Ajker Patrika

নোয়াখালীর ৩ উপজেলায় আওয়ামী লীগের জয়

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১০: ৩৬
নোয়াখালীর ৩ উপজেলায় আওয়ামী লীগের জয়

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিন উপজেলায় গতকাল বুধবার ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিন নেতা জয়ী হয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারি ফলাফলে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থক এম এইচ শওকত রেজা চৌধুরী আরমান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪১৪ ভোট।

বেগমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাহেদ শাহরিয়ার দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩৬ হাজার ৬৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন আজিম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৯৩ ভোট।

অন্যদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল আনারস প্রতীকে ৪৮ হাজার ২০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৭৮ ভোট।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে গতকাল দুপুরে ভোট বর্জন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মো. শাহদাত হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল। তাঁদের সঙ্গে একই অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ফাতেমা বেগম পারভীন। এ সময় তাঁরা ভোট বাতিল করে পুনঃ তফসিল দিয়ে নতুন নির্বাচনের দাবি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যুবক কারাগারে

রংপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের পীরগঞ্জে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) তিন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশিকুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর শালপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান ওই এলাকার আজাদুল ইসলামের ছেলে। আজ সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১২ মার্চ পীরগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রহিম, রতন মিয়া ও আশিকুর রহমান স্থানীয় টিটিসিতে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে যান। অধ্যক্ষকে না পেয়ে ফেরার সময় প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত বিকল একটি মাইক্রোবাস ঠেলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করছিলেন তাঁরা।

এ সময় বাঁধন, আব্দুল মান্নান, শাহজাহান ও সোহাগের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক ওই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান এবং তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এতে তিন সাংবাদিকই গুরুতর আহত হন। পরে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় সাংবাদিক রতন মিয়া বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে পুলিশ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামি আশিকুর রহমানকে শনাক্ত শেষে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ ও ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে আশিকুর রহমানের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগ নেতা বিজয় হত্যা মামলা: সাবেক এমপিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিরাজগঞ্জ সদর আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুয়েল রানা চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত শেষে সিআইডি ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন জামিনে ও ১২ জন পলাতক রয়েছেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

নিহত এনামুল হক বিজয় ছিলেন কামারখন্দ উপজেলার হাজী করোপ আলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলার চালা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ জিহাদ, যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক এমদাদ, ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয়, আল-আমিন, জাহিদুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, সোহাগ, পারভেজ রেজা, তারিকুজ্জামান লিয়ন, মামুন, রাশিদুল হাসান রাশেদ, জুবায়ের হোসেন ও আল-আমিন বাবু।

এর আগে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল। তখন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক এমদাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে মামলার বাদী ওই প্রতিবেদন নিয়ে নারাজি আবেদন করলে আদালত ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলাটি পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দেন সিআইডিকে। তদন্ত শেষে সংস্থাটি সম্প্রতি আদালতে নতুন চার্জশিট জমা দেয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৬ জুন বিকেলে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শোকসভায় যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হন বিজয়। শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ জিহাদ, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন, আশিকুর রহমান বিজয়সহ কয়েকজন তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ সদরের কলামনখালী বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কলামনখালী এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আসাদ চৌধুরী গ্রুপ এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ জোয়ার্দার গ্রুপের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েকদিন আগে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলামনখালী বাজারে উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আব্দুর রহিম মোল্লা, হাসেম আলী, গোলাম রসুল, বসারত জোয়ার্দার, সুরুজ ও ইয়ালিদসহ ১০ জনকে ঝিনাদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত জানান, আহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের এবং ইটের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। এখন তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি।

হাসপাতালে ভর্তি বসারত জোয়ার্দার বলেন, মাসুদ গ্রুপের লোকজন গ্রামের উত্তরপাড়ার আসাদ গ্রুপের কয়েকজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়া আমিরুল নামের এক ব্যক্তিকে মেরে পা ভেঙে দেয়। এ নিয়ে মীমাংসা করার কথা বললেও নেতারা কারও কথা শোনেন না। এরই জেরে সকালে বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘মাসুদের লোকজন আমাদের এক সমর্থক আমিরুলকে কিছুদিন আগে মেরে পা ভেঙে দেয়। পরে তারা বাজার দখল করে রাখে। আজ সকালে এসে তারা বাজারের দোকানপাট সব বন্ধ করে দেয় । এরই জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ জোয়ার্দার বলেন, ‘বাজার দখল বা দোকানপাট বন্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আর আমিরুলকে আমরা মারধর করিনি। আমিরুলের জমাজমি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তার পরিবারের লোকজনেরা তাকে মারধর করে।’

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, এটা দলীয় কোনো ব্যাপার নয়। এটা সামাজিক দ্বন্দ্ব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুস্তফা কামাল, রেজাউল, শামীম ওসমানসহ ৭ জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেজাউল করিম ও শামীম ওসমান (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেজাউল করিম ও শামীম ওসমান (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে; সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম ও তাঁর স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক সাত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদন থেকে জানা গেছে, মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং মেয়ে নাফিসা কামাল ও কাশফি কামালের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। এদিকে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের আয়কর নথি জব্দেরও আবেদন করেন মো. আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে শামীম ওসমানের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল।

প্রত্যেকের আয়কর নথির তথ্য চেয়ে পৃথক আবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইতিমধ্যে দুদক মামলা করেছে। মামলার অভিযোগগুলো তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ ও অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন যাচাই করা দরকার। এ কারণে নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন।

প্রত্যেকের বিরুদ্ধে করা মামলাসূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৩১২ টাকার, তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৭ টাকার, শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার, মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামালের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকার, মুস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকার ও আরও এক মেয়ে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।

মুস্তফা কামালের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পর নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত