ৬৪ জেলা এবং উপজেলাগুলোতে সব সংস্কৃতি কর্মীরা নেমে পড়বে। কেন?
‘আমরা ১৯৯১ সালে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পরে দেশব্যাপী গণতন্ত্রের অভিযাত্রা করেছিলাম। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দেশব্যাপী অভিযাত্রা করেছিলাম। জাতির সংকটে সংস্কৃতিকর্মীরা কখনো নিশ্চুপ থাকেনি। সংস্কৃতিকর্মীরা সব সময় তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আজকে দ্বাদশ নির্বাচন সামনে। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হবে এটাই স্বাভাবিক।’
গোলাম কুদ্দুছ আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে দুটি দল দেখা যাচ্ছে। একদল বর্তমান সরকার ও তার মিত্ররা। তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চান এবং নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন নির্বাচন আয়োজনে। আরেক দল বিএনপি-জামাত চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
‘আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা মনে করি, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং আমরা তার পক্ষে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এটি কেবল ক্ষমতা পালা বদলের ষড়যন্ত্র নয় ৷ এটি দেশের আদর্শকে পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াবে সংস্কৃতিকর্মীরা।’
অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অধিভুক্ত সংগঠনগুলো সংস্কৃতিকর্মীদের এই সম্প্রীতির অভিযাত্রায় সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তাদের কথায় উঠে আসে, নির্বাচন এলেই একটি অশুভ শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সারা দেশের সংস্কৃতি কর্মীরা মাঠে নামবে।
এই অভিযাত্রায় সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিনু হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছিলাম একেবারে তরুণ। মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। দেশকে ভালোবেসে তখন অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। মাত্র দশ দিন ক্লাস করেছি। আমাদের বয়স হয়েছে। এখন এই প্রজন্মের তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে কোনো কথা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, সেটা সবার জানা। এটি হচ্ছে সম্প্রীতির বাংলাদেশ। কিন্তু কিছু লোক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষ্যে এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতি কর্মীরা কাজ করে যাবে।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহসভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরশাসকের নেতৃত্বে আমাদের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই দশক ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ চালিয়েছেন। আবার সেই অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা বিদেশি শক্তির সাহায্যে নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহ্কাম উল্লাহর স্বাগত বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আরও বক্তব্য রাখেন জোটের সহসভাপতি নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দে, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইকবাল খোরশেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ। সাংস্কৃতিক পর্বে লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছের গ্রন্থনায় ‘চাই সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শিরোনামে সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সংগীত পরিচালনায় ছিলেন আবিদা রহমান সেতু এবং নৃত্য পরিচালনায় ওয়াদা রিহাব। পরিবেশিত হয় মো. আহ্কাম উল্লাহর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় আবৃত্তি প্রযোজনা ‘সংস্কৃতির বাংলাদেশ’ এবং আবুল কালাম আজাদের রচনা ও দেবাশীষ ঘোষের নির্দেশনায় নাটক ‘ঠিকানা’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সারা দেশের ৬৪ জেলায় ধারাবাহিকভাবে একই কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। সেই ষড়যন্ত্র রুখতে নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা আয়োজন করেছেন সম্প্রীতির অভিযাত্রার।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংগঠনটি ‘আমার দেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ কর্মসূচির সূচনা পর্বের উদ্বোধন করেছে। এ সময় তাঁরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চান এবং নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
উদ্বোধনের সময় সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেছেন, ‘আজকে যখন আমি কথা বলছি, এই সময় আরও নয়টি জেলায় ১০টি জায়গায় একই সঙ্গে এই আয়োজন চলছে। এই উদ্দেশ্য নিয়ে সংস্কৃতি কর্মীরা মাঠে নেমেছে মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য। আগামী নভেম্বরের মধ্যে ৬৪ জেলা এবং উপজেলাগুলোতে সব সংস্কৃতি কর্মীরা নেমে পড়বে। কেন?
‘আমরা ১৯৯১ সালে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পরে দেশব্যাপী গণতন্ত্রের অভিযাত্রা করেছিলাম। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দেশব্যাপী অভিযাত্রা করেছিলাম। জাতির সংকটে সংস্কৃতিকর্মীরা কখনো নিশ্চুপ থাকেনি। সংস্কৃতিকর্মীরা সব সময় তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আজকে দ্বাদশ নির্বাচন সামনে। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হবে এটাই স্বাভাবিক।’
গোলাম কুদ্দুছ আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে দুটি দল দেখা যাচ্ছে। একদল বর্তমান সরকার ও তার মিত্ররা। তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চান এবং নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন নির্বাচন আয়োজনে। আরেক দল বিএনপি-জামাত চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
‘আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা মনে করি, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং আমরা তার পক্ষে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এটি কেবল ক্ষমতা পালা বদলের ষড়যন্ত্র নয় ৷ এটি দেশের আদর্শকে পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াবে সংস্কৃতিকর্মীরা।’
অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অধিভুক্ত সংগঠনগুলো সংস্কৃতিকর্মীদের এই সম্প্রীতির অভিযাত্রায় সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তাদের কথায় উঠে আসে, নির্বাচন এলেই একটি অশুভ শক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সারা দেশের সংস্কৃতি কর্মীরা মাঠে নামবে।
এই অভিযাত্রায় সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিনু হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছিলাম একেবারে তরুণ। মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। দেশকে ভালোবেসে তখন অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। মাত্র দশ দিন ক্লাস করেছি। আমাদের বয়স হয়েছে। এখন এই প্রজন্মের তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে কোনো কথা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, সেটা সবার জানা। এটি হচ্ছে সম্প্রীতির বাংলাদেশ। কিন্তু কিছু লোক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষ্যে এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতি কর্মীরা কাজ করে যাবে।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহসভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরশাসকের নেতৃত্বে আমাদের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই দশক ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ চালিয়েছেন। আবার সেই অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা বিদেশি শক্তির সাহায্যে নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহ্কাম উল্লাহর স্বাগত বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আরও বক্তব্য রাখেন জোটের সহসভাপতি নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দে, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইকবাল খোরশেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ। সাংস্কৃতিক পর্বে লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছের গ্রন্থনায় ‘চাই সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শিরোনামে সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সংগীত পরিচালনায় ছিলেন আবিদা রহমান সেতু এবং নৃত্য পরিচালনায় ওয়াদা রিহাব। পরিবেশিত হয় মো. আহ্কাম উল্লাহর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় আবৃত্তি প্রযোজনা ‘সংস্কৃতির বাংলাদেশ’ এবং আবুল কালাম আজাদের রচনা ও দেবাশীষ ঘোষের নির্দেশনায় নাটক ‘ঠিকানা’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সারা দেশের ৬৪ জেলায় ধারাবাহিকভাবে একই কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ’মতিন সরকারের বিরুদ্ধে ডজনখানেক হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র, মাদক আইনেও একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। জেলা ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদে
৪ মিনিট আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দেউলা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো: রাকিব ব্যাপারি ও একই উপজেলার টবগী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: তুহিন ফরাজীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাংগঠন
৫ মিনিট আগেশনিবার (২১ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে জহুরপুর বেলপাড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বিজিবি সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
২১ মিনিট আগেভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে