Ajker Patrika

সাভারে ডিবির অভিযানে ডাকাতির ২৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ডাকাতির প্রায় ২৪ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ, সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশ চন্দ্র রায়।

জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট সকালে তাঁতীবাজারের সুমন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন তাঁর বাসা থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ১৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাঁর গাড়িটি অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হাতিরঝিলের কাছাকাছি পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জন ডাকাত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের গাড়ির গতি রোধ করে। এরপর তারা গাড়িতে থাকা সমস্ত স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মনির হোসেন তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১০ থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকজন আসামি আদালতে জবানবন্দিতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার রাতে সাভার নামাবাজারের স্বর্ণপট্টি থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গণেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সঞ্জিৎ শিল্পালয় থেকে ২৩ ভরি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণেশ জানিয়েছেন, ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণসহ বাকি স্বর্ণ তিনি সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করেছিলেন।

সঞ্জিৎ শিল্পালয়ের মালিক সঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমি গণেশের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে গলানো স্বর্ণ কিনেছি। স্বর্ণগুলো ডাকাতি করে আনা কি না তা আমার জানা ছিল না। গণেশ বাজারের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সরল বিশ্বাসে তাঁর কাছ থেকে এসব স্বর্ণ কিনেছিলাম।’

তবে বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকে বলেন, বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়ার কারণে সঞ্জিৎ ঘোষ ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব স্বর্ণ কেনাবেচা করে তিনি বিপুল অর্থবৈভবের মালিক হয়েছেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারি জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম বলেন, ‘গণেশ সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেন, যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পরই তিনি ডাকাতির ৭৫ ভরি স্বর্ণ সঞ্জিৎ শিল্পালয়ে বিক্রি করার কথা জানান। এ কাজে তাঁকে সহায়তা করেন সাভার পৌর স্বর্ণ ও রৌপ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সহকারী ইমন ঘোষ।’

ফজলুল করিম আরও বলেন, ‘খুব শিগগিরই লুট হওয়া বাকি স্বর্ণ উদ্ধারের পাশাপাশি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাগদান সারলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ, কনে বাগছাসের নেত্রী

দেড় বছরে পুলিশের যে ক্ষতি হয়েছে, ৫০ বছরেও পুনরুদ্ধার কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা

আবাসিক হোটেলে তিন বন্ধু, মিলল একজনের লাশ

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা আনতে যে ৮ পরামর্শ দিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

জাপাকে যে দোষ দেওয়া হচ্ছে, তার বড় ভাগীদার বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত