ফাতিমা পারভীন

১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এই অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো নিজের চোখে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িটি।
আমি তো বাড়িতে কোন বাসিন্দার দেখা পাইনি। দেখলাম, বাড়ির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে সুনিপুণভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী। ভেবেছিলাম এত বড় একজন নেতার বাড়ি, হয়তো বিপুল বিত্তবৈভব ও বিলাসী জীবনের ছোঁয়া পাব। কিন্তু ভেতরে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। এত আটপৌরে অতিসাধারণ আসবাবপত্র, টিভি, রেডিও আর কাপড়-চোপড় দেখে অবাক না হয়ে আর উপায় কী।
জাদুঘরটির দেয়াল ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাতকের বুলেটের চিহ্ন। এ চিহ্নগুলো দেখলে '৭৫-এর এ হত্যাকাণ্ড কতটা নির্মম ও বীভৎস ছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেয়ালে বুলেটের চিহ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি রক্তাক্ত সিঁড়িতে। তবে বেশি সময় নজর স্থির রাখতে পারিনি। জানলাম, গুলিবিদ্ধ হয়ে এই সিঁড়িতেই শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাদুঘরের প্রথম তলার প্রথম কক্ষটিতে বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বনেতাদের ছবি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের ছবি ও পরিবারের অন্য শাহাদত বরণকারীদের তৈলচিত্র। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষ। ১৫ আগস্ট ভোরে বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এই কক্ষেই ছিলেন। এই কক্ষটিতে এখন টেলিফোন সেট, রেডিও, রক্তমাখা পোশাক রাখা আছে। সামনে খাবার ঘরে রয়েছে পরিবারের ব্যবহার্য তৈজসপত্র। এসব তৈজসপত্রেও রয়েছে সাদামাটা জীবন যাপনের ছাপ।
বঙ্গবন্ধুর কক্ষের ঠিক উল্টো দিকে শেখ জামালের কক্ষ। এখানে দেখা গেল তাঁর সামরিক পোশাক। ওই একই তলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শয়নকক্ষ। এ কক্ষটিও অতি সাধারণ। বাড়ির তৃতীয় তলায় শেখ কামালের কক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাড়িতে রাখা আছে বঙ্গমাতার ব্যবহার্য অতি সাধারণ জিনিসপত্র, সুলতানা কামালের নতুন সবুজ বেনারসি, লাল ঢাকাই জামদানি, বিয়ের জুতা, ভাঙা কাঁচের চুরি, চুলের কাঁটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শিশু শেখ রাসেলের রক্তমাখা ছোট্ট জামাটি দেখে বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। রক্তমাখা জামাটি যেন আমার মাতৃত্বে সজোরে ধাক্কা দিল।
সামনে যেতে যেতে বারবার চোখে পড়ে ছোট্ট শিশু রাসেলের ছবি, তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আর ছোট্ট একটি বাইসাইকেল। এই দৃশ্যগুলো যেন আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিল। মনে হলো এসব ব্যবহার্য জিনিসের অন্তরালে এখনো ছোট্ট এক শিশুর কোমল স্পর্শ, মান-অভিমান, ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। মুহূর্তে মনে হলো শিশু রাসেল স্কুলে চলে গেছে, স্কুল ছুটি হলে সে আবার ফিরে আসবে; স্পর্শ করবে প্রিয় জিনিসপত্র। মান-অভিমান করবে, হাসবে, খেলবে, দুরন্ত মন তার ছুটবে যোজন যোজন মাইল। হৈ-হুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলবে সারা বাড়ি কিংবা নতুন আদুরে কণ্ঠে ডাকবে ‘হাসু আপা’। এসব ভাবতে গিয়ে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না; চলে এলাম।
বাকরুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসছিলাম। বের হতে দেখে একজন দর্শনার্থী বললেন, ছয় তলা ভবনটি দেখা যাওয়ার জন্য। আমি তাকে কোনো জবাব দিতে পারলাম না। বেঁকেচুরে হেলে পড়া আমার দেহের ভার কিছুতেই আর বইতে পারছিলাম না। ওই ছোট্ট শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আর্তচিৎকার আজও আমাকে ব্যাকুল করে।
পরে অবশ্য সেদিনের অদেখা সেই ছয় তলা ভবনটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আবার যখন গিয়েছি মনে হয়েছে, জীবনকে বাঙালির অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর বক্তব্য, মানবিকতা, রাজনৈতিক সংকটে প্রদত্ত সমাধান, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপে গণশক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি দেখার পরে তাঁকে অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছি।
আজ বাবা বেঁচে নেই। আগস্ট মাস চলছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাবার বলা কথাগুলো খুব বেশি মনে পড়ছে। বাবার নির্দেশনায়ই প্রথম এই বাড়িতে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছি একজন মহান ব্যক্তিত্বের অতিসাধারণ জীবনযাপন। আজও 'প্রকৃত মানুষ' হতে পেরেছি কিনা জানি না। তবে মানুষ ও প্রিয় জন্মভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছি, এটা বলতে পারি।
লেখক: ভাইস-চেয়ারম্যান, পাথরঘাটা, বরগুনা

১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এই অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো নিজের চোখে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িটি।
আমি তো বাড়িতে কোন বাসিন্দার দেখা পাইনি। দেখলাম, বাড়ির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে সুনিপুণভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী। ভেবেছিলাম এত বড় একজন নেতার বাড়ি, হয়তো বিপুল বিত্তবৈভব ও বিলাসী জীবনের ছোঁয়া পাব। কিন্তু ভেতরে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। এত আটপৌরে অতিসাধারণ আসবাবপত্র, টিভি, রেডিও আর কাপড়-চোপড় দেখে অবাক না হয়ে আর উপায় কী।
জাদুঘরটির দেয়াল ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাতকের বুলেটের চিহ্ন। এ চিহ্নগুলো দেখলে '৭৫-এর এ হত্যাকাণ্ড কতটা নির্মম ও বীভৎস ছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেয়ালে বুলেটের চিহ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি রক্তাক্ত সিঁড়িতে। তবে বেশি সময় নজর স্থির রাখতে পারিনি। জানলাম, গুলিবিদ্ধ হয়ে এই সিঁড়িতেই শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাদুঘরের প্রথম তলার প্রথম কক্ষটিতে বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বনেতাদের ছবি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের ছবি ও পরিবারের অন্য শাহাদত বরণকারীদের তৈলচিত্র। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষ। ১৫ আগস্ট ভোরে বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এই কক্ষেই ছিলেন। এই কক্ষটিতে এখন টেলিফোন সেট, রেডিও, রক্তমাখা পোশাক রাখা আছে। সামনে খাবার ঘরে রয়েছে পরিবারের ব্যবহার্য তৈজসপত্র। এসব তৈজসপত্রেও রয়েছে সাদামাটা জীবন যাপনের ছাপ।
বঙ্গবন্ধুর কক্ষের ঠিক উল্টো দিকে শেখ জামালের কক্ষ। এখানে দেখা গেল তাঁর সামরিক পোশাক। ওই একই তলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শয়নকক্ষ। এ কক্ষটিও অতি সাধারণ। বাড়ির তৃতীয় তলায় শেখ কামালের কক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাড়িতে রাখা আছে বঙ্গমাতার ব্যবহার্য অতি সাধারণ জিনিসপত্র, সুলতানা কামালের নতুন সবুজ বেনারসি, লাল ঢাকাই জামদানি, বিয়ের জুতা, ভাঙা কাঁচের চুরি, চুলের কাঁটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শিশু শেখ রাসেলের রক্তমাখা ছোট্ট জামাটি দেখে বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। রক্তমাখা জামাটি যেন আমার মাতৃত্বে সজোরে ধাক্কা দিল।
সামনে যেতে যেতে বারবার চোখে পড়ে ছোট্ট শিশু রাসেলের ছবি, তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আর ছোট্ট একটি বাইসাইকেল। এই দৃশ্যগুলো যেন আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিল। মনে হলো এসব ব্যবহার্য জিনিসের অন্তরালে এখনো ছোট্ট এক শিশুর কোমল স্পর্শ, মান-অভিমান, ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। মুহূর্তে মনে হলো শিশু রাসেল স্কুলে চলে গেছে, স্কুল ছুটি হলে সে আবার ফিরে আসবে; স্পর্শ করবে প্রিয় জিনিসপত্র। মান-অভিমান করবে, হাসবে, খেলবে, দুরন্ত মন তার ছুটবে যোজন যোজন মাইল। হৈ-হুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলবে সারা বাড়ি কিংবা নতুন আদুরে কণ্ঠে ডাকবে ‘হাসু আপা’। এসব ভাবতে গিয়ে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না; চলে এলাম।
বাকরুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসছিলাম। বের হতে দেখে একজন দর্শনার্থী বললেন, ছয় তলা ভবনটি দেখা যাওয়ার জন্য। আমি তাকে কোনো জবাব দিতে পারলাম না। বেঁকেচুরে হেলে পড়া আমার দেহের ভার কিছুতেই আর বইতে পারছিলাম না। ওই ছোট্ট শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আর্তচিৎকার আজও আমাকে ব্যাকুল করে।
পরে অবশ্য সেদিনের অদেখা সেই ছয় তলা ভবনটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আবার যখন গিয়েছি মনে হয়েছে, জীবনকে বাঙালির অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর বক্তব্য, মানবিকতা, রাজনৈতিক সংকটে প্রদত্ত সমাধান, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপে গণশক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি দেখার পরে তাঁকে অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছি।
আজ বাবা বেঁচে নেই। আগস্ট মাস চলছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাবার বলা কথাগুলো খুব বেশি মনে পড়ছে। বাবার নির্দেশনায়ই প্রথম এই বাড়িতে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছি একজন মহান ব্যক্তিত্বের অতিসাধারণ জীবনযাপন। আজও 'প্রকৃত মানুষ' হতে পেরেছি কিনা জানি না। তবে মানুষ ও প্রিয় জন্মভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছি, এটা বলতে পারি।
লেখক: ভাইস-চেয়ারম্যান, পাথরঘাটা, বরগুনা
ফাতিমা পারভীন

১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এই অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো নিজের চোখে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িটি।
আমি তো বাড়িতে কোন বাসিন্দার দেখা পাইনি। দেখলাম, বাড়ির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে সুনিপুণভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী। ভেবেছিলাম এত বড় একজন নেতার বাড়ি, হয়তো বিপুল বিত্তবৈভব ও বিলাসী জীবনের ছোঁয়া পাব। কিন্তু ভেতরে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। এত আটপৌরে অতিসাধারণ আসবাবপত্র, টিভি, রেডিও আর কাপড়-চোপড় দেখে অবাক না হয়ে আর উপায় কী।
জাদুঘরটির দেয়াল ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাতকের বুলেটের চিহ্ন। এ চিহ্নগুলো দেখলে '৭৫-এর এ হত্যাকাণ্ড কতটা নির্মম ও বীভৎস ছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেয়ালে বুলেটের চিহ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি রক্তাক্ত সিঁড়িতে। তবে বেশি সময় নজর স্থির রাখতে পারিনি। জানলাম, গুলিবিদ্ধ হয়ে এই সিঁড়িতেই শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাদুঘরের প্রথম তলার প্রথম কক্ষটিতে বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বনেতাদের ছবি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের ছবি ও পরিবারের অন্য শাহাদত বরণকারীদের তৈলচিত্র। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষ। ১৫ আগস্ট ভোরে বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এই কক্ষেই ছিলেন। এই কক্ষটিতে এখন টেলিফোন সেট, রেডিও, রক্তমাখা পোশাক রাখা আছে। সামনে খাবার ঘরে রয়েছে পরিবারের ব্যবহার্য তৈজসপত্র। এসব তৈজসপত্রেও রয়েছে সাদামাটা জীবন যাপনের ছাপ।
বঙ্গবন্ধুর কক্ষের ঠিক উল্টো দিকে শেখ জামালের কক্ষ। এখানে দেখা গেল তাঁর সামরিক পোশাক। ওই একই তলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শয়নকক্ষ। এ কক্ষটিও অতি সাধারণ। বাড়ির তৃতীয় তলায় শেখ কামালের কক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাড়িতে রাখা আছে বঙ্গমাতার ব্যবহার্য অতি সাধারণ জিনিসপত্র, সুলতানা কামালের নতুন সবুজ বেনারসি, লাল ঢাকাই জামদানি, বিয়ের জুতা, ভাঙা কাঁচের চুরি, চুলের কাঁটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শিশু শেখ রাসেলের রক্তমাখা ছোট্ট জামাটি দেখে বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। রক্তমাখা জামাটি যেন আমার মাতৃত্বে সজোরে ধাক্কা দিল।
সামনে যেতে যেতে বারবার চোখে পড়ে ছোট্ট শিশু রাসেলের ছবি, তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আর ছোট্ট একটি বাইসাইকেল। এই দৃশ্যগুলো যেন আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিল। মনে হলো এসব ব্যবহার্য জিনিসের অন্তরালে এখনো ছোট্ট এক শিশুর কোমল স্পর্শ, মান-অভিমান, ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। মুহূর্তে মনে হলো শিশু রাসেল স্কুলে চলে গেছে, স্কুল ছুটি হলে সে আবার ফিরে আসবে; স্পর্শ করবে প্রিয় জিনিসপত্র। মান-অভিমান করবে, হাসবে, খেলবে, দুরন্ত মন তার ছুটবে যোজন যোজন মাইল। হৈ-হুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলবে সারা বাড়ি কিংবা নতুন আদুরে কণ্ঠে ডাকবে ‘হাসু আপা’। এসব ভাবতে গিয়ে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না; চলে এলাম।
বাকরুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসছিলাম। বের হতে দেখে একজন দর্শনার্থী বললেন, ছয় তলা ভবনটি দেখা যাওয়ার জন্য। আমি তাকে কোনো জবাব দিতে পারলাম না। বেঁকেচুরে হেলে পড়া আমার দেহের ভার কিছুতেই আর বইতে পারছিলাম না। ওই ছোট্ট শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আর্তচিৎকার আজও আমাকে ব্যাকুল করে।
পরে অবশ্য সেদিনের অদেখা সেই ছয় তলা ভবনটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আবার যখন গিয়েছি মনে হয়েছে, জীবনকে বাঙালির অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর বক্তব্য, মানবিকতা, রাজনৈতিক সংকটে প্রদত্ত সমাধান, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপে গণশক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি দেখার পরে তাঁকে অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছি।
আজ বাবা বেঁচে নেই। আগস্ট মাস চলছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাবার বলা কথাগুলো খুব বেশি মনে পড়ছে। বাবার নির্দেশনায়ই প্রথম এই বাড়িতে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছি একজন মহান ব্যক্তিত্বের অতিসাধারণ জীবনযাপন। আজও 'প্রকৃত মানুষ' হতে পেরেছি কিনা জানি না। তবে মানুষ ও প্রিয় জন্মভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছি, এটা বলতে পারি।
লেখক: ভাইস-চেয়ারম্যান, পাথরঘাটা, বরগুনা

১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এই অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো নিজের চোখে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িটি।
আমি তো বাড়িতে কোন বাসিন্দার দেখা পাইনি। দেখলাম, বাড়ির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে সুনিপুণভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী। ভেবেছিলাম এত বড় একজন নেতার বাড়ি, হয়তো বিপুল বিত্তবৈভব ও বিলাসী জীবনের ছোঁয়া পাব। কিন্তু ভেতরে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। এত আটপৌরে অতিসাধারণ আসবাবপত্র, টিভি, রেডিও আর কাপড়-চোপড় দেখে অবাক না হয়ে আর উপায় কী।
জাদুঘরটির দেয়াল ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাতকের বুলেটের চিহ্ন। এ চিহ্নগুলো দেখলে '৭৫-এর এ হত্যাকাণ্ড কতটা নির্মম ও বীভৎস ছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেয়ালে বুলেটের চিহ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি রক্তাক্ত সিঁড়িতে। তবে বেশি সময় নজর স্থির রাখতে পারিনি। জানলাম, গুলিবিদ্ধ হয়ে এই সিঁড়িতেই শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাদুঘরের প্রথম তলার প্রথম কক্ষটিতে বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বনেতাদের ছবি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের ছবি ও পরিবারের অন্য শাহাদত বরণকারীদের তৈলচিত্র। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষ। ১৫ আগস্ট ভোরে বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এই কক্ষেই ছিলেন। এই কক্ষটিতে এখন টেলিফোন সেট, রেডিও, রক্তমাখা পোশাক রাখা আছে। সামনে খাবার ঘরে রয়েছে পরিবারের ব্যবহার্য তৈজসপত্র। এসব তৈজসপত্রেও রয়েছে সাদামাটা জীবন যাপনের ছাপ।
বঙ্গবন্ধুর কক্ষের ঠিক উল্টো দিকে শেখ জামালের কক্ষ। এখানে দেখা গেল তাঁর সামরিক পোশাক। ওই একই তলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শয়নকক্ষ। এ কক্ষটিও অতি সাধারণ। বাড়ির তৃতীয় তলায় শেখ কামালের কক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাড়িতে রাখা আছে বঙ্গমাতার ব্যবহার্য অতি সাধারণ জিনিসপত্র, সুলতানা কামালের নতুন সবুজ বেনারসি, লাল ঢাকাই জামদানি, বিয়ের জুতা, ভাঙা কাঁচের চুরি, চুলের কাঁটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শিশু শেখ রাসেলের রক্তমাখা ছোট্ট জামাটি দেখে বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। রক্তমাখা জামাটি যেন আমার মাতৃত্বে সজোরে ধাক্কা দিল।
সামনে যেতে যেতে বারবার চোখে পড়ে ছোট্ট শিশু রাসেলের ছবি, তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আর ছোট্ট একটি বাইসাইকেল। এই দৃশ্যগুলো যেন আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিল। মনে হলো এসব ব্যবহার্য জিনিসের অন্তরালে এখনো ছোট্ট এক শিশুর কোমল স্পর্শ, মান-অভিমান, ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। মুহূর্তে মনে হলো শিশু রাসেল স্কুলে চলে গেছে, স্কুল ছুটি হলে সে আবার ফিরে আসবে; স্পর্শ করবে প্রিয় জিনিসপত্র। মান-অভিমান করবে, হাসবে, খেলবে, দুরন্ত মন তার ছুটবে যোজন যোজন মাইল। হৈ-হুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলবে সারা বাড়ি কিংবা নতুন আদুরে কণ্ঠে ডাকবে ‘হাসু আপা’। এসব ভাবতে গিয়ে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না; চলে এলাম।
বাকরুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসছিলাম। বের হতে দেখে একজন দর্শনার্থী বললেন, ছয় তলা ভবনটি দেখা যাওয়ার জন্য। আমি তাকে কোনো জবাব দিতে পারলাম না। বেঁকেচুরে হেলে পড়া আমার দেহের ভার কিছুতেই আর বইতে পারছিলাম না। ওই ছোট্ট শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আর্তচিৎকার আজও আমাকে ব্যাকুল করে।
পরে অবশ্য সেদিনের অদেখা সেই ছয় তলা ভবনটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আবার যখন গিয়েছি মনে হয়েছে, জীবনকে বাঙালির অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর বক্তব্য, মানবিকতা, রাজনৈতিক সংকটে প্রদত্ত সমাধান, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপে গণশক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি দেখার পরে তাঁকে অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছি।
আজ বাবা বেঁচে নেই। আগস্ট মাস চলছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাবার বলা কথাগুলো খুব বেশি মনে পড়ছে। বাবার নির্দেশনায়ই প্রথম এই বাড়িতে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছি একজন মহান ব্যক্তিত্বের অতিসাধারণ জীবনযাপন। আজও 'প্রকৃত মানুষ' হতে পেরেছি কিনা জানি না। তবে মানুষ ও প্রিয় জন্মভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছি, এটা বলতে পারি।
লেখক: ভাইস-চেয়ারম্যান, পাথরঘাটা, বরগুনা

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩ মিনিট আগে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১০ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১৫ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৭ মিনিট আগেনীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সব শিক্ষার্থীর তথ্য পেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে সুযোগ পাওয়া ৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১৩ জন ও মেয়ে ৩২ জন।
১২ ডিসেম্বর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম জানান, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের নাম পেয়েছেন। এই নামের তালিকা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, গত বছরও ৫৩ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ, নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের আগের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সব শিক্ষার্থীর তথ্য পেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে সুযোগ পাওয়া ৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১৩ জন ও মেয়ে ৩২ জন।
১২ ডিসেম্বর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম জানান, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের নাম পেয়েছেন। এই নামের তালিকা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, গত বছরও ৫৩ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ, নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের আগের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১০ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১৫ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৭ মিনিট আগেনাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১৫ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৭ মিনিট আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩ মিনিট আগে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩ মিনিট আগে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১০ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
১৫ মিনিট আগে