বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। অপরদিকে কেএনএফের রিপ্রেজেনটেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার লালজংময়, সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, সংগঠনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লালএংলিয়ানসহ আটজন সদস্য অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এস এম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত পলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হয়। এরপর গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক হয়। এর চার মাস পর আজ (মঙ্গলবার) সরাসরি দ্বিতীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
এ সময় কেএনএফের কারাবন্দী ২৩ সদস্যকে ৩ মাসের মধ্যে মুক্তি, বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা–শিক্ষা নিশ্চিত, শান্তি চুক্তি সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া ৫ শতাধিক বম জনগোষ্ঠীর মানুষকে সরকারিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ ৬ দফা দাবি আলোচনায় উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেএনএফ সেন্ট্রাল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লাল জং ময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আলোচনা সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফের দাবি বাস্তবায়ন করে দ্রুত পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কাজ চলছে।
এদিকে বৈঠকটিকে ঘিরে বেথেল পাড়ায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ-বিজিবিসহ মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য।
এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের বিপথগামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর পর থেকে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে।
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির ৪ নম্বর বড় থলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এর ৩টি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবারের ২২০ জন তংচঙ্গ্যা রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে।
সংঘাতে পাঁচজন সেনা সদস্যসহ কেএনএফের ১৬ জন নিহত হয়, আর অপহরণের শিকার হয় অন্তত ২৬ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস ও জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে।
এ সময় কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন ও কেএনএফের কয়েকজনকে আটক করে। তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। অপরদিকে কেএনএফের রিপ্রেজেনটেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার লালজংময়, সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, সংগঠনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লালএংলিয়ানসহ আটজন সদস্য অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এস এম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত পলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হয়। এরপর গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক হয়। এর চার মাস পর আজ (মঙ্গলবার) সরাসরি দ্বিতীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
এ সময় কেএনএফের কারাবন্দী ২৩ সদস্যকে ৩ মাসের মধ্যে মুক্তি, বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা–শিক্ষা নিশ্চিত, শান্তি চুক্তি সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া ৫ শতাধিক বম জনগোষ্ঠীর মানুষকে সরকারিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ ৬ দফা দাবি আলোচনায় উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেএনএফ সেন্ট্রাল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লাল জং ময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আলোচনা সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফের দাবি বাস্তবায়ন করে দ্রুত পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কাজ চলছে।
এদিকে বৈঠকটিকে ঘিরে বেথেল পাড়ায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ-বিজিবিসহ মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য।
এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের বিপথগামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর পর থেকে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে।
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির ৪ নম্বর বড় থলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এর ৩টি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবারের ২২০ জন তংচঙ্গ্যা রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে।
সংঘাতে পাঁচজন সেনা সদস্যসহ কেএনএফের ১৬ জন নিহত হয়, আর অপহরণের শিকার হয় অন্তত ২৬ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস ও জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে।
এ সময় কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন ও কেএনএফের কয়েকজনকে আটক করে। তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। অপরদিকে কেএনএফের রিপ্রেজেনটেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার লালজংময়, সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, সংগঠনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লালএংলিয়ানসহ আটজন সদস্য অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এস এম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত পলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হয়। এরপর গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক হয়। এর চার মাস পর আজ (মঙ্গলবার) সরাসরি দ্বিতীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
এ সময় কেএনএফের কারাবন্দী ২৩ সদস্যকে ৩ মাসের মধ্যে মুক্তি, বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা–শিক্ষা নিশ্চিত, শান্তি চুক্তি সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া ৫ শতাধিক বম জনগোষ্ঠীর মানুষকে সরকারিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ ৬ দফা দাবি আলোচনায় উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেএনএফ সেন্ট্রাল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লাল জং ময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আলোচনা সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফের দাবি বাস্তবায়ন করে দ্রুত পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কাজ চলছে।
এদিকে বৈঠকটিকে ঘিরে বেথেল পাড়ায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ-বিজিবিসহ মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য।
এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের বিপথগামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর পর থেকে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে।
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির ৪ নম্বর বড় থলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এর ৩টি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবারের ২২০ জন তংচঙ্গ্যা রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে।
সংঘাতে পাঁচজন সেনা সদস্যসহ কেএনএফের ১৬ জন নিহত হয়, আর অপহরণের শিকার হয় অন্তত ২৬ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস ও জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে।
এ সময় কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন ও কেএনএফের কয়েকজনকে আটক করে। তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। অপরদিকে কেএনএফের রিপ্রেজেনটেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার লালজংময়, সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, সংগঠনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লালএংলিয়ানসহ আটজন সদস্য অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এস এম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত পলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হয়। এরপর গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক হয়। এর চার মাস পর আজ (মঙ্গলবার) সরাসরি দ্বিতীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
এ সময় কেএনএফের কারাবন্দী ২৩ সদস্যকে ৩ মাসের মধ্যে মুক্তি, বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা–শিক্ষা নিশ্চিত, শান্তি চুক্তি সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া ৫ শতাধিক বম জনগোষ্ঠীর মানুষকে সরকারিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ ৬ দফা দাবি আলোচনায় উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেএনএফ সেন্ট্রাল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লাল জং ময় আজকের পত্রিকাকে বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আলোচনা সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফের দাবি বাস্তবায়ন করে দ্রুত পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কাজ চলছে।
এদিকে বৈঠকটিকে ঘিরে বেথেল পাড়ায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ-বিজিবিসহ মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য।
এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের বিপথগামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর পর থেকে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে শান্তি কমিটি। ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে।
কেএনএফের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়াতে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় গ্রহণ করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির ৪ নম্বর বড় থলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এর ৩টি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবারের ২২০ জন তংচঙ্গ্যা রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে।
সংঘাতে পাঁচজন সেনা সদস্যসহ কেএনএফের ১৬ জন নিহত হয়, আর অপহরণের শিকার হয় অন্তত ২৬ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস ও জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে।
এ সময় কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন ও কেএনএফের কয়েকজনকে আটক করে। তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতন মজুমদার নামে এক নসিমন চলক নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কের শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৬ ঘণ্টা আগে
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
৬ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
৬ ঘণ্টা আগেপিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতন মজুমদার নামে এক নসিমন চলক নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কের শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রতন মজুমদার (৫০)পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের মৃত রবিন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রতন ও তার সঙ্গে থাকা একজন নসিমনে করে মাটিভাংগা থেকে নাজিরপুরের দিকে আসছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতনের মাথায় আঘাত লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রতন মারা যান।
পুলিশ জানায়, রতন ধান বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ডাকাতিয়া নামক স্থানে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতন মজুমদার নামে এক নসিমন চলক নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কের শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রতন মজুমদার (৫০)পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের মৃত রবিন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রতন ও তার সঙ্গে থাকা একজন নসিমনে করে মাটিভাংগা থেকে নাজিরপুরের দিকে আসছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতনের মাথায় আঘাত লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রতন মারা যান।
পুলিশ জানায়, রতন ধান বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ডাকাতিয়া নামক স্থানে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৬ ঘণ্টা আগে
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
৬ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা কেউ সরাসরি হামলাকারী নন।
গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানব পাচারে জড়িত চক্রের দুই সহযোগী, সন্দেহভাজন শুটার ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
হাদির হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে অভিযানে সর্বশেষ গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ঘন ঘন ফোনে যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ফয়সাল করিম মাসুদ যে হাদির ওপর হামলা চালানো ‘শুটার’ আর আলমগীর শেখ মোটরসাইকেলচালক, তা শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ‘ডিজিটাল ডিভাইস’ ব্যবহার করে অবস্থান লুকিয়ে রেখেছিলেন। হামলার পর এই দুজন ঢাকা থেকে বেরিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পার হয়ে ভারতের মেঘালয় অঞ্চলে চলে যান। তদন্তকারীরা বলছেন, মূল সন্দেহভাজনেরা সীমান্ত পার হওয়ার আগে ধাপে ধাপে ঢাকা থেকে হালুয়াঘাট পর্যন্ত গেছেন।
গত শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে হাদিকে অনুসরণ করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়।
গতকাল বিকেলে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি অবশ্য জানান, সন্দেহভাজনদের কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না—এমন কোনো তথ্য ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে পাওয়া যায়নি। ফয়সালের সর্বশেষ দেশের বাইরে যাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, তিনি জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর বৈধভাবে দেশত্যাগের কোনো রেকর্ড নেই।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহভাজনদের বিষয়ে অভিযান চালিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে মানব পাচার চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিককে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। সীমান্ত থেকে আটক করা দুই ব্যক্তি হলেন সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসম।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আটক করা দুই ব্যক্তি মূল হামলাকারীদের সীমান্ত পার করতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজনদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঢাকার অদূরের একটি উপজেলা থেকে তাঁদের দুই সহযোগী মো. মিলন ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার দিন এই দুজনের সঙ্গে হামলাকারীদের শতাধিকবার ফোনে যোগাযোগ হয়। আর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানকে র্যাব-২ গ্রেপ্তার করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে।
পল্টন থানা-পুলিশ হান্নানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আবদুল হান্নান আদালতকে বলেন, মোটরসাইকেলটি তিনি একটি শোরুমে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য দুই মাস আগে কল দেওয়া হলেও অসুস্থ থাকায় তিনি যেতে পারেননি।
ভারতের প্রতি আহ্বান
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে ঢুকে পড়লে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর বিপরীতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে ভারতের ভূখণ্ড কখনোই ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আশা করি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁরা কেউ সরাসরি হামলাকারী নন।
গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, মানব পাচারে জড়িত চক্রের দুই সহযোগী, সন্দেহভাজন শুটার ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
হাদির হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে অভিযানে সর্বশেষ গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ঘন ঘন ফোনে যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ফয়সাল করিম মাসুদ যে হাদির ওপর হামলা চালানো ‘শুটার’ আর আলমগীর শেখ মোটরসাইকেলচালক, তা শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ‘ডিজিটাল ডিভাইস’ ব্যবহার করে অবস্থান লুকিয়ে রেখেছিলেন। হামলার পর এই দুজন ঢাকা থেকে বেরিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পার হয়ে ভারতের মেঘালয় অঞ্চলে চলে যান। তদন্তকারীরা বলছেন, মূল সন্দেহভাজনেরা সীমান্ত পার হওয়ার আগে ধাপে ধাপে ঢাকা থেকে হালুয়াঘাট পর্যন্ত গেছেন।
গত শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে হাদিকে অনুসরণ করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়।
গতকাল বিকেলে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি অবশ্য জানান, সন্দেহভাজনদের কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না—এমন কোনো তথ্য ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে পাওয়া যায়নি। ফয়সালের সর্বশেষ দেশের বাইরে যাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, তিনি জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর বৈধভাবে দেশত্যাগের কোনো রেকর্ড নেই।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহভাজনদের বিষয়ে অভিযান চালিয়ে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে মানব পাচার চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিককে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। সীমান্ত থেকে আটক করা দুই ব্যক্তি হলেন সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসম।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আটক করা দুই ব্যক্তি মূল হামলাকারীদের সীমান্ত পার করতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজনদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করে ঢাকার অদূরের একটি উপজেলা থেকে তাঁদের দুই সহযোগী মো. মিলন ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার দিন এই দুজনের সঙ্গে হামলাকারীদের শতাধিকবার ফোনে যোগাযোগ হয়। আর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানকে র্যাব-২ গ্রেপ্তার করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে।
পল্টন থানা-পুলিশ হান্নানকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আবদুল হান্নান আদালতকে বলেন, মোটরসাইকেলটি তিনি একটি শোরুমে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য দুই মাস আগে কল দেওয়া হলেও অসুস্থ থাকায় তিনি যেতে পারেননি।
ভারতের প্রতি আহ্বান
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে ঢুকে পড়লে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর বিপরীতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে ভারতের ভূখণ্ড কখনোই ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা আশা করি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতন মজুমদার নামে এক নসিমন চলক নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কের শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
৬ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
৬ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকায় আশপাশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়ায় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়েছে, যা স্থানীয়ভাবে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও আয়কর বা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সরকারের কোষাগারে সঠিকভাবে জমা না দেওয়ায় রাষ্ট্র বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নে কৃষি খামার, মডার্ন অ্যাগ্রো ফার্ম, চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট, চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্ট ও মা অ্যাগ্রো নামের পাঁচটি অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানে সার উৎপাদন করা হচ্ছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানায় খোলামেলা পরিবেশে বিপুল কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট ও চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্টের স্বত্বাধিকারী এরফান বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, আবেদন করেছি। তবে এখনো লাইসেন্স নেই।’ কৃষি খামার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল বলেন, ‘এত নিয়ম আইন জানি না। এখন সরকার বন্ধ করতে বললে বন্ধ করে দেব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, অননুমোদিত কারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করছে না। ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রধান উপাদান হলো গোবর এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্য। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করলে এই কাঁচামাল এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ-পরবর্তী অব্যবস্থাপিত বর্জ্য সরাসরি পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। কারখানার অপরিশোধিত তরল বর্জ্য সরাসরি নিকটস্থ পুকুর, খাল বা কৃষিজমিতে ফেলার কারণে ভূপৃষ্ঠের জল এবং মাটির মারাত্মক দূষণ ঘটছে। এই বর্জ্যের কারণে জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ খোলা জায়গায় দীর্ঘ সময় স্তূপ করে রাখলে বা সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা পচনের সময় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে বায়ুর গুণমান নষ্ট এবং আশপাশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধ ও পরিবেশদূষণের কারণে কারখানা পরিচালনাকারীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায়ই বিরোধ তৈরি হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘অনুমোদনহীন কারখানা চালু রাখা যাবে না। আমরা বিষয়টির খোঁজ নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আলুকদিয়ায় কয়েকটি অবৈধ সার কারখানার বিষয়ে শুনেছি। আমরা দ্রুতই সেখানে অভিযান চালাব। ওই এলাকায় কেউ ছাড়পত্র নেননি।’

জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকায় আশপাশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়ায় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়েছে, যা স্থানীয়ভাবে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হওয়া সত্ত্বেও আয়কর বা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সরকারের কোষাগারে সঠিকভাবে জমা না দেওয়ায় রাষ্ট্র বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নে কৃষি খামার, মডার্ন অ্যাগ্রো ফার্ম, চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট, চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্ট ও মা অ্যাগ্রো নামের পাঁচটি অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানে সার উৎপাদন করা হচ্ছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানায় খোলামেলা পরিবেশে বিপুল কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে চুয়াডাঙ্গা অ্যাগ্রো কম্পোস্ট ও চুয়াডাঙ্গা ভার্মি কম্পোস্টের স্বত্বাধিকারী এরফান বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, আবেদন করেছি। তবে এখনো লাইসেন্স নেই।’ কৃষি খামার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল বলেন, ‘এত নিয়ম আইন জানি না। এখন সরকার বন্ধ করতে বললে বন্ধ করে দেব।’
সরেজমিনে দেখা যায়, অননুমোদিত কারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করছে না। ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রধান উপাদান হলো গোবর এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্য। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করলে এই কাঁচামাল এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ-পরবর্তী অব্যবস্থাপিত বর্জ্য সরাসরি পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। কারখানার অপরিশোধিত তরল বর্জ্য সরাসরি নিকটস্থ পুকুর, খাল বা কৃষিজমিতে ফেলার কারণে ভূপৃষ্ঠের জল এবং মাটির মারাত্মক দূষণ ঘটছে। এই বর্জ্যের কারণে জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা গোবর ও জৈব পদার্থ খোলা জায়গায় দীর্ঘ সময় স্তূপ করে রাখলে বা সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে তা পচনের সময় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে বায়ুর গুণমান নষ্ট এবং আশপাশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। দুর্গন্ধ ও পরিবেশদূষণের কারণে কারখানা পরিচালনাকারীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায়ই বিরোধ তৈরি হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘অনুমোদনহীন কারখানা চালু রাখা যাবে না। আমরা বিষয়টির খোঁজ নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আলুকদিয়ায় কয়েকটি অবৈধ সার কারখানার বিষয়ে শুনেছি। আমরা দ্রুতই সেখানে অভিযান চালাব। ওই এলাকায় কেউ ছাড়পত্র নেননি।’

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতন মজুমদার নামে এক নসিমন চলক নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কের শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৬ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
৬ ঘণ্টা আগেগনেশ দাস, বগুড়া

বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
জানা গেছে, বগুড়া পৌরসভা থেকে তিনমাথা রেলগেট বাজার ইজারা নিয়েছেন সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। কিন্তু বাজার ছাড়াও মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা নেন তিনি।
জানতে চাইলে ফ্লাইওভারের নিচে বসানো দোকানদার রাসেল, জালাল ও ইদ্রিস জানান, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী দোকান বসানোর অনুমতি পেতে এবং ব্যবসা চালাতে প্রতিদিন ৩০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে। ইজারাদারের নিয়োজিত লোকজন পৌরসভার রশিদ দিয়ে চাঁদা নিলেও সেখানে টাকার অঙ্ক লেখা থাকে না। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দোকান সরিয়ে দেওয়ার হুমকি, এমনকি হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে দোকান করতে চাই। কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হয় না।’
বগুড়া পৌরসভার বাজার পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, শহরের মধ্যে কিছু অস্থায়ী বাজার রয়েছে, যা পৌরসভা থেকে পেরিফেরি করা হয়নি। যেখানে বাজার বসে, সেই স্থানকে বাজার হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তিনমাথা রেলগেট বাজার বাংলা ১৪২৩ সনের জন্য ৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ইজারাদার ও বিএনপি নেতা সায়েদুল ইসলাম সায়েদ বলেন, ‘৫ লাখ টাকায় বাজার ইজারা নেওয়া হলেও পৌরসভা থেকে বাজারের অবস্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়নি। আয়কর ভ্যাট এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে আমার ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ। বাজারের স্থান নির্ধারণ করা না থাকায় এবং বিনিয়োগ করা টাকা তুলতে ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে বসা দোকান থেকে ইজারার টাকা তুলতে হয়।’

এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর বলেন, ‘ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বসানো আইনবিরোধী। সাসেক প্রকল্প থেকে এখনো মহাসড়ক আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তারপরও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কের পাশের ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বাসানোর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। হাইওয়ে পুলিশ এর আগেও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে। শিগগির আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।’

বগুড়ায় বাজার ইজারার নামে মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শহর বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। সেই নেতার নাম সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। তিনি বগুড়া শহর বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
জানা গেছে, বগুড়া পৌরসভা থেকে তিনমাথা রেলগেট বাজার ইজারা নিয়েছেন সায়েদুল ইসলাম সায়েদ। কিন্তু বাজার ছাড়াও মহাসড়কসংলগ্ন ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান বসিয়ে প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা নেন তিনি।
জানতে চাইলে ফ্লাইওভারের নিচে বসানো দোকানদার রাসেল, জালাল ও ইদ্রিস জানান, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী দোকান বসানোর অনুমতি পেতে এবং ব্যবসা চালাতে প্রতিদিন ৩০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হচ্ছে। ইজারাদারের নিয়োজিত লোকজন পৌরসভার রশিদ দিয়ে চাঁদা নিলেও সেখানে টাকার অঙ্ক লেখা থাকে না। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দোকান সরিয়ে দেওয়ার হুমকি, এমনকি হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে দোকান করতে চাই। কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হয় না।’
বগুড়া পৌরসভার বাজার পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, শহরের মধ্যে কিছু অস্থায়ী বাজার রয়েছে, যা পৌরসভা থেকে পেরিফেরি করা হয়নি। যেখানে বাজার বসে, সেই স্থানকে বাজার হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। তিনমাথা রেলগেট বাজার বাংলা ১৪২৩ সনের জন্য ৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ইজারাদার ও বিএনপি নেতা সায়েদুল ইসলাম সায়েদ বলেন, ‘৫ লাখ টাকায় বাজার ইজারা নেওয়া হলেও পৌরসভা থেকে বাজারের অবস্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়নি। আয়কর ভ্যাট এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে আমার ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ। বাজারের স্থান নির্ধারণ করা না থাকায় এবং বিনিয়োগ করা টাকা তুলতে ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে বসা দোকান থেকে ইজারার টাকা তুলতে হয়।’

এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর বলেন, ‘ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বসানো আইনবিরোধী। সাসেক প্রকল্প থেকে এখনো মহাসড়ক আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তারপরও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কের পাশের ফুটপাত এবং ফ্লাইওভারের নিচে দোকান বাসানোর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। হাইওয়ে পুলিশ এর আগেও এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে। শিগগির আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।’

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক হয়। কেক কেটে ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে বৈঠকটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় রতন মজুমদার নামে এক নসিমন চলক নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কের শাখারীকাঠী ইউনিয়নের ডাকাতিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের আশা একরকম ছেড়েই দিচ্ছে পুলিশ। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর অনুমান, হামলাকারীরা ইতিমধ্যে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবারের হামলার ঘটনার পর থেকে র্যাব ও ঢাকা মহানগর পুলিশ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও
৬ ঘণ্টা আগে
জৈব কৃষি এবং পরিবেশবান্ধব সারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নে গত কয়েক মাসে পাঁচটি ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) ও অন্যান্য জৈবসারের কারখানা গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই উদ্যোগ গতি আনলেও, কারখানার অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং সার লাইসেন্স না থাকা
৬ ঘণ্টা আগে