Ajker Patrika

ববিতে আন্দোলন সমন্বয়কদের ওপর ছাত্রলীগ সমর্থকদের হামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ববিতে আন্দোলন সমন্বয়কদের ওপর ছাত্রলীগ সমর্থকদের হামলা 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের সভায় হামলা চালিয়ে অন্তত ১১ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভসহ ১০ জন শিক্ষার্থী বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

আজ সোমবার দুপুরে মূল ভবনের নিচতলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। 

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দাবি, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ কি না, তিনি জানেন না। তবে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি।

আহত শিক্ষার্থী (সমন্বয়ক) সুজয় শুভ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার জন্য প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী গ্রাউন্ড ফ্লোরে সভা করছিলাম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী নামধারী এ কে আরাফাতের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠি, রড ও পাইপ নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। মাহমুদুল হাসান তমাল, শাহরিয়ার সান, সাব্বির, জাইফ, আল সামাদ শান্ত, খালেদ হাসান, মো. সাইফ, শরিফুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ধারী প্রকাশ্যে হামলা করে। তারা সবাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র।’ 

পরে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি জানান তিনি। 

সুজয় শুভ আরও বলেন, ‘আমাদের সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের সামনেই আমাদের বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারীরা।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত ও অভিযুক্ত এ কে আরাফাতের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভুইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো রকম সহিংসতা চাই না। এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ আছে, সেহেতু শিক্ষার্থীরা প্রচলিত নিয়ম মেনে চলবে বলে আশা করি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান না করুক, এটা কাম্য।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘যতটা সম্ভব শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যারা হামলা করেছে, তারা কারা-সেটি প্রক্টর বলতে পারবে।’ 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সভার শেষ দিকে কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপনকে সমর্থন জানানো কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের মূল দিয়ে প্রবেশ করে। তখন দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।’ 

এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রিয়াজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কোটা আন্দোলনের পক্ষে ১৫-২০ জন ছাত্র ক্যাম্পাসের ভেতরে সভা করেছিল। তারা সভা শেষ করে চলে যাওয়ার সময় সাধারণ কিছু ছাত্র ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোটা আন্দোলনের স্বপক্ষে ১৫-২০ জনকে গাড়িতে করে শহরে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’ 

বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকানগরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চলমান কারফিউ শিথিলের মধ্যে বরিশালে বিক্ষোভ ও দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন তাঁরা। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিক্ষোভ ও দেয়াল লিখন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকায় ডিবি অফিসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়কদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে, অস্ত্রের মুখে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সমন্বয়কের দায়িত্ব নিয়ে, আন্দোলন কর্মসূচি চলমান রাখার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’ 

এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়কের পাশে কিছু সময় অবস্থান নিয়েছিল। পরে তারা নিজেরাই চলে গেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সিনিয়র সাংবাদিক ও টকশোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।

আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না— এ বিষয়ে জানতে আজ রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’

এর আগে, রাত ৮টার আগে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি সদস্যরা গিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি (রাত ৯ টা) ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।

সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টকশোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।

গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: নিহত শান্তিরক্ষী শামীমের বাড়িতে কান্নার রোল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।

নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।

শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’

বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’

স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত