অনলাইন ডেস্ক
দেড় বছর ধরে গাজায় নৃশংসতা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে বর্বরতার নতুন ইতিহাস গড়ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এই গণহত্যায় সক্রিয় সমর্থন দিয়ে গেছে পশ্চিমা মোড়ল দেশগুলো। দীর্ঘ ১৯ মাসে অর্ধলক্ষ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৬৫ হাজার শিশু অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ার পর যেন তাদের টনক নড়ল! গাজা-ইসরায়েল প্রশ্নে এবার বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা।
গত সোমবার, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয় এই তিন দেশ। হুমকি দিয়ে বলে, গাজায় ইসরায়েলের বর্ধিত সামরিক অভিযান এবং অবরোধ প্রত্যাহার না হলে তেল আবিবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে তারা। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের লেবার পার্টির সরকার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা দেশটির সঙ্গে নতুন করে কোনো মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা করবে না। এ ছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
গত সোমবার, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি, নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক হাজার।
গত শুক্রবার (১৬ মে) গাজায় ‘অপারেশন গিদিয়নস চ্যারিয়টস’ নামে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া, তিন মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। প্রতিদিন ইসরায়েলি নির্বিচার বোমা হামলা আর গোলা বর্ষণ চলছেই। গাজা থেকে দৈনিকই প্রাণহানির খবর আসছে। অবরোধের কারণে অনাহার তীব্র আকার ধারণ করছে। গত তিন মাসে খাবার ও চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে বহু ফিলিস্তিনি। দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সরাসরি হামলায় মৃত্যুর চেয়ে হামলার পরোক্ষ প্রভাবে মৃত্যু ১৫ গুণ! এই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল প্রশ্নে পশ্চিমা দেশগুলোর আকস্মিক অবস্থান পরিবর্তন।
তবে, এতকাল গাজার মানুষের আর্তনাদ-হাহাকারে মন গলেনি এসব দেশের নেতাদের। এত দিন তাদের ভাষ্য ছিল—ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। ইসরায়েল আত্মরক্ষার্থেই গাজায় হামলা চালায়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হত্যার পেছনে ইসরায়েলের নিয়মিত সাফাই—তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানায় না, তাদের লক্ষ্য কেবলই হামাস সদস্যরা। আর হামাসই সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইসরায়েলের এই যুক্তিকেই ব্যাপকভাবে সমর্থন করে এসেছে ইউরোপ-আমেরিকা। কিন্তু দেরিতে হলেও চোখ খুলতে শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলোর। গতকাল মঙ্গলবার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন পলিসি প্রধান কাজা কালাস বলেন, ‘ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে, তেলআবিব যা করছে, তাতে কোনোভাবেই আত্মরক্ষা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। গাজায় যা হচ্ছে তা চরম মাত্রার বাড়াবাড়ি।’
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার এই অবস্থান আসলে কী বার্তা দিচ্ছে? প্রকৃতপক্ষেই কী তারা ইসরায়েলকে থামাতে চায়? নাকি গাজা ইস্যুতে বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের কৌশল মাত্র? বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, গাজার পরিস্থিতি যে এত ভয়াবহ হবে তা এই দেশগুলো আগে আন্দাজ করতে পারেনি। এখনো যে গাজা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু, গাজায় মানবিক বিপর্যয় যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন যে তারা চুপ করে ছিল না, বিশ্ব ইতিহাসে তা প্রতিষ্ঠিত করতেই এমন পদক্ষেপ নিল দেশগুলো।
ফিলিস্তিনি পলিসি নেটওয়ার্ক আল-শাবাকার সহ-পরিচালক ইয়ারা হাওয়ারি বলেন, ‘গাজায় যে গণহত্যা হয়েছে বা হচ্ছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স এর দায় এড়াতে পারে না। সেটাকে আড়াল করতেই এখন এমন একটি স্টান্ট নিল তারা। গাজা তো বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু আগে কখনো গাজার এত মর্মান্তিক পরিস্থিতি হয়নি। আর সেকারণেই এমন অবস্থান নিয়ে বিশ্ববাসীকে দেশগুলো বলতে চাচ্ছে, দেখো, আমরা তো এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু সত্যটা হলো, এই দেশগুলোর কোনোটি-ই এখনো ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেনি। গত ১৯ মাসে যুক্তরাজ্য থেকে ইসরায়েলে কত অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে—এ নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন রিপোর্ট বের হচ্ছে।’
তবে হোক তা পাবলিসিটি স্টান্ট বা সত্যিকার অর্থেই ইসরায়েলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া—এর কোনো প্রভাব কী আদৌ পড়বে? পড়লেও কতটা গভীর হবে? কিংস কলেজ লন্ডনের স্কুল অব সিকিউরিটি স্টাডিসের প্রভাষক এন্ড্রু ক্রেইজের মতে, ইসরায়েলের জন্য আক্ষরিক অর্থে এসব নিষেধাজ্ঞা খুব বেশি ক্ষতি ডেকে না আনলেও ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে। অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা সহজ করবে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ‘যদিও এটি ইসরায়েলের সঙ্গে দেশগুলোর আচরণে সরাসরি প্রভাব ফেলবে না, তবুও এটি আন্তর্জাতিক পরিসরে বিতর্কের পরিসর বিস্তৃত করবে এবং অন্য সরকারগুলোর জন্য ইসরায়েলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া সহজ করে তুলবে। তবে ইসরায়েলের আচরণে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখে যুক্তরাষ্ট্র। তবুও, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলকে ঘিরে যে ঐকমত্য এত দিন ছিল, তা এখন স্পষ্টত ভেঙে পড়ছে—এবং এর ফলে ইসরায়েল ক্রমশ একটি “দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র” হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।’
এন্ড্রু ক্রেইজ আরও বলেন, ‘বহির্বিশ্বে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি যেভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে। গাজায় চলমান যুদ্ধের বাইরেও ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে “মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতান্ত্রিক মিত্র” হিসেবে তুলে ধরার যে প্রচলিত বয়ান, তা নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে।’
পশ্চিমের তিন দেশের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুমকির পর যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলত ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, যুক্তরাজ্য কিছু অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করেছে। তবে তা যথেষ্ট নয়। সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া, এই দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি নেতানিয়াহু আর গ্যালান্তকে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
দেড় বছর ধরে গাজায় নৃশংসতা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে বর্বরতার নতুন ইতিহাস গড়ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এই গণহত্যায় সক্রিয় সমর্থন দিয়ে গেছে পশ্চিমা মোড়ল দেশগুলো। দীর্ঘ ১৯ মাসে অর্ধলক্ষ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৬৫ হাজার শিশু অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ার পর যেন তাদের টনক নড়ল! গাজা-ইসরায়েল প্রশ্নে এবার বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা।
গত সোমবার, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেয় এই তিন দেশ। হুমকি দিয়ে বলে, গাজায় ইসরায়েলের বর্ধিত সামরিক অভিযান এবং অবরোধ প্রত্যাহার না হলে তেল আবিবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে তারা। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের লেবার পার্টির সরকার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে তারা দেশটির সঙ্গে নতুন করে কোনো মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা করবে না। এ ছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
গত সোমবার, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ আবাসন প্রকল্প সম্প্রসারণ পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি, নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক হাজার।
গত শুক্রবার (১৬ মে) গাজায় ‘অপারেশন গিদিয়নস চ্যারিয়টস’ নামে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া, তিন মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। প্রতিদিন ইসরায়েলি নির্বিচার বোমা হামলা আর গোলা বর্ষণ চলছেই। গাজা থেকে দৈনিকই প্রাণহানির খবর আসছে। অবরোধের কারণে অনাহার তীব্র আকার ধারণ করছে। গত তিন মাসে খাবার ও চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে বহু ফিলিস্তিনি। দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সরাসরি হামলায় মৃত্যুর চেয়ে হামলার পরোক্ষ প্রভাবে মৃত্যু ১৫ গুণ! এই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল প্রশ্নে পশ্চিমা দেশগুলোর আকস্মিক অবস্থান পরিবর্তন।
তবে, এতকাল গাজার মানুষের আর্তনাদ-হাহাকারে মন গলেনি এসব দেশের নেতাদের। এত দিন তাদের ভাষ্য ছিল—ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। ইসরায়েল আত্মরক্ষার্থেই গাজায় হামলা চালায়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হত্যার পেছনে ইসরায়েলের নিয়মিত সাফাই—তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানায় না, তাদের লক্ষ্য কেবলই হামাস সদস্যরা। আর হামাসই সাধারণ মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইসরায়েলের এই যুক্তিকেই ব্যাপকভাবে সমর্থন করে এসেছে ইউরোপ-আমেরিকা। কিন্তু দেরিতে হলেও চোখ খুলতে শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলোর। গতকাল মঙ্গলবার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন পলিসি প্রধান কাজা কালাস বলেন, ‘ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তবে, তেলআবিব যা করছে, তাতে কোনোভাবেই আত্মরক্ষা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। গাজায় যা হচ্ছে তা চরম মাত্রার বাড়াবাড়ি।’
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার এই অবস্থান আসলে কী বার্তা দিচ্ছে? প্রকৃতপক্ষেই কী তারা ইসরায়েলকে থামাতে চায়? নাকি গাজা ইস্যুতে বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের কৌশল মাত্র? বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, গাজার পরিস্থিতি যে এত ভয়াবহ হবে তা এই দেশগুলো আগে আন্দাজ করতে পারেনি। এখনো যে গাজা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু, গাজায় মানবিক বিপর্যয় যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন যে তারা চুপ করে ছিল না, বিশ্ব ইতিহাসে তা প্রতিষ্ঠিত করতেই এমন পদক্ষেপ নিল দেশগুলো।
ফিলিস্তিনি পলিসি নেটওয়ার্ক আল-শাবাকার সহ-পরিচালক ইয়ারা হাওয়ারি বলেন, ‘গাজায় যে গণহত্যা হয়েছে বা হচ্ছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স এর দায় এড়াতে পারে না। সেটাকে আড়াল করতেই এখন এমন একটি স্টান্ট নিল তারা। গাজা তো বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু আগে কখনো গাজার এত মর্মান্তিক পরিস্থিতি হয়নি। আর সেকারণেই এমন অবস্থান নিয়ে বিশ্ববাসীকে দেশগুলো বলতে চাচ্ছে, দেখো, আমরা তো এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু সত্যটা হলো, এই দেশগুলোর কোনোটি-ই এখনো ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেনি। গত ১৯ মাসে যুক্তরাজ্য থেকে ইসরায়েলে কত অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে—এ নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন রিপোর্ট বের হচ্ছে।’
তবে হোক তা পাবলিসিটি স্টান্ট বা সত্যিকার অর্থেই ইসরায়েলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া—এর কোনো প্রভাব কী আদৌ পড়বে? পড়লেও কতটা গভীর হবে? কিংস কলেজ লন্ডনের স্কুল অব সিকিউরিটি স্টাডিসের প্রভাষক এন্ড্রু ক্রেইজের মতে, ইসরায়েলের জন্য আক্ষরিক অর্থে এসব নিষেধাজ্ঞা খুব বেশি ক্ষতি ডেকে না আনলেও ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে। অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা সহজ করবে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ‘যদিও এটি ইসরায়েলের সঙ্গে দেশগুলোর আচরণে সরাসরি প্রভাব ফেলবে না, তবুও এটি আন্তর্জাতিক পরিসরে বিতর্কের পরিসর বিস্তৃত করবে এবং অন্য সরকারগুলোর জন্য ইসরায়েলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়া সহজ করে তুলবে। তবে ইসরায়েলের আচরণে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখে যুক্তরাষ্ট্র। তবুও, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলকে ঘিরে যে ঐকমত্য এত দিন ছিল, তা এখন স্পষ্টত ভেঙে পড়ছে—এবং এর ফলে ইসরায়েল ক্রমশ একটি “দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র” হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।’
এন্ড্রু ক্রেইজ আরও বলেন, ‘বহির্বিশ্বে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি যেভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে। গাজায় চলমান যুদ্ধের বাইরেও ভবিষ্যতে ইসরায়েলকে “মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতান্ত্রিক মিত্র” হিসেবে তুলে ধরার যে প্রচলিত বয়ান, তা নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে।’
পশ্চিমের তিন দেশের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুমকির পর যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলত ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, যুক্তরাজ্য কিছু অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করেছে। তবে তা যথেষ্ট নয়। সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া, এই দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি নেতানিয়াহু আর গ্যালান্তকে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০২৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫৩.২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৯১.৫ বিলিয়ন এবং রপ্তানি করেছিল ৬১.৭ বিলিয়ন ডলার। তবে গাজায় সামরিক অভিযানের তীব্রতা ও পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।
১১ ঘণ্টা আগেভারতে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় ১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ি গ্রামের একটি অভ্যুত্থান থেকে। এই গ্রাম থেকেই ‘নকশাল’ শব্দের উৎপত্তি। কমিউনিস্ট নেতা কানু সান্যাল, চারু মজুমদার ও জঙ্গল সাঁওতালের নেতৃত্বে এই সশস্ত্র অভ্যুত্থান শুরু হয়। এদের উদ্দেশ্য ছিল, ভূমিহীন দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো
১১ ঘণ্টা আগেএর মধ্যেই সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন করছাড় বিল অনুমোদন করেছে। এই বিলটি ২০১৭ সালে করা ট্রাম্পের করছাড়কে আরও দীর্ঘায়িত করবে এবং জাতীয় ঋণে আরও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার যুক্ত করতে পারে।
২ দিন আগেসরকারি পর্যায়ে ইসরায়েল প্রশ্নে অবস্থানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলেও মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের জনপ্রিয়তা নেমে গেছে কয়েক ধাপ। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর দূরত্বও বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
৩ দিন আগে