আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। আর শব্দ দূষণে ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি পোড়ানো ও ফানুস না ওড়ানোর সুপারিশ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়। নববর্ষ উদ্যাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানোর কারণে বায়ু ও শব্দদূষণের ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ এবং আতশবাজি ও ফানুস মুক্ত নববর্ষ উদ্যাপনের দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪—এই সময়ের মধ্যে বায়ুমান সূচক কখনোই ভালো অবস্থানে ছিল না। বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে থাকলে ভালো বায়ু বলা হয়, সে ক্ষেত্রে গত ৭ বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০–এর নিচে ছিল না। তবে ২০২১–২২ সালে করোনাকালে কম আতশবাজি, পটকা, ফানুস পোড়ানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ্যাপনের আগে ৩ ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে, নববর্ষ উদ্যাপনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর মানের অবনতি হতে শুরু করে। রাত ১২টা বাজার কিছু পূর্ব থেকে আতশবাজি, ফানুস পোড়ানোর শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণও বাড়তে থাকে। বস্তুকণার এর দূষণের মাত্রা রাত ১টায় প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ২৪৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শব্দদূষণ প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের ফলে যে শুধু বায়ুদূষণ হচ্ছে এমনটি নয়, এর ফলে মারাত্মক শব্দদূষণও সৃষ্টি হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে শুরু করে ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দ শোনা যায়। ক্যাপসের গবেষণা দল সাত বছর যাবৎ ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে শব্দদূষণের তীব্রতাও পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১টার মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে শব্দের মান ৪৮ থেকে শুরু করে ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পাওয়া যায়। কিন্তু এই শব্দের মাত্রা ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবেল থেকে শুরু করে গড়ে সর্বোচ্চ ১১০ ডেসিবেল পর্যন্ত বা এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
ক্যাপসের গবেষণা দলের মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় রাত ১২ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘণ্টায় শব্দদূষণ হার আগের দিনের (৩০ ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে ছিল।
ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই মানমাত্রা কখনোই ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাও (৭০ ডেসিবেল) অতিক্রম করে। হিসাব করে দেখা যায়, গত ৭ বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত গড়ে ৯০ শতাংশ সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আনন্দ উদ্যাপন এবং পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ছয়টি সুপারিশ জানিয়েছে ক্যাপস। সুপারিশগুলো হলো—দূষণ সৃষ্টিকারী আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; আতশবাজি এবং ফানুসের পরিবর্তে আলোকসজ্জা, প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করা এবং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করা যেতে পারে; গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে; শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এবং অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; নববর্ষ উদ্যাপনের সময় পশু-পাখি এবং বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং দূষণ নির্ধারণ এবং তার প্রভাব কমানোর জন্য গবেষণায় আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব) মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার চৌধুরীহাটের আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
৫ মিনিট আগে
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান...
১ ঘণ্টা আগে
জনগণের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, জনগণের সঙ্গে যারাই তামাশা করবে, তারাই রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো নাই হয়ে যাবে। আমরা এই তরুণ প্রজন্ম জনগণের সঙ্গে আছি এবং থাকতে চাই। জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব) মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার যারা বাধাগ্রস্ত করবে, জনগণ তাদের রুখে দেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র মানে তারেক রহমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র। যারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে, আর নির্বাচনে ভরাডুবি হবে জেনেই তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
োয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর রোববার সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আর ওই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সারা দেশের মানুষ উদ্গ্রীব হয়ে আছে। যতই ষড়যন্ত্র হোক আমরা, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। সারা দেশের জনগণ ভোটে নেমে পড়েছে, ভোটের ট্রেনে জনগণ উঠে গেছে। নির্বাচন ঘিরে প্রতিটি অঞ্চলে মিছিল-মিটিং হচ্ছে।’
হরিণী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান দোলনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক খোকন, সাবেক সহসভাপতি মাসউদুর রহমান বাবর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হায়দার সাজ্জাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল মজিদ নিশানসহ অনেকে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব) মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার যারা বাধাগ্রস্ত করবে, জনগণ তাদের রুখে দেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র মানে তারেক রহমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র। যারা নির্বাচনকে বানচাল বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে, আর নির্বাচনে ভরাডুবি হবে জেনেই তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
োয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর রোববার সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আর ওই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সারা দেশের মানুষ উদ্গ্রীব হয়ে আছে। যতই ষড়যন্ত্র হোক আমরা, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। সারা দেশের জনগণ ভোটে নেমে পড়েছে, ভোটের ট্রেনে জনগণ উঠে গেছে। নির্বাচন ঘিরে প্রতিটি অঞ্চলে মিছিল-মিটিং হচ্ছে।’
হরিণী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান দোলনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক খোকন, সাবেক সহসভাপতি মাসউদুর রহমান বাবর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হায়দার সাজ্জাদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল মজিদ নিশানসহ অনেকে।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার চৌধুরীহাটের আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
৫ মিনিট আগে
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান...
১ ঘণ্টা আগে
জনগণের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, জনগণের সঙ্গে যারাই তামাশা করবে, তারাই রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো নাই হয়ে যাবে। আমরা এই তরুণ প্রজন্ম জনগণের সঙ্গে আছি এবং থাকতে চাই। জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই।
১ ঘণ্টা আগেরাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার চৌধুরীহাটের আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল বলেন, ‘রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র-গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর রাতে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজান উপজেলায় একাধিকবার গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার চৌধুরীহাটের আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল বলেন, ‘রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র-গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর রাতে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাঁচজন আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজান উপজেলায় একাধিকবার গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব) মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
২ মিনিট আগে
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান...
১ ঘণ্টা আগে
জনগণের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, জনগণের সঙ্গে যারাই তামাশা করবে, তারাই রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো নাই হয়ে যাবে। আমরা এই তরুণ প্রজন্ম জনগণের সঙ্গে আছি এবং থাকতে চাই। জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান (হিরন), যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম খোকন, সদস্য মাসুদ পারভেজ কার্জন এবং গৌরীপুর পৌর বিএনপির সদস্যসচিব সুজিত কুমার দাস ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান পলাশ।
তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরিপত্রটি দলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নেতারা দলের অভ্যন্তরে সহিংসতা, রক্তপাত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যা বিএনপির শৃঙ্খলা ও নীতির পরিপন্থী। এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃত কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। এই বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কঠোর বার্তা দিল।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হিরন সমর্থকেরা মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে আসছিলেন। রোববার দুই পক্ষই আলাদা স্থানে সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় মনোনয়নপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইনের সমর্থকেরা হিরনের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে। এতে উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল সমর্থক ছাত্রদল নেতা তানজিন আহমেদ আবিদ (২৪) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গৌরীপুরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এদিকে রাতে দুই পক্ষই আলাদা একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করে।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান (হিরন), যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম খোকন, সদস্য মাসুদ পারভেজ কার্জন এবং গৌরীপুর পৌর বিএনপির সদস্যসচিব সুজিত কুমার দাস ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান পলাশ।
তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরিপত্রটি দলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নেতারা দলের অভ্যন্তরে সহিংসতা, রক্তপাত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যা বিএনপির শৃঙ্খলা ও নীতির পরিপন্থী। এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃত কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। এই বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কঠোর বার্তা দিল।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হিরন সমর্থকেরা মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে আসছিলেন। রোববার দুই পক্ষই আলাদা স্থানে সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় মনোনয়নপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইনের সমর্থকেরা হিরনের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে। এতে উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল সমর্থক ছাত্রদল নেতা তানজিন আহমেদ আবিদ (২৪) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গৌরীপুরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এদিকে রাতে দুই পক্ষই আলাদা একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করে।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব) মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার চৌধুরীহাটের আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
৫ মিনিট আগে
জনগণের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, জনগণের সঙ্গে যারাই তামাশা করবে, তারাই রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো নাই হয়ে যাবে। আমরা এই তরুণ প্রজন্ম জনগণের সঙ্গে আছি এবং থাকতে চাই। জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই।
১ ঘণ্টা আগেসুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

জনগণের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, জনগণের সঙ্গে যারাই তামাশা করবে, তারাই রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো নাই হয়ে যাবে। আমরা এই তরুণ প্রজন্ম জনগণের সঙ্গে আছি এবং থাকতে চাই। জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাহিরগোলা চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল ছিল। সেই আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে ভিন্নমত দমনে জামায়াত-বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর চালিয়েছিল অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন। তাদের নেতা-কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে দেওয়া হয়েছিল মামলা। করা হয়েছিল তাদের ঘরছাড়া। সর্বশেষ এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এ দেশের সচেতন নতুন প্রজন্ম, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং তাদের সঙ্গে যোগ হয়ে ছাত্র-জনতার মিলিত অভ্যুত্থানে এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নাই হয়ে গেছে।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘আপনাদের কারও সন্তান, কারও ভাই এই তরুণেরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অসাধ্যকে সাধন করেছে, তা গত ৫০ বছরে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে যে বিভাজন, হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারির রাজনীতি চলেছে তাতে সাধারণ মানুষ, আমজনতা নেতাদের জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। নেতাদের জন্য লাশ হয়েছে। কিন্তু নেতায়-নেতায় ঠিকই থাকে। নেতায়-নেতায় ফোনে কথা হয়, আলাপ-আলোচনা হয় আর কর্মীরা রাস্তাঘাটে মারামারি করে জীবন দেয়। তাই জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামীর রাজনীতি ও বাংলাদেশের গতিপথ কী হবে, তা নির্ধারণ করবে এ দেশের নতুন প্রজন্ম ও সাহসী তরুণেরা।’
নুর আরও বলেন, ‘যে তরুণেরা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল, এই পরিবর্তন এনেছিল, সেই তরুণেরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশা আল্লাহ।’
পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের গঙ্গাচড়া আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হানিফ খান সজিব, সুন্দরগঞ্জ আসনের প্রার্থী মাসুদ রানা মোন্নাফ এবং সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী আসনে মো. সুরুজ্জামান সরকারকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান নুরুল হক নুর।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় উচ্চতর পরিষদের সদস্য মো. হানিফ খান সজিব এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ রানা মোন্নাফ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক রুমন বসুনিয়া ও উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেল মিয়াসহ অনেকে বক্তব্য দেন এ পথসভায়।

জনগণের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, জনগণের সঙ্গে যারাই তামাশা করবে, তারাই রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের মতো নাই হয়ে যাবে। আমরা এই তরুণ প্রজন্ম জনগণের সঙ্গে আছি এবং থাকতে চাই। জনগণের চিন্তাভাবনাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনীতি এগিয়ে নিতে চাই। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাহিরগোলা চত্বরে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল ছিল। সেই আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে ভিন্নমত দমনে জামায়াত-বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর চালিয়েছিল অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন। তাদের নেতা-কর্মীদের খুঁজে খুঁজে বের করে দেওয়া হয়েছিল মামলা। করা হয়েছিল তাদের ঘরছাড়া। সর্বশেষ এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এ দেশের সচেতন নতুন প্রজন্ম, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং তাদের সঙ্গে যোগ হয়ে ছাত্র-জনতার মিলিত অভ্যুত্থানে এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নাই হয়ে গেছে।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি আরও বলেন, ‘আপনাদের কারও সন্তান, কারও ভাই এই তরুণেরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অসাধ্যকে সাধন করেছে, তা গত ৫০ বছরে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে যে বিভাজন, হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারির রাজনীতি চলেছে তাতে সাধারণ মানুষ, আমজনতা নেতাদের জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। নেতাদের জন্য লাশ হয়েছে। কিন্তু নেতায়-নেতায় ঠিকই থাকে। নেতায়-নেতায় ফোনে কথা হয়, আলাপ-আলোচনা হয় আর কর্মীরা রাস্তাঘাটে মারামারি করে জীবন দেয়। তাই জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামীর রাজনীতি ও বাংলাদেশের গতিপথ কী হবে, তা নির্ধারণ করবে এ দেশের নতুন প্রজন্ম ও সাহসী তরুণেরা।’
নুর আরও বলেন, ‘যে তরুণেরা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল, এই পরিবর্তন এনেছিল, সেই তরুণেরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশা আল্লাহ।’
পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের গঙ্গাচড়া আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হানিফ খান সজিব, সুন্দরগঞ্জ আসনের প্রার্থী মাসুদ রানা মোন্নাফ এবং সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী আসনে মো. সুরুজ্জামান সরকারকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান নুরুল হক নুর।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় উচ্চতর পরিষদের সদস্য মো. হানিফ খান সজিব এবং গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ রানা মোন্নাফ, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক রুমন বসুনিয়া ও উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেল মিয়াসহ অনেকে বক্তব্য দেন এ পথসভায়।

ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও ফানুস পোড়ানোর সময় বায়ুদূষণ ২০২৩ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩৫ শতাংশ বেড়েছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ১০২ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৪২ শতাংশ বাড়ে। এ ছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দের মাত্রা এত তীব্র হয় যে শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়। এসব তথ্য তুলে ধরে এবার ইংরেজি নব
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব) মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আজকে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গণতন্ত্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজানে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার চৌধুরীহাটের আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
৫ মিনিট আগে
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অভ্যন্তরীণ হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান...
১ ঘণ্টা আগে