Ajker Patrika

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনেও নিরাপদ ছিলেন না শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪, ১৮: ১০
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনেও নিরাপদ ছিলেন না শিক্ষার্থীরা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার রাতেই ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মধ্যরাতে ভিসির বাসভবনের সামনেই অতর্কিত হামলার শিকার হন তাঁরা। সোমবার রাত থেকে এক ভয়ার্ত রূপ ধারণ করে এই ক্যাম্পাসের।

সংঘর্ষের শুরু গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের ওপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন শিক্ষকসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এলে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ।

এর কিছু পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা নিজেদের সংঘবদ্ধ করে ছাত্রলীগের হামলা প্রতিহত করে। এতে করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিছু হাটে। এই সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে জড়ো হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার পর আন্দোলনকারীরা সংঘবদ্ধভাবে ছাত্রলীগের হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপদ মনে না করায় তাঁরা উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

ঘটনার সময় থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এক সংবাদকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রলীগ এর পর থেকেই বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ জন্য তারা বিভিন্ন হল থেকে কর্মীদের একসঙ্গে হওয়ার আহ্বান করে। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লিটন তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে জড়ো হতে থাকে। সে সময় তারা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের জড়ো করতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টা ৪০ এর দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে আন্দোলনকারীরা তাঁদের বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

এক সংবাদকর্মী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিষয় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার খাতিরে ভিসির বাসভবনে অবস্থান নেয়।

একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা সন্ত্রাসীরা মিলে আবারও হামলা করতে পারে এমন খবরে উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে (সীমানা প্রাচীরের মধ্যে) অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেওয়ার ১০ মিনিট পর বাসভবনের সামনে বহিরাগত সন্ত্রাসীসহ শাখা ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত হন। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রাচীরের মূল ফটকের ওপাশ থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কাচের বোতল ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় দুটো পেট্রলবোমা ছুড়তে দেখা যায় তাঁদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংবাদকর্মী বলেন, ছাত্রলীগ এর মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়াও বহিরাগত কর্মীদের ক্যাম্পাসে ডেকে আনে। পিকাপে করে আশপাশের গেরুয়া, ইসলামনগর, জামসিং, আশুলিয়া, সাভার এলাকা থেকে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ শুরু করে।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, রাত ১২টা ৪০ এর দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে বাসভবন সংলগ্ন মাঠে অবস্থান নেন। অন্যদিকে বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নেন। তখনো আন্দোলনকারীরা বাসভবন চত্বরে আশ্রয়ে ছিলেন। এভাবে দুই ঘণ্টা চলতে থাকে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তখন বাইরে থেকেই বিভিন্ন উপায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।

একপর্যায়ে রাত ১টা ৫০ এর দিকে পুলিশের সামনে ফটক ভেঙে বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন হামলাকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা ছুড়ে বাসভবনের প্রধান ফটকের লাইটসহ বিভিন্ন লাইট ভাঙচুর করেন তাঁরা। এরপর আন্দোলনকারীদের ব্যাপক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপাচার্য বাসভবনেই ছিলেন। হামলাকারীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালালেও পুলিশ তাঁদেরকে বাঁধা দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পরে হামলাকারীদের কয়েকজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, হামলার সময় উপাচার্যের বাসভবনে অনেক শিক্ষক অবস্থান করছিলেন। তাঁরাও হতবাক হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা এভাবে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে ঢুকে কীভাবে হামলা করতে পারে। শিক্ষকদের মারতে পারে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ও পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার লাইভ ও পোস্ট করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংবাদকর্মী বলেন, এমন অবস্থায় সব হল থেকে প্রায় দুই হাজারের মতো শিক্ষার্থী জোট বেঁধে উপাচার্যের বাসার সামনে আসেন প্রতিরোধ করতে। এত এত শিক্ষার্থী দেখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তখন পিছু হটতে থাকে। অভিযোগ রয়েছে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পিছু হটতে সহায়তা করেছে।

এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, ছররা গুলি নিক্ষেপ ও পিটুনি দেন। এতে অন্তত শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগেরও কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪-৫ জন শিক্ষক ও ৭ জন সাংবাদিক আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন আর গুরুতর আহতদের সাভারের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে রাত পৌনে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জানতে পেরে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়। পরে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের হামলায় পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

কী হচ্ছে আজ

আজ মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের বিশমাইল গেটে বহিরাগতদের প্রায় ১০০ জন অবস্থান নিলে ক্যাম্পাস আবার উত্তাল হয়ে ওঠে। তখন আন্দোলনকারীরা একত্রিত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে বহিরাগতরা ওই স্থান ত্যাগ করে।

এরপর আশপাশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুপুরের পর ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেলিগ্রামে বিদেশি বিনিয়োগের নামে ৫ কোটি টাকা হাতান তাঁরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গ্রেপ্তারকৃত ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক ও মো. সাগর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তারকৃত ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক ও মো. সাগর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া গ্রুপ খুলে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতাসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চক্রের প্রধান ফারদিন আহমেদ ওরফে প্রতীক (২৫) এবং তাঁর সহযোগী মো. সাগর আহমেদ (২৪)। আজ শুক্রবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডির ঢাকা মেট্রো পূর্ব বিভাগের একটি দল ৬ নভেম্বর ভোরে পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা এলাকা থেকে মূল হোতা ফারদিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অভিযান চালিয়ে সাগর আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টেলিগ্রামে ‘বিদেশি বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম’ নামে ভুয়া গ্রুপ খুলে অল্প সময়ে বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখাত। গ্রুপে আগে থেকেই সাজানো কিছু সদস্য রাখা হতো, যারা নিজেদের বিনিয়োগ করে লাভ পাওয়ার ভান করে নিয়মিত কৃতজ্ঞতার পোস্ট দিত। এসব দেখে সাধারণ বিনিয়োগপ্রত্যাশীরা প্রতারকদের আশ্বাসে অর্থ পাঠাতেন। পরে চক্রটি তৃতীয় ব্যক্তির নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করত। এভাবে বহু বিনিয়োগকারী সর্বস্ব হারিয়েছেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, ফারদিন বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ৩০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এমএফএস অ্যাকাউন্ট এবং সিমকার্ড নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতারণা চালাতেন। অন্যদিকে সাগর আহমেদ ‘Rio’ নামে ফেইক পরিচয়ে ‘Alexa Wick’ নামের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন। মাত্র সাত সদস্যবিশিষ্ট ওই গ্রুপে স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী পোস্ট ও মন্তব্য করে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা হতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারদিন প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি। তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকারও বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের অন্যান্য সদস্য ও অর্থপথ শনাক্তে গ্রেপ্তার দুজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেত্রী স্কুলশিক্ষক কারাগারে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
মেহেরিন খাদিজা লতা। ছবি: সংগৃহীত
মেহেরিন খাদিজা লতা। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে চেক জালিয়াতি মামলায় মেহেরিন খাদিজা লতা নামের এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে পৌর এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মেহেরিন খাদিজা উপজেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সহসভাপতি ও যুব মহিলা লীগের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি উপজেলার হামিদপুর গণ-উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

জানা গেছে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী পন্থী নেত্রী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন মেহেরিন খাদিজা। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন।

জানতে চাইলে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিবাস চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেহেরিন খাদিজার বিরুদ্ধে ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। মামলার বাদী ও কত টাকার মামলা—এ বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিনাজপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৬

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৪
বিজিবির হাতে আটক ভারতীয় নাগরিকসহ ৬ জন। ছবি: সংগৃহীত
বিজিবির হাতে আটক ভারতীয় নাগরিকসহ ৬ জন। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্তে অবৈধভাবে পারাপারের সময় এক ভারতীয় নাগরিকসহ ৬ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মামলা দিয়ে তাদের ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছে ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি)। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ীর রসুলপুর বিওপির বিজিবি টহল দল উপজেলার রসুলপুর (পলিপাড়া) গ্রামের মৃত জাহিরুল চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রসুলপুর বিওপি সীমান্ত ফাঁড়িতে বিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার। এরপর রাতেই আটক ব্যক্তিদের ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মারগ্রাম গ্রামের নেপাল বর্মন (২৯), বালাদেশের নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শালবাড়ী গ্রামের জলি রানী (৩০) ও তাঁর দুই মেয়ে এবং পত্নীতলার বড়চাঁদপুর গ্রামের বিজন কুমার দাস (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী লিপি রানী দাস (৪৭)।

বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিক নেপাল বর্মন গত ২২ অক্টোবর হিলি বন্দর দিয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে আসেন। ২৬ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে জলি রানীকে বিয়ে করেন। পরে ভারতে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের ৫ জনকে ৪ নভেম্বর রসুলপুর গ্রামের মৃত জাহিরুল চৌধুরীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। গোপন সূত্রে জানতে পেরে বিজিবি সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের আটক করেন।

আটক ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে বিজিবি সূত্র জানায়, নেপাল বর্মন বিরামপুর উপজেলার কাটলা বাজার এলাকার ভোলা, রোস্তম ও শহিদুল নামে তিন পাচারকারীর সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল জানান, বিজিবি সদস্যরা ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৬ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। বিজিবি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

বিজিবি ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আটক ব্যক্তিদের ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ ব্যাটালিয়ন) কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নলছিটিতে অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খাদে, বিজিবি সদস্য নিহত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি 
ঝালকাঠির নলছিটিতে আজ শুক্রবার বিকেলে অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
ঝালকাঠির নলছিটিতে আজ শুক্রবার বিকেলে অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম আনোয়ার আকন (৩৮)। তিনি নলছিটি উপজেলার দুধারিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক আকনের ছেলে। আহত যাত্রীদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে কুয়াকাটাগামী খান পরিবহনের একটি বাস দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা দুটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং যাত্রী আনোয়ার আকন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

নলছিটি থানার ওসি আব্দুস ছালাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দুর্ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন দুই ব্যক্তি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত