আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা

‘আর ভালো লাগে না। কুড়ি বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত, মামলা শেষ হয় না। একটি মিথ্যা ডাকাতি মামলার আসামি আমি। এটি লজ্জার। তারপরও মামলার রায় হয়ে গেলে যা হয় হবে। কিন্তু রায় হচ্ছে না। আর কতকাল হাজিরা দিতে হবে কে জানে?’
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ বিচারাধীন মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে আদালতের বারান্দায় আজকের পত্রিকাকে এ কথাগুলো বলেন রাজধানীর মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটে বসবাসকারী মো. মনির। তিনি জানান, মামলায় যখন তাঁকে আসামি করা হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৪, এখন ৫৪। এই বয়সে ছেলে-মেয়েদের সামনে আদালতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়া লজ্জাজনক।
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আড়ংয়ের লজিস্টিক কর্মকর্তা খন্দকার আশরাফ হোসেন ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালী স্কুল রোডের একটি চারতলা বাড়িতে ব্র্যাক-আড়ং লেদার ফ্যাক্টরিতে দুষ্কৃতকারীরা হামলা করে। তারা অস্ত্রের মুখে ৩৭ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। নেওয়ার সময় তারা ফ্যাক্টরির ইনচার্জ মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনসহ কর্মচারীদের মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়ে যান।
ওই মামলায় স্থানীয় টিটু, মনির ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিট থেকে দেখা যায়, মামলার তদন্তকালে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি পরিদর্শক মকফুবার রহমান। তদন্ত কর্মকর্তা ২৫ সালের ১৯ অক্টোবর আসামি মনির ও তাজ উদ্দিন আহমেদ টিটুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার নথি থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ১৪ বছরে এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। এরপর আর কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি।
মামলার নথি থেকে আরও দেখা যায়, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য শুধু তারিখের পর তারিখ নির্ধারণ করা হচ্ছে। বাকি সাক্ষীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে। কিন্তু সাক্ষী হাজির হচ্ছেন না। এমনকি সাক্ষীদের ঠিকানা সংশ্লিষ্ট থানা থেকে সাক্ষীদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদনও দাখিল করা হচ্ছে না।
ওই আদালতের বিশেষ পিপি ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া টিপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রতি ধার্য তারিখে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আদালত সাক্ষীদের প্রতি অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ সাক্ষীদের হাজির করে না। থানা-পুলিশ সাক্ষীদের অবস্থান সম্পর্কেও কিছু জানায় না। এই কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে মামলাটির দ্রুত শেষ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মামলার নথি থেকে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলের বাড়ির মালিক আদালতের সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন এ ধরনের কোনো ঘটনা তিনি জানেন না এবং কাউকে কোনো মালামাল লুণ্ঠন করতেও তিনি দেখেন নাই।
এই মামলাটি যে মিথ্যা তার প্রমাণ মামলার নথিতেই প্রমাণ আছে বলে জানিয়েছেন মনিরের আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, মামলার এজাহার অনুযায়ী ঘটনার সময় সকাল সাড়ে ১০টা। ঘটনাস্থল একটি ভবনের চারতলায়। ভবনের অন্যান্য তলায় লোকজন বসবাস করে। ওই ভবনে বাড়িওয়ালাও থাকেন। অথচ একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে যা কেউ জানে না।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, ঘটনার কয়েক দিন পর লুণ্ঠিত মালামাল পরিত্যক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলের পাশের একটি ফাঁকা জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলার নথিপত্রে দেখা যায়। ডাকাতি হলে সেই মালামাল ফাঁকা মাঠে পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েক দিন পড়ে থাকবে এটা বিশ্বাসযোগ্য কি না? এ থেকে স্পষ্ট হয় যে এটি একটি সাজানো মামলা। তারপরও মামলা ২০ বছর ধরে চলবে এটা তো হতে পারে না।’
কেন এই মামলা
মনির এ প্রসঙ্গে জানান, তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ভবনের নিচে তাঁর ভাঙারি (পুরোনো প্লাস্টিক, লোহালক্কড়ের) দোকান ছিল। এটা দিয়েই তিনি সংসার চালাতেন। ওই দোকান সরানোর জন্য ব্র্যাক-আড়ংয়ের কারখানার কর্মকর্তারা তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়। কেন তাঁর ভাঙারি দোকান সরানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর দোকান নাকি ভবনের পরিবেশ নষ্ট করছিল।

‘আর ভালো লাগে না। কুড়ি বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত, মামলা শেষ হয় না। একটি মিথ্যা ডাকাতি মামলার আসামি আমি। এটি লজ্জার। তারপরও মামলার রায় হয়ে গেলে যা হয় হবে। কিন্তু রায় হচ্ছে না। আর কতকাল হাজিরা দিতে হবে কে জানে?’
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ বিচারাধীন মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে আদালতের বারান্দায় আজকের পত্রিকাকে এ কথাগুলো বলেন রাজধানীর মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটে বসবাসকারী মো. মনির। তিনি জানান, মামলায় যখন তাঁকে আসামি করা হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৪, এখন ৫৪। এই বয়সে ছেলে-মেয়েদের সামনে আদালতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়া লজ্জাজনক।
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আড়ংয়ের লজিস্টিক কর্মকর্তা খন্দকার আশরাফ হোসেন ২০০৩ সালের ১১ নভেম্বর গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালী স্কুল রোডের একটি চারতলা বাড়িতে ব্র্যাক-আড়ং লেদার ফ্যাক্টরিতে দুষ্কৃতকারীরা হামলা করে। তারা অস্ত্রের মুখে ৩৭ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। নেওয়ার সময় তারা ফ্যাক্টরির ইনচার্জ মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনসহ কর্মচারীদের মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়ে যান।
ওই মামলায় স্থানীয় টিটু, মনির ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিট থেকে দেখা যায়, মামলার তদন্তকালে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি পরিদর্শক মকফুবার রহমান। তদন্ত কর্মকর্তা ২৫ সালের ১৯ অক্টোবর আসামি মনির ও তাজ উদ্দিন আহমেদ টিটুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার নথি থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ১৪ বছরে এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। এরপর আর কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি।
মামলার নথি থেকে আরও দেখা যায়, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য শুধু তারিখের পর তারিখ নির্ধারণ করা হচ্ছে। বাকি সাক্ষীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে। কিন্তু সাক্ষী হাজির হচ্ছেন না। এমনকি সাক্ষীদের ঠিকানা সংশ্লিষ্ট থানা থেকে সাক্ষীদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদনও দাখিল করা হচ্ছে না।
ওই আদালতের বিশেষ পিপি ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া টিপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রতি ধার্য তারিখে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আদালত সাক্ষীদের প্রতি অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ সাক্ষীদের হাজির করে না। থানা-পুলিশ সাক্ষীদের অবস্থান সম্পর্কেও কিছু জানায় না। এই কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে মামলাটির দ্রুত শেষ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মামলার নথি থেকে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলের বাড়ির মালিক আদালতের সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন এ ধরনের কোনো ঘটনা তিনি জানেন না এবং কাউকে কোনো মালামাল লুণ্ঠন করতেও তিনি দেখেন নাই।
এই মামলাটি যে মিথ্যা তার প্রমাণ মামলার নথিতেই প্রমাণ আছে বলে জানিয়েছেন মনিরের আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, মামলার এজাহার অনুযায়ী ঘটনার সময় সকাল সাড়ে ১০টা। ঘটনাস্থল একটি ভবনের চারতলায়। ভবনের অন্যান্য তলায় লোকজন বসবাস করে। ওই ভবনে বাড়িওয়ালাও থাকেন। অথচ একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে যা কেউ জানে না।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, ঘটনার কয়েক দিন পর লুণ্ঠিত মালামাল পরিত্যক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলের পাশের একটি ফাঁকা জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলার নথিপত্রে দেখা যায়। ডাকাতি হলে সেই মালামাল ফাঁকা মাঠে পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েক দিন পড়ে থাকবে এটা বিশ্বাসযোগ্য কি না? এ থেকে স্পষ্ট হয় যে এটি একটি সাজানো মামলা। তারপরও মামলা ২০ বছর ধরে চলবে এটা তো হতে পারে না।’
কেন এই মামলা
মনির এ প্রসঙ্গে জানান, তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ভবনের নিচে তাঁর ভাঙারি (পুরোনো প্লাস্টিক, লোহালক্কড়ের) দোকান ছিল। এটা দিয়েই তিনি সংসার চালাতেন। ওই দোকান সরানোর জন্য ব্র্যাক-আড়ংয়ের কারখানার কর্মকর্তারা তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়। কেন তাঁর ভাঙারি দোকান সরানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর দোকান নাকি ভবনের পরিবেশ নষ্ট করছিল।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৫ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১৯ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৩ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর ভালো লাগে না। কুড়ি বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত, মামলা শেষ হয় না। একটি মিথ্যা ডাকাতি মামলার আসামি আমি। এটি লজ্জার। তারপরও মামলার রায় হয়ে গেলে যা হয় হবে। কিন্তু রায় হচ্ছে না। আর কতকাল হাজিরা দিতে হবে কে জানে
১১ মার্চ ২০২৪
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৫ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১৯ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৩ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আর ভালো লাগে না। কুড়ি বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত, মামলা শেষ হয় না। একটি মিথ্যা ডাকাতি মামলার আসামি আমি। এটি লজ্জার। তারপরও মামলার রায় হয়ে গেলে যা হয় হবে। কিন্তু রায় হচ্ছে না। আর কতকাল হাজিরা দিতে হবে কে জানে
১১ মার্চ ২০২৪
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১৯ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৩ মিনিট আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

আর ভালো লাগে না। কুড়ি বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত, মামলা শেষ হয় না। একটি মিথ্যা ডাকাতি মামলার আসামি আমি। এটি লজ্জার। তারপরও মামলার রায় হয়ে গেলে যা হয় হবে। কিন্তু রায় হচ্ছে না। আর কতকাল হাজিরা দিতে হবে কে জানে
১১ মার্চ ২০২৪
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৫ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৩ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আর ভালো লাগে না। কুড়ি বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত, মামলা শেষ হয় না। একটি মিথ্যা ডাকাতি মামলার আসামি আমি। এটি লজ্জার। তারপরও মামলার রায় হয়ে গেলে যা হয় হবে। কিন্তু রায় হচ্ছে না। আর কতকাল হাজিরা দিতে হবে কে জানে
১১ মার্চ ২০২৪
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৫ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
১৯ মিনিট আগে