এক এক করে ইউক্রেনের শহরগুলোতে প্রবেশ করা শুরু করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। গণমাধ্যমগুলোতে একে যুদ্ধ বা ‘রুশ আগ্রাসন’ বলা হলেও হামলার প্রথম থেকেই রাশিয়া বলে আসছে, ইউক্রেনের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে তারা। বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা হবে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে পাওয়া গেছে ভিন্ন চিত্র। হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা, মানবিক করিডরের সমঝোতা ভঙ্গ করা, রুশ বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ড এখন দৃশ্যমান।
ইউক্রেনকে নিয়ে এত দিন কী ভেবে এসেছেন পুতিন? তাঁর সেই চিন্তাভাবনা কি ঠিক পথে আছে? আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনীয় দার্শনিক, সাংবাদিক ও লেখক ভলোদিমির ইয়ারমোলেনকো বলেন, পুতিন ইউক্রেনকে ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। ইউক্রেনীয়রা আসলেই কী চাইছেন, এটি তাঁর বোধগম্য হয়নি। এ জন্যই এভাবে অমানবিক হামলা চালিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ইউক্রেনীয়দের একটি জাতি হিসেবেই মনে করে না রাশিয়া। এই ধারণা থাকা রুশদের মতে, তাঁদের একমাত্র পরিচয় তাঁরা ‘নাৎসি’ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এমনকি পুতিনপন্থী রাশিয়া এবং ইউক্রেনীয় নেতাদের মুখেও হরহামেশাই এমন ইঙ্গিত শোনা যায়। দেশটি থেকে নব্য নাৎসিদের তাড়াতেই মূলত এ আগ্রাসন শুরু করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। অন্যদিকে, ইউক্রেনের কয়েকটি এলাকায় রুশ ভাষায় কথা বলা মানুষ রয়েছেন। বলা হচ্ছে, এ জাতির নিজস্ব কোনো সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নেই।
কিন্তু ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং অতীত ইতিহাস বলছে, ইউক্রেনীয়দের একটি শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় রয়েছে এবং তাঁরা জানেন মানুষ হিসেবে তাঁরা কোন জাতির অন্তর্ভুক্ত। ইউক্রেনের যে একটি স্বতন্ত্র শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়, ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রত্বের ধারণাটি সোভিয়েত ইউনিয়ন তৈরির সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নয়। অতীতে এখানে গ্রিক উপনিবেশ, সিথিয়ান উপজাতি ও খাজার রাজ্যের উপস্থিতি সেই সাক্ষ্যই দেয়। ১৭ শতকে যোদ্ধা সম্প্রদায় কসাক এখানে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাজনৈতিক সত্তা প্রতিষ্ঠা করেন। এসব কারণেই রুশদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাজনৈতিক মতাদর্শ ইউক্রেনীয়দের।
ইউক্রেনের মানুষ বহুমুখী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। পুতিনের মতো কোনো নেতা তাঁরা কখনোই চাননি। এ জন্যই এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ। আর তা বুঝতে ভুল করে পুতিন হামলা চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভলোদিমির ইয়ারমোলেনকো।
এক এক করে ইউক্রেনের শহরগুলোতে প্রবেশ করা শুরু করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। গণমাধ্যমগুলোতে একে যুদ্ধ বা ‘রুশ আগ্রাসন’ বলা হলেও হামলার প্রথম থেকেই রাশিয়া বলে আসছে, ইউক্রেনের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে তারা। বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা হবে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে পাওয়া গেছে ভিন্ন চিত্র। হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা, মানবিক করিডরের সমঝোতা ভঙ্গ করা, রুশ বাহিনীর এসব কর্মকাণ্ড এখন দৃশ্যমান।
ইউক্রেনকে নিয়ে এত দিন কী ভেবে এসেছেন পুতিন? তাঁর সেই চিন্তাভাবনা কি ঠিক পথে আছে? আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনীয় দার্শনিক, সাংবাদিক ও লেখক ভলোদিমির ইয়ারমোলেনকো বলেন, পুতিন ইউক্রেনকে ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। ইউক্রেনীয়রা আসলেই কী চাইছেন, এটি তাঁর বোধগম্য হয়নি। এ জন্যই এভাবে অমানবিক হামলা চালিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ইউক্রেনীয়দের একটি জাতি হিসেবেই মনে করে না রাশিয়া। এই ধারণা থাকা রুশদের মতে, তাঁদের একমাত্র পরিচয় তাঁরা ‘নাৎসি’ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এমনকি পুতিনপন্থী রাশিয়া এবং ইউক্রেনীয় নেতাদের মুখেও হরহামেশাই এমন ইঙ্গিত শোনা যায়। দেশটি থেকে নব্য নাৎসিদের তাড়াতেই মূলত এ আগ্রাসন শুরু করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। অন্যদিকে, ইউক্রেনের কয়েকটি এলাকায় রুশ ভাষায় কথা বলা মানুষ রয়েছেন। বলা হচ্ছে, এ জাতির নিজস্ব কোনো সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নেই।
কিন্তু ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি এবং অতীত ইতিহাস বলছে, ইউক্রেনীয়দের একটি শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় রয়েছে এবং তাঁরা জানেন মানুষ হিসেবে তাঁরা কোন জাতির অন্তর্ভুক্ত। ইউক্রেনের যে একটি স্বতন্ত্র শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়, ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রত্বের ধারণাটি সোভিয়েত ইউনিয়ন তৈরির সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নয়। অতীতে এখানে গ্রিক উপনিবেশ, সিথিয়ান উপজাতি ও খাজার রাজ্যের উপস্থিতি সেই সাক্ষ্যই দেয়। ১৭ শতকে যোদ্ধা সম্প্রদায় কসাক এখানে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাজনৈতিক সত্তা প্রতিষ্ঠা করেন। এসব কারণেই রুশদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাজনৈতিক মতাদর্শ ইউক্রেনীয়দের।
ইউক্রেনের মানুষ বহুমুখী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। পুতিনের মতো কোনো নেতা তাঁরা কখনোই চাননি। এ জন্যই এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ। আর তা বুঝতে ভুল করে পুতিন হামলা চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভলোদিমির ইয়ারমোলেনকো।
কিন্তু আরাকান আর্মি এখনো সেই অর্থে সিতওয়ে ও কায়াকফিউতে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ চালায়নি। কিন্তু কেন? এর পেছনে রয়েছে তিনটি কৌশলগত কারণ—কায়াকফিউতে চীনের বড় বিনিয়োগ, সিতওয়েতে ভারতের বিনিয়োগ এবং স্থানীয় জনগণের কাছে রাজনৈতিক বৈধতা ও শাসন কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এএ–এর অগ্রাধিকার।
৭ ঘণ্টা আগেআগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগেই নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোতে নীরবে বড়সড় পরিবর্তন এনেছেন। আগের তুলনায় বিজেপির নির্বাচনী রণনীতি এবার অনেকটাই ভিন্ন।
১০ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পশ্চিমা বিশ্বে লবিস্ট নিয়োগের ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে বিশ্বের অন্য দেশগুলো নিজ স্বার্থ উদ্ধারে মার্কিন প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে প্রায়ই লবিং ফার্ম নিয়োগ দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে খবর এসেছে, বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারত ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টায় বিপুল...
১২ ঘণ্টা আগেবিগত পাঁচ বছর চীনকে প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখেছে ভারত। এমনকি গত মে মাস পর্যন্ত চীনকে কার্যত প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেছে। কারণ, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর চার দিনের যুদ্ধে পাকিস্তান চীনা প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছিল।
১৩ ঘণ্টা আগে