জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির এক বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকার অভিযোগ করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে টাকা লেনদেনের দৃশ্য ধরা পড়েছে, যা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। অভিযোগের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার কেজিডিসিএল কার্যালয়ে গিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সরোয়ার উদ্দিন কোনো মন্তব্য করেননি। গতকাল শুক্রবার পাঁচবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ৮ জুন কেজিডিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সরোয়ার উদ্দিনসহ সাত-আটজন কর্মচারী মাইক্রোবাস নিয়ে আকবরশাহ থানার পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির মো. রাজলু খানের বাড়িতে যান। চারতলা বাড়ির নিচতলায় গিয়ে তাঁরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ এনে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করেন। নিচতলার ভাড়াটে তাঁদের তিনতলায় বাড়ির মালিকের কাছে যেতে বলেন। তখন বাড়ির মালিক আগ্রাবাদের বারেক বিল্ডিংয়ের অফিসে ছিলেন। বাড়িতে থাকা তাঁর স্ত্রী শামিমা খানের কাছে ওই অভিযোগ করে ৭ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করেন সরোয়ার উদ্দিন। না হলে বাড়ির সব রাইজার খুলে নেওয়ার কথা জানান। শামিমা খান বিষয়টি মুঠোফোনে স্বামীকে জানালে তিনি তাঁদের নিজ অফিসে যেতে বলেন। বাড়ির কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে সরোয়ার উদ্দিনসহ দুজন তাঁর অফিসে যান।
৭০ বছর বয়সী রাজলু খান বলেন, ‘সরোয়ার উদ্দিনসহ দুজন অফিসে এসে ৭ লাখ টাকা চান। না দিলে বাড়ির সব রাইজার নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। আমি অফিসে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আছে জানালে সরোয়ার উদ্দিন ওই টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে চলে যান। টাকার রসিদ চাইলেও দেননি।’ তিনি বলেন, ‘বাড়িতে এসে দেখি কোনো অবৈধ সংযোগ নেই। সব রাইজারে আলাদা প্রি-পেইড মিটার আছে। রাইজার নিয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হতো বলে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেছি। রসিদ না দেওয়ায় সন্দেহ হয়।’
আজকের পত্রিকার হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাজলু খান ৮ জুন বেলা ২টা ৩২ মিনিটে তাঁর অফিসের ফটকে সরোয়ার উদ্দিনকে টাকা দেন। সরোয়ারের মাথায় হেলমেট ও কোমরে কালো ব্যাগ ছিল। সরোয়ার ওই টাকা কালো ব্যাগে রাখেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরেকজন ছিলেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই আকবরশাহ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাজলু খান। পরে কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক বরাবর একটি অভিযোগ দেন। যাতে সরোয়ার উদ্দিন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিলেও রসিদ না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
রাজলু খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুন দুই সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করে কেজিডিসিএল। কমিটির আহ্বায়ক উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব ও সদস্যসচিব ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল আজিজ।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মোজাহার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির এক বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকার অভিযোগ করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে টাকা লেনদেনের দৃশ্য ধরা পড়েছে, যা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। অভিযোগের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার কেজিডিসিএল কার্যালয়ে গিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সরোয়ার উদ্দিন কোনো মন্তব্য করেননি। গতকাল শুক্রবার পাঁচবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ৮ জুন কেজিডিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সরোয়ার উদ্দিনসহ সাত-আটজন কর্মচারী মাইক্রোবাস নিয়ে আকবরশাহ থানার পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির মো. রাজলু খানের বাড়িতে যান। চারতলা বাড়ির নিচতলায় গিয়ে তাঁরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ এনে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করেন। নিচতলার ভাড়াটে তাঁদের তিনতলায় বাড়ির মালিকের কাছে যেতে বলেন। তখন বাড়ির মালিক আগ্রাবাদের বারেক বিল্ডিংয়ের অফিসে ছিলেন। বাড়িতে থাকা তাঁর স্ত্রী শামিমা খানের কাছে ওই অভিযোগ করে ৭ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করেন সরোয়ার উদ্দিন। না হলে বাড়ির সব রাইজার খুলে নেওয়ার কথা জানান। শামিমা খান বিষয়টি মুঠোফোনে স্বামীকে জানালে তিনি তাঁদের নিজ অফিসে যেতে বলেন। বাড়ির কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে সরোয়ার উদ্দিনসহ দুজন তাঁর অফিসে যান।
৭০ বছর বয়সী রাজলু খান বলেন, ‘সরোয়ার উদ্দিনসহ দুজন অফিসে এসে ৭ লাখ টাকা চান। না দিলে বাড়ির সব রাইজার নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। আমি অফিসে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আছে জানালে সরোয়ার উদ্দিন ওই টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে চলে যান। টাকার রসিদ চাইলেও দেননি।’ তিনি বলেন, ‘বাড়িতে এসে দেখি কোনো অবৈধ সংযোগ নেই। সব রাইজারে আলাদা প্রি-পেইড মিটার আছে। রাইজার নিয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হতো বলে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেছি। রসিদ না দেওয়ায় সন্দেহ হয়।’
আজকের পত্রিকার হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাজলু খান ৮ জুন বেলা ২টা ৩২ মিনিটে তাঁর অফিসের ফটকে সরোয়ার উদ্দিনকে টাকা দেন। সরোয়ারের মাথায় হেলমেট ও কোমরে কালো ব্যাগ ছিল। সরোয়ার ওই টাকা কালো ব্যাগে রাখেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরেকজন ছিলেন।
এ ঘটনায় ওই দিনই আকবরশাহ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাজলু খান। পরে কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক বরাবর একটি অভিযোগ দেন। যাতে সরোয়ার উদ্দিন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিলেও রসিদ না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
রাজলু খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুন দুই সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করে কেজিডিসিএল। কমিটির আহ্বায়ক উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব ও সদস্যসচিব ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল আজিজ।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মোজাহার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৫ ঘণ্টা আগে