Ajker Patrika

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের খাসকামরায় তিনি জবানবন্দি দেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আদালত তাঁর জবানবন্দি সন্ধ্যা পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জাফরিন ওই বৈঠকে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ওই বৈঠকে বক্তব্য রেখেছিলেন বলেও স্বীকার করেছেন।

তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশ দেওয়ার পরেই নেতা-কর্মীরা ঢাকায় সমবেত হবে এবং পরে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। এসব পরিকল্পনা হয়েছিল বৈঠকে। বৈঠকে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথও নেন অংশগ্রহণকারীরা।

৭ আগস্ট জাফরিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে ডিবির একটি দল তাঁকে আটক করে।

রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গোপন বৈঠকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে এর আগে মেজর সাদিককে আটক করা হয়। সেনা আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি ক্যান্টনমেন্টে আছেন। সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় জাফরিনকেও আটক করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।

মামলায় গ্রেপ্তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী শামীমা নাসরিন শম্পা ও বরগুনার সোহেল রানার দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত ১৬ জুলাই কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই আটজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আজিজুল মিজি, ফরিদপুরের আনজুমান আরা বেগম, ঢাকার সাভারের সুলতান মাহমুদ ওরফে তছলিম মাহমুদ, পটুয়াখালীর মো. নাঈম হাওলাদার, ভোলা জেলার মো. হেলাল উদ্দিন, নরসিংদীর মো. ইমরান হোসেন, শরীয়তপুরের মুক্তা আক্তার, রাজশাহীর নবিউল প্রকাশ নবু।

গত ৩০ জুলাই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁরা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার রাজীব মিয়া, নওগাঁর ওমর ফারুক সৈকত, রাজধানীর বংশালের হাজি নাসির আহমেদ ও নোয়াখালী মো. এনাম হোসেন সুজন এবং ৩১ জুলাই নেত্রকোনার জাহিদ হোসেন, সিলেটের আনার মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

৩ আগস্ট রাজবাড়ীর প্রীতম কুমার দে ও শফিকুল ইসলাম সজীবকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত মোট ২২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদনান নামে আরেক আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

৭ আগস্ট রিমান্ড শুনানির সময় জাফরিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

ভল্ট থেকে উইন্ডো গ্রুপের কোটি টাকা চুরি, ডেপুটি ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ২

গণভোট আর নির্বাচন এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট: জামায়াত নেতা তাহের

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গারো পাহাড়ে পাকছে ধান, বন্য হাতির আতঙ্কে কৃষকেরা

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের ঢালে আমন ধান পাকছে। প্রায়ই পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির দল ধানের খেত নষ্ট করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের ঢালে আমন ধান পাকছে। প্রায়ই পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির দল ধানের খেত নষ্ট করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের ঢালে আমন ধান পাকা শুরু হতেই বেড়েছে বন্য হাতির উৎপাত। প্রায়ই পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির দল ধানের খেত নষ্ট করছে। যার ফলে স্থানীয় কৃষকেরা এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, ভারতের মেঘালয় সীমান্তবর্তী পাহাড় থেকে প্রায়ই বন্য হাতির দল সীমান্ত পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। দিনের বেলায় তারা টিলায় ঘোরাফেরা করলেও সন্ধ্যা নামলেই খাদ্যের সন্ধানে ধানখেতে হানা দেয়।

গত কয়েক দিনে বন্য হাতির দল উপজেলার পশ্চিম সমশ্চুড়া, মায়াঘাঁসি ও ফেকামারি এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে। এর মধ্যে শুধু পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামেই হাতির দাপটে প্রায় ৯ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে এবং অন্তত ১৭ জন কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

ফসল রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতির দল তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। অনেকে পাহাড়ের টিলায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন।

বিশপনগর গ্রামের কৃষক প্রদীপ সাংমা বলেন, ‘পাঁচ শতক জমিতে ধান আবাদ করেছি। ধান এখন আধা পাকা। হাতির ভয়ে হয়তো আগেই কেটে ফেলতে হবে।’

পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক আয়ুব আলী বলেন, ‘রাতে সবাই মিলে খেত পাহারা দিতে হয়। হাতি এলে ঢাকঢোল বাজিয়ে তাড়াই। এবার ধান ভালো হয়েছিল, কিন্তু হাতির দাপটে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সভাপতি আরফান আলী এ বিষয়ে বলেন, ‘দিনে হাতির দল জঙ্গলে থাকে, আর সন্ধ্যার পর খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নামে। সবাইকে অনুরোধ করছি, কেউ যেন হাতিকে আঘাত না করে।’

ময়মনসিংহ বন বিভাগের সমশ্চুড়া বিট কর্মকর্তা মো. কাওসার বলেন, ‘প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বন্য হাতি এখন এই এলাকায় অবস্থান করছে। ধান পাকার মৌসুমে খাদ্যের অভাবে তারা গ্রামে নেমে আসে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বন বিভাগের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

ভল্ট থেকে উইন্ডো গ্রুপের কোটি টাকা চুরি, ডেপুটি ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ২

গণভোট আর নির্বাচন এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট: জামায়াত নেতা তাহের

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্ষেতলালে ‘পাখি কলোনি’: ইউএনওর উদ্যোগে ফিরছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
ক্ষেতলাল উপজেলা চত্বরে ‘পাখি কলোনি’। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাছে গাছে ঝোলানো হয়েছে মাটির হাঁড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্ষেতলাল উপজেলা চত্বরে ‘পাখি কলোনি’। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাছে গাছে ঝোলানো হয়েছে মাটির হাঁড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা চত্বরে গড়ে উঠেছে এক অভিনব পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ ‘পাখি কলোনি’। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাছে গাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি, আর পুকুরে বসানো হয়েছে আড়ানি। উদ্দেশ্য হলো, পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

শরতের হিমেল হাওয়া ও নরম আলোয় বর্তমানে উপজেলা চত্বর মুখর পাখির কূজনে। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যেন দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে প্রকৃতির নিজস্ব ছন্দ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির প্রাণ, আর প্রকৃতি মানেই জীবন। আমরা এমন এক পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে মানুষ, গাছ ও পাখি একসঙ্গে টিকে থাকবে। ক্ষেতলালের এই উদ্যোগ কেবল আশ্রয় নয়, এটি প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতীক।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান যোগ করেন, ‘পাখি কৃষির নীরব সহযোগী। তারা মাঠের ক্ষতিকর পোকার শত্রু। এই উদ্যোগ কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র মনে করেন, পাখি পরিবেশের অদৃশ্য রক্ষাকবচ। ক্ষেতলালের এই উদ্যোগ প্রকৃতি সংরক্ষণে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত করবে।

স্থানীয় পরিবেশকর্মী এম রাসেল আহমেদ বলেন, যেখানে মানুষ পাখি তাড়ায়, সেখানে তাদের জন্য ঘর বানানো হচ্ছে—এটি শুধু পরিবেশ প্রকল্প নয়, এটি সহানুভূতির প্রতীক। পাখি বাঁচলে প্রকৃতি বাঁচবে, আর প্রকৃতি বাঁচলেই মানুষ টিকে থাকবে।

বর্তমানে ক্ষেতলাল উপজেলা চত্বরে মাটির হাঁড়িতে বাসা বাঁধছে শালিক, দোয়েল, বাবুই ও টুনটুনি। পুকুরের আড়ানিতে লেখা কবিতার পঙ্‌ক্তি যেন পাখিদের নীরব আহ্বান জানাচ্ছে—‘এসো হে পাখি, খাও রে মাছ, রোদে ঝিলমিল জলের হাসি।’

ক্ষেতলাল উপজেলা প্রশাসনের এই ‘পাখি কলোনি’ এখন শুধু একটি প্রকল্প নয়, এটি মানুষ, পাখি ও প্রকৃতির সহাবস্থানের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি, যা পাখির কূজনেই ফিরিয়ে আনছে প্রকৃতির হারানো হাসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

ভল্ট থেকে উইন্ডো গ্রুপের কোটি টাকা চুরি, ডেপুটি ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ২

গণভোট আর নির্বাচন এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট: জামায়াত নেতা তাহের

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকসুতে ভিপি-জিএসসহ ২৪টি পদে ছাত্রশিবিরের জয়, এজিএস ছাত্রদলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭: ০৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত চারটার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১টি আর জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫টি। অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১টি।

বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।

চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।

এর আগে দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত একটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

ভল্ট থেকে উইন্ডো গ্রুপের কোটি টাকা চুরি, ডেপুটি ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ২

গণভোট আর নির্বাচন এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট: জামায়াত নেতা তাহের

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকসুর ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল-শিবির হট্টগোল, সহ-উপাচার্য অবরুদ্ধ

চবি প্রতিনিধি 
বুধবার দিবাগত রাতে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত
বুধবার দিবাগত রাতে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে ফেল করানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের এক কর্মী দাবি করেন, প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দর্শন ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে। অথচ এই কক্ষে জমাদিউল আওয়াল পেয়েছেন ৩ ভোট। এমনটি হওয়ার কথা নয়। আর দর্শন বিভাগের অনেকের সঙ্গে জমাদিউল আওয়ালের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে কারচুপির মাধ্যমে ৩ ভোট দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ফলাফল ঘোষণা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এরপর একদল শিক্ষার্থী তাঁর পথ আটকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে এই ভবনের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট আবার গণনার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাঁরা মানেননি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাজায় ৮ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল হামাস

ভল্ট থেকে উইন্ডো গ্রুপের কোটি টাকা চুরি, ডেপুটি ম্যানেজারসহ গ্রেপ্তার ২

গণভোট আর নির্বাচন এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট: জামায়াত নেতা তাহের

সব ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্ট থাকবে জুলাই সনদে, সেটাই যাবে গণভোটে: সালাহউদ্দিন আহমদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত