ঢাবি প্রতিনিধি

ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী। কিন্তু পরে রাষ্ট্রক্ষমতা পেল বুর্জোয়ারা। মানুষের ভেতর যে চেতনা এসেছিল সেটির আর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি।
এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
শুক্রবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম তাঁর ৮৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে আমরা কী পেলাম? দুটো প্রাপ্তির সম্ভাবনা ছিল: একটি হচ্ছে স্বাধীনতা, অপরটি হচ্ছে বিপ্লব। স্বাধীনতা এল কিন্তু বিপ্লবটা এল না। ফলে যেটি ঘটল যে বুর্জোয়ারা রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে গেল। যে পরিবর্তনটা মানুষের চেতনার ভেতর এসেছিল সেই চেতনার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেটা ঘটল না। তরুণেরা সেসময় প্রতিবাদ করছিল, বিভিন্ন অনিয়মের। কিন্তু তারা সমাজতন্ত্রের কথা বলছে না। পরিবর্তন আসছে, পরিবর্তনটা হলো এ রকমের...যে তরুণ কবি কবিতা লিখেছিল একদা বেশ্যার বিড়াল নিয়ে, সেই কবি স্বাধীনতার পরে ভাত দে হারামজাদা লিখছে। ভাত দে হারামজাদা কোথা থেকে পেলেন তিনি? এটা পেলেন দেয়ালের লিখন থেকে, এই পরিবর্তন ঘটছে। কিন্তু আর এগোতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘ফররুখ আহমদ তাঁর কালের সবচেয়ে শক্তিশালী কবি ছিলেন, তিনি প্রথম জীবনে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে “সাত সাগরের মাঝি” কবিতায় তীব্র ঘৃণা জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি পাকিস্তানপন্থী হয়ে গেলেন। হায়াত দারাজ খান পাকিস্তানপন্থী হয়ে গেলেন, সৈয়দ আলী আহসান যিনি প্রভাবশালী একজন অধ্যাপক ছিলেন, তিনি পাকিস্তান হওয়ার পর লিখেছেন যে প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথকে পর্যন্ত বাদ দেব। কেননা—আমাদের কাছে রাষ্ট্রের সংগতি অনেক বেশি জরুরি। তিনি এও বলেছিলেন যে, আমি আমার আগের লেখাগুলো বর্জন করছি, ওইগুলো অনুশীলন ছিল। তখন তিনি খুবই সুন্দর কবিতা লিখছেন—আমার পূর্ববাংলা’ নামে। এই পরিবর্তনটা ঘটছিল কিন্তু সৈয়দ আলী আহসান অ্যান্টি কমিউনিস্ট ছিল, একেবারে শুরু থেকে। তিনি লিখেছেন অ্যান্টি গ্লোরিং নামে কবিতা, লাল বন্ধুদের জ্ঞান গ্রহণ করে কবিতা এবং যারা কাস্তে শান দিতে পারে তাদের বিরুদ্ধে কবিতা। তিনি রয়ে গেলেন, পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদী মানুষ বাঙালি জাতীয়তাবাদী হলেন কিন্তু অ্যান্টি কমিউনিস্ট রয়ে গেলেন।’
দ্বিজাতি তত্ত্বের ফলে সাম্প্রদায়িকতার শুরু মন্তব্য করে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের উপমহাদেশে শ্রেণি সমস্যা ও জাতি সমস্যা রয়েছে। ঔপনিবেশিক ব্যবস্থায় জাতি সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে ভ্রান্তি ঘটেছিল এভাবে, ভারতকে এক জাতির দেশ বলল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এরপর মুসলিম লীগ বলল এখানে দুই জাতি আছে। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িকতা হলো। হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায় জাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেল। এর মধ্যে দেশভাগ হলো। দেশভাগ একটি বড় রকমের দুর্ঘটনা। পাকিস্তানি কী রকম অদ্ভুত রাষ্ট্র ছিল। দুই অঞ্চল বিশাল ব্যবধানে অবস্থিত, মধ্যখানে আরেক দেশ। আইয়ুব খানের দুশ্চিন্তা ছিল ৫৬ শতাংশ বাঙালি। জিন্নাহ সাহেব তখন পাকিস্তান নিয়ে দর-কষাকষি করছেন। তখন আরাকান ও ত্রিপুরা পাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। কলকাতা যে চলে গেল, এতে জিন্নাহর মাথাব্যথা ছিল না। কলকাতা থাকলে সেটা রাজধানীর করার আলাপ উঠত, সে না হওয়ায় তিনি তার জন্মভূমি করাচিকে রাজধানী করতে পারবেন।’
নদীর ওপর পাকিস্তানের নেতাদের গুরুত্ব না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই উপমহাদেশ নদীর ওপর নির্ভরশীল, পাঞ্জাবে নদী আছে, সেগুলোর ব্যাপারে নেহরু অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। নদীর বিষয়ে র্যাডক্লিফকে প্রভাবিত করতে তিনি তৎপর ছিলেন। পূর্ববঙ্গের নদী নিয়ে পাকিস্তানের মাথাব্যথা ছিল না। মালদহ ও মুর্শিদাবাদ প্রথমে পাকিস্তানে আসার কথা ছিল। মুসলিমপ্রধান হিসেবে সেটাই স্বাভাবিক ছিল। এমনকি সেখানে পাকিস্তানের পতাকা তোলা হয়েছিল। পরে দেখা গেল সেটা ভারতে চলে গেল। কারণ ভারত এটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে। বিশেষ করে গঙ্গা-পদ্মার ওপরে যে কর্তৃত্ব—এই দুই জেলার মধ্য দিয়ে সম্ভব ছিল। ফলে পাকিস্তান সৃষ্টির মধ্যেই পূর্ববঙ্গের প্রতি অবজ্ঞা দেখা যায়।’
করোনার প্রসঙ্গে টেনে এনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ব একটি গভীর সংকট মোকাবিলা করছে। করোনা হলো সবচেয়ে বড় সংকট, এত বড় সংকট মানব সভ্যতার ইতিহাসে হয়তো আর দেখা যায়নি। হাজার হাজার বছর ধরে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সেই সভ্যতা যুদ্ধ, ধ্বংস, বর্ণবাদ এসবের মাধ্যমে ব্যবসা—এগুলো করবে! অন্ধকারকে আরও গাঢ় করবে, নাকি এ পৃথিবীকে বদল করার চেষ্টা করবে? এই প্রশ্নটা আজকে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আজকে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা শুনি, সেই বুদ্ধিমত্তা আসবে কিন্তু তার মালিকানা কি ব্যক্তিগত থাকবে নাকি সেটি সামাজিক হবে সেটি প্রশ্ন আমাদের। এটি কি দৈত্যের মতো ধ্বংস করবে। এই প্রশ্ন আমাদের বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রশ্নের জবাব আছে সামাজিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে।’
ব্যক্তি মালিকানার হাজার হাজার বছরের ইতিহাস পরিত্যাগ করতে হবে উল্লেখ করে এ বাম বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘সামাজিক মালিকানায় যেতে হবে। সামাজিক মালিকানায় না গেলে পৃথিবীতে মানুষ বসবাস করতে পারবে কি পারবে না সেই সংশয় দেখা দিবে। এটা শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, প্রত্যেকটা দেশে এ সমস্যাটা রয়েছে। সমস্যা সমাধান রয়েছে সামাজিক বিপ্লবে। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান সামাজিক বিপ্লবের সম্ভাবনা ছিল, এগিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করা যায়নি। আজকে পৃথিবীর সব দেশের মানুষ ব্যক্তি মালিকানার হাজার হাজার বছরের ইতিহাস বদল করে সামাজিক মালিকানায় নিয়ে যেতে চায়। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী বলে আমি মনে করি—সামাজিক বিপ্লব ঘটাতে হবে।’
শুধু স্বাধীনতা নয়, প্রয়োজন রয়েছে বিপ্লবের। সেই বিপ্লব আইয়ুব খানের বিপ্লব নয়, এ বিপ্লব সামাজিক বিপ্লব, মানুষের মুক্তির বিপ্লব। যে মুক্তির জন্য জনগণ পাকিস্তান চেয়েছিল, সে পাকিস্তান হয়নি বলে তারা বিদ্রোহ করেছে। বাহান্নতে করেছে, উনসত্তরে করল, একাত্তরে যুদ্ধ করল, প্রাণ দিল। প্রাণ দিয়ে সেই পাকিস্তানকে বিদায় করল, সেই রক্তগঙ্গা বয়ে গেল যার কথা আইয়ুব বলেছিলেন। পাকিস্তান ভেঙে গেছে, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। পশ্চিম পাকিস্তানও টিকবে না। এখন প্রয়োজন ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা। এটি ছিল উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মূলবাণী—যোগ করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এএসএম কামালউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী। কিন্তু পরে রাষ্ট্রক্ষমতা পেল বুর্জোয়ারা। মানুষের ভেতর যে চেতনা এসেছিল সেটির আর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি।
এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
শুক্রবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম তাঁর ৮৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান থেকে আমরা কী পেলাম? দুটো প্রাপ্তির সম্ভাবনা ছিল: একটি হচ্ছে স্বাধীনতা, অপরটি হচ্ছে বিপ্লব। স্বাধীনতা এল কিন্তু বিপ্লবটা এল না। ফলে যেটি ঘটল যে বুর্জোয়ারা রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে গেল। যে পরিবর্তনটা মানুষের চেতনার ভেতর এসেছিল সেই চেতনার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেটা ঘটল না। তরুণেরা সেসময় প্রতিবাদ করছিল, বিভিন্ন অনিয়মের। কিন্তু তারা সমাজতন্ত্রের কথা বলছে না। পরিবর্তন আসছে, পরিবর্তনটা হলো এ রকমের...যে তরুণ কবি কবিতা লিখেছিল একদা বেশ্যার বিড়াল নিয়ে, সেই কবি স্বাধীনতার পরে ভাত দে হারামজাদা লিখছে। ভাত দে হারামজাদা কোথা থেকে পেলেন তিনি? এটা পেলেন দেয়ালের লিখন থেকে, এই পরিবর্তন ঘটছে। কিন্তু আর এগোতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘ফররুখ আহমদ তাঁর কালের সবচেয়ে শক্তিশালী কবি ছিলেন, তিনি প্রথম জীবনে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে “সাত সাগরের মাঝি” কবিতায় তীব্র ঘৃণা জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি পাকিস্তানপন্থী হয়ে গেলেন। হায়াত দারাজ খান পাকিস্তানপন্থী হয়ে গেলেন, সৈয়দ আলী আহসান যিনি প্রভাবশালী একজন অধ্যাপক ছিলেন, তিনি পাকিস্তান হওয়ার পর লিখেছেন যে প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথকে পর্যন্ত বাদ দেব। কেননা—আমাদের কাছে রাষ্ট্রের সংগতি অনেক বেশি জরুরি। তিনি এও বলেছিলেন যে, আমি আমার আগের লেখাগুলো বর্জন করছি, ওইগুলো অনুশীলন ছিল। তখন তিনি খুবই সুন্দর কবিতা লিখছেন—আমার পূর্ববাংলা’ নামে। এই পরিবর্তনটা ঘটছিল কিন্তু সৈয়দ আলী আহসান অ্যান্টি কমিউনিস্ট ছিল, একেবারে শুরু থেকে। তিনি লিখেছেন অ্যান্টি গ্লোরিং নামে কবিতা, লাল বন্ধুদের জ্ঞান গ্রহণ করে কবিতা এবং যারা কাস্তে শান দিতে পারে তাদের বিরুদ্ধে কবিতা। তিনি রয়ে গেলেন, পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদী মানুষ বাঙালি জাতীয়তাবাদী হলেন কিন্তু অ্যান্টি কমিউনিস্ট রয়ে গেলেন।’
দ্বিজাতি তত্ত্বের ফলে সাম্প্রদায়িকতার শুরু মন্তব্য করে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের উপমহাদেশে শ্রেণি সমস্যা ও জাতি সমস্যা রয়েছে। ঔপনিবেশিক ব্যবস্থায় জাতি সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে ভ্রান্তি ঘটেছিল এভাবে, ভারতকে এক জাতির দেশ বলল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। এরপর মুসলিম লীগ বলল এখানে দুই জাতি আছে। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িকতা হলো। হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায় জাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেল। এর মধ্যে দেশভাগ হলো। দেশভাগ একটি বড় রকমের দুর্ঘটনা। পাকিস্তানি কী রকম অদ্ভুত রাষ্ট্র ছিল। দুই অঞ্চল বিশাল ব্যবধানে অবস্থিত, মধ্যখানে আরেক দেশ। আইয়ুব খানের দুশ্চিন্তা ছিল ৫৬ শতাংশ বাঙালি। জিন্নাহ সাহেব তখন পাকিস্তান নিয়ে দর-কষাকষি করছেন। তখন আরাকান ও ত্রিপুরা পাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। কলকাতা যে চলে গেল, এতে জিন্নাহর মাথাব্যথা ছিল না। কলকাতা থাকলে সেটা রাজধানীর করার আলাপ উঠত, সে না হওয়ায় তিনি তার জন্মভূমি করাচিকে রাজধানী করতে পারবেন।’
নদীর ওপর পাকিস্তানের নেতাদের গুরুত্ব না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই উপমহাদেশ নদীর ওপর নির্ভরশীল, পাঞ্জাবে নদী আছে, সেগুলোর ব্যাপারে নেহরু অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। নদীর বিষয়ে র্যাডক্লিফকে প্রভাবিত করতে তিনি তৎপর ছিলেন। পূর্ববঙ্গের নদী নিয়ে পাকিস্তানের মাথাব্যথা ছিল না। মালদহ ও মুর্শিদাবাদ প্রথমে পাকিস্তানে আসার কথা ছিল। মুসলিমপ্রধান হিসেবে সেটাই স্বাভাবিক ছিল। এমনকি সেখানে পাকিস্তানের পতাকা তোলা হয়েছিল। পরে দেখা গেল সেটা ভারতে চলে গেল। কারণ ভারত এটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে। বিশেষ করে গঙ্গা-পদ্মার ওপরে যে কর্তৃত্ব—এই দুই জেলার মধ্য দিয়ে সম্ভব ছিল। ফলে পাকিস্তান সৃষ্টির মধ্যেই পূর্ববঙ্গের প্রতি অবজ্ঞা দেখা যায়।’
করোনার প্রসঙ্গে টেনে এনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ব একটি গভীর সংকট মোকাবিলা করছে। করোনা হলো সবচেয়ে বড় সংকট, এত বড় সংকট মানব সভ্যতার ইতিহাসে হয়তো আর দেখা যায়নি। হাজার হাজার বছর ধরে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সেই সভ্যতা যুদ্ধ, ধ্বংস, বর্ণবাদ এসবের মাধ্যমে ব্যবসা—এগুলো করবে! অন্ধকারকে আরও গাঢ় করবে, নাকি এ পৃথিবীকে বদল করার চেষ্টা করবে? এই প্রশ্নটা আজকে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আজকে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা শুনি, সেই বুদ্ধিমত্তা আসবে কিন্তু তার মালিকানা কি ব্যক্তিগত থাকবে নাকি সেটি সামাজিক হবে সেটি প্রশ্ন আমাদের। এটি কি দৈত্যের মতো ধ্বংস করবে। এই প্রশ্ন আমাদের বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রশ্নের জবাব আছে সামাজিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে।’
ব্যক্তি মালিকানার হাজার হাজার বছরের ইতিহাস পরিত্যাগ করতে হবে উল্লেখ করে এ বাম বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘সামাজিক মালিকানায় যেতে হবে। সামাজিক মালিকানায় না গেলে পৃথিবীতে মানুষ বসবাস করতে পারবে কি পারবে না সেই সংশয় দেখা দিবে। এটা শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, প্রত্যেকটা দেশে এ সমস্যাটা রয়েছে। সমস্যা সমাধান রয়েছে সামাজিক বিপ্লবে। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান সামাজিক বিপ্লবের সম্ভাবনা ছিল, এগিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করা যায়নি। আজকে পৃথিবীর সব দেশের মানুষ ব্যক্তি মালিকানার হাজার হাজার বছরের ইতিহাস বদল করে সামাজিক মালিকানায় নিয়ে যেতে চায়। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী বলে আমি মনে করি—সামাজিক বিপ্লব ঘটাতে হবে।’
শুধু স্বাধীনতা নয়, প্রয়োজন রয়েছে বিপ্লবের। সেই বিপ্লব আইয়ুব খানের বিপ্লব নয়, এ বিপ্লব সামাজিক বিপ্লব, মানুষের মুক্তির বিপ্লব। যে মুক্তির জন্য জনগণ পাকিস্তান চেয়েছিল, সে পাকিস্তান হয়নি বলে তারা বিদ্রোহ করেছে। বাহান্নতে করেছে, উনসত্তরে করল, একাত্তরে যুদ্ধ করল, প্রাণ দিল। প্রাণ দিয়ে সেই পাকিস্তানকে বিদায় করল, সেই রক্তগঙ্গা বয়ে গেল যার কথা আইয়ুব বলেছিলেন। পাকিস্তান ভেঙে গেছে, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। পশ্চিম পাকিস্তানও টিকবে না। এখন প্রয়োজন ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা। এটি ছিল উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মূলবাণী—যোগ করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এএসএম কামালউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।
ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী। কিন্তু পরে রাষ্ট্রক্ষমতা পেল বুর্জোয়ারা। মানুষের ভেতর যে চেতনা এসেছিল সেটির আর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি।
২৪ জুন ২০২৩
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী। কিন্তু পরে রাষ্ট্রক্ষমতা পেল বুর্জোয়ারা। মানুষের ভেতর যে চেতনা এসেছিল সেটির আর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি।
২৪ জুন ২০২৩
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী। কিন্তু পরে রাষ্ট্রক্ষমতা পেল বুর্জোয়ারা। মানুষের ভেতর যে চেতনা এসেছিল সেটির আর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি।
২৪ জুন ২০২৩
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
২৪ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করাই ছিল গণ-অভ্যুত্থানের মূল বাণী। কিন্তু পরে রাষ্ট্রক্ষমতা পেল বুর্জোয়ারা। মানুষের ভেতর যে চেতনা এসেছিল সেটির আর বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি।
২৪ জুন ২০২৩
বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।
৭ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৬ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
২০ মিনিট আগে