Ajker Patrika

চট্টগ্রামে ১৯২ প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ২১: ১১
চট্টগ্রামে ১৯২ প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী

নগরীর পূর্ব বাকলিয়া হাজি তাজুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সামনের পুরো মাঠটি পানিতে ডুবে গেছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষও ডুবে আছে। আজ মঙ্গলবার সকালে কোমর পানি মাড়িয়ে কিছু শিক্ষার্থী এসেছে। তবে ক্লাস না হওয়ায় ফেরত গেছে তারা। 

শুধু এটি নয়, চট্টগ্রাম নগরীতে এ রকম ১৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে গেছে। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২ হাজার ২৬৯টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও পানিতে ডুবে গেছে। তবে কী পরিমাণ ডুবেছে সে তথ্যটি প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায়নি। 

পাঁচ দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২০ লাখ মানুষ। 

নগরীর হাটহাজারীতে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা নালায় পড়ে নিপা পালিত (২২) নামে এক কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও খোলা রাখা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। 

এনএমসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে। কিন্তু গত পাঁচ দিন মুষলধারে বৃষ্টিতে সড়কে কোমর পানি হলেও বন্ধ করা হয়নি। যেটি সবচেয়ে দুঃখের। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কি মাউশি নেবে।’ 

চকবাজার বড়মিয়া মসজিদ এলাকার বাসিন্দা কহিনুর আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয় খোলা থাকলেও সন্তানদের স্কুলে পাঠাইনি। আমার সন্তানের কিছু হলে, তাদের কিছু যায়-আসে না। রাস্তায় এক গলা পানি। এ অবস্থায়ও বাচ্চাদের স্কুলগুলো খোলা রাখা হয়েছে।’ 

আজ মঙ্গলবারও নগরীতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। তবে দুপুরের পর বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। চট্টগ্রামের আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ৩ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল রাখা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপপরিচালক উত্তম খীসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় আগামী দুই দিন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

‘বিচারপতি খায়রুলকে হাতকড়া পরানো মানে পুরো বিচার বিভাগকে হাতকড়া পরানো’

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

কোথাও ঘুরতে ইচ্ছা করলে আমাকে জানাবে—ছাত্রীকে খুবি অধ্যাপক

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত