Ajker Patrika

গৃহযুদ্ধের কিনারায় যুক্তরাষ্ট্র!

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫৭
গৃহযুদ্ধের কিনারায় যুক্তরাষ্ট্র!

দাসপ্রথার প্রশ্নে বিভক্তি থেকে প্রথমবারের মতো গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ১৮৬১ সালের ১২ এপ্রিল কনফেডারেট বাহিনীর আক্রমণের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়, যা স্থায়ী হয়েছিল ১৮৬৫ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এর পর থেকে সবকিছু চলছিল স্বাভাবিক নিয়মেই। তবে প্রথম গৃহযুদ্ধের ১৫৬ বছর পর এসে যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক বিভাজন, উগ্রবাদের উত্থান ও তাদের প্রভাব ভাবাচ্ছে নতুন করে। সেইসঙ্গে বিশ্বের অন্যতম বড় গণতান্ত্রিক এ দেশটি আবারও গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে কি না, উঠছে এমন প্রশ্নও।

গত বছরের একটি জাতীয় জরিপের তথ্য বলছে, ৪৬ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করেন তাদের দেশে ‘আরও একটি গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা’ রয়েছে। ৪৩ শতাংশ মানুষ এ ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। বাকিরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

গত বছরের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের জয় মেনে নিতে না পেরেই মূলত এ হামলা চালানো হয়। আর এর মাধ্যমেই দেশটিতে ব্যাপক মাত্রায় দৃশ্যমান হয় উগ্রবাদ নামক সামাজিক ব্যাধি। সংঘাতের শুরুও ক্যাপিটল হিলের এই দাঙ্গার মাধ্যমেই।

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ৬ জানুয়ারির ওই হামলার রেশ এখনো কাটেনি। বরং সেখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন আরও ঘটনা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ক্ষমতা থেকে সরার পর রিপাবলিকানে প্রভাব আরও পাকাপোক্ত হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরেও দীর্ঘ পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।

এক জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই বলে মনে করলেও, ৬২ শতাংশ রিপাবলিকান এতে দ্বিমত পোষণ করেন। ৬০ শতাংশ মার্কিন নাগরিকের মতে, ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের দায় বেশি। কিন্তু ৭২ শতাংশ রিপাবলিকান মনে করেন, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের তেমন কোনো দায় নেই।

সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারার মতে, জরিপের এই তথ্যই বলছে যে মার্কিন নাগরিকরা এখন বিভক্ত। দেশটিতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র এবং উদারনীতিবাদের বিরুদ্ধে কুৎসিত এক ‘যুদ্ধ’ চলছে। সঙ্গে রয়েছে দেশটির করপোরেট অনেক মিডিয়ার ‘ভ্রান্ত’ প্রচারণা, যা দীর্ঘায়িত হলে মার্কিন গণতন্ত্রের ভাঙন অবশ্যম্ভাবী।

আল জাজিরায় প্রকাশিত এক কলামে তিনি লিখেছেন, ‘পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রাখার ভান না করে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত গণতন্ত্রকে দেশীয় নীতির কেন্দ্রে রাখা। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান যুদ্ধের পালে হাওয়া না দিয়ে, নিজেদের সমস্যার দিকে মনোযোগ দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।’

বিশ্লেষণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

সরকারের কমিটি পছন্দ হয়নি, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ‎প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত