নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে নজরুল ইসলাম মোল্লা (৪৩) নামের পুরি ও শিঙাড়া ব্যবসায়ীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তাঁরা বলছেন, ওই ব্যক্তিকে নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় তাঁদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে নজরুল ইসলামকে তাঁর স্বজন ও থানা-পুলিশ অচেতন অবস্থায় মুগদা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহতের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে। বাবার নাম রহিম মোল্লা। ঢাকার খিলগাঁও সিপাহীবাগ উত্তর গোড়ান চারতলা গলির এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী আকলিমা বেগম এবং দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাসার পাশেই ছোট্ট একটি দোকানে নজরুল ইসলাম মোল্লা পুরি ও শিঙাড়া তৈরি করে বিক্রি করতেন।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ও মর্গে নিহত নজরুলের মামা কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নজরুলের বাসায় আসেন। তাঁকে স্ত্রী, সন্তানদের সামনে মারধর করেন। এরপর নজরুল ও তাঁর স্ত্রীকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে যান। সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয়। ভোর ৪টার দিকে নজরুল অচেতন হয়ে পড়লে তাঁর স্ত্রীর কাছে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্ত্রী আকলিমা বেগম নজরুলকে ভোরে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খিলগাঁও থানা-পুলিশসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পিঠ, বুক, ঘাড়, হাত পা ও নিতম্বে কালো জখম দেখা গেছে। হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহে কালচে অসংখ্য আঘাত রয়েছে, যা সুরতহাল প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহত নজরুলের মামাতো ভাই দিদার হোসেন বলেন, রাতে বাসায় ‘যৌথ বাহিনী আসে’, তারা এসেই নজরুলের কাছে অস্ত্র ও মাদক আছে বলে গালিগালাজ করে। এরপর আশপাশের লোকজন বের হলে তাঁরা নজরুল ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। ভোররাতে নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে যৌথ বাহিনী দুই হাজার টাকা দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর তিনি তাঁকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
দিদার হোসেন বলেন, ‘নজরুলের হাতে-পিঠে অসংখ্য মারধরের দাগ রয়েছে। একটা লোকের নামে মামলা থাকতেই পারে, তাই বলে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। তাকে ধরে পুলিশে দিতে পারত। তার স্ত্রী-সন্তানদের এখন কী হবে। দুই ছেলে ছোট ছোট। তাদের জীবন চলবে কীভাবে?’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুলকে মুগদা হাসপাতালে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁকে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে নজরুলের মরদেহ নিয়ে তাঁর পরিবার গ্রামের বাড়ি রওয়া হন। এর আগে তাঁর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তাঁকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নজরুলসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের পার্শ্ববর্তী একটি ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, পরিবার এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দিলে সেটি নেওয়া হবে। এরই মধ্যে নজরুলের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সব ঘটনায় যেভাবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, এবারও তাই করা হবে।
রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে নজরুল ইসলাম মোল্লা (৪৩) নামের পুরি ও শিঙাড়া ব্যবসায়ীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তাঁরা বলছেন, ওই ব্যক্তিকে নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় তাঁদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে নজরুল ইসলামকে তাঁর স্বজন ও থানা-পুলিশ অচেতন অবস্থায় মুগদা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহতের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে। বাবার নাম রহিম মোল্লা। ঢাকার খিলগাঁও সিপাহীবাগ উত্তর গোড়ান চারতলা গলির এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী আকলিমা বেগম এবং দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাসার পাশেই ছোট্ট একটি দোকানে নজরুল ইসলাম মোল্লা পুরি ও শিঙাড়া তৈরি করে বিক্রি করতেন।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ও মর্গে নিহত নজরুলের মামা কামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নজরুলের বাসায় আসেন। তাঁকে স্ত্রী, সন্তানদের সামনে মারধর করেন। এরপর নজরুল ও তাঁর স্ত্রীকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে যান। সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয়। ভোর ৪টার দিকে নজরুল অচেতন হয়ে পড়লে তাঁর স্ত্রীর কাছে তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্ত্রী আকলিমা বেগম নজরুলকে ভোরে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খিলগাঁও থানা-পুলিশসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পিঠ, বুক, ঘাড়, হাত পা ও নিতম্বে কালো জখম দেখা গেছে। হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহে কালচে অসংখ্য আঘাত রয়েছে, যা সুরতহাল প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহত নজরুলের মামাতো ভাই দিদার হোসেন বলেন, রাতে বাসায় ‘যৌথ বাহিনী আসে’, তারা এসেই নজরুলের কাছে অস্ত্র ও মাদক আছে বলে গালিগালাজ করে। এরপর আশপাশের লোকজন বের হলে তাঁরা নজরুল ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। ভোররাতে নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে যৌথ বাহিনী দুই হাজার টাকা দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর তিনি তাঁকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
দিদার হোসেন বলেন, ‘নজরুলের হাতে-পিঠে অসংখ্য মারধরের দাগ রয়েছে। একটা লোকের নামে মামলা থাকতেই পারে, তাই বলে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। তাকে ধরে পুলিশে দিতে পারত। তার স্ত্রী-সন্তানদের এখন কী হবে। দুই ছেলে ছোট ছোট। তাদের জীবন চলবে কীভাবে?’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুলকে মুগদা হাসপাতালে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁকে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে নজরুলের মরদেহ নিয়ে তাঁর পরিবার গ্রামের বাড়ি রওয়া হন। এর আগে তাঁর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তাঁকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নজরুলসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের পার্শ্ববর্তী একটি ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, পরিবার এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দিলে সেটি নেওয়া হবে। এরই মধ্যে নজরুলের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সব ঘটনায় যেভাবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, এবারও তাই করা হবে।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
১৯ মিনিট আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
২৪ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
৩৯ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রী কাকলিকে (৩২) হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামী মেহেদী হাসানকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব-১৪) মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে