Ajker Patrika

নেত্রকোনায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনায় পূর্ব বিরোধের জেরে বাসা থেকে ডেকে এনে মো. জাহাঙ্গীর আলম (১৯) নামের এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।

গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের চল্লিশাকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম ওই এলাকার আলী উসমানের ছেলে। তিনি পেশায় এক ব্যবসায়ীর বালুশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই মো. আলমগীরের মুদিদোকান রয়েছে। একই এলাকার রনি মিয়া (২০), অরঙ্গরাজ এলাকার তরিকুল ইসলাম (২১) আলমগীরের কাছ থেকে প্রায় ৪ হাজার টাকা ধার নেন। পাওনা টাকা চাইলে ওই দুই তরুণ দেই-দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করেন। গত কয়েক দিন আগে শহরের কুড়পাড় এলাকায় রনি নামের এক যুবক ওই দুই যুবককে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে সময় বেঁধে দেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আলমগীর ও তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর ওই দুই যুবককে একত্রে পেয়ে তাঁদের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করেন।

পরে ওই দুই যুবক মধ্যস্থতাকারী রনির কাছে নালিশ করেন। এ ঘটনায় রনি ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে লোকজন নিয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে হাজির হন। পরে জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাকে হকিস্টিক, রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।

একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে ওই হাসপাতালে রাত ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর মারা যান।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ঘটনার পর পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হচ্ছে। এখনো লাশ এলাকায় এসে পৌঁছায়নি। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘমল্লারের জবাবের পর ডাকসু ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যা লিখলেন শশী থারুর

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস, বিপক্ষে ভোট দিল যারা

২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটার কারা, প্রশ্ন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের

রপ্তানিতে দ্বিতীয় থেকে ১০ নম্বরে নামল চিংড়ি

উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরে মাহফুজকে হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে: নাহিদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত