Ajker Patrika

পশ্চিমবঙ্গের দখল নিতে বিজেপির ১০ কৌশল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মমতাকে পশ্চিমবঙ্গে ধরাশায়ী করতে ১০ কৌশলে এগোচ্ছে মোদির দল। ছবি: সংগৃহীত
মমতাকে পশ্চিমবঙ্গে ধরাশায়ী করতে ১০ কৌশলে এগোচ্ছে মোদির দল। ছবি: সংগৃহীত

গত দুই মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গে তিন তিনবার সফর করেছেন। এই ঘন ঘন সফরকে আমলে নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করে বলেছে, ভোট এলেই কেবল বারবার ‘অতিথি পাখির’ মতো দেখা দেন মোদি। তবে প্রশ্ন হলো—অল্প সময়ের ব্যবধানে মোদির এতবার পশ্চিমবঙ্গ সফরের পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী? এর রাজনৈতিক ব্যাখ্যা খুঁজে দেখা জরুরি।

আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগেই নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোতে নীরবে বড়সড় পরিবর্তন এনেছেন। আগের তুলনায় বিজেপির নির্বাচনী রণনীতি এবার অনেকটাই ভিন্ন। নতুন এই পরিকল্পনায় কী কী কৌশল আছে, তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—পশ্চিমবঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে বিজেপির নতুন কৌশলে রয়েছে দশটি বড় দিক।

১. মমতাকে দেখে নেওয়া

বিজেপির অন্যতম প্রধান কৌশল হলো তৃণমূলের প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে নেওয়া। তবে বিজেপিতে মধ্যে এমন কোনো একক, ঐক্যবদ্ধ বিরোধী মুখ নেই যে মমতাকে এই নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন। তৃণমূল ঘোষণা করেছে, এবারের নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ কম দেখা যাবে, বরং পোস্টার–ব্যানারে বেশি করে তুলে ধরা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতার এই একক উপস্থিতিকে ভারসাম্য করার চেষ্টা হিসেবে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে তাদের মুখ হিসেবে মোদিকেই সামনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের মধ্য অন্যতম শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি শহুরে, মধ্যবিত্ত, সেক্যুলার চরিত্রের হলেও গণমানুষের নেতা নন। অন্যদিকে তৃণমূল থেকে আসা শুভেন্দু অধিকারী মেদিনীপুরের জেলা নেতা হলেও তিনি প্রকৃত গণমানুষের নেতা। কারণ, তিনি পরিশ্রমী, নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে বেফাঁস কথা বলায় তাঁর ব্যাপক কুখ্যাতিও রয়েছে।

এর পাশাপাশি রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বিজেপির সাবেক রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে। তবে কোনোভাবেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নন। এর বাইরে, দিলীপ ঘোষ একসময় রাজনীতির মঞ্চ গরম করতে পারলেও নানা কেলেঙ্কারির কারণে এখন তিনি সংগঠন থেকে সরে গেছেন।

২. নিশ্চয়তার ফুলঝুরি

নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী জাতীয় ‘ব্র্যান্ডিং’ থাকায় বিজেপি এবার তাঁকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তার ফুলঝুরি ছোটানোর চেষ্টা করছে। আগের জনপ্রিয় স্লোগান ‘মোদি হ্যায়, তো মুমকিন হ্যায়’কে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এক নতুন বাংলা—যেখানে উন্নয়ন থাকবে, আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ মুক্ত রাখা হবে।

বিপরীতে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, প্রতিটি আসনে জনসংযোগ করলেই জয় আসবে। এর বিপরীতে বিজেপির কাছে তৃণমূলের মতো শক্তিশালী সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। তাই অভিষেক জেলা জেলায় আরও বেশি করে প্রবেশ করছেন, স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করছেন।

গত নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি বুঝতে পেরেছে, মোদি যত বার্তাই দিন না কেন সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে তা প্রতিটি গ্রামে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব হয়নি। এই ঘাটতি মেটাতে বিজেপি এবার আরও আক্রমণাত্মক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারে নেমেছে—ভ্লগ, পডকাস্ট, স্থানীয় বিজ্ঞাপন ব্যবহার করছে। এমনকি জেলা পর্যায়ে আরএসএসের সহায়তাও নিচ্ছে। ফলে এবার বিজেপি ও আরএসএসের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয় দেখা যাবে।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বেশি বেশি ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ও ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’—এর মতো পরিচিত কর্মসূচি প্রচার করেছেন। এই জায়গায় বিজেপির পক্ষে তৃণমূলকে হারানো কঠিন হবে। মমতা ব্যানার্জির কাজ করার ধরনও অনেকটা কৌশলী। বিজেপি যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় নেই, তাই কেন্দ্রীয় সরকার মোদির ইমেজ ব্যবহার করে না। আবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নিজস্ব সাংগঠনিক শক্তিও নেই। তবে এবার তারা চেষ্টা করছে সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর। বাইরে থেকে আরএসএসের কর্মী এনে ধর্মীয় লাইনে নির্বাচনী প্রচারের পর্যায়ে কাজ করানো হচ্ছে। তাঁরা খতিয়ে দেখবেন মানুষ এসব কর্মসূচির প্রকৃত সুবিধা পাচ্ছেন কি না এবং অমীমাংসিত সমস্যাগুলো নিয়ে জনগণের অভিজ্ঞতা কী।

৩. বিজেপি-আরএসএস সমীকরণ

গতবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি ও আরএসএসের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের আরএসএস প্রচারকেরাই নিজেদের মধ্যে একমত নন, যদিও দলে একজন সাংগঠনিক সম্পাদক আছেন যিনি আরএসএসকে প্রতিনিধিত্ব করেন। এর আগে মোহন ভাগবত পশ্চিমবঙ্গে এলে তিনি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা না করে আরএসএস কর্মীদের ওপরই বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন।

আরএসএসের মূল পরিকল্পনা হলো পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরানো। তারা বিজেপির জন্য কাজ করবে, তবে একসঙ্গে নয়—স্বতন্ত্রভাবে। এতে তাদের কাজের ধরন আরও কার্যকর হবে। তাই এবারও আরএসএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তারা ঘরে ঘরে প্রচার চালাবে, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবে এবং বিভিন্ন জেলায় শাখা সভা আয়োজন করবে।

৪. হিন্দুত্বের আবেদন

এই মুহূর্তে বিজেপি কিংবা আরএসএস—কেউই ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে জোর দিচ্ছে না। হিন্দুত্ব এখন বিজেপির রাজনীতিতে বেশি কার্যকর হিন্দিভাষী অঞ্চলগুলোতে—যেমন উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ‘জয় শ্রী রাম’ আর মোদির উপস্থিতি একসঙ্গে মিলেছিল এবং বিজেপি রাজ্যে ১৮টি আসন পেয়েছিল। সে সময় বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘জয় বজরংবলী’ ও ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান আরও তীব্রভাবে ছড়িয়েছিলেন।

৫. উন্নয়নই মূল কথা

কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি ‘জয় মা কালী’ ও ‘জয় মা দুর্গা’ বলেছিলেন। তবে সর্বশেষ দমদমের সভায় তিনি এগুলোও বলেননি। সেখানে মূল বিষয় ছিল উন্নয়ন। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে উন্নয়নের জন্য এতটা তৃষ্ণার্ত, তা একমাত্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারই এনে দিতে পারে। তাই মূল স্লোগান ছিল—‘বিজেপি লাও, বাংলা বাঁচাও—বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে বাংলা বাঁচাও।’

৬. নেতা নয় বিজেপির আক্রমণের লক্ষ্য তৃণমূলের সরকার

এবার মোদি ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন না। গত নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই মমতা প্রধান টার্গেট ছিলেন। ২০২১ সালের ভোটে ইডি অভিষেকের বাড়িতে হানা দেওয়ার পর থেকে বিজেপি নেতারা তাকে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, কয়লা-কতল পাচারসহ নানা অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলছিলেন। কিন্তু এবার এখনো পর্যন্ত মোদি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেননি। বরং মূল ফোকাস রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি, বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের অভাব। একসময় যে শহর নবজাগরণের কেন্দ্র ছিল, তা উনিশ শতকের মতো অবক্ষয়ে নিমজ্জিত—এমন বার্তাই দিচ্ছে বিজেপি। আর তারা বলছে, পশ্চিমবঙ্গে নতুন যুগ আনতে পারে কেবল বিজেপিই। এটি তাদের নতুন কৌশল।

৭. মেরুকরণের রাজনীতি

আগে শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণকে সামনে এনে প্রচার চালাতেন। তবে বিজেপি জানে, মুসলিম ভোটারদের জেতা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য তারা এখন কংগ্রেস-বামফ্রন্ট-আইএসএফ জোটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যদিও আগের দুই নির্বাচনে আইএসএফ বিশেষ কোনো ভোট টানতে পারেনি। উল্টো এই জোট বিজেপির জন্য ক্ষতিকরও হয়েছে। তাই বিজেপির মূল কৌশল হচ্ছে হিন্দু ভোট ধরে রাখা এবং মমতার হাতে যা আছে তা থেকে কিছু টেনে নেওয়া। তবে এবার তারা সরাসরি হিন্দু-মুসলিম সংঘাত নয় বরং অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে আনছে। কারণ কেবল মুসলিম ভোটে মমতা জিততে পারবেন না। এই কৌশল উত্তর প্রদেশে কাজ করলেও পশ্চিমবঙ্গে অন্যভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

অতীতে বাজপেয়ি-আদভানি যুগেও পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছিল। এবারও বিজেপি মনে করছে, ‘রাম’-এর চেয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যু কার্যকর। মোদি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, অনুপ্রবেশ অবৈধ দখল ও বেআইনি অভিবাসন। যাদের এখানে থাকার বা ভোট দেওয়ার অধিকার নেই, তাদের পশ্চিমবঙ্গে থাকতে দেওয়া যাবে না। তবে তিনি অতিরিক্ত রাজনীতিকরণ থেকে বিরত থেকেছেন।

তিনি আরও বলেছেন, এই অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে তৃণমূল বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত সবচেয়ে দীর্ঘ, এবং অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দায়িত্ব বিএসএফের। তাই এর দায় তৃণমূলের নয়। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী, শুধু বিএসএফকে দায়ী করলে চলবে না। তারা বলছে, ত্রিপুরা সরকার যেখানে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে সক্ষম হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা করে না।

৮. ভোটার তালিকা

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া অনেক কঠোরভাবে করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ বিজেপি সরকারের নির্দেশে কেন্দ্রীয় ইলেকশন কমিশন এটা করছে বিহারের ভোটের জনমিতি পাল্টে দেওয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় ইলেকশন কমিশন পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রক্রিয়া চালানোর চেষ্টা করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আদালতে নিয়ে গিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।

বিপরীতে বিজেপি বলছে, ভোটার তালিকা সংশোধন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় রেখে ভোট কারচুপি চালানোর জন্যই তৃণমূল এর বিরোধিতা করছে। একই অভিযোগ তৃণমূল একসময় সিপিএমের বিরুদ্ধে তুলেছিল। এখন বিজেপি একই অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটিই দেখার বিষয়।

৯. পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি

নির্বাচনে দুর্নীতি ইস্যু কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ভিন্নমত আছে। সব সময় নয়, তবে কিছু সময়ে এটি বড় ইস্যু হয়েছে। যেমন—১৯৮৪ সাল পর্যন্ত রাজীব গান্ধী ছিলেন ‘মিস্টার ক্লিন।’ কিন্তু ১৯৮৯ সালে বোফোর্স কেলেঙ্কারির পর তাঁর নাম হয়ে যায় ‘বোফোর্স গান্ধী।’ তখন স্লোগান ওঠে—‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়।’ এতে দুর্নীতি ইস্যু জাতীয় রাজনীতিতে বড় জায়গা পায়।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি শিক্ষাক্ষেত্রের দুর্নীতি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেলেঙ্কারি ইত্যাদি সামনে আনলেও মমতা তাতে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হননি। তিনি অনেকটা প্রতিরোধী অবস্থানে আছেন। তবে মোদি দুর্নীতিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। গত বছর এবং তার আগের বছরও ১৫ আগস্টের ভাষণে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোর দিয়ে কথা বলেছেন। তৃণমূল যদিও এটিকে ‘ওয়াশিং মেশিন ইস্যু’ বলে আখ্যা দিয়েছে—অর্থাৎ, বেছে বেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। তবুও বিজেপি এই ইস্যুকে সামনে এনে প্রচার চালাতে চায়। আগামী দিনগুলোতে দুর্নীতি বিরোধী প্রচার আরও জোরদার করবে বিজেপি।

১০. ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বা ভুল থেকে শেখার কৌশল

দুর্গাপূজার সময় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘুরপাক খাবে, আর আসল প্রচার শুরু হবে দীপাবলির পর থেকে। এর আগে পর্যন্ত বিজেপি ট্রায়াল অ্যান্ড এরর কৌশল নিচ্ছে। মোদি যে প্রথম তিনটি সভা করেছেন, তার ভিত্তিতে জরিপ হবে। দল ছাড়াও বিভিন্ন পেশাদার সংস্থা এসব জরিপ চালাবে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং পরবর্তী প্রচার কৌশল সাজানো হবে।

এনডিটিভি থেকে সংক্ষেপে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকা সহ-সম্পাদক আব্দুর রহমান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত