মো. আরফাত হোসাইন, রাউজান (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের ১২ জনই রাজনৈতিক কারণে প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজানে নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন যুবদলের কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৪৫)। রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক আত্মীয় রিয়াদ (২৫) আহত হন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে ৫টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের চৌধুরীবাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল, রাবারবাগান, আলিখীল, কলমপতি ও ওয়াহেদিখীল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি রাউজানে তথা তাঁর এলাকায় ডাকাত আলম বা আলইম্যা ডাকাত হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিলেন। রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এবং খুনের নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় অনেকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেক পক্ষে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি হলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট। ওই দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতা আব্দুল মান্নানকে।
এদিকে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সড়কের ওপর থামানো প্রাইভেট কারে মুহুর্মুহু গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়। নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না তাঁর। নিহত আবদুল হাকিম ভেষজ পণ্যের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসাও করছিলেন।
এর আগে ৬ জুলাই দুপুর ১২টায় কদলপুরে প্রকাশ্যে স্ত্রী-কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা পালিয়ে যায়। তাদের পালিয়ে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বাগানবাড়ি থেকে মো. ইউসুফ মিয়া নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের চার দিন পর ২৯ অক্টোবর উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকায় পাওয়া যায় আজম খান নামের একজনের লাশ। নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় ১১ নভেম্বর মেলে ওলামা লীগের সদস্য আবু তাহেরের লাশ। ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের কর্মী মুহাম্মদ হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন কমরউদ্দিন জিতু। ২১ মার্চ পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় মো. রুবেলকে। ৪ এপ্রিল হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগরে মা ও দুই ভাইয়ের হাতে প্রকৌশলী নূর আলম বকুল খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৭ এপ্রিল পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি দীঘি থেকে খানপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. জাফরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল রাতে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিব উল্লাহ পাড়ার আবদুল্লাহ মানিককে। এর ঠিক তিন দিন পর ২২ এপ্রিল দোকানে ডেকে এনে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সদর ইউনিয়নের শমশেরনগর গাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবদল নেতা মো. ইব্রাহিমকে।
এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় পাঁচ এবং যুবলীগের কর্মী হাসান হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, অনেক হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা এলাকায় ঘুরলেও পুলিশ ধরছে না।
নিহত আব্দুল হাকিমের ভাই মুহাম্মদ পারভেজ জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারী। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন পারভেজ।
নিহত যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘চোখের সামনে বোরকা পরা সন্ত্রাসীরা গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
নিহত কমর উদ্দিনের স্ত্রী ডেইজি আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাজারে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আমি নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’
অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পরিচয় সন্ত্রাসী। তারা কোনো দলের হতে পারে না। আমাদের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেন না। আমরা রাউজানের বর্তমান পরিস্থিতির অবসান চাই। এভাবে চলতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে এখনো স্বৈরাচারের অনেক দোসর থেকে গেছে। যারা আগের রূপ পাল্টে চলার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা কামানো। আমরা ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলাম। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছি। আমরা কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দিতে রাজি না।’
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো থামানো যাচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় আসামিদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার রাউজানে এই মুহূর্তে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবদলের কর্মী আলম হত্যার বিচার চাই।’
তবে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাউজানে হত্যাকাণ্ডগুলোর ৬টি হয়েছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। বাকিগুলো পারিবারিক বা অন্য কারণে হয়েছে। আমরা তো মামলা নিচ্ছি। পরে তদন্তে দেখা যায়, এগুলো হত্যাকাণ্ড না। তারপরও প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ৬টি হত্যা মামলায় ৩০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোট মামলায় ৮০-৯০ আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার থামানো যাচ্ছে না বলেই রাউজানে বেশি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। অন্তঃকোন্দল ও গ্রুপিং (বিভক্তি) বারবার সামনে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে পাহাড়-টিলা রয়েছে। অপরাধীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। যার কারণে পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে যায় অপরাধীদের ধরা। তারপরও আমরা পিছিয়ে নেই। শতাধিক সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের ১২ জনই রাজনৈতিক কারণে প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজানে নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন যুবদলের কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৪৫)। রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক আত্মীয় রিয়াদ (২৫) আহত হন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে ৫টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের চৌধুরীবাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল, রাবারবাগান, আলিখীল, কলমপতি ও ওয়াহেদিখীল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি রাউজানে তথা তাঁর এলাকায় ডাকাত আলম বা আলইম্যা ডাকাত হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিলেন। রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এবং খুনের নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় অনেকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেক পক্ষে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি হলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট। ওই দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতা আব্দুল মান্নানকে।
এদিকে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সড়কের ওপর থামানো প্রাইভেট কারে মুহুর্মুহু গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়। নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না তাঁর। নিহত আবদুল হাকিম ভেষজ পণ্যের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসাও করছিলেন।
এর আগে ৬ জুলাই দুপুর ১২টায় কদলপুরে প্রকাশ্যে স্ত্রী-কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা পালিয়ে যায়। তাদের পালিয়ে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বাগানবাড়ি থেকে মো. ইউসুফ মিয়া নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের চার দিন পর ২৯ অক্টোবর উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকায় পাওয়া যায় আজম খান নামের একজনের লাশ। নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় ১১ নভেম্বর মেলে ওলামা লীগের সদস্য আবু তাহেরের লাশ। ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের কর্মী মুহাম্মদ হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন কমরউদ্দিন জিতু। ২১ মার্চ পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় মো. রুবেলকে। ৪ এপ্রিল হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগরে মা ও দুই ভাইয়ের হাতে প্রকৌশলী নূর আলম বকুল খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৭ এপ্রিল পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি দীঘি থেকে খানপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. জাফরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল রাতে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিব উল্লাহ পাড়ার আবদুল্লাহ মানিককে। এর ঠিক তিন দিন পর ২২ এপ্রিল দোকানে ডেকে এনে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সদর ইউনিয়নের শমশেরনগর গাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবদল নেতা মো. ইব্রাহিমকে।
এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় পাঁচ এবং যুবলীগের কর্মী হাসান হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, অনেক হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা এলাকায় ঘুরলেও পুলিশ ধরছে না।
নিহত আব্দুল হাকিমের ভাই মুহাম্মদ পারভেজ জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারী। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন পারভেজ।
নিহত যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘চোখের সামনে বোরকা পরা সন্ত্রাসীরা গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
নিহত কমর উদ্দিনের স্ত্রী ডেইজি আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাজারে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আমি নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’
অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পরিচয় সন্ত্রাসী। তারা কোনো দলের হতে পারে না। আমাদের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেন না। আমরা রাউজানের বর্তমান পরিস্থিতির অবসান চাই। এভাবে চলতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে এখনো স্বৈরাচারের অনেক দোসর থেকে গেছে। যারা আগের রূপ পাল্টে চলার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা কামানো। আমরা ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলাম। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছি। আমরা কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দিতে রাজি না।’
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো থামানো যাচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় আসামিদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার রাউজানে এই মুহূর্তে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবদলের কর্মী আলম হত্যার বিচার চাই।’
তবে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাউজানে হত্যাকাণ্ডগুলোর ৬টি হয়েছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। বাকিগুলো পারিবারিক বা অন্য কারণে হয়েছে। আমরা তো মামলা নিচ্ছি। পরে তদন্তে দেখা যায়, এগুলো হত্যাকাণ্ড না। তারপরও প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ৬টি হত্যা মামলায় ৩০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোট মামলায় ৮০-৯০ আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার থামানো যাচ্ছে না বলেই রাউজানে বেশি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। অন্তঃকোন্দল ও গ্রুপিং (বিভক্তি) বারবার সামনে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে পাহাড়-টিলা রয়েছে। অপরাধীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। যার কারণে পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে যায় অপরাধীদের ধরা। তারপরও আমরা পিছিয়ে নেই। শতাধিক সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

চলতি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ীতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দেরিতে আবাদ শুরু হলেও ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। তবে বেশি দামে সার কেনায় খরচ কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকেরা যেন চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্য দামে সার পান...
৩২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (পাকেরহাট) সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত ভাড়ায় ব্যবহৃত হওয়ায় জরুরি মুহূর্তে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁদের স্বজনেরা। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে...
৪২ মিনিট আগে
আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৬ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

চলতি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ীতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দেরিতে আবাদ শুরু হলেও ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। তবে বেশি দামে সার কেনায় খরচ কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকেরা যেন চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্য দামে সার পান, সেদিকে নজরদারি করা হচ্ছে।
রাজবাড়ী সদর, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে চাষিরা মাঠে হাজির হচ্ছেন মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ করতে। চাষিরা কেউ মুড়িকাটা পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন, কেউ রোপণ করছেন, কেউ সেচ দিচ্ছেন। যাঁরা আগেভাগে আবাদ করেছিলেন, তাঁরা চারা গাছের যত্ন নিচ্ছেন। কেউবা চারায় কীটনাশক দেওয়ার কাজ সেরে নিচ্ছেন।

কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া চরের পেঁয়াজচাষি কাশেম মোল্লা বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টির কারণে সপ্তাহ দুই দেরি হয়েছে পেঁয়াজ রোপণে। গত বছর থেকে এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে খরচ কম। এ বছর বিঘায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। ফলন যদি ভালো হয়, তাহলে বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মণ পেঁয়াজ পাব।’
চাষি কাশেম মোল্লা আরও বলেন, ‘গত বছর তো পেঁয়াজে লোকসান গেছে। বিঘায় খরচ পড়েছিল এক লাখ টাকা করে। গুটি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মণ। এবার গুটি পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩৫ শ টাকা মণ দরে কেনা যাচ্ছে। যে কারণে খরচ কমছে।’
পাশেই দাঁড়িয়ে আফজাল মোল্লা। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিতে কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। তারপরও আশা করতেছি ফলন ভালো পাব। তবে সমস্যা হচ্ছে, সার পাচ্ছি না বাজারে। যা পাচ্ছি, দাম একটু বেশি নিচ্ছে।’
আরেক চাষি আব্দুল আজিজ প্রামাণিক বলেন, ‘সার, সেচ, চাষ, শ্রমিক খরচ সব আগের মতোই আছে। খালি এ বছর গুটি পেঁয়াজের দামটা কম। গত বছর ১০-১৫ হাজার টাকা মণ কেনা লাগছিল, এ বছর তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ। এ জন্য আবাদ খরচ কম লাগতেছে।’ তবে বাজারে সার কম পাওয়া যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের তৃতীয় অবস্থানে রাজবাড়ী জেলা। সারা দেশের ১৪ শতাংশ পেঁয়াজ এই জেলায় হয়ে থাকে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করে চাষিরা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণের ৯০ দিনের মধ্যে ফলন তোলা যায়। ফলে লাভের আশায় চাষিরা এ জাতের পেঁয়াজের আগাম চাষ করেন। কিন্তু এবার সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ও অক্টোবরের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে পেঁয়াজ আবাদ শুরু হয়েছে।’
সারের দাম নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারের দামের ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। কোথাও কোথাও দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে, তবে আমরা কৃষকদের বলছি, সরকারি দামে সার নিতে হবে। সেই সঙ্গে ডিলারদেরও কড়া নজরে রেখেছি যেন কৃষক সঠিক দামে সব উপকরণ পেয়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষাবাদ করতে পারে।’
শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হবে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার টন।

চলতি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ীতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দেরিতে আবাদ শুরু হলেও ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। তবে বেশি দামে সার কেনায় খরচ কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকেরা যেন চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্য দামে সার পান, সেদিকে নজরদারি করা হচ্ছে।
রাজবাড়ী সদর, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে চাষিরা মাঠে হাজির হচ্ছেন মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ করতে। চাষিরা কেউ মুড়িকাটা পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন, কেউ রোপণ করছেন, কেউ সেচ দিচ্ছেন। যাঁরা আগেভাগে আবাদ করেছিলেন, তাঁরা চারা গাছের যত্ন নিচ্ছেন। কেউবা চারায় কীটনাশক দেওয়ার কাজ সেরে নিচ্ছেন।

কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া চরের পেঁয়াজচাষি কাশেম মোল্লা বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টির কারণে সপ্তাহ দুই দেরি হয়েছে পেঁয়াজ রোপণে। গত বছর থেকে এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে খরচ কম। এ বছর বিঘায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। ফলন যদি ভালো হয়, তাহলে বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মণ পেঁয়াজ পাব।’
চাষি কাশেম মোল্লা আরও বলেন, ‘গত বছর তো পেঁয়াজে লোকসান গেছে। বিঘায় খরচ পড়েছিল এক লাখ টাকা করে। গুটি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মণ। এবার গুটি পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩৫ শ টাকা মণ দরে কেনা যাচ্ছে। যে কারণে খরচ কমছে।’
পাশেই দাঁড়িয়ে আফজাল মোল্লা। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টিতে কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। তারপরও আশা করতেছি ফলন ভালো পাব। তবে সমস্যা হচ্ছে, সার পাচ্ছি না বাজারে। যা পাচ্ছি, দাম একটু বেশি নিচ্ছে।’
আরেক চাষি আব্দুল আজিজ প্রামাণিক বলেন, ‘সার, সেচ, চাষ, শ্রমিক খরচ সব আগের মতোই আছে। খালি এ বছর গুটি পেঁয়াজের দামটা কম। গত বছর ১০-১৫ হাজার টাকা মণ কেনা লাগছিল, এ বছর তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ। এ জন্য আবাদ খরচ কম লাগতেছে।’ তবে বাজারে সার কম পাওয়া যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের তৃতীয় অবস্থানে রাজবাড়ী জেলা। সারা দেশের ১৪ শতাংশ পেঁয়াজ এই জেলায় হয়ে থাকে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করে চাষিরা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণের ৯০ দিনের মধ্যে ফলন তোলা যায়। ফলে লাভের আশায় চাষিরা এ জাতের পেঁয়াজের আগাম চাষ করেন। কিন্তু এবার সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ও অক্টোবরের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে পেঁয়াজ আবাদ শুরু হয়েছে।’
সারের দাম নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারের দামের ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। কোথাও কোথাও দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে, তবে আমরা কৃষকদের বলছি, সরকারি দামে সার নিতে হবে। সেই সঙ্গে ডিলারদেরও কড়া নজরে রেখেছি যেন কৃষক সঠিক দামে সব উপকরণ পেয়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষাবাদ করতে পারে।’
শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হবে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার টন।

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
৭ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (পাকেরহাট) সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত ভাড়ায় ব্যবহৃত হওয়ায় জরুরি মুহূর্তে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁদের স্বজনেরা। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে...
৪২ মিনিট আগে
আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৬ ঘণ্টা আগেএস এম রকি, খানসামা (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (পাকেরহাট) সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত ভাড়ায় ব্যবহৃত হওয়ায় জরুরি মুহূর্তে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁদের স্বজনেরা। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ সময় রোগীর স্বজনেরা অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা জানান, অ্যাম্বুলেন্স ‘বাইরে রয়েছে’, অন্য গাড়িতে রোগী নিয়ে যেতে হবে।
পরে খোঁজ নিয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি সে সময় সরকারি সেবা বা রোগী পরিবহনে নয়, বরং ব্যক্তিগত ভাড়ায় বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে অন্য গাড়িতে করে দিনাজপুরে রওনা করেন রোগীর স্বজনেরা।
ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি বিভাগে রোগী আনার পর অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার স্থানান্তর করেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় বাইরের গাড়ি করে আমরা দিনাজপুর নিয়ে যাচ্ছি। জরুরি মুহূর্তে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছি না, শুনলাম সেটি নাকি ভাড়ায় বাইরে গেছে!’
এ বিষয়ে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁরা মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সচালক মোকলেছুর রহমানের কাছে মোবাইল ফোনে অবস্থান জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘রোগী নিয়ে দিনাজপুর আসছি।’ কিন্তু রোগীর নাম জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুব্রত হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী জরুরি চিকিৎসা ও রোগী পরিবহন ছাড়া সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম; খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (পাকেরহাট) সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত ভাড়ায় ব্যবহৃত হওয়ায় জরুরি মুহূর্তে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁদের স্বজনেরা। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ সময় রোগীর স্বজনেরা অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা জানান, অ্যাম্বুলেন্স ‘বাইরে রয়েছে’, অন্য গাড়িতে রোগী নিয়ে যেতে হবে।
পরে খোঁজ নিয়ে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি সে সময় সরকারি সেবা বা রোগী পরিবহনে নয়, বরং ব্যক্তিগত ভাড়ায় বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে অন্য গাড়িতে করে দিনাজপুরে রওনা করেন রোগীর স্বজনেরা।
ভুক্তভোগী রোগীর স্বজন নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি বিভাগে রোগী আনার পর অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার স্থানান্তর করেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় বাইরের গাড়ি করে আমরা দিনাজপুর নিয়ে যাচ্ছি। জরুরি মুহূর্তে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছি না, শুনলাম সেটি নাকি ভাড়ায় বাইরে গেছে!’
এ বিষয়ে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁরা মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সচালক মোকলেছুর রহমানের কাছে মোবাইল ফোনে অবস্থান জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘রোগী নিয়ে দিনাজপুর আসছি।’ কিন্তু রোগীর নাম জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুব্রত হালদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী জরুরি চিকিৎসা ও রোগী পরিবহন ছাড়া সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম; খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
৭ ঘণ্টা আগে
চলতি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ীতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দেরিতে আবাদ শুরু হলেও ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। তবে বেশি দামে সার কেনায় খরচ কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকেরা যেন চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্য দামে সার পান...
৩২ মিনিট আগে
আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
গতকাল দুপুরের এ দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। তবে বেলা ৩টার পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফার্মগেট হয়ে পুরো রুটে আবার কখন ট্রেন চালু হবে, তা বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে বলা যাবে না।
১৩ মাসে দুবার এমন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম খুলে পড়ায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তা- ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর প্রথমবার প্যাড খুলে পড়ার পর খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, নির্মাণকাজের সময়ই এ উপকরণটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টার কিছু আগে মেট্রোরেল চলার সময় ওপর থেকে হঠাৎ একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে পথচারী আবুল কালামের (৩৫) মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় কাছে থাকা আরও দুজন আহত হন এবং ফুটপাতসংলগ্ন একটি চায়ের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঙ্গে থাকা পাসপোর্টের কথা উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি শরীয়তপুরের বাসিন্দা আবুল কালাম।
মেট্রোরেলের লাইন যে কংক্রিটের কাঠামোর ওপর পাতা থাকে, তা হচ্ছে ভায়াডাক্ট। আর ভায়াডাক্টগুলো দাঁড়িয়ে থাকে বিশাল ও প্রশস্ত খুঁটি বা পিলারের ওপর। ভায়াডাক্ট ও পিলারের সংযোগস্থলের মধ্যে রাবার ও স্টিলের তৈরি ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড বসানো হয়। এটি ট্রেন চলাচলের সময় ওপরের কাঠামোর ভার নিচের পিলারে স্থানান্তর করে এবং কম্পন শোষণ করে। এতে কাঠামোর ক্ষয় ও সম্ভাব্য স্থানচ্যুতি রোধ করা যায়।
মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রকৌশল সূত্র বলেছে, বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। বিষয়টি কাঠামোর নির্মাণত্রুটি নাকি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যর্থতা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, মেট্রোরেলের দুই পিলারের মাঝখানে থাকা প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে। মেট্রোরেলের এ পর্যন্ত চালু হওয়া ৬ নম্বর লাইনটিতে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি।
তদন্ত কমিটি গঠন
এ ঘটনায় সাবেক মেট্রোরেল এমডি এবং বর্তমান সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব এবং সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
দুর্ঘটনার পরপরই ফার্মগেটে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি এ সময় বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি তদন্তে বের হবে। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আলগা হয়ে পড়ে যাওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারির ঘাটতি বা নির্মাণপর্যায়ে মান নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতার ফল হতে পারে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো পুরো ট্র্যাকের নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা।’
এবার বিয়ারিং প্যাড পড়েছে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে, যার অবস্থান ফার্মগেট স্টেশনের পশ্চিম পাশে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্যাড পড়েছিল ৪৩০ নম্বর পিলার থেকে। তবে সেবার কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল ১১ ঘণ্টা।
প্যাড নিয়ে উদ্বেগ পুরনো
মে্ট্রোরেলের ভায়াডাক্টে ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে কারিগরি পরীক্ষা করে একাধিক প্যাডের মানে ঘাটতি পাওয়া যায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অজ্ঞাত কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে নতুন করে ‘উন্নত’ প্যাড আনার উদ্যোগের কথাও বলা হয়েছিল।
বুয়েটের ল্যাবে উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা প্যাডের মান পরীক্ষা করা হয়েছিল। এসব প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। তবে যখন অভিযোগ ওঠে, ততদিনে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথে প্যাড বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছিল।
যাত্রীদের উদ্বেগ ও ভোগান্তি
বিচিত্র ধরনের এ দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজাদুল হক নামের এক যাত্রী লিখেছেন, ‘আমরা ভাবতাম মেট্রোরেল সবচেয়ে নিরাপদ। এখন ভয় লাগছে; যদি ট্র্যাকের নিচ থেকে কিছু খুলে পড়ে, তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?’ স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যেও এ নিয়ে গুঞ্জন চলে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধের পর ফার্মগেট ও মতিঝিল স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিকল্প পরিবহন খুঁজে নিতে বাধ্য হন। অফিস ছুটির পর নিয়মিত যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল বিকেলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ আপাতত বন্ধ থাকবে। আজ (রোববার) চালু করা সম্ভব হবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুরো রুট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তবে নির্দিষ্ট সময় এখনই বলা যাচ্ছে না।’

আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
গতকাল দুপুরের এ দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়। তবে বেলা ৩টার পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফার্মগেট হয়ে পুরো রুটে আবার কখন ট্রেন চালু হবে, তা বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে বলা যাবে না।
১৩ মাসে দুবার এমন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম খুলে পড়ায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তা- ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর প্রথমবার প্যাড খুলে পড়ার পর খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, নির্মাণকাজের সময়ই এ উপকরণটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, গতকাল দুপুর ১২টার কিছু আগে মেট্রোরেল চলার সময় ওপর থেকে হঠাৎ একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে পথচারী আবুল কালামের (৩৫) মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় কাছে থাকা আরও দুজন আহত হন এবং ফুটপাতসংলগ্ন একটি চায়ের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঙ্গে থাকা পাসপোর্টের কথা উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি শরীয়তপুরের বাসিন্দা আবুল কালাম।
মেট্রোরেলের লাইন যে কংক্রিটের কাঠামোর ওপর পাতা থাকে, তা হচ্ছে ভায়াডাক্ট। আর ভায়াডাক্টগুলো দাঁড়িয়ে থাকে বিশাল ও প্রশস্ত খুঁটি বা পিলারের ওপর। ভায়াডাক্ট ও পিলারের সংযোগস্থলের মধ্যে রাবার ও স্টিলের তৈরি ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড বসানো হয়। এটি ট্রেন চলাচলের সময় ওপরের কাঠামোর ভার নিচের পিলারে স্থানান্তর করে এবং কম্পন শোষণ করে। এতে কাঠামোর ক্ষয় ও সম্ভাব্য স্থানচ্যুতি রোধ করা যায়।
মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রকৌশল সূত্র বলেছে, বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা। বিষয়টি কাঠামোর নির্মাণত্রুটি নাকি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যর্থতা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, মেট্রোরেলের দুই পিলারের মাঝখানে থাকা প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে। মেট্রোরেলের এ পর্যন্ত চালু হওয়া ৬ নম্বর লাইনটিতে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি।
তদন্ত কমিটি গঠন
এ ঘটনায় সাবেক মেট্রোরেল এমডি এবং বর্তমান সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব এবং সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
দুর্ঘটনার পরপরই ফার্মগেটে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি এ সময় বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি তদন্তে বের হবে। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আলগা হয়ে পড়ে যাওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি রক্ষণাবেক্ষণে নজরদারির ঘাটতি বা নির্মাণপর্যায়ে মান নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতার ফল হতে পারে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো পুরো ট্র্যাকের নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা।’
এবার বিয়ারিং প্যাড পড়েছে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে, যার অবস্থান ফার্মগেট স্টেশনের পশ্চিম পাশে। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্যাড পড়েছিল ৪৩০ নম্বর পিলার থেকে। তবে সেবার কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তখন আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল ১১ ঘণ্টা।
প্যাড নিয়ে উদ্বেগ পুরনো
মে্ট্রোরেলের ভায়াডাক্টে ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে কারিগরি পরীক্ষা করে একাধিক প্যাডের মানে ঘাটতি পাওয়া যায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অজ্ঞাত কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে নতুন করে ‘উন্নত’ প্যাড আনার উদ্যোগের কথাও বলা হয়েছিল।
বুয়েটের ল্যাবে উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা প্যাডের মান পরীক্ষা করা হয়েছিল। এসব প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। তবে যখন অভিযোগ ওঠে, ততদিনে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথে প্যাড বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছিল।
যাত্রীদের উদ্বেগ ও ভোগান্তি
বিচিত্র ধরনের এ দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজাদুল হক নামের এক যাত্রী লিখেছেন, ‘আমরা ভাবতাম মেট্রোরেল সবচেয়ে নিরাপদ। এখন ভয় লাগছে; যদি ট্র্যাকের নিচ থেকে কিছু খুলে পড়ে, তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?’ স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যেও এ নিয়ে গুঞ্জন চলে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধের পর ফার্মগেট ও মতিঝিল স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিকল্প পরিবহন খুঁজে নিতে বাধ্য হন। অফিস ছুটির পর নিয়মিত যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল বিকেলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ আপাতত বন্ধ থাকবে। আজ (রোববার) চালু করা সম্ভব হবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পুরো রুট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তবে নির্দিষ্ট সময় এখনই বলা যাচ্ছে না।’

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
৭ ঘণ্টা আগে
চলতি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ীতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দেরিতে আবাদ শুরু হলেও ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। তবে বেশি দামে সার কেনায় খরচ কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকেরা যেন চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্য দামে সার পান...
৩২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (পাকেরহাট) সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত ভাড়ায় ব্যবহৃত হওয়ায় জরুরি মুহূর্তে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁদের স্বজনেরা। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে...
৪২ মিনিট আগে
একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে, সেটির আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদার পাঁচ বছর আগে ঘর বেঁধেছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়, প্রিয়ার সঙ্গে। ঘরে আছে দুই সন্তান আবদুল্লাহ ও ফারিয়া। বয়স যথাক্রমে ৪ ও ২ বছর। তাদের নিয়ে পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন।
গতকাল সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, আবুল কালামের শাশুড়ি রিনা আক্তার বিলাপ করছেন। আর স্বামীর লাশের পাশে আর্তনাদ করছেন প্রিয়া।
প্রিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘কালাম ভাই ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। এখন আমার বড় বোন অসহায় হয়ে গেল। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কীভাবে থাকবে? আমার বাবা ইতালি থাকেন। আমাদের কোনো ভাই নেই। উনিই আমাদের ভাইয়ের অভাব পূরণ করেছিলেন।’
নিহত কালামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জলিল চোকদার ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে আবুল কালাম চোকদার। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে কালাম ভাইদের মধ্যে ছোট। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর বাবা ও মা মারা যান।
কালামের চার ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই ইলিয়াস চোকদার চাঁদপুরে সিলভারের ব্যবসা করেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন। বাড়িতে তাঁর একটি ঘর রয়েছে এবং মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি আসেন।
মেজ ভাই খোকন চোকদার বাড়িতেই থাকেন এবং কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তাঁকে মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতা করতেন আবুল কালাম।
আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। এরপর তিনি আর বিদেশে যাননি। ঢাকাতেই জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফার্মগেট এলাকায় তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়। গ্রামে থাকা মেজ ভাইয়ের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
কালামের ভাবি আসমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিল। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আসো। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসব। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর শুনি—মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে।’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ও-ই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকে কালাম পরিশ্রমী ছিলেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেওয়া কঠিন।’
গতকাল রাত ১০টায় পাঠানটুলীর বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে কালামের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর তাঁর মরদেহ শরীয়তপুরে নিজ গ্রামে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল ৯টায় নড়িয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

একসময় প্রবাস জীবনযাপন করেছেন, এরপর দেশে ফিরে ঘর বেঁধেছেন বছর পাঁচেক আগে। ঘরে আছে দুই সন্তান ও স্ত্রী। নিজে ভালো থাকা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা আবুল কালাম চোকদারের জীবন থেমে গেল। গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে, সেটির আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদার পাঁচ বছর আগে ঘর বেঁধেছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়, প্রিয়ার সঙ্গে। ঘরে আছে দুই সন্তান আবদুল্লাহ ও ফারিয়া। বয়স যথাক্রমে ৪ ও ২ বছর। তাদের নিয়ে পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন।
গতকাল সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, আবুল কালামের শাশুড়ি রিনা আক্তার বিলাপ করছেন। আর স্বামীর লাশের পাশে আর্তনাদ করছেন প্রিয়া।
প্রিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘কালাম ভাই ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। এখন আমার বড় বোন অসহায় হয়ে গেল। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কীভাবে থাকবে? আমার বাবা ইতালি থাকেন। আমাদের কোনো ভাই নেই। উনিই আমাদের ভাইয়ের অভাব পূরণ করেছিলেন।’
নিহত কালামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জলিল চোকদার ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে আবুল কালাম চোকদার। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে কালাম ভাইদের মধ্যে ছোট। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর বাবা ও মা মারা যান।
কালামের চার ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই ইলিয়াস চোকদার চাঁদপুরে সিলভারের ব্যবসা করেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন। বাড়িতে তাঁর একটি ঘর রয়েছে এবং মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি আসেন।
মেজ ভাই খোকন চোকদার বাড়িতেই থাকেন এবং কৃষিকাজ করে সংসার চালান। তাঁকে মাঝেমধ্যে আর্থিক সহযোগিতা করতেন আবুল কালাম।
আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। এরপর তিনি আর বিদেশে যাননি। ঢাকাতেই জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফার্মগেট এলাকায় তিনি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায়। গ্রামে থাকা মেজ ভাইয়ের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
কালামের ভাবি আসমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিল। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আসো। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসব। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর শুনি—মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে।’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ও-ই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকে কালাম পরিশ্রমী ছিলেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেওয়া কঠিন।’
গতকাল রাত ১০টায় পাঠানটুলীর বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে কালামের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর তাঁর মরদেহ শরীয়তপুরে নিজ গ্রামে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল ৯টায় নড়িয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
৭ ঘণ্টা আগে
চলতি মাসের শুরুতে কয়েক দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাজবাড়ীতে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। দেরিতে আবাদ শুরু হলেও ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। তবে বেশি দামে সার কেনায় খরচ কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকেরা যেন চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্য দামে সার পান...
৩২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (পাকেরহাট) সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত ভাড়ায় ব্যবহৃত হওয়ায় জরুরি মুহূর্তে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁদের স্বজনেরা। রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে...
৪২ মিনিট আগে
আবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে খুলে পড়ল ভারী বিয়ারিং প্যাড। এবার রাবার ও ইস্পাতের তৈরি শক্ত এ বস্তুর আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেছে এক পথচারীর। এতে দুজন আহত হয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে