নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
রাজধানীতে গতকাল রোববার ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে’ আলোচনা সভায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রসঙ্গে টেনে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাব দখল হয়ে আছে। চিটাগং প্রেসক্লাবের ইস্যু গত এক বছরে আমি সমাধান করতে পারিনি। বিকজ অব দ্য পলিটিক্যাল পার্টিজ ইনভলভমেন্ট ইজ দেয়ার। ওখানে জুয়া চলে। আরও কী কী চলে! আমি এগুলো ডিসিকে বলে বন্ধ করতে পেরেছি কিছুটা। কিন্তু প্রেসক্লাব ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে গত এক বছরে একটা নির্বাচন হয়নি চিটাগং প্রেসক্লাবের।’
এদিকে দীর্ঘ সময় পর হলেও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নিয়ে সত্য প্রকাশ করায় তথ্য উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাংবাদিকদের আট সংগঠনের নেতারা। তাঁরা তথ্য উপদেষ্টাকে হাল ছেড়ে না দিয়ে এ ক্লাবকে লুটেরা ও দখলদার গোষ্ঠীর হাত থেকে উদ্ধার করে সচল করতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বিলম্ব হলেও তথ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরেছেন। এ জন্য তাঁকে অভিনন্দন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন এ ক্লাবের দখলদারদের লুটপাট ও অপসাংবাদিকতার বিষয়টি। তথ্য উপদেষ্টার মুখে এ সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটিসহ সর্বস্তরের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
তাঁরা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর চিহ্নিত গুটিকয়েক সাংবাদিক বহিরাগতদের নিয়ে ৬৩ বছরের এ ক্লাব দখল করে নেন। সন্ত্রাসীরা ওই সময় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। লুটে নেয় কিছু নগদ অর্থ। গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান না মেনে তারা ক্লাবের ৯৬ স্থায়ী সদস্যের সদস্যপদ বাতিল বা স্থগিত করেছে। এর পাশাপাশি মনগড়াভাবে অসাংবাদিকসহ অনেককে ক্লাবের সদস্যপদ দিয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও ক্লাবের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
নেতারা হলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি খোরশেদ আলম ও সম্পাদক যীশু রায় চৌধুরী, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসিরুদ্দিন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলতাফ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মামুন।
উল্লেখ্য, এক বছরের বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা বিরাজমান। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে ক্লাব দখলে নেওয়া হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে সপ্তাহে চার দিনে জুয়ার আসর।
লুট হচ্ছে ক্লাবের নিয়মিত আয়ের বড় একটি অংশও। ক্লাবের বিভিন্ন ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার নামে গোপন চুক্তির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতাও রয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল রোববার ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে’ আলোচনা সভায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রসঙ্গে টেনে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাব দখল হয়ে আছে। চিটাগং প্রেসক্লাবের ইস্যু গত এক বছরে আমি সমাধান করতে পারিনি। বিকজ অব দ্য পলিটিক্যাল পার্টিজ ইনভলভমেন্ট ইজ দেয়ার। ওখানে জুয়া চলে। আরও কী কী চলে! আমি এগুলো ডিসিকে বলে বন্ধ করতে পেরেছি কিছুটা। কিন্তু প্রেসক্লাব ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে গত এক বছরে একটা নির্বাচন হয়নি চিটাগং প্রেসক্লাবের।’
এদিকে দীর্ঘ সময় পর হলেও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নিয়ে সত্য প্রকাশ করায় তথ্য উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাংবাদিকদের আট সংগঠনের নেতারা। তাঁরা তথ্য উপদেষ্টাকে হাল ছেড়ে না দিয়ে এ ক্লাবকে লুটেরা ও দখলদার গোষ্ঠীর হাত থেকে উদ্ধার করে সচল করতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বিলম্ব হলেও তথ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পেরেছেন। এ জন্য তাঁকে অভিনন্দন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন এ ক্লাবের দখলদারদের লুটপাট ও অপসাংবাদিকতার বিষয়টি। তথ্য উপদেষ্টার মুখে এ সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটিসহ সর্বস্তরের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
তাঁরা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর চিহ্নিত গুটিকয়েক সাংবাদিক বহিরাগতদের নিয়ে ৬৩ বছরের এ ক্লাব দখল করে নেন। সন্ত্রাসীরা ওই সময় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। লুটে নেয় কিছু নগদ অর্থ। গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান না মেনে তারা ক্লাবের ৯৬ স্থায়ী সদস্যের সদস্যপদ বাতিল বা স্থগিত করেছে। এর পাশাপাশি মনগড়াভাবে অসাংবাদিকসহ অনেককে ক্লাবের সদস্যপদ দিয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও ক্লাবের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
নেতারা হলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি খোরশেদ আলম ও সম্পাদক যীশু রায় চৌধুরী, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসিরুদ্দিন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলতাফ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মামুন।
উল্লেখ্য, এক বছরের বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা বিরাজমান। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে ক্লাব দখলে নেওয়া হয়। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে সপ্তাহে চার দিনে জুয়ার আসর।
লুট হচ্ছে ক্লাবের নিয়মিত আয়ের বড় একটি অংশও। ক্লাবের বিভিন্ন ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার নামে গোপন চুক্তির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতাও রয়েছে।
খাগড়াছড়িতে সংঘাতের পর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় আজ সোমবারও (২৯ সেপ্টেম্বর) পরিস্থিতি ছিল থমথমে। বহাল আছে ১৪৪ ধারা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি হাসপাতালে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়জুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগে‘আমরা শান্তি চাই, সহিংসতা আর নিতে পারছি না; সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি’—এভাবেই কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে কথাগুলো বলেন গুইমারা বাজারের কংলাপ্রু মারমা। রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের আগুনে তাঁর তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে