Ajker Patrika

ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাত থেকে বাসার সামনে অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ১৩
ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছে একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছে একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন একদল মানুষ। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। গতকাল ‎রোববার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সেগুনবাগিচায় কনকর্ড টাওয়ারের সামনের সড়কে বিপ্লবী ছাত্র জনতার ব্যানারে তাঁরা অবস্থান নেন।

এক টকশোতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ফজলুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপি থেকে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এরপরই রোববার মধ্যরাত থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসায় সামনে কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।

আজ ‎সোমবার বেলা ১২টার দিকে কনকর্ড টাওয়ারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ১৪-১৫ জন তরুণ-তরুণী রাস্তার মাঝখানে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ফজলুর রহমানের নানা বিতর্কিত মন্তব্য এবং জুলাই আন্দোলনকে খাটো করে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।

‎বিক্ষোভকারীরা জানান, ফজলুর রহমান জুলাই আন্দোলনকারীদের নিয়ে অনবরত বিতর্কিত মন্তব্য করে যাচ্ছেন। গতকালও তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাত ৩টার দিকে সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা।

‎বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইউসুফ আম্মার নামের একজন বলেন, ‘ফজলুর রহমান জুলাই আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁরা (আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা) নাকি অভিনেতা। এই রাজাকারের বাচ্চা বলার কারণেই আমরা শেখ হাসিনাকে তাড়িয়েছি। আমরা এখনো অভিনয় করতে চাই। আমরা আজকে অভিনয় করব। ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করিয়েই ছাড়ব। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করব।’

‎তিনি বলেন, ‘২৪-কে খাটো করে কথা বলা হয়েছে। বিপ্লবের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থান না নেওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন করব।’

ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছে একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছে একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎শিবলী হাওলাদার নামের আরেকজন বলেন, জুলাই আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় বিপ্লবী ছাত্র জনতা তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। যতক্ষণ না তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

‎এসময় বাড়ির সামনে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অবস্থান করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে অবস্থান করায় দুদক কার্যালয়ের সামনের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে দুপুর পৌনে ১টার দিকে সড়কের মাঝখান থেকে সরে গিয়ে দুদকের গেটের পাশে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় সেনাসদস্যরাও চলে যান। তবে কিছু সংখ্যক পুলিশ ও সেনা সদস্য এখনো সেখানে অবস্থান করছেন।

‎ঘটনাস্থলে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু লোক ফজলুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়কে অবস্থান নেয়। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। দুপুর পৌনে ১টার দিকে আমাদের অনুরোধে তারা সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরাও রয়েছে যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।’ ‎

‎এদিকে কনকর্ড টাওয়ারটি ২০ তলা ভবন। ভবনটির পাঁচ তলা পর্যন্ত মসজিদ, গাড়ি পার্কিংসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। আর ছয়তলা থেকে আবাসিক ফ্ল্যাট। ‎ভবনটির নিরাপত্তা কর্মী আব্দুল আলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফজলুর রহমান সাহেব ভবনটির একটি ফ্ল্যাটে প্রায় ২০ বছর ধরে ভাড়া থাকেন। বাসার সামনে গতকাল মধ্যরাত থেকে কিছু লোক অবস্থান করে বিক্ষোভ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরকে বাসা থেকে নিয়ে নির্যাতনের পর ফেলে যায় রাস্তায়, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগে চোর সন্দেহে নির্যাতনের শিকার কিশোর বাপ্পি (১৫) মারা গেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তার মারধর করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

বাপ্পি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার কদমতলা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তার বাবা রিকশাচালক এবং মা পারুল বেগম একটি কারখানায় কাজ করেন। বাপ্পিও মায়ের সঙ্গে একই কারখানায় কাজ করত। সে ধোলাইপাড় এলাকার প্রেমগলিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত।

বাপ্পির বড় ভাই মো. পারভেজ জানান, গত মঙ্গলবার আনুমানিক দিবাগত রাত ২টার দিকে একই এলাকার কাপশি রাসেল, মোল্লা শুভ এবং শাকিব তাঁদের বাসায় আসে। তারা অভিযোগ করে, বাপ্পি মীরহাজীরবাগের একটি বাসা থেকে জানালা দিয়ে টাকা ও বিদ্যুতের প্রিপেইড কার্ড চুরি করেছে। এরপর তাকে জোর করে ধরে নিয়ে মীরহাজীরবাগের আবু হাজী মসজিদ গলির একটি বাসার নিচতলার ‘ক্লাব ঘরে’ আটকে রাখা হয়।

পারভেজ আরও বলেন, সেখানে বাপ্পিকে রাতভর পেটানো হয়। বুধবার সকাল ৬টার দিকে চুরির টাকা ও মালামাল বের করে দেওয়ার কথা বলে বাপ্পিকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কিছু না পেয়ে তারা আবার বাপ্পিকে নিয়ে যায়। বাপ্পিকে ছাড়াতে তার মা পিছু পিছু গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সারা দিন নির্যাতনের পর বাপ্পি যখন নিস্তেজ হয়ে পড়ে, তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মীরহাজীরবাগের বড়বাড়ি প্রথম গেটের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই বাপ্পি মারা যায়।

ঢামেক মর্গে বাপ্পির বাবা মো. শাহজাহান আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করেও থাকে, তাহলে মারধর করার পর পুলিশের কাছে তুলে দিত। এইভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলল কেন? আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানান, চোর সন্দেহে বাপ্পি নামে ওই কিশোরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এসআই জুয়েল নিশ্চিত করেন, বাপ্পির মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে যার বাসায় চুরির সন্দেহে বাপ্পিকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, সেই ফৌজিয়া রওশন আক্তার প্রীতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৫-৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় প্রধান শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত
সুন্দরগঞ্জ থানা। ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নাশকতার মামলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ (ভারপ্রাপ্ত) দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ।

গ্রেপ্তার করা প্রধান শিক্ষক হলেন মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন দোলন। তিনি সীচা উচ্চবিদ্যালয়ে কর্মরত। তিনি চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সীচা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তার আরেকজন হলেন হরিপুর ইউনিয়নের চরিতাবাড়ী গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাদশা মিয়া (৫৫)। তিনি হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদা অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাশকতা ঠেকাতে এই অভিযান অব্যাহত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রলবোমা হামলা

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বাউন্ডারিতে পেট্রলবোমা হামলার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বাউন্ডারিতে পেট্রলবোমা হামলার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সেরেস্তায় পেট্রলবোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই নাশকতার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকটি চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। ঘটনার পরপরই টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী ওয়াহিদুর রহমান নান্নু জানান, দলিল লেখকদের সেরেস্তায় আগুন লেগে চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন না নেভালে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।

এ সময় তিনি হামলায় ব্যবহৃত দুটি বোতল দেখিয়ে বলেন, হামলাকারীরা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পেছনের গ্রিল দিয়ে ভেতরে পেট্রলবোমা দুটি নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

খুলনা সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল হাই জানান, নাশকতার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে সড়কে ছাত্রলীগের আগুন, আটক ১২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা কর্মসূচিকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। এ সময় আওয়ামী লীগের ৪ নেতাসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল (৩৮), কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম (৪৫), আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুজ্জামান মাসুদ রানা (৪৩) ও শোয়েব হোসেন সোহরাবসহ (৩৪) ১২ জন। আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহিম।

এদিকে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বুধবার গভীর রাতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী টাউন হল মোড়ে সড়কের ওপর আগুন দেন পৌরসভা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আজকের কর্মসূচির প্রতিবাদে রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত, শিবির ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের অনলাইনে ডাকা কর্মসূচি প্রতিহত করতে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেহজনক গতিবিধির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত