Ajker Patrika

ফরিদপুরে বিএনপির সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে যুবক, ভিডিও ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শাহ মো. জাকারিয়া কাজী। ছবি: সংগৃহীত
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শাহ মো. জাকারিয়া কাজী। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় এক যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান আজ শনিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি এবং খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন ওসি।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি থেকে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি চায়নিজ কুড়াল, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে দেখা গেছে।

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শাহ মো. জাকারিয়া কাজী। ছবি: সংগৃহীত
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শাহ মো. জাকারিয়া কাজী। ছবি: সংগৃহীত

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ঝুনু সমর্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। এ ছাড়া আশপাশের অন্তত ১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্ততপক্ষে অর্ধশত কর্মী-সমর্থকেরা আহত হন।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয়াস্ত্রটি বের করার চেষ্টা করেন। তখন আরেকজন তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রটি বের না করতে বলছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ওই যুবক হলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সমর্থক শাহ মো. জাকারিয়া কাজী (২৫)। তিনি গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাঁর আরও একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ভিডিওটি আমার সমর্থকদের রামদা কেড়ে নেওয়ার একটি দৃশ্য, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।’ পরে আবার তিনি বলেন, ‘আর যদি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই থাকে পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাকসু আর জকসু হলে বাকসু কেন দুই প্রতিষ্ঠানের?

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
‘বাকসু’ নাম বিএম কলেজের ঐতিহ্য উল্লেখ করে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাবেক শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘বাকসু’ নাম বিএম কলেজের ঐতিহ্য উল্লেখ করে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাবেক শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্র সংসদের নাম বাকসু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে। কেননা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ বাকসু নামে প্রতিষ্ঠিত ১৯৫২ সালে। তাই বাকসু রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বিএম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। শনিবার সংবাদ সম্মেলন ও অধ্যক্ষের সঙ্গে সভা করেছেন বাকসুর সাবেক ছাত্রনেতারা।

সভায় বাকসুর নাম কেবল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের উল্লেখ করে তা বজায় রাখার জন্য ববি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাকসু’ নাম বিএম কলেজের ঐতিহ্য উল্লেখ করেছেন বাকসুর সাবেক জিএস আলী আজগর ফকির।

আলী আজগর ফকির বলেন, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ছাত্র সংসদ দক্ষিণ বাংলার গণ-আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিল। বরিশাল বিভাগ ঘোষণা, পদ্মা সেতু নির্মাণের দাবি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বহু গণমুখী আন্দোলনের সূচনা হয়েছে বাকসুর হাত ধরে।

আলী আজগর ফকির আরও বলেন, বাকসু নামটি এখন শুধু একটি সংগঠনের নাম নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক পরিচয়, রাজনৈতিক ধারা ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। অথচ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ছাত্র সংসদের জন্য একই নাম প্রস্তাব করে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনার সৃষ্টি করছে।

আলী আজগর ফকির উদাহরণ টেনে বলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সংক্ষিপ্ত নাম জাকসু, আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জকসু রাখা হয়েছে, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে। একইভাবে ব্রজমোহন কলেজের ‘বাকসু’ নামের স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়েরও আলাদা নাম নির্ধারণ করা উচিত।

আলী আজগর ফকির আইনি দিক তুলে ধরে বলেন, কোনো নাম যদি দীর্ঘকাল ধরে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে সমাজে স্বীকৃতি পায়, তবে তা প্রথাগত অধিকারের আওতাভুক্ত হয়। ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও দীর্ঘদিনের ব্যবহার—এই চারটি মানদণ্ডে ‘বাকসু’ নামের আইনি ও নৈতিক অধিকার বিএম কলেজের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাকসুর সাবেক এজিএস মনজুরুল হক জিসান, আবু জফর বাদল, সাবেক ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিল্টন, সাবেক ম্যাগাজিন সম্পাদক নাজমুল হাসান ছগির প্রমুখ।

সাবেক বাকসু নেতা ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ববির ছাত্র সংসদে বাকসু ব্যবহার হলে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ববির খসড়া গঠনতন্ত্রে বাংলায় ‘বাকসু’ শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, বরিশাল ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। তবে আলোচনা করলে যে কেউ করতে পারেন।

উল্লেখ্য, ‘বাকসু নিয়ে টানাটানিতে ববি ও বিএম কলেজ’ শিরোনামে গত ২৬ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিদেশ গমনে ইচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থীদের অংশগ্রহণে কিশোরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রশিক্ষণার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রশিক্ষণার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিদেশ গমনে ইচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থীদের অংশগ্রহণে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ ও ‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার; বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হলো তারুণ্যের উৎসব। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ তারুণ্যের উৎসব হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে রেমিট্যান্স। কিন্তু দূরপ্রবাসে অনেকে দক্ষতা ও ভাষাজ্ঞানের অভাবে কঠোর পরিশ্রম করেও কাঙ্ক্ষিত উপার্জন করতে পারেন না। দক্ষতা প্রবাসজীবনে সাফল্যের ভিত্তি গড়ে দেয়। তাই ভাষাজ্ঞানসহ দক্ষতা অর্জন খুবই জরুরি।

কিশোরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাভেদ রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত। তারুণ্যের উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে প্রবন্ধ ও কুইজ—এই দুই ক্যাটাগরিতে মোট ছয় প্রশিক্ষণার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁদের হাতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান পুরস্কার তুলে দেন।

এর আগে জেলা প্রশাসক বিদেশ গমনে ইচ্ছুক কর্মীদের তিন দিন মেয়াদি ওরিয়েন্টশন কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন ও সেসব সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

পাবনার সাঁথিয়ায় বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি কার্ড দেওয়ার কথা বলে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জামিরুন খাতুন নামে এক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি, টাকা ফেরত চাইলে উল্টো তাদের হুমকিধমকি দিচ্ছেন জামিরুন।

অভিযুক্ত জামিরুন উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য।

ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের মৃত হোসেন মুন্সীর স্ত্রী জয়বাহার খাতুন জানান, বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন নারী ইউপি সদস্য জামিরুন। তিন বছর পার হয়ে গেলেও তিনি সেই কার্ড পাননি। জয়বাহার খাতুন বলেন, ‘অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেম্বারকে ৩ হাজার টাকা দেই। সে আজ পর্যন্ত আমাকে ভাতার কার্ড করে দেয়নি। টাকা ফেরত চাইলেই হুমকি দেয়।’

ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে জয়নাল (৬৮) বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা নিয়েছে জামিরুন মেম্বার। কার্ড না দেওয়ায় টাকা চাইলে সে নানা টালবাহনা করছে। একই গ্রামের নুরুল ইসলাম ভগলা (৬৬) জানান, তাঁর কাছ থেকেও বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন জামিরুন। কিন্তু তিন বছরেও তাঁর নামে কার্ড ইস্যু হয়নি। বিষ্ণুপুর গ্রামের নারী শামীমা এবং বিষ্ণুবাড়িয়া গ্রামের নারী স্বপ্না জানান, মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার নামে তাঁদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৫ হাজার ও ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন জামিরুন। বিষ্ণুবাড়িয়া গ্রামের রেজাই, বিষ্ণুপুর গ্রামের আনজাত, আ. সাত্তারসহ অনেকেই জামিরুন খাতুনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জামিরুন খাতুন মাত্র একজনের কাছ থেকে ভাতার জন্য ২ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘সময় হলে তাঁকে ভাতার কার্ড করে দেব।’ বাকিদের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না বলেন, ‘ভাতা করে দেওয়ার জন্য টাকা গ্রহণ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘ভুক্তভোগীদের ভাতার কার্ড দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে মন্দিরের ৯টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
ভাঙচুর করা প্রতিমা। ছবি: সংগৃহীত
ভাঙচুর করা প্রতিমা। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় সর্বজনীন রাধাগোবিন্দ রাসলীলা মন্দিরের ৯টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মন্দিরের প্রতিমাগুলো ভাঙা দেখতে পান পূজারিরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, এলেঙ্গায় রাধাগোবিন্দ রাসলীলা মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার প্রতিদিনের মতো স্থানীয়রা মন্দিরের গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করেন এবং অনেকেই মন্দিরে পূজা দেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত খুশী মোহন দাশের স্ত্রী দুলালী রানী মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে দেখতে পান মন্দিরের ১২টি প্রতিমার মধ্যে ৯টি ভাঙা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ওই মন্দিরের পূজারি দুলালি রানী জানান, শনিবার সকালে অনেকই মন্দিরে ফুল-জল দিয়ে প্রণাম করে গেছেন। তখনো সব ঠিকঠাক ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসে মন্দিরের ১১টি প্রতিমার মাথা ভাঙা দেখতে পেলে তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। পরে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, এলেঙ্গায় সর্বজনীন রাধাগোবিন্দ রাসলীলা মন্দিরের প্রতিমা কে বা কারা শনিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। ওই মন্দির কমিটির লোকজন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কালিহাতী সার্কেলের এএসপি ও থানার ওসিসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত