Ajker Patrika

ছয় ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলজট, নগরবাসীর ভোগান্তি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী ঢাকায় গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে টানা ছয় ঘণ্টার বৃষ্টি পরদিন ব্যাপক ভোগান্তিতে ফেলেছে নগরবাসীকে। টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে চলে যায় শহরের অনেক পথঘাট। আজ বুধবার মিরপুরের শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট এলাকা, গ্রিন রোড, আজিমপুর, আরামবাগ, মালিবাগ, মৌচাক মার্কেট এলাকাসহ আরও অনেক সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

শহরজুড়ে কমবেশি জলাবদ্ধতার জন্য সমস্যায় পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি থেমে এলেও বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন দিকে ঘুরে দেখা যায়, কিছু সড়ক থেকে পানি পুরোপুরি নামেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বুধবার সন্ধ্যায় জানায়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশে অবস্থানরত একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এতে বড় ঝড় হলে নৌযানগুলো অল্প সময়ের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবে।

সমুদ্রবন্দরের সতর্কতা শুক্রবার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হবে। এই বৃষ্টিপাত রোববার পর্যন্ত চলতে পারে। ভারী বৃষ্টিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে জলাবদ্ধতা হতে পারে।

শাহনাজ সুলতানা আরও বলেন, ঢাকায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গতকাল সকাল ৯টায় দেওয়া সতর্কবার্তায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সিলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানির উচ্চতা আগামী তিন দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি ফেনী জেলায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এই দুই নদীসংলগ্ন নিচু অঞ্চলগুলোয় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অপর দিকে ফেনী নদী চট্টগ্রাম জেলায় বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ নদীসংলগ্ন নিচু অঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

এ ছাড়া রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির উচ্চতা আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার তিস্তাসংলগ্ন নিচু এলাকাগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর পানির উচ্চতাও আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে এই তিন নদী শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা দিয়ে বিপৎসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এ নদীগুলোর আশপাশের নিম্নাঞ্চলও সাময়িকভাবে জলমগ্ন হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৭৫ বছরের বর ও ৩৫ বছরের কনে, বাসররাতের পরদিনই মৃত্যু

‘বাঙালি সংস্কৃতির ভিত্তি হিন্দু ঐতিহ্য’: তসলিমা নাসরিনের মন্তব্যের জবাব দিলেন জাভেদ আখতার

‘দুবাই শেখ সেক্স পার্টনার খুঁজছেন’, ‘দিল্লি বাবা’র চাঞ্চল্যকর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট

সোনার দাম বেড়েই চলেছে, নতুন রেকর্ড

লন্ডনে বিমানের ক্রু তৈফুরকে মাটিতে ফেলে পেটে কিল-ঘুষি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত