Ajker Patrika

আবাসিক হোটেলে অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৪০
বগুড়া শহরতলির বারপুর এলাকায় ড্রিম প্যালেস আবাসিক হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া শহরতলির বারপুর এলাকায় ড্রিম প্যালেস আবাসিক হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় একটি আবাসিক হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় হোটেলের কর্মচারীরা পালিয়ে যান। অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে হোটেলটি থেকে ১০ নারী ও দুই পুরুষকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

বগুড়া শহরতলির বারপুর এলাকায় ড্রিম প্যালেস নামেক আবাসিক হোটেলে এসব ঘটনা ঘটে। হোটেলটিতে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ থাকেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ড্রিম প্যালেস আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানে পৌঁছেন। অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় জমান এবং হোটেল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। একপর্যায়ে কয়েক শ লোক সেখানে অবস্থান নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে হোটেলের ভেতরে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকলে সেনাবাহিনী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে পৌঁছে লোকজনকে সরিয়ে দেয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হোটেলটি থেকে ১০ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাশির বলেন, হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে গেছেন। অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেল থেকে ১০ জন নারী ও ২ জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে বালু লুটের নৌকা জব্দ, ১২ জনকে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট 
সিলেটে নৌকা জব্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে নৌকা জব্দ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই সেতু রক্ষায় আবারও বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদারের নেতৃত্বে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর এই অভিযান।

অভিযানে ধলাই ব্রিজের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ৯১টি নৌকা জব্দ করা হয়। এসব নৌকা বর্তমানে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। এ ছাড়া রোববার দিবাগত রাতে একই এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে আরও ১২টি নৌকা জব্দ ও ১২ জন বালু লুটেরাকে আটক করে। তাঁদের প্রত্যেককে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত জুলাই মাসে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর সরকার ধলাই ব্রিজ ও সাদাপাথর এলাকাকে রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেয়। এ সময়ই সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে মো. সারওয়ার আলমকে পদায়ন করা হয় এবং কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও ও ওসিকে বদলি করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশ ইতিমধ্যে ঢালারপাড় বালু লুটের মামলায় রূপা মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সাম্প্রতিক অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়া ২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন মোবাইল কোর্ট।

নবনিযুক্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ তালুকদার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ধলাই ব্রিজ ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন রোধে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, সোমবার সকালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে বালু লুটের সময় ৯১টি নৌকা আটক করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাসা গ্রুপের নজরুল ও দেশ টিভির আরিফ আরও মামলায় গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

আসামি দুজনকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আসামিদের ফের কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলশানে নিহত হন কামাল হোসেন সবুজ নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় করা মামলায় নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া ওই আন্দোলনের সময় কোতোয়ালি থানা এলাকায় রোফায়েদ হাসান নামের এক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আরিফ হাসানকে।

গত বছরের ১ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

অন্যদিকে একই বছরের ১৬ নভেম্বর বিদেশে যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ আরিফ হাসানকে আটক করে।

এই দুই আসামিকে পরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাস্টমস কর্মকর্তার স্ত্রীর ২ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-বাড়ি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সাবেক এক কাস্টমস কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে শহরে থাকা দুই কোটি টাকা মূল্যের দুটি ভবন ও ফ্ল্যাট ক্রোকপূর্বক তা দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. হাসানুল ইসলামের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক সুরাইয়া সুলতানা এই আবেদন করেন। কার্যালয়টির উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে—নগরের হালিশহরে সোনালী আবাসিক এলাকায় অবস্থিত চারতলাবিশিষ্ট একটি ভবন, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় ছয়তলার একটি ভবন এবং খুলশী থানাধীন নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ১ হাজার ৭৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এসব স্থাবর সম্পত্তি ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের নামে রয়েছে।

দুদক এসব সম্পত্তির জায়গাসহ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্য দেখায়। এর মধ্যে হালিশহরে চারতলা ভবনটির জায়গাসহ মূল্য ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে ছয়তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবনটির জায়গাসহ মূল্য ৮৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ১ হাজার ৭৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটির মূল্য ৩২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। তবে স্থানীয়রা বলেছেন, এসব জায়গাসহ বাড়ির মূল্য বর্তমানে আরও কয়েক গুণ বেশি হবে।

গত ২০ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম ও তাঁর স্বামী চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী এই দুজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটিতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সম্পত্তি ক্রোকপূর্বক রিসিভার নিয়োগের আবেদন করা হয়।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামিরা বর্ণিত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গোপন সংবাদ পাওয়া গেছে।

মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে এসব সম্পত্তি বেহাত হওয়া থেকে রক্ষায় অবিলম্বের ক্রোকপূর্বক রিসিভার নিয়োগের প্রয়োজন।

দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম তাঁর স্বামীর সহযোগিতায় এক কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩২ লাখ ২৬ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

জানা যায়, অভিযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুল বারিক নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার রশিদপুর এলাকার হাজি মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে বর্তমানে নগরীর আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকায় থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত স্বামীর মাদক কারবার ৭ বছর ধরে সামলাচ্ছেন স্ত্রী

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার তসলিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার তসলিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাদক সম্রাজ্ঞী তসলিমা বেগম (৩০)। বিয়ের ছয় বছর পর মাদক কারবারি স্বামী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এর পর থেকে স্বামীর মাদক কারবার সামলাচ্ছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মাদক মামলা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে মাদক ও টাকা উদ্ধার করলেও কোনোবার তসলিমাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অবশেষে সাত বছর পর সফল হয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করেছে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে মাদক বিক্রির ১ লাখ ৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, তসলিমা বেগম উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামের কুখ্যাত মাদক কারবারি আক্তাবুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী মারা গেলেও তিনি এলাকায় মাদকের বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হোদা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আগের চারটি মামলা রয়েছে। আজ বালিয়াডাঙ্গী পুলিশের করা মামলা নিয়ে পাঁচটি মামলা হয়েছে। বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ মে ভোরবেলা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাতারমাড়ী ফার্ম নামের স্থানে বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ থানার যৌথ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান মাদক কারবারি আক্তাবুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত