Ajker Patrika

দেড় দশকে পুলিশের যে ক্ষতি হয়েছে, ৫০ বছরেও পুনরুদ্ধার কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৫
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত

দেড় বছরে পুলিশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আগামী ৫০ বছরেও পুনরুদ্ধার করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, বিগত দেড় দশকে পুলিশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আগামী ৫০ বছরেও পুনরুদ্ধার করা কঠিন।

আজ শনিবার বিকেলে ডেইলি স্টারের উদ্যোগে রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত ‘পুলিশ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা: নাগরিক সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

গোলটেবিল আলোচনায় পুলিশ, আমলা, রাজনীতিক, নাগরিক সমাজ ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

আলোচনায় সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ সংস্কারের অনেক সুযোগ এসেছে, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগানো যায়নি। সমাজে গা-ছাড়া ভাব থাকলে সংস্কার সম্ভব নয়। বিগত দেড় দশকে পুলিশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আগামী ৫০ বছরেও পুনরুদ্ধার করা কঠিন। পুলিশ আইন-১৮৬১ এখনো পরিবর্তন হয়নি, কারণ কেউ কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।

আইজিপি নুরুল হুদা কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, এবারের কমিশন সবচেয়ে হোপলেস এবং ইনইফেকটিভ, তারা পুলিশ সমস্যার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেনি। আইজিপির ওপর কোনো সীমারেখা নেই, যার ফলে কেউ যা চায় করাতে পারে। পুলিশের তদন্ত ক্ষমতা নির্বাহী বিভাগের ছায়া থেকে বের করতে না পারলে কিছুই সম্ভব নয়। সংস্কারের জন্য পুলিশের ওপর থেকে নির্বাহী ক্ষমতা হ্রাস করতে হবে। লোক দেখানো সংস্কার নয়, আন্তরিকতা ও মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘পুলিশ সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আইজিপির বক্তব্য শুনে মনে হয়, ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন পরিবর্তন করলেই পুলিশ সংস্কার হয়ে যাবে। তবে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও আইনের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি জনবান্ধব স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন জরুরি।’

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ঐকমত্য কমিশনে পুলিশ সংস্কার নিয়ে আলোচনা খুব কম হয়েছে। অনেক সংস্কার আইনের মাধ্যমে করা সম্ভব, তবে পুলিশ কমিশনের প্রতিবেদনে পেশাদারত্ব, দায়বদ্ধতা ও নৈতিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার দিকটি উপেক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারের জন্য ডজনের বেশি কমিশন গঠন করা হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন পুলিশ কমিশন বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন অগ্রাধিকার পেয়েছে।

স্বাধীন পুলিশ কমিশনের গঠন সম্পর্কে মজুমদার জানান, এটি ৯ সদস্যের হবে, যার মধ্যে দুজন নারী থাকবেন, প্রধান একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হবেন। অন্য সদস্যরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এটি সাংবিধানিক কমিশন নয়, বরং একটি স্বাধীন প্রাতিষ্ঠানিক কমিশন।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে বদিউল আলম বলেন, সাংবিধানিক কমিশন হলেও তা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। তাই পুলিশ কমিশন আইনের মাধ্যমে গঠিত হবে, যা জনবান্ধব পুলিশ নিশ্চিত করবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও মানসিকতার পরিবর্তন না হলে আইনকানুন ও বিধিবিধান করে লাভ হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন ও বিধিবিধান থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়নি। সুতরাং, প্রথমেই রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন জরুরি।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে ভিন্ন ধরনের জবাবদিহি প্রয়োজন। লাশ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের খরচ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহন করেন, পুলিশ নয়। এই প্রক্রিয়া পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। পুলিশ সংস্কার তিনটি পর্যায়ে সুপারিশ করেছে—কিছু বিষয় এখনই সংস্কার করতে হবে, কিছু মধ্যবর্তী সময়ে এবং কিছু দীর্ঘ মেয়াদে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, অতীতে পুলিশ সংস্কারের জন্য যে কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে, তার প্রতিবেদন একটি লাইব্রেরি তৈরি করতে পারত। এবারও ৬টি কমিশন হয়েছে, ৫টির আলোচনা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ সংস্কার কমিশন নিয়ে হয়নি। তবে সব রাজনৈতিক দল স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত। পুলিশ ও জনগণের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা যেতে পারে। রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করতে এবং জনগণের বন্ধু হতে পুলিশের মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, রাজনৈতিক সরকারের আমলে পুলিশের অপব্যবহার হয়েছে এবং হচ্ছে। হেফাজতে মৃত্যুসংক্রান্ত আইন থাকলেও পুলিশ প্রতিবছর এ আইনের পরিবর্তন চায়।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ২০০৬ সাল থেকে পুলিশ সংস্কারের চেষ্টা চলছে, ২০০৭ সালের প্রতিবেদন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পুলিশের কার্যক্রমে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা জরুরি। পুলিশ যেন নির্ধারণ করতে পারে, কাকে গ্রেপ্তার বা কারাগারে পাঠাবে; সেটা অন্য কেউ করতে পারবে না।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মোবারক হোসেন বলেন, পুলিশকে মারণাস্ত্র দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। একটি স্বাধীন কমিশন প্রয়োজন, সঙ্গে নৈতিক ও ধর্মীয় প্রশিক্ষণ থাকা দরকার।

ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, পুলিশের অপব্যবহার রাজনৈতিক কারণে হয়েছে। পুলিশ নিজের ইচ্ছায় এটি করেনি, আদেশ অনুযায়ী করেছে। পুলিশকে ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে একটি সুসংগঠিত নীতিমালা ও স্বাধীন কমিশন প্রয়োজন।

সাবেক বিচারপতি ফরিদ আহম্মেদ বলেন, যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে, তারা পুলিশ সংস্কার করেনি। এখন সুযোগ এসেছে, তাই এটি কাজে লাগানো জরুরি। পুলিশের নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং মামলাবাণিজ্য ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মতিউর রহমান শেখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংসদ নির্বাচন: নোয়াখালীতে বিএনপির ৪ প্রবীণের সঙ্গে ২ নবীন

  • নোয়াখালী ১-৪ পর্যন্ত আগের প্রার্থীদের বহাল রেখেছে বিএনপি
  • সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে নেমেছে জামায়াত
নোয়াখালী প্রতিনিধি
(ওপরে বাঁ থেকে) বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (নিচে বাঁ থেকে) ইসহাক খন্দকার, বোরহান উদ্দিন ও আবদুল হান্নান মাসউদ।
(ওপরে বাঁ থেকে) বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (নিচে বাঁ থেকে) ইসহাক খন্দকার, বোরহান উদ্দিন ও আবদুল হান্নান মাসউদ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নোয়াখালীর ছয়টি আসনের সব কটিতেই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত। আলোচনায় আছেন এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব হারুন অর রশিদ আজাদ জানান, ৬টি আসনের মধ্যে ১-৪ পর্যন্ত আগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নোয়াখালী-৫ ও নোয়াখালী-৬ আসনে নতুন মুখ এসেছে। জেলা জামায়াতের প্রচার বিভাগের সদস্য মো. আবু তাহের জানান, ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন নেতা-কর্মীরা।

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এটি বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন মাহবুব উদ্দিন খোকন। জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য ছাইফ উল্যাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রবাসীকল্যাণ উপকমিটির সদস্য জহিরুল ইসলাম। ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭২২।

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। এটিও ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। এখানে পাঁচবার বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা শাখার নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমেদ। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলটির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান। এনসিপির প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন যুগ্ম সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮৬।

নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এটি বিএনপির দখলে ছিল। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বুলু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন। ইসলামী আন্দোলন থেকে আলোচনায় আছেন জেলা উত্তরের সদস্য নূর উদ্দিন আমানতপুরি। আসনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৫ হাজার ২৫৩ জন।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা দক্ষিণের সহসভাপতি মাওলানা ফিরোজ আহমেদ। গণঅধিকার পরিষদ থেকে নির্বাচন করতে পারেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুস জাহের। আসনটিতে মোট ভোটার ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭১৬ জন।

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনটি একসময় হেভিওয়েট নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দখলে ছিল। এবার সেখানে নতুন মুখ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন। ইসলামী আন্দোলন থেকে আলোচনায় আছেন কবিরহাট উপজেলার সভাপতি মাওলানা আবু তাহের। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৯ জন।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিএনপির নতুন মুখ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে) মাহবুবের রহমান শামিম। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শাহবাগ থানা পশ্চিমের আমির শাহ মাহফুজুল হক। এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৩।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রমনায় সেন্ট মেরি’স গির্জার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রমনায় সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল চার্চ লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গির্জা কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার সকালে গির্জা প্রাঙ্গণে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে সেখানে। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে গির্জার সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং আরেকটি ককটেল ভেতরে নিক্ষেপ করা হলেও তা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করে।

সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত আলবার্ট রোজারিও বলেন, ‘আগামীকাল অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন গির্জা থেকে প্রায় ৬০০ অতিথির অংশ নেওয়ার কথা। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলছি, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মাজহারুল ইসলাম জানান, গির্জা লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়েছে, অপরটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ নিরাপত্তা ও তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে গির্জা এলাকা কয়েকজন পুলিম মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে জাটকা লুট: আগেই মাছ সরিয়ে ফেলার অভিযোগ স্টাফদের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জাটকা হরিলুট হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জাটকা হরিলুট হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাটকা হরিলুট হয়। এ সময় শত শত মানুষ কার্যালয়ে ঢুকে জব্দ করা মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য প্রতিরোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অভিযোগ উঠেছে, মৎস্য কর্মকর্তারা বেশ কয়েক কার্টন জাটকা সরিয়ে রেখে অল্প কিছু বিতরণ করতে যান, তখন হট্টগোল বাধে। এরপর সেখানে ঘণ্টাধিক সময় চরম বিশৃঙ্খলা চলে। এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা ও স্টাফরা গেট আটকে নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, উদ্ধার করা মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণকালে কিছু জাটকা লুট হয়েছে, কিন্তু স্টাফরা মাছ সরিয়ে ফেলেছে—এমনটা সত্য নয়।

গতকাল রাত ৯টার দিকে হঠাৎ মৎস্য অধিদপ্তরের মধ্যে হইচই শুরু হয়। কয়েকজন আনসার হুইসেল দিয়ে থামানোর চেষ্টা করলেও শত শত মানুষ মৎস্য অফিসে ঢুকে পড়েন। সরেজমিনে দেখা যায়, জাটকার কার্টুন নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। চলে নিজেদের মধ্যে মারামারি। অদূরে গ্যারেজের পাশে মৎস্য অফিসের কয়েকজন স্টাফ জাটকাভর্তি অন্তত তিনটি কার্টন ধরে রাখেন। একপর্যায়ে এক কার্টনভর্তি জাটকা লুট করে নিয়ে যায় উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘটনাস্থলে কিছু নারী ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক নারী জানান, তারা প্রতারক। সব মাছ নিজেরা নিয়ে অল্প কিছু অফিসের সামনে রেখে গেট খুলে দিয়েছে। এরপর শত শত সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।

আমিন হাওলাদার নামের একজন বলেন, ‘মাছ ছিল ১০-১২ কার্টন। কিন্তু এক কার্টনের মাছ বণ্টন করতে গেট খুলে দিলে হরিলুট শুরু হয়। তাদের থামাতে আনসারেরা চেষ্টা করেও পারেনি।

জাটকা নিতে আসা নগরের বদ্ধপাড়ার গৃহিণী নীহারিকা মণ্ডল বলেন, ‘একটা জাটকাও পাইনি। সব লুট হয়েছে। স্যারেরা পেছনে কার্টন ভর্তি করে রেখেছেন।’

মহসীন মিয়া নামের শেরেবাংলা সড়কের যুবক বলেন, কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজনকে বস্তা ভরে জাটকা দিয়েছে; কিন্তু গরিবেরা দাঁড়িয়ে থেকেও পায়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জাটকা হরিলুট হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জাটকা হরিলুট হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কামরুল হাসানকে এ বিষয়ে জানতে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আমি অভিযান করতে নিষেধ করেছিলাম, তারপরও করেছে। আমতলীতেও এভাবে মাছ লুট হয়েছিল। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসানের নেতৃত্বে অফিসের সামনেই বাস থামিয়ে অভিযান চলে। এ সময় বেশ কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়।’ তবে কী পরিমাণ মাছ উদ্ধার হয়েছে, তা জানাতে পারেননি তিনি।

মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি আরও বলেন, কিছু মাছ লোকজন নিয়েছে। সেখানে চারজন আনসার ছিল। স্টাফরা মাছ সরাননি। যারা বলেছে, তারা গুজব ছড়িয়েছে। স্টাফদের জাটকা নেওয়ার সুযোগ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে ৫১৩ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে ৫১৩ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে ৫১৩ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটে ৫১৩ বস্তা অবৈধ ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার রাতে সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার নগরীর কোতোয়ালি থানার কালীঘাট আমজাদ আলী রোডের পেঁয়াজপট্টি এলাকার বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দোকানে তল্লাশি করে মোট ৫১৩ বস্তায় ২৫ হাজার ৬৫০ কেজি অবৈধ ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ করা হয়।

যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় পলাতক এজাহারভুক্ত ছয়জন এবং অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত