Ajker Patrika

মেজর সিনহা হত্যা মামলা: প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১১: ৩০
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ছবি: সংগৃহীত
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ছবি: সংগৃহীত

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (২ জুন) এ রায় দেন হাইকোর্ট। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত করা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

গত ২৯ মে শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ২৩ এপ্রিল পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও দুলাল মল্লিক।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন।

রায়ের পর নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো, অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির হাইকোর্টের এই বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত