হরিরামপুরে ৫ বছরে ভুট্টার চাষ বেড়ে দ্বিগুণ!

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায়  গত পাঁচ বছরে  ভুট্টার চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অনুকূল আবহাওয়া, কম খরচে অধিক ফলন, অন্য ফসলের চেয়ে পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বিশেষ করে চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নে ভুট্টা চাষ কয়েক গুণ বেড়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলায় ১ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের  লক্ষ্যমাত্রা ছিল। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৬৯৫ টন। ওই অর্থবছরে উপজেলায় ১ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল এবং উৎপাদন হয়েছিল ১১ হাজার ৮৮২ টন। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলায় ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ২৩ হাজার ৭৭ টন ভুট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, উপজেলায় দুই মৌসুমে ভুট্টার আবাদ করা হয়। ভুট্টা চাষের জন্য কৃষকদের বীজ, সারসহ যাবতীয় পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করা হয়। এ বছরও ২ হাজার ৫০০ কৃষককে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলার চরাঞ্চলের সুতালড়ি ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের কৃষক লিয়াকত মিয়া  জানান, তিনি ৬০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলেন। সকল খরচ বাদে ১ লাখেরও বেশি টাকা আয় হয়েছে। লাভ বেশি, খরচ কম হওয়ায় এবারো তিনি আরো বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।

চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের কলেজ পড়ুয়া নাসির নামের এক ভুট্টাচাষী জানান, গতবছর ৩০০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষ করে ৭০ হাজারের মতো লাভ হয়েছে। এ বছরও ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি। 

বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের হুকুম আলী জানান, ৪৫ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষ করে ২০ হাজারের মতো লাভ হয়েছে।

গোপীনাথপুর গ্রামের অপু সাহা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফ্ফার বলেন, আমরা চর এলাকায় ভুট্টা আবাদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছি। কারণ আটার সাথে মিশ্রিত হয়ে আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তা এবং পোল্ট্রি শিল্পে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে দিন দিন ভুট্টার চাহিদা বাড়ছে। আর কম পরিচর্যায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকও লাভবান হয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে।