আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েল ও হামাস যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্কিত অনেক বিষয়ে এখনো ফারাক রয়ে গেছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীর অস্ত্র পরিত্যাগ-সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলছে, গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষ করতে হলে হামাসকে অবশ্যই সব অস্ত্র হস্তান্তর করতে হবে। এ ছাড়া হামাসকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটি পরিচালনার দায়িত্ব ত্যাগ করতে হবে এবং সংগঠন হিসেবে নিজেকে বিলুপ্ত করতে হবে।
অপর দিকে হামাস প্রকাশ্যে অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোষ্ঠীটি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে ছাড় দিতে পারে। থিংকট্যাংক ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিশেষজ্ঞ হিউ লভাট বলেন, ‘অস্ত্র পরিত্যাগের বিষয়ে হামাসের অবস্থানে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামাসের নেতারা ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন যে তাঁরা আক্রমণাত্মক অস্ত্রগুলোর ধ্বংস প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রস্তুত হতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা এটাও সতর্ক করেছেন, হামাসের অস্ত্র নিয়ে আলোচনা যুদ্ধবিরতিকে বিপন্ন করতে পারে এবং গাজার দরিদ্র ও নিরাশ্রিত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলকে পুনরায় প্রাণঘাতী যুদ্ধে নামাতে প্ররোচিত করতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্র বহনের অধিকার রয়েছে এবং তারা দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে।
তারপরও ইসরায়েল এবং পশ্চিমা মিত্ররা ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর কাছে সশস্ত্র প্রতিরোধ ত্যাগ করার দাবি করেছে, যেন শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এটি ছিল সেই কাঠামো, যা ১৯৯০-এর দশকে অসলো শান্তিচুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল। গাজার ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক সংকট গবেষণা সংস্থার (আইসিজি) গবেষক আজমি কিশওয়াই বলেন, ‘ইসরায়েল সম্ভবত এবারও একই ধরনের দাবি করবে, তবে হামাস সম্পূর্ণভাবে অস্ত্র ত্যাগ করবে না।’
কিশওয়াই বলেন, তিনি শুধু কল্পনা করতে পারেন যে হামাস কিছু ‘আক্রমণাত্মক অস্ত্র’ যেমন স্বল্প ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করতে পারে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, হামাস কখনো ছোট ও হালকা অস্ত্র ত্যাগ করবে না এবং তাদের সুনিপুণ টানেলের মানচিত্রও দেবে না, যা তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে দশক ধরে তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘হামাস তখনই হালকা অস্ত্র ছাড়বে, যখন এসব অস্ত্রের আর প্রয়োজন থাকবে না। অর্থাৎ তারা শুধু সেই ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করবে, যারা ইসরায়েলের দখল শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করবে।’
হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে হামাসের নেতৃত্বে হামলার আগে গাজার সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী ছিল। অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে), পপুলার ফ্রন্ট ফর লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিইএলপি) এবং আল-আকসা মার্টায়ার্স ব্রিগেডস। এই গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে আসছে এবং দেশটির গত দুই বছরের ভয়াবহ বোমাবর্ষণের কারণে তাদের অবস্থান কতটা দুর্বল হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
গাজায় গণহত্যা চালানোর সময় ইসরায়েল কিছু কুখ্যাত দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীকে সমর্থন করেছে। এই গোষ্ঠীগুলো সীমিত ত্রাণ চুরি ও লুট করতে সক্ষম হয়েছিল। গাজার অনেক ফিলিস্তিনি মনে করেন, হামাসের কিছু সামরিক সক্ষমতা সংরক্ষণ করা উচিত, যেন এই দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীগুলো কোনো ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি করতে না পারে। গাজার বিশ্লেষক তাগরিদ খোদারি বলেন, ‘ইসরায়েল দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠী তৈরি করেছে এবং তাদের অস্ত্র দিয়ে তাদেরই মানুষকে হত্যা করতে বলেছে। এখন ইসরায়েল হামাসকে অপসারণ করতে চায়, কিন্তু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখতে হামাসের প্রয়োজন অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামাস নিরাপত্তা প্রদানে খুব দক্ষ।’
হিউ লভাট বলেন, হামাস সম্ভবত একটি অস্থায়ী টাস্কফোর্সের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক হতে পারে, যারা নিরাপত্তা প্রদান করবে এবং কিছু অস্ত্র ধ্বংসপ্রক্রিয়ার তদারকি করবে। তবে তিনি বলেন, হামাস শুধু তখনই এই ধরনের ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করবে, যদি এর ম্যান্ডেট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে যে তারা তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে’ কোনো কাজ করবে না। তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা রাজধানীগুলোতে সন্ত্রাসবিরোধী ভূমিকা পালনের খুব কম ইচ্ছা আছে এবং এটি হামাসের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। এটি আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্সকে স্পষ্টভাবে ইসরায়েলের উদ্দেশ্য হিসেবে প্রকাশ করবে।’
গাজায় গণহত্যার সময় ইসরায়েল দাবি করেছে যে তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য মূলত হামাসকে ভেঙে দেওয়া। কিন্তু কিশওয়াই বলেন, হামাস কখনো সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হবে না। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, এই গোষ্ঠী আগামী কয়েক বছরে হাজার হাজার দরিদ্র ও প্রতিশোধপরায়ণ যুবককে তাদের বাহিনীতে শামিল করবে। তাঁর মতে, অনেকের কাছে হামাস শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং একটি ‘ধারণা’, যা প্রতিরোধের প্রতীক। তিনি বলেন, ‘এই গোষ্ঠী সমগ্র আরব বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। তারা এমন একটি যুদ্ধে লড়েছে, যা কেউ ভাবতেও পারেনি, যদিও এর মূল্য অনেক বেশি।’
লভাট বলেন, তবু হামাস বাস্তববাদী এবং যত দূর সম্ভব যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করতে ছাড় দিতে প্রস্তুত। তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যান্য পশ্চিমা নেতাদের ওপর নির্ভর করে, যারা ইসরায়েল এবং তার সর্বাধিক দাবিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তিনি বলেন, ‘খুব বেশি সম্ভাবনা আছে যে ইসরায়েল পশ্চিমা দেশগুলোকে নিজের পক্ষে আনতে পারবে এই ইস্যুতে...যে হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে।’
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
ইসরায়েল ও হামাস যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্কিত অনেক বিষয়ে এখনো ফারাক রয়ে গেছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীর অস্ত্র পরিত্যাগ-সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলছে, গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষ করতে হলে হামাসকে অবশ্যই সব অস্ত্র হস্তান্তর করতে হবে। এ ছাড়া হামাসকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলটি পরিচালনার দায়িত্ব ত্যাগ করতে হবে এবং সংগঠন হিসেবে নিজেকে বিলুপ্ত করতে হবে।
অপর দিকে হামাস প্রকাশ্যে অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোষ্ঠীটি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে ছাড় দিতে পারে। থিংকট্যাংক ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিশেষজ্ঞ হিউ লভাট বলেন, ‘অস্ত্র পরিত্যাগের বিষয়ে হামাসের অবস্থানে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামাসের নেতারা ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন যে তাঁরা আক্রমণাত্মক অস্ত্রগুলোর ধ্বংস প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রস্তুত হতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা এটাও সতর্ক করেছেন, হামাসের অস্ত্র নিয়ে আলোচনা যুদ্ধবিরতিকে বিপন্ন করতে পারে এবং গাজার দরিদ্র ও নিরাশ্রিত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলকে পুনরায় প্রাণঘাতী যুদ্ধে নামাতে প্ররোচিত করতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্র বহনের অধিকার রয়েছে এবং তারা দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে।
তারপরও ইসরায়েল এবং পশ্চিমা মিত্ররা ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর কাছে সশস্ত্র প্রতিরোধ ত্যাগ করার দাবি করেছে, যেন শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এটি ছিল সেই কাঠামো, যা ১৯৯০-এর দশকে অসলো শান্তিচুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল। গাজার ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক সংকট গবেষণা সংস্থার (আইসিজি) গবেষক আজমি কিশওয়াই বলেন, ‘ইসরায়েল সম্ভবত এবারও একই ধরনের দাবি করবে, তবে হামাস সম্পূর্ণভাবে অস্ত্র ত্যাগ করবে না।’
কিশওয়াই বলেন, তিনি শুধু কল্পনা করতে পারেন যে হামাস কিছু ‘আক্রমণাত্মক অস্ত্র’ যেমন স্বল্প ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করতে পারে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, হামাস কখনো ছোট ও হালকা অস্ত্র ত্যাগ করবে না এবং তাদের সুনিপুণ টানেলের মানচিত্রও দেবে না, যা তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে দশক ধরে তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘হামাস তখনই হালকা অস্ত্র ছাড়বে, যখন এসব অস্ত্রের আর প্রয়োজন থাকবে না। অর্থাৎ তারা শুধু সেই ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করবে, যারা ইসরায়েলের দখল শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করবে।’
হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে হামাসের নেতৃত্বে হামলার আগে গাজার সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী ছিল। অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে), পপুলার ফ্রন্ট ফর লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিইএলপি) এবং আল-আকসা মার্টায়ার্স ব্রিগেডস। এই গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে আসছে এবং দেশটির গত দুই বছরের ভয়াবহ বোমাবর্ষণের কারণে তাদের অবস্থান কতটা দুর্বল হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
গাজায় গণহত্যা চালানোর সময় ইসরায়েল কিছু কুখ্যাত দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীকে সমর্থন করেছে। এই গোষ্ঠীগুলো সীমিত ত্রাণ চুরি ও লুট করতে সক্ষম হয়েছিল। গাজার অনেক ফিলিস্তিনি মনে করেন, হামাসের কিছু সামরিক সক্ষমতা সংরক্ষণ করা উচিত, যেন এই দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীগুলো কোনো ক্ষমতার শূন্যতা সৃষ্টি করতে না পারে। গাজার বিশ্লেষক তাগরিদ খোদারি বলেন, ‘ইসরায়েল দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠী তৈরি করেছে এবং তাদের অস্ত্র দিয়ে তাদেরই মানুষকে হত্যা করতে বলেছে। এখন ইসরায়েল হামাসকে অপসারণ করতে চায়, কিন্তু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখতে হামাসের প্রয়োজন অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামাস নিরাপত্তা প্রদানে খুব দক্ষ।’
হিউ লভাট বলেন, হামাস সম্ভবত একটি অস্থায়ী টাস্কফোর্সের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক হতে পারে, যারা নিরাপত্তা প্রদান করবে এবং কিছু অস্ত্র ধ্বংসপ্রক্রিয়ার তদারকি করবে। তবে তিনি বলেন, হামাস শুধু তখনই এই ধরনের ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করবে, যদি এর ম্যান্ডেট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে যে তারা তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে’ কোনো কাজ করবে না। তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা রাজধানীগুলোতে সন্ত্রাসবিরোধী ভূমিকা পালনের খুব কম ইচ্ছা আছে এবং এটি হামাসের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না। এটি আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্সকে স্পষ্টভাবে ইসরায়েলের উদ্দেশ্য হিসেবে প্রকাশ করবে।’
গাজায় গণহত্যার সময় ইসরায়েল দাবি করেছে যে তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য মূলত হামাসকে ভেঙে দেওয়া। কিন্তু কিশওয়াই বলেন, হামাস কখনো সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হবে না। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, এই গোষ্ঠী আগামী কয়েক বছরে হাজার হাজার দরিদ্র ও প্রতিশোধপরায়ণ যুবককে তাদের বাহিনীতে শামিল করবে। তাঁর মতে, অনেকের কাছে হামাস শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং একটি ‘ধারণা’, যা প্রতিরোধের প্রতীক। তিনি বলেন, ‘এই গোষ্ঠী সমগ্র আরব বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। তারা এমন একটি যুদ্ধে লড়েছে, যা কেউ ভাবতেও পারেনি, যদিও এর মূল্য অনেক বেশি।’
লভাট বলেন, তবু হামাস বাস্তববাদী এবং যত দূর সম্ভব যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করতে ছাড় দিতে প্রস্তুত। তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যান্য পশ্চিমা নেতাদের ওপর নির্ভর করে, যারা ইসরায়েল এবং তার সর্বাধিক দাবিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তিনি বলেন, ‘খুব বেশি সম্ভাবনা আছে যে ইসরায়েল পশ্চিমা দেশগুলোকে নিজের পক্ষে আনতে পারবে এই ইস্যুতে...যে হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে।’
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এক সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছেছেন। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর এটি তালেবানের সবচেয়ে বড় কোনো উচ্চপর্যায়ের সফর। মুত্তাকি তাঁর আট দিনের অবস্থানকালে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন।
১ ঘণ্টা আগে২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি যাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তিতে তাঁর মধ্যস্থতা, ভারত-পাকিস্তানসহ একাধিক আঞ্চলিক বিরোধে তাঁর ভূমিকার দাবি এবং কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে মনোনয়ন—তাঁকে আবারও...
১ দিন আগেগত ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে নরেন্দ্র মোদি দিল্লির লালকেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ঘোষণা করেন, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্য একটি ‘উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশন’ গঠন করা হবে। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশই নিজেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয় না।
২ দিন আগেদুই বছর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে আসছে।
৩ দিন আগে