Ajker Patrika

হান্নান মাসউদের সেই রাব্বিসহ ৫ জন চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাইফুল ইসলাম রাব্বিসহ (ডান থেকে দ্বিতীয় জন) পাঁচজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাইফুল ইসলাম রাব্বিসহ (ডান থেকে দ্বিতীয় জন) পাঁচজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি হাসপাতালে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।

যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন এনসিপির ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর থানার যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বি, তাঁদের সহযোগী হাবিবুর রহমান ফরহাদ, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও মো. শাহিন হোসেন।

তাঁদের মধ্যে রাব্বিকে এর আগে ‎ধানমন্ডি এলাকায় ‘মব’ তৈরি করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে আটক করে ধানমন্ডি মডেল থানায় নেওয়া হয়েছিল। সে সময় রাব্বিকে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হান্নান মাসউদ।

বিকেলে এই পাঁচজনকে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. নাজমুল ইসলাম প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চাঁদাবাজির অভিযোগে সেইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শিল্পী আক্তার আজ মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, অভিযুক্ত শাহিন ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের সেইফ হাসপাতালে এসে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীর বাচ্চার অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রসবের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে অন্য হাসপাতালে যেতে বললেও তিনি ফের অনুরোধ করেন, যেভাবে হোক এখানে প্রসবের ব্যবস্থা করা হোক। তখন কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে সব কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে প্রসবের কাজ শুরু করে এবং তা চলমান থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে একটি মৃত ছেলেসন্তান প্রসব হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহিন বাচ্চা মারা যাওয়ার কারণে মামলা না করার জন্য হাসপাতালের মালিকের ছেলে মো. আবু সাঈদের কাছে ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ২টার দিকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা সাঈদকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। ভয়ে আসামিদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন বাদী। তাঁরা চাঁদা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান এবং অবশিষ্ট টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে বলেন। এরপর তাঁরা বিভিন্ন সময় ফোন করে টাকা দাবি ও অন্যথায় মামলার হুমকি দেন। সর্বশেষ গতকাল রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আসামিরা আরও এক লাখ টাকা নেন এবং বাকি টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃত্ব হারাল পরিচালনা পর্ষদ

৪ দিন ধরে পুলিশ ফাঁড়িতে আটক যুবকের মৃত্যু, ইনচার্জ গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ি সহিংসতা: ‘ভুয়া ধর্ষণ’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন হান্নান মাসউদ

টিকটকে পরিচয়, মোবাইল উপহার দিতে ডেকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বিসিবিতে কাজ করতে আগ্রহী ওয়াসিম আকরাম, তবে...

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত