আল-আমিন রাজু, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর হাজি রোডে ঝিলপাড় বস্তি এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মুক্তা আক্তার ও মিজানুর রহমান দম্পতি এবং মুক্তার আগের ঘরের সাত বছরের মেয়ে লিমা। হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে এখন নানির কাছে এই দম্পতির সাত মাসের সন্তান হোসাইন।
মুক্তা ও তাঁর সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনিক (২০) নামের এক তরুণ। তাঁরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে আজ শুক্রবার দুপুরে গিয়ে পাওয়া যায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনদের।
অনিকের মামাতো ভাই আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনিক নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তাঁরা ছয় ভাই, দুই বোন। অনিক ভাইদের মধ্যে ষষ্ঠ। মিরপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের চম্পা হিজড়া। কার জন্য অপেক্ষা করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো আত্মীয় না হলেও অনিক আমাদের সবার ভাইয়ের মতো ছিল। ভাই হিসেবে দেখতাম। তার লাশ নিতে এসেছি। আমাদের রক্তের সম্পর্ক না হলেও ছোট ভাই ছিল।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে নেত্রকোনা থেকে ছুটে এসেছেন অনিকের বাবা বাবুল মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার আট সন্তান। ছয় ছেলে, দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে সবার ছোট অনিক। মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও কথা হয়েছে। এরপর শুনি এই ঘটনা।’
অনিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন তাঁর মামাতো-ফুপাতো ভাইসহ আরও কয়েকজন স্বজন। তাঁরা জানান, পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ছয়-সাত বছর আগে ঢাকায় আসেন অনিক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করেছেন। দুই বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে অনিকের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। কিছুদিন আগে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। তাঁর আজ শুক্রবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল।
প্রতিবেশী হিজড়ারা জানান, পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেছিলেন অনিক। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ঝিলপাড় বস্তিতে। কিন্তু সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। স্ত্রীর কারণে পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না। ঢাকায় ভাড়ায় চালাতেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নানা বিষয়ে কলহ লেগেই থাকত। গত বুধবার স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। গতকাল বৃহস্পতিবারই অনিক ডিভোর্সের চিঠি পান। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর ভাড়া বাসা ছেড়ে রিকশার গ্যারেজের একটি কক্ষে উঠেছিলেন অনিক।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তার পাশের দোকানে বসে ছিলেন অনিক। রাস্তায় দুই শিশুসহ দম্পতিকে বিদ্যুতায়িত হতে দেখে ছুটে যান তিনি। কিন্তু পানি থেকে আর উঠতে পারেননি। বিদ্যুতায়িত হয়ে সেখানেই প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বাড়িতে মায়ের কাছে যাওয়ার কথা ছিল অনিকের। হাসপাতালের মর্গে আসা বৃষ্টি হিজড়াকেও বলেছিলেন বাড়িতে যাওয়ার কথা। বাড়ি ফেরার কথা বলেছিলেন বাবাকেও।
রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর হাজি রোডে ঝিলপাড় বস্তি এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মুক্তা আক্তার ও মিজানুর রহমান দম্পতি এবং মুক্তার আগের ঘরের সাত বছরের মেয়ে লিমা। হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে এখন নানির কাছে এই দম্পতির সাত মাসের সন্তান হোসাইন।
মুক্তা ও তাঁর সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনিক (২০) নামের এক তরুণ। তাঁরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে আজ শুক্রবার দুপুরে গিয়ে পাওয়া যায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনদের।
অনিকের মামাতো ভাই আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনিক নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তাঁরা ছয় ভাই, দুই বোন। অনিক ভাইদের মধ্যে ষষ্ঠ। মিরপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের চম্পা হিজড়া। কার জন্য অপেক্ষা করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো আত্মীয় না হলেও অনিক আমাদের সবার ভাইয়ের মতো ছিল। ভাই হিসেবে দেখতাম। তার লাশ নিতে এসেছি। আমাদের রক্তের সম্পর্ক না হলেও ছোট ভাই ছিল।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে নেত্রকোনা থেকে ছুটে এসেছেন অনিকের বাবা বাবুল মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার আট সন্তান। ছয় ছেলে, দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে সবার ছোট অনিক। মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও কথা হয়েছে। এরপর শুনি এই ঘটনা।’
অনিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন তাঁর মামাতো-ফুপাতো ভাইসহ আরও কয়েকজন স্বজন। তাঁরা জানান, পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে ছয়-সাত বছর আগে ঢাকায় আসেন অনিক। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করেছেন। দুই বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে অনিকের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। কিছুদিন আগে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। তাঁর আজ শুক্রবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল।
প্রতিবেশী হিজড়ারা জানান, পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেছিলেন অনিক। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ঝিলপাড় বস্তিতে। কিন্তু সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। স্ত্রীর কারণে পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না। ঢাকায় ভাড়ায় চালাতেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নানা বিষয়ে কলহ লেগেই থাকত। গত বুধবার স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। গতকাল বৃহস্পতিবারই অনিক ডিভোর্সের চিঠি পান। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর ভাড়া বাসা ছেড়ে রিকশার গ্যারেজের একটি কক্ষে উঠেছিলেন অনিক।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তার পাশের দোকানে বসে ছিলেন অনিক। রাস্তায় দুই শিশুসহ দম্পতিকে বিদ্যুতায়িত হতে দেখে ছুটে যান তিনি। কিন্তু পানি থেকে আর উঠতে পারেননি। বিদ্যুতায়িত হয়ে সেখানেই প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বাড়িতে মায়ের কাছে যাওয়ার কথা ছিল অনিকের। হাসপাতালের মর্গে আসা বৃষ্টি হিজড়াকেও বলেছিলেন বাড়িতে যাওয়ার কথা। বাড়ি ফেরার কথা বলেছিলেন বাবাকেও।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে