আজকের পত্রিকা ডেস্ক

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
আগের দিনের সহিংসতায় গুইমারায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ওই ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেনি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা থেকে ১৪৪ ধারা তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
এদিকে, আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে সদর বিজিবি সেক্টর। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ৯ প্লাটুন বিজিবি খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও দুই প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনজনের লাশ হস্তান্তর
রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, গুইমারার ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলীপাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেংগুলিপাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের আহম্মেদ জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহিংসতায় আহত আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধানী। তাঁদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিরা খাগড়াছড়ির হাসপাতালে।
বাজারজুড়ে পোড়া ক্ষত
গুইমারার রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমুখে এবং গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গতকাল সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল। রামসু বাজারজুড়ে ছিল পোড়া ক্ষত। আগের দিনের সহিংসতায় বাজারের বহু দোকান ও আশপাশের কিছু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ব্যবসায়ী কংলাপ্রু মারমার। তিনি বলছিলেন, ‘সহিংসতা আর নিতে পারছি না। সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রামসু বাজারে হলুদের ব্যবসা করেন ঝন্টু পাল ও পরেশ পালের। আগুনে তাঁদের গুদাম ও মজুত পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা বলে দাবি তাঁদের। ‘সারা জীবনের সঞ্চয় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল’—কাঁপা গলায় বললেন পরেশ পাল।
রাজুসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রোববার যা ঘটেছিল
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় গত মঙ্গলবার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে ওই ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শনিবার খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তবে এর মধ্যেই গুইমারার রামসু বাজারে গতকাল রোববার সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন তিনজন। সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ১৩ সদস্য এবং পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। আগুন দেওয়া হয় রামসু বাজারের অনেক দোকানপাট ও বাড়িঘরে।
এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও তাদের সহযোগী সংগঠন জড়িত বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গতকাল তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার খাগড়াছড়ি পৌরসভায় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হলে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারারাত ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দাঙ্গা বাধাতে ব্যর্থ হলে ইউপিডিএফ ও তাদের অঙ্গসংগঠন রোববার সকাল থেকে গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউপিডিএফ কর্মীরা স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন অফিসারসহ ১০ সেনাসদস্য আহত হন।
বান্দরবান ও রাঙামাটিতে অবরোধে সাড়া নেই
রোববারের সহিংসতার পর আট দফা দাবিতে খাগড়াছড়ির পাশাপাশি বান্দরবান, রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। তবে খাগড়াছড়ির বাইরে অন্য দুই জেলায় অবরোধের প্রভাব তেমন পড়েনি। তবে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকেও কয়েকটি সড়কে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার সাতটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান শহরের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা তাঁদের গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের স্বাভাবিক আনাগোনা দেখা গেছে। দোকানপাটও খোলা রয়েছে।
ঢাকাগামী ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের মালিক ইয়াছিন হাকিম বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে গাড়ি ছেড়ে গেছে। জেলায় কোনো অবরোধ নেই।’
এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জেলার হোটেল-মোটেলগুলোতে যথারীতি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। পূজা ও পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে জেলায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বান্দরবানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জেলায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের কোনো খবর নেই।’
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, আজ দুপুর ১২টা থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ কর্মসূচি শিথিল ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে। তবে এই দুই সড়ক ছাড়া জেলার বাকি সড়ক খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়ক অবরোধ চলবে।
অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই দুই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মানিকছড়ির সিএনজিচালক রাশেদ বলেন, ‘সকাল থেকে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বেলা ৩টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর আমরা ফটিকছড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছি।’
অভিযোগ অস্বীকার ইউপিডিএফের
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় গত শনি ও রোববারের ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনীর দেওয়া বক্তব্য ঠিক নয় বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা। বিবৃতিতে বলা হয়, যারা অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা ইউপিডিএফের কেউ নয়। দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশ্যেই তারা ওই কাজ করে।
বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত হামলা তদন্তের জন্য জাতিসংঘের অংশগ্রহণে একটি উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় ইউপিডিএফ।

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
আগের দিনের সহিংসতায় গুইমারায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ওই ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেনি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা থেকে ১৪৪ ধারা তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
এদিকে, আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে সদর বিজিবি সেক্টর। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ৯ প্লাটুন বিজিবি খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও দুই প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনজনের লাশ হস্তান্তর
রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, গুইমারার ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলীপাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেংগুলিপাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের আহম্মেদ জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহিংসতায় আহত আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধানী। তাঁদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিরা খাগড়াছড়ির হাসপাতালে।
বাজারজুড়ে পোড়া ক্ষত
গুইমারার রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমুখে এবং গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গতকাল সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল। রামসু বাজারজুড়ে ছিল পোড়া ক্ষত। আগের দিনের সহিংসতায় বাজারের বহু দোকান ও আশপাশের কিছু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ব্যবসায়ী কংলাপ্রু মারমার। তিনি বলছিলেন, ‘সহিংসতা আর নিতে পারছি না। সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রামসু বাজারে হলুদের ব্যবসা করেন ঝন্টু পাল ও পরেশ পালের। আগুনে তাঁদের গুদাম ও মজুত পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা বলে দাবি তাঁদের। ‘সারা জীবনের সঞ্চয় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল’—কাঁপা গলায় বললেন পরেশ পাল।
রাজুসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রোববার যা ঘটেছিল
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় গত মঙ্গলবার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে ওই ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শনিবার খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তবে এর মধ্যেই গুইমারার রামসু বাজারে গতকাল রোববার সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন তিনজন। সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ১৩ সদস্য এবং পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। আগুন দেওয়া হয় রামসু বাজারের অনেক দোকানপাট ও বাড়িঘরে।
এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও তাদের সহযোগী সংগঠন জড়িত বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গতকাল তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার খাগড়াছড়ি পৌরসভায় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হলে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারারাত ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দাঙ্গা বাধাতে ব্যর্থ হলে ইউপিডিএফ ও তাদের অঙ্গসংগঠন রোববার সকাল থেকে গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউপিডিএফ কর্মীরা স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন অফিসারসহ ১০ সেনাসদস্য আহত হন।
বান্দরবান ও রাঙামাটিতে অবরোধে সাড়া নেই
রোববারের সহিংসতার পর আট দফা দাবিতে খাগড়াছড়ির পাশাপাশি বান্দরবান, রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। তবে খাগড়াছড়ির বাইরে অন্য দুই জেলায় অবরোধের প্রভাব তেমন পড়েনি। তবে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকেও কয়েকটি সড়কে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার সাতটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান শহরের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা তাঁদের গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের স্বাভাবিক আনাগোনা দেখা গেছে। দোকানপাটও খোলা রয়েছে।
ঢাকাগামী ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের মালিক ইয়াছিন হাকিম বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে গাড়ি ছেড়ে গেছে। জেলায় কোনো অবরোধ নেই।’
এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জেলার হোটেল-মোটেলগুলোতে যথারীতি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। পূজা ও পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে জেলায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বান্দরবানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জেলায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের কোনো খবর নেই।’
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, আজ দুপুর ১২টা থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ কর্মসূচি শিথিল ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে। তবে এই দুই সড়ক ছাড়া জেলার বাকি সড়ক খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়ক অবরোধ চলবে।
অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই দুই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মানিকছড়ির সিএনজিচালক রাশেদ বলেন, ‘সকাল থেকে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বেলা ৩টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর আমরা ফটিকছড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছি।’
অভিযোগ অস্বীকার ইউপিডিএফের
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় গত শনি ও রোববারের ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনীর দেওয়া বক্তব্য ঠিক নয় বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা। বিবৃতিতে বলা হয়, যারা অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা ইউপিডিএফের কেউ নয়। দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশ্যেই তারা ওই কাজ করে।
বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত হামলা তদন্তের জন্য জাতিসংঘের অংশগ্রহণে একটি উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় ইউপিডিএফ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
আগের দিনের সহিংসতায় গুইমারায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ওই ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেনি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা থেকে ১৪৪ ধারা তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
এদিকে, আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে সদর বিজিবি সেক্টর। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ৯ প্লাটুন বিজিবি খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও দুই প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনজনের লাশ হস্তান্তর
রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, গুইমারার ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলীপাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেংগুলিপাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের আহম্মেদ জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহিংসতায় আহত আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধানী। তাঁদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিরা খাগড়াছড়ির হাসপাতালে।
বাজারজুড়ে পোড়া ক্ষত
গুইমারার রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমুখে এবং গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গতকাল সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল। রামসু বাজারজুড়ে ছিল পোড়া ক্ষত। আগের দিনের সহিংসতায় বাজারের বহু দোকান ও আশপাশের কিছু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ব্যবসায়ী কংলাপ্রু মারমার। তিনি বলছিলেন, ‘সহিংসতা আর নিতে পারছি না। সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রামসু বাজারে হলুদের ব্যবসা করেন ঝন্টু পাল ও পরেশ পালের। আগুনে তাঁদের গুদাম ও মজুত পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা বলে দাবি তাঁদের। ‘সারা জীবনের সঞ্চয় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল’—কাঁপা গলায় বললেন পরেশ পাল।
রাজুসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রোববার যা ঘটেছিল
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় গত মঙ্গলবার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে ওই ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শনিবার খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তবে এর মধ্যেই গুইমারার রামসু বাজারে গতকাল রোববার সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন তিনজন। সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ১৩ সদস্য এবং পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। আগুন দেওয়া হয় রামসু বাজারের অনেক দোকানপাট ও বাড়িঘরে।
এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও তাদের সহযোগী সংগঠন জড়িত বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গতকাল তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার খাগড়াছড়ি পৌরসভায় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হলে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারারাত ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দাঙ্গা বাধাতে ব্যর্থ হলে ইউপিডিএফ ও তাদের অঙ্গসংগঠন রোববার সকাল থেকে গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউপিডিএফ কর্মীরা স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন অফিসারসহ ১০ সেনাসদস্য আহত হন।
বান্দরবান ও রাঙামাটিতে অবরোধে সাড়া নেই
রোববারের সহিংসতার পর আট দফা দাবিতে খাগড়াছড়ির পাশাপাশি বান্দরবান, রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। তবে খাগড়াছড়ির বাইরে অন্য দুই জেলায় অবরোধের প্রভাব তেমন পড়েনি। তবে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকেও কয়েকটি সড়কে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার সাতটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান শহরের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা তাঁদের গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের স্বাভাবিক আনাগোনা দেখা গেছে। দোকানপাটও খোলা রয়েছে।
ঢাকাগামী ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের মালিক ইয়াছিন হাকিম বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে গাড়ি ছেড়ে গেছে। জেলায় কোনো অবরোধ নেই।’
এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জেলার হোটেল-মোটেলগুলোতে যথারীতি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। পূজা ও পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে জেলায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বান্দরবানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জেলায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের কোনো খবর নেই।’
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, আজ দুপুর ১২টা থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ কর্মসূচি শিথিল ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে। তবে এই দুই সড়ক ছাড়া জেলার বাকি সড়ক খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়ক অবরোধ চলবে।
অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই দুই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মানিকছড়ির সিএনজিচালক রাশেদ বলেন, ‘সকাল থেকে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বেলা ৩টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর আমরা ফটিকছড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছি।’
অভিযোগ অস্বীকার ইউপিডিএফের
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় গত শনি ও রোববারের ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনীর দেওয়া বক্তব্য ঠিক নয় বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা। বিবৃতিতে বলা হয়, যারা অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা ইউপিডিএফের কেউ নয়। দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশ্যেই তারা ওই কাজ করে।
বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত হামলা তদন্তের জন্য জাতিসংঘের অংশগ্রহণে একটি উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় ইউপিডিএফ।

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
আগের দিনের সহিংসতায় গুইমারায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ওই ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেনি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা থেকে ১৪৪ ধারা তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
এদিকে, আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে সদর বিজিবি সেক্টর। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ৯ প্লাটুন বিজিবি খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজারে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও দুই প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনজনের লাশ হস্তান্তর
রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, গুইমারার ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলীপাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) এবং চেংগুলিপাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের আহম্মেদ জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহিংসতায় আহত আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধানী। তাঁদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিরা খাগড়াছড়ির হাসপাতালে।
বাজারজুড়ে পোড়া ক্ষত
গুইমারার রামসু বাজার এলাকার প্রবেশমুখে এবং গুইমারা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গতকাল সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল। রামসু বাজারজুড়ে ছিল পোড়া ক্ষত। আগের দিনের সহিংসতায় বাজারের বহু দোকান ও আশপাশের কিছু বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ব্যবসায়ী কংলাপ্রু মারমার। তিনি বলছিলেন, ‘সহিংসতা আর নিতে পারছি না। সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
রামসু বাজারে হলুদের ব্যবসা করেন ঝন্টু পাল ও পরেশ পালের। আগুনে তাঁদের গুদাম ও মজুত পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা বলে দাবি তাঁদের। ‘সারা জীবনের সঞ্চয় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল’—কাঁপা গলায় বললেন পরেশ পাল।
রাজুসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রোববার যা ঘটেছিল
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় গত মঙ্গলবার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে ওই ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শনিবার খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তবে এর মধ্যেই গুইমারার রামসু বাজারে গতকাল রোববার সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন তিনজন। সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ১৩ সদস্য এবং পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হন। আগুন দেওয়া হয় রামসু বাজারের অনেক দোকানপাট ও বাড়িঘরে।
এ ঘটনার জন্য পাহাড়ের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও তাদের সহযোগী সংগঠন জড়িত বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গতকাল তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার খাগড়াছড়ি পৌরসভায় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হলে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারারাত ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দাঙ্গা বাধাতে ব্যর্থ হলে ইউপিডিএফ ও তাদের অঙ্গসংগঠন রোববার সকাল থেকে গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউপিডিএফ কর্মীরা স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন অফিসারসহ ১০ সেনাসদস্য আহত হন।
বান্দরবান ও রাঙামাটিতে অবরোধে সাড়া নেই
রোববারের সহিংসতার পর আট দফা দাবিতে খাগড়াছড়ির পাশাপাশি বান্দরবান, রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। তবে খাগড়াছড়ির বাইরে অন্য দুই জেলায় অবরোধের প্রভাব তেমন পড়েনি। তবে জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকেও কয়েকটি সড়কে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, আজ সকাল থেকে জেলার সাতটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান শহরের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা তাঁদের গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের স্বাভাবিক আনাগোনা দেখা গেছে। দোকানপাটও খোলা রয়েছে।
ঢাকাগামী ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেসের মালিক ইয়াছিন হাকিম বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে গাড়ি ছেড়ে গেছে। জেলায় কোনো অবরোধ নেই।’
এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে জেলার হোটেল-মোটেলগুলোতে যথারীতি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। পূজা ও পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে জেলায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বান্দরবানে সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। জেলায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের কোনো খবর নেই।’
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, আজ দুপুর ১২টা থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ কর্মসূচি শিথিল ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। তাদের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই দুই সড়কে অবরোধ শিথিল থাকবে। তবে এই দুই সড়ক ছাড়া জেলার বাকি সড়ক খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়ক অবরোধ চলবে।
অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই দুই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মানিকছড়ির সিএনজিচালক রাশেদ বলেন, ‘সকাল থেকে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। বেলা ৩টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর আমরা ফটিকছড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছি।’
অভিযোগ অস্বীকার ইউপিডিএফের
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় গত শনি ও রোববারের ঘটনার বিষয়ে সেনাবাহিনীর দেওয়া বক্তব্য ঠিক নয় বলে দাবি করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা। বিবৃতিতে বলা হয়, যারা অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা ইউপিডিএফের কেউ নয়। দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশ্যেই তারা ওই কাজ করে।
বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত হামলা তদন্তের জন্য জাতিসংঘের অংশগ্রহণে একটি উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় ইউপিডিএফ।

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে