মুহাম্মদ তাসনিম আলম, ঢাকা
কোনো দেশে স্বৈরশাসক থাকলেও সম্ভবত এমনটা হয় না। এক ভাই প্রেসিডেন্ট, অন্যজন প্রধানমন্ত্রী। আরও দুই ভাইয়ের একজন অর্থমন্ত্রী, অপরজন সেচ ও পানিব্যবস্থাপনা মন্ত্রী। এর বাইরে ভাই-জাতিজা-জ্ঞাতিরাও আছেন ক্ষমতার বড় বড় খাম্বা হয়ে।
পরিবারতন্ত্র এই অবস্থায় পৌঁছালে দেশের যে হাল হওয়ার কথা, তা টের পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। অর্থসংকটে জেরবার দেশ। বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই–সব জায়গায় লাইন। সামাল দিতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে রাস্তায়।
কলম্বোয় গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাড়ির আশপাশে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেয় এবং কিছু দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিক্ষোভকারীদের ইট-পাটকেলের জবাবে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্তত ৫৪ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলম্বোর চারটি প্রশাসনিক ডিস্ট্রিক্টে গতকাল শুক্রবার থেকে জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী সাবেক নৌ কর্মকর্তা শরৎ বীরসেকরা গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘবদ্ধ চরমপন্থী’রা বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। তদন্ত চলছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আল জাজিরাকে অজিত পেরেরা নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘বিদ্যুৎ নাই, খাবার নাই–জীবন আর চলে না। তাই বিক্ষোভ করতে এসেছি।
এই বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। আমরা চাই এ প্রেসিডেন্ট (গোতাবায়া) পদত্যাগ করুক।’
বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট ও ঋণে জর্জরিত দেশটিতে গত বৃহস্পতিবার কোথাও ডিজেল কিনতে পাওয়া যায়নি।
গতকাল থেকে পেট্রলও পাওয়া যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের স্বল্পতা ভয়াবহ, দাম আকাশছোঁয়া।
শ্রীলঙ্কার বর্তমান বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার। চলতি বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে ১০০ কোটি ডলার। অথচ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩০ কোটি ডলারের মতো। এর মধ্যে ব্যবহারযোগ্য মাত্র ৮০ কোটি ডলার।
ভারতের অনলাইন গণমাধ্যম স্ক্রলডটকের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, আগের মাসের তুলনায় চলতি মাসে ডলারের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার মুদ্রার মান কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আগের মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে জিনিসপত্রের দাম সার্বিকভাবে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে খাদ্যের দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। সবজির দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের মধ্যে দেশটির পেট্রলের দাম ৭১ শতাংশ বেড়ে ১৭৭ থেকে ৩০৩ শ্রীলঙ্কান রুপিতে পৌঁছেছে। পেট্রলের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে গরমে অন্তত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ লাইনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। কাগজ ও কালির অভাবে স্থগিত করা হয়েছে মাধ্যমিক স্কুলের পরীক্ষা। ‘দ্য আইল্যান্ড’ নামের একটি পত্রিকা সাময়িকভাবে ছাপা বন্ধ ঘোষণা করেছে। অর্থের অভাবে নোঙর করা বিদেশি জাহাজ থেকে এলএনজি ও পেট্রল খালাস করা যায়নি। মানুষ বাধ্য হয়ে কেরোসিন ও কাঠে রান্নাবান্না করছে।
২০০৯ সালে ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন পর্বে প্রবেশ করে শ্রীলঙ্কা। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির তৎকালীন সরকার দ্রুত উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ করে। নানাভাবে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। স্বল্প মেয়াদে ওই সব পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হলেও সন্তর্পণে বৈদেশিক ঋণের জালে আটকা পড়ে দেশটি। তারপরও কোনো রকমে চলছিল পর্যটননির্ভর দ্বীপরাষ্ট্রটি।
কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিলে ভয়াবহ বোমা হামলার পর একই বছরে করোনার ধাক্কায় পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে দেশটির পর্যটন খাত। সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) পার্টি। রাজাপাকসে পরিবার নিয়ন্ত্রিত দলটির সরকারপ্রধান হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তাঁর ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে হন প্রেসিডেন্ট। সবার বড় চামাল রাজাপাকসে হন সেচ ও পানিব্যবস্থাপনা মন্ত্রী। সবার ছোট কাপুতা রাজাপাকসে হন অর্থমন্ত্রী।
অবস্থার তো উন্নতি করা যায়ইনি, উল্টো আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা দেশটির ওপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দেয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক বাজারে বহুগুণ বেড়ে যায় জ্বালানি তেল, গম ও অন্য পণ্যের দাম।
যুদ্ধ শুরুর আগে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসতেন রাশিয়া থেকে। ইউক্রেনের পর্যটকের সংখ্যাও কম ছিল না। যা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। তা ছাড়া করোনাকালে বিবেচনাহীন কর হ্রাস ও ডলার বাইরে চলে যাওয়ার ভয়ে আমদানিতে কড়াকড়ি দেশটির বর্তমান সংকটকে ঘনীভূত করেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
২০০৯ সালে তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যখন শেষবারের মতো অপারেশন শুরু করা হয়, তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যুদ্ধের শেষ কয়েক দিনে অন্তত ৪০ হাজার শ্রীলঙ্কান তামিলকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা রাজাপাকসে পরিবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নিতে কয়েক মাস আগ পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানায়। তবে সংস্থাটির ঋণ পেতে বর্তমানে উঠেপড়ে লেগেছে রাজাপাকসে সরকার। দেশটির প্রধান উন্নয়ন সহযোগী ভারত ও চীনও সহজ শর্তে প্রাথমিকভাবে ১১০ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এসব ঋণ সরকারের হাতে এলে সাময়িকভাবে বর্তমান সংকটের কিছুটা উপশম হতে পারে। তবে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন না এলে, অদূর ভবিষ্যতে দেশটির কপালে আরও শনি আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে।
কোনো দেশে স্বৈরশাসক থাকলেও সম্ভবত এমনটা হয় না। এক ভাই প্রেসিডেন্ট, অন্যজন প্রধানমন্ত্রী। আরও দুই ভাইয়ের একজন অর্থমন্ত্রী, অপরজন সেচ ও পানিব্যবস্থাপনা মন্ত্রী। এর বাইরে ভাই-জাতিজা-জ্ঞাতিরাও আছেন ক্ষমতার বড় বড় খাম্বা হয়ে।
পরিবারতন্ত্র এই অবস্থায় পৌঁছালে দেশের যে হাল হওয়ার কথা, তা টের পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। অর্থসংকটে জেরবার দেশ। বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই–সব জায়গায় লাইন। সামাল দিতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে রাস্তায়।
কলম্বোয় গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাড়ির আশপাশে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীরা রাজাপাকসের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেয় এবং কিছু দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিক্ষোভকারীদের ইট-পাটকেলের জবাবে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্তত ৫৪ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কলম্বোর চারটি প্রশাসনিক ডিস্ট্রিক্টে গতকাল শুক্রবার থেকে জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী সাবেক নৌ কর্মকর্তা শরৎ বীরসেকরা গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘবদ্ধ চরমপন্থী’রা বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। তদন্ত চলছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আল জাজিরাকে অজিত পেরেরা নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘বিদ্যুৎ নাই, খাবার নাই–জীবন আর চলে না। তাই বিক্ষোভ করতে এসেছি।
এই বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। আমরা চাই এ প্রেসিডেন্ট (গোতাবায়া) পদত্যাগ করুক।’
বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র সংকট ও ঋণে জর্জরিত দেশটিতে গত বৃহস্পতিবার কোথাও ডিজেল কিনতে পাওয়া যায়নি।
গতকাল থেকে পেট্রলও পাওয়া যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের স্বল্পতা ভয়াবহ, দাম আকাশছোঁয়া।
শ্রীলঙ্কার বর্তমান বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার। চলতি বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে ১০০ কোটি ডলার। অথচ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩০ কোটি ডলারের মতো। এর মধ্যে ব্যবহারযোগ্য মাত্র ৮০ কোটি ডলার।
ভারতের অনলাইন গণমাধ্যম স্ক্রলডটকের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, আগের মাসের তুলনায় চলতি মাসে ডলারের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার মুদ্রার মান কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। আগের মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে জিনিসপত্রের দাম সার্বিকভাবে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে খাদ্যের দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। সবজির দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের মধ্যে দেশটির পেট্রলের দাম ৭১ শতাংশ বেড়ে ১৭৭ থেকে ৩০৩ শ্রীলঙ্কান রুপিতে পৌঁছেছে। পেট্রলের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে গরমে অন্তত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ লাইনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। কাগজ ও কালির অভাবে স্থগিত করা হয়েছে মাধ্যমিক স্কুলের পরীক্ষা। ‘দ্য আইল্যান্ড’ নামের একটি পত্রিকা সাময়িকভাবে ছাপা বন্ধ ঘোষণা করেছে। অর্থের অভাবে নোঙর করা বিদেশি জাহাজ থেকে এলএনজি ও পেট্রল খালাস করা যায়নি। মানুষ বাধ্য হয়ে কেরোসিন ও কাঠে রান্নাবান্না করছে।
২০০৯ সালে ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন পর্বে প্রবেশ করে শ্রীলঙ্কা। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটির তৎকালীন সরকার দ্রুত উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ করে। নানাভাবে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। স্বল্প মেয়াদে ওই সব পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হলেও সন্তর্পণে বৈদেশিক ঋণের জালে আটকা পড়ে দেশটি। তারপরও কোনো রকমে চলছিল পর্যটননির্ভর দ্বীপরাষ্ট্রটি।
কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিলে ভয়াবহ বোমা হামলার পর একই বছরে করোনার ধাক্কায় পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে দেশটির পর্যটন খাত। সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) পার্টি। রাজাপাকসে পরিবার নিয়ন্ত্রিত দলটির সরকারপ্রধান হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তাঁর ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে হন প্রেসিডেন্ট। সবার বড় চামাল রাজাপাকসে হন সেচ ও পানিব্যবস্থাপনা মন্ত্রী। সবার ছোট কাপুতা রাজাপাকসে হন অর্থমন্ত্রী।
অবস্থার তো উন্নতি করা যায়ইনি, উল্টো আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা দেশটির ওপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দেয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক বাজারে বহুগুণ বেড়ে যায় জ্বালানি তেল, গম ও অন্য পণ্যের দাম।
যুদ্ধ শুরুর আগে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসতেন রাশিয়া থেকে। ইউক্রেনের পর্যটকের সংখ্যাও কম ছিল না। যা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। তা ছাড়া করোনাকালে বিবেচনাহীন কর হ্রাস ও ডলার বাইরে চলে যাওয়ার ভয়ে আমদানিতে কড়াকড়ি দেশটির বর্তমান সংকটকে ঘনীভূত করেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
২০০৯ সালে তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যখন শেষবারের মতো অপারেশন শুরু করা হয়, তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যুদ্ধের শেষ কয়েক দিনে অন্তত ৪০ হাজার শ্রীলঙ্কান তামিলকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা রাজাপাকসে পরিবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নিতে কয়েক মাস আগ পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানায়। তবে সংস্থাটির ঋণ পেতে বর্তমানে উঠেপড়ে লেগেছে রাজাপাকসে সরকার। দেশটির প্রধান উন্নয়ন সহযোগী ভারত ও চীনও সহজ শর্তে প্রাথমিকভাবে ১১০ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এসব ঋণ সরকারের হাতে এলে সাময়িকভাবে বর্তমান সংকটের কিছুটা উপশম হতে পারে। তবে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন না এলে, অদূর ভবিষ্যতে দেশটির কপালে আরও শনি আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে।
কিন্তু আরাকান আর্মি এখনো সেই অর্থে সিতওয়ে ও কায়াকফিউতে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ চালায়নি। কিন্তু কেন? এর পেছনে রয়েছে তিনটি কৌশলগত কারণ—কায়াকফিউতে চীনের বড় বিনিয়োগ, সিতওয়েতে ভারতের বিনিয়োগ এবং স্থানীয় জনগণের কাছে রাজনৈতিক বৈধতা ও শাসন কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এএ–এর অগ্রাধিকার।
১ ঘণ্টা আগেআগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগেই নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোতে নীরবে বড়সড় পরিবর্তন এনেছেন। আগের তুলনায় বিজেপির নির্বাচনী রণনীতি এবার অনেকটাই ভিন্ন।
৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পশ্চিমা বিশ্বে লবিস্ট নিয়োগের ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে বিশ্বের অন্য দেশগুলো নিজ স্বার্থ উদ্ধারে মার্কিন প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে প্রায়ই লবিং ফার্ম নিয়োগ দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে খবর এসেছে, বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারত ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টায় বিপুল...
৬ ঘণ্টা আগেবিগত পাঁচ বছর চীনকে প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখেছে ভারত। এমনকি গত মে মাস পর্যন্ত চীনকে কার্যত প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেছে। কারণ, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর চার দিনের যুদ্ধে পাকিস্তান চীনা প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছিল।
৬ ঘণ্টা আগে