Ajker Patrika

চাকসু নির্বাচন: ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চবির প্রধান ফটকে মুখোমুখি ছাত্রদল-শিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকের অক্সিজেন–হাটহাজারী সড়কের এক নম্বর গেট এলাকায় রাত ৮টা থেকে বিএনপি–ছাত্রদল ও জামায়াত–ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা অবদি (রাত ১২টা ১৫ মিনিট) উভয় পক্ষ আরও শক্তিবৃদ্ধি করছে। চলছে মুহুর্মুহু স্লোগান।

বুধবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁদের কাছ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন ছাত্রশিবিরের সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানও।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘জামায়াত–শিবিরের বহিরাগতরা এসে ১ নম্বর গেটে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনে কারচুপি ও নানা অনিয়ম হয়েছে। আমাদের অবস্থান শান্তিপূর্ণ।’

অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে থাকা শিবিরকর্মীরাও একই কথা বলছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ বলেন, ‘চবির এক নম্বর গেট এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তবে আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকসুর ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল-শিবির হট্টগোল, সহ-উপাচার্য অবরুদ্ধ

চবি প্রতিনিধি 
বুধবার দিবাগত রাতে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত
বুধবার দিবাগত রাতে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে ফেল করানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের এক কর্মী দাবি করেন, প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দর্শন ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে। অথচ এই কক্ষে জমাদিউল আওয়াল পেয়েছেন ৩ ভোট। এমনটি হওয়ার কথা নয়। আর দর্শন বিভাগের অনেকের সঙ্গে জমাদিউল আওয়ালের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে কারচুপির মাধ্যমে ৩ ভোট দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ফলাফল ঘোষণা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এরপর একদল শিক্ষার্থী তাঁর পথ আটকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে এই ভবনের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট আবার গণনার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাঁরা মানেননি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে কেমিক্যাল পার্ক: রাসায়নিকের গুদাম সরছে না

  • প্রকল্প শুরু হয় ৭ বছর আগে।
  • অধিগ্রহণ করা হয় ৩০৮ একর জমি।
  • মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি ২ মাস।
  • সম্পন্ন হয়নি সড়ক, ডাম্পিং ইয়ার্ডের নির্মাণকাজ।
  • প্লট হস্তান্তর না হওয়ায় সরছেন না ব্যবসায়ীরা।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা 
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পরদিন গতকাল ঘটনাস্থলে স্বজন ও সহকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পরদিন গতকাল ঘটনাস্থলে স্বজন ও সহকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে সেখানে এখনো ঝোপঝাড়ে ভরা মাঠ। কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে, বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তা, ড্রেন, ডাম্পিং ইয়ার্ড কিছুই এখনো সম্পন্ন হয়নি। প্লট হস্তান্তর হয়নি, তাই ব্যবসায়ীরাও সরছেন না।

প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলে ফিরতি বার্তায় জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছর প্লট হস্তান্তর করা হবে।

বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

এই রাসায়নিক পল্লির জন্য ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে হবে ১ হাজার ৮৪৩টি প্লট, থাকবে রাস্তা, ড্রেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ফাঁড়ি, পানি সরবরাহব্যবস্থা, ইনসিনেরেটর ও জেটি। কিন্তু কাজের গতি বলছে, এসবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা এখনো বহু দূর।

কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের কাজের এমন দশায় পুরান ঢাকায় আগের মতোই চলছে কেমিক্যাল ব্যবসা।

২০১০ সালের নিমতলী ও ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তারপরও নিরাপত্তাব্যবস্থায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। বরং ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জের মতো শহরগুলোয়। কিন্তু দ্রুত যেকোনো বিপর্যয় সামাল দিতে ফায়ার সার্ভিসেরও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। কেমিক্যালের আগুন নেভাতে তাদের সক্ষমতা সীমিত। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা সরতে চান, কিন্তু শর্ত পূরণ না হলে তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, গুদামঘর স্থানান্তরের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তবে প্লট বুঝে না পেলে তাঁরা কীভাবে যাবেন। তাঁরা শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকেন। সঠিকভাবে এসব মালামাল সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক পল্লিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতে সময় লাগবে। বিষয়গুলো নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে বিসিককে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা না হলে ব্যবসায়ীদের কী করণীয় থাকতে পারে?

প্রকল্পের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে পরিবেশবিদদেরও। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান বলেন, তখন জোরজবরদস্তি করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকার কাছাকাছি হাজারীবাগ বা আশপাশে অল্প পরিমাণ জমিতে নির্মাণ হলে এত দিনে স্থানান্তর হয়ে যেত। কিন্তু পল্লি দূরে তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সেখানে যেতে আগ্রহ কম। সরকারও ঢিলেতালে হাঁটছে।

রসায়নবিদেরা বলছেন, কেমিক্যাল ব্যবসা জটিল ও সংবেদনশীল। এ কাজে দক্ষতা জরুরি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, কেমিক্যাল কেনাবেচা কিংবা এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হলে এসব সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকা প্রয়োজন। একেকটি কেমিক্যালের একেক রকম চরিত্র। কেমিস্ট, রিসার্সার, সায়েন্টিফিকদের এসব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে। এসব কেমিক্যালের ডিলিংস সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে সেটি অন্ধকারে ঢিল মারার মতো অবস্থা হবে। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অতীশ দীপঙ্কর ও সূর্য সেন হলে ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল

চবি প্রতিনিধি 
ভোটকেন্দ্রে অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভোটকেন্দ্রে অপেক্ষারত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল।

চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি পেয়েছেন ৯০ ভোট।

এই হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রদলের মো. শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।

এছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ২৬৬ ভোট এবং ছাত্রশিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪৫ ভোট।

অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্য সেন হলেও ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। এ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট।

এই হলে জিএস প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।

নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরগুনায় টোলের নামে সড়কে চাঁদাবাজি

  • আদালত ও মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে সড়কের তিন স্থানে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়।
  • চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখার অভিযোগ।
বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় টোলের নামে সড়কে চাঁদাবাজি

আদালত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বরগুনা পৌরসভায় যানবাহন থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখা হয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা শহরের প্রবেশপথ ক্রোক ব্রিজ, পৌর বাস টার্মিনাল ও সোনাখালী এলাকায় প্রকাশ্যে সব ধরনের যাত্রী এবং পণ্যবাহী যানবাহন থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অটোরিকশা কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালকেরাও চাঁদা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।

যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ১০ টাকা, সিএনজিচালিত ও মাহিন্দ্রা অটোরিকশা থেকে ২০ টাকা, ট্রাক ও বাস থেকে ২০০, পিকআপ ভ্যান থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পণ্য নিয়ে বরগুনায় আসা একাধিক ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারী জানান, খুলনা ও বাগেরহাটের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এলেও সড়কের কোথাও চাঁদা দিতে হয় না। কিন্তু বরগুনা পৌরসভায় ঢোকার আগেই তাঁদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়।

টোল আদায় করার জন্য পৌরসভা থেকে ইজারা নেওয়া সাগর জমাদ্দার বলেন, ‘পৌরসভা মোট তিনবার দরপত্র আহ্বান করে। এর মধ্যে তৃতীয়বারের সময় আমরা ইজারা পেয়েছি।’

জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল বরগুনা জেলার সব সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দেন আদালত। বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্ এই আদেশ দেন। বেতাগী উপজেলার টেম্পোস্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. খোকন হাওলাদার বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি টেম্পোস্ট্যান্ড ইজারা নিলেও টোল আদায় করতে পারছেন না। জোর করে অন্যরা টোল আদায় করছেন।

আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সড়ক থেকে টাকা আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা। এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ টার্মিনাল ছাড়া সব সড়ক ও মহাসড়ক থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায় বন্ধের নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব বলেন, বরগুনা পৌরসভায় বিভিন্ন সড়ক থেকে টোলের নামে যে টাকা আদায় করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ চাঁদাবাজি এবং আদালতের আদেশের পরিপন্থী।

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. নুরুল আমিন বলেন, টার্মিনাল যদি না থাকে, তাহলে সেখানে অস্থায়ী টার্মিনাল ব্যবহৃত হবে। তবে কোনো অবকাঠামো বা সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে নিজেরা ঘোষণা দিয়ে সেখানে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না।

বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, টাকা অবৈধভাবে আদায়ের কারণে পরিবহন ব্যয় ও ভোগান্তি বেড়েছে।

বরগুনা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে ইজারা দিয়েছি, এ ব্যাপারে আপনাদের অনেক তথ্য দিয়েছি। তথ্য দিতে দিতে বিষয়টি এখন শেষ পর্যায়ে গেছে। এটা নিয়ে আবার সমস্যা হইছে কী? আমরা বাসস্ট্যান্ড ইজারা দিয়েছি। ক্রোক ব্রিজ ও সোনাখালী—এই দুই প্রান্তে বসে টাকা ওঠানো হয়।’

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘যদি এটি করা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই অন্যায় এবং একটি বিধিবহির্ভূত কাজ। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যেন এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকেন, তা আমরা দেখভাল করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত